২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি এবং এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের প্রতিটি ক্লাসে দিতে হয় মাসিক, সেমিস্টার ও বার্ষিক পরীক্ষা। পরীক্ষার আগে এবং পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীদের কিছু করণীয় আছে। এগুলো পালন করলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। পরীক্ষার আগে যা করবে : ১. প্রতিটি বিষয়ের বড় ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর লেখার সময় নির্ধারণ করা। ২. প্রবেশপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ফটোকপি ও লেমিনেটিং করবে। উভয় কার্ডে তোমার পঠিত বিষয় ও বিষয় কোড সঠিক আছে কিনা, তা দেখবে। অমিল থাকলে আজই কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানাবে। ৩. পরীক্ষার তারিখ ও সময়সূচি তোমার বিষয়গুলোতে চিহ্নিত করে রাখবে।
৪. পরীক্ষা শুরুর অন্তত ২০ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করবে। ৫. প্রবেশপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, দু-তিনটি ব্যবহৃত কলম, পেনসিল, ইরেজার, ঘড়ি, স্কেল ও সাইন পেন (সবুজ/নীল/কালো) পরীক্ষার হলে নেবে। ৬. পরীক্ষার হলে মোবাইলফোন নেয়া যাবে না। ৭. পরীক্ষার কক্ষে তোমার আসনের নিচে বা আশপাশে কোন কাগজ পড়ে থাকলে কক্ষের বাইরে ফেলে দেবে। বেঞ্চে কিছু লেখা থাকলে পরীক্ষা শুরুর আগেই কক্ষ পরিদর্শককে জানাবে। ৮. উত্তরপত্র দেয়ার পর প্রবেশপত্র দেখে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোর্ড, বোর্ড ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট স্থানে লিখে কলম দিয়ে বৃত্ত ভরাট করবে। বৃত্ত ভরাট বা লিখতে ভুল হলে কক্ষ পরিদর্শককে জানাবে। 'ওএমআর' পৃষ্ঠায় তিনটি অংশের শুধু ওপরের অংশ তোমরা পূরণ করবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অংশে কিছু লিখবে না বা বৃত্ত ভরাট করবে না। 'ওএমআর' এবং উত্তরপত্রের কোথাও কোন কিছু লিখবে না বা চিহ্ন দেবে না। অপ্রয়োজনীয় বা কোন চিহ্ন থাকলে পরীক্ষক/প্রধান পরীক্ষক/কক্ষ পরিদর্শক খাতা বাতিল করতে পারেন।
৯. পরীক্ষার খাতায় প্রতিটি পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠা নম্বর দেবে।
১০. প্রতিটি পৃষ্ঠায় মার্জিন দেবে বা দুই ইঞ্চি পরিমাণ বাম পাশে ও ওপরে খালি স্থান রাখবে। 'ওএমআর' পাতা ভাঁজ করা যাবে না। ১১. উত্তরপত্রের পাতা ছেঁড়া বা কম থাকলে কক্ষ পরিদর্শককে জানাবে।
১২. 'ওএমআর'র ওপরের অংশের সব কিছু সঠিক লেখা ও বৃত্ত ভরাট হয়েছে কিনা, আবার দেখে নেবে।
পরীক্ষার সময় যা করবে : ১. প্রশ্ন পাওয়ার পর সম্পূর্ণ প্রশ্ন ভালো করে মনোযোগ সহকারে পড়বে এবং যে প্রশ্নের উত্তর দেবে সেগুলো নির্বাচন করবে।
২. উত্তরপত্রে যেখান থেকে লেখার নির্দেশ থাকে সেখান থেকে লেখা শুরু করবে।
৩. প্রশ্নের নম্বর লিখে তার নিচে সাইন পেন দিয়ে আন্ডারলাইন করবে। ৪. উত্তরপত্রের উভয় পৃষ্ঠায় লিখবে। কোন পৃষ্ঠা বা পাতায় ভুলে না লিখলে এক দাগ দিয়ে 'অ. পৃ. দ্র.' লিখবে এবং কক্ষ পরিদর্শককে জানাবে। ৫. প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর নতুন পৃষ্ঠার ওপর থেকে লেখা শুরু করবে।
৬. প্রশ্নের উত্তর পৃষ্ঠার মাঝামাঝি শেষ হলে সেই পৃষ্ঠায় আরেকটি প্রশ্নের উত্তর লেখা শুরু না করে পরের পৃষ্ঠা থেকে শুরু করবে। তবে ওই পৃষ্ঠার নিচে 'অ.পৃ. দ্র.' লিখবে। ৭. অতিরিক্ত উত্তরপত্র নিলে অবশ্যই অতিরিক্ত উত্তরপত্রের নম্বর সংশ্লিষ্ট স্থানে লিখবে। উত্তরপত্রে পৃষ্ঠার নম্বর লিখবে এবং অতিরিক্ত উত্তরপত্র মূল উত্তরপত্রের সঙ্গে আটকাবে।
৮. রেজিস্ট্রার খাতায় সই করবে। উত্তরপত্রে ও অতিরিক্ত উত্তরপত্রে কক্ষ পরিদর্শকের সই হয়েছে কি না দেখবে। ৯. 'অথবা' প্রশ্নের উত্তর লিখলে প্রশ্নের নম্বরের পাশে 'অথবা' কথাটি লিখবে।
১০. যে প্রশ্নের উত্তর লেখা শেষ হবে সেগুলো প্রশ্নপত্রে চিহ্নিত করবে। এতে একই প্রশ্নের উত্তর দুইবার কিংবা কোন প্রশ্নের উত্তর লেখা বাদ পড়বে না। ১১. কোন প্রশ্নের উত্তর ভুলে গেলে মনে করার জন্য সময় নষ্ট করবে না। ১২. ভাল নম্বর পেতে সব প্রশ্নের উত্তর করবে। ১৩. যে কোন প্রয়োজনে কক্ষ পরিদর্শককে জানাবে। ১৪. কক্ষ পরিদর্শক উত্তরপত্রের 'ওএমআর'র ওপরের অংশ ছিঁড়ে নিয়েছেন কি না, দেখবে।
পরীক্ষার শেষে যা করবে : ১. পুরো উত্তরপত্র রিভিশন করবে। খাতায় প্রশ্নের নম্বর বাদ বা ভুল হয়েছে কিনা তা ভালো করে দেখবে।
২. পরীক্ষার শেষে অবশ্যই প্রবেশপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, পেনসিল, কলম, প্রশ্নপত্র গুছিয়ে নিয়ে কক্ষ ত্যাগ করবে।
No comments:
Post a Comment