Tuesday, October 30, 2012

বাংলা ১ম পত্র সাড়ে তিন হাত জমি  for JSC Exam

বাংলা ১ম পত্র
সাড়ে তিন হাত জমি 
এক চাষির একটি রাজহাঁস ছিল। হাঁসটি প্রতিদিন একটি করে সোনার ডিম পাড়ত। ফলে অল্প দিনেই চাষির ভাগ্য পরিবর্তন হয়ে গেল। কুঁড়েঘরে পরিবর্তে এখন সে বড় বড় টিনের ঘরবাড়ির মালিক হয়ে গেল। চাষির আরও বড়লোক হওয়ার ইচ্ছা হলো। রাতারাতি বড় হওয়ার জন্য একদিন সে হাঁসটি জবাই করল। কিন্তু হায়! এটি! হাঁসের পেটে কোনো ডিম নেই। চাষি মাথায় হাত দিয়ে চিৎকার করে কান্নাকাটি করতে লাগল, আমি এ কী করলাম!
ক) উদ্ধৃত অংশের সঙ্গে তোমার পঠিত কোন গল্পের মিল পাওয়া যায়?
খ) উদ্ধৃত অংশের মূল বক্তব্য গল্প অবলম্বনে লেখো। (আংশিক পরিবর্তিত)।
গ) উদ্ধৃত অংশ এবং পাখোমের জীবনের আলোকে অতি লোভের পরিণতি ব্যাখ্যা করো।
ঘ) উদ্ধৃত অংশের চাষি এবং পাখোমের জীবনের পরিণতির জন্য একই বিষয় দায়ী—মূল্যায়ন করো।
উত্তর: ক. সাড়ে তিন হাত জমি।
উত্তর: খ. উদ্ধৃতাংশের মূল বক্তব্য গল্প অবলম্বনে বলা যায়, ‘লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু।’ কৃষক তার সোনার ডিম দেওয়া হাঁসকে লোভের বশে যেমন ধ্বংস করে দিয়েছে, ‘সাড়ে তিন হাত জমি’ গল্পেও পাখোমের এমন পরিণতি লক্ষ করা যায়। একের পর এক জমির লোভে পাখোম নিজেকে সামলাতে পারে না, অতি লোভে পড়ে সে তার সোনার জীবনটা হারায়, যেমনটি উদ্ধৃতির কৃষক সোনার ডিম দেওয়া হাঁসকে হারিয়েছে।
উত্তর: গ. উদ্ধৃত অংশের চাষি ও গল্পের ‘পাখোম’ অতি লোভের খপ্পরে পড়ে যথাক্রমে মূল্যবান ডিম ও মহামূল্যবান জীবন হারিয়েছে।
উদ্দীপকের চাষি তার লোভ সামলাতে না পেরে সোনার ডিম দেওয়া হাঁসকে জবাই করেছে; ফলে হাঁসের পেটে তার লোভের পরিপূর্ণতা ঘটেনি বরং মহামূল্যবান সেই হাঁসকে হারিয়ে চাষি সর্বস্ব হারিয়েছে—‘সাড়ে তিন হাত জমি’ গল্পেও পাখোমের এই লোভের দৃষ্টি আমরা লক্ষ্য করি।
গল্পের পাখোম জমির পর জমির মালিক হওয়ার লোভে শেষ পর্যন্ত জীবন হারিয়েছে। আপাতত সে খুশি ছিল না যার ফলে সে ক্রমেই শয়তানকে টপকিয়ে আরও বড় হওয়ার নেশায় নিজেকে এগিয়ে নিতে থাকে। উদ্দীপকের চাষির মতো একবারে সব পাওয়ার লোভে পাখোমও তার ফিরে যাওয়ার কথা তুলে সেনার সমতল জমির লোভে দ্রুত সামনে ছুটতে থাকে। অতি লোভের বশে পাখোম যখন ফিরে আসে তখন তার জীবন আর ফিরে আসে না, সোনার হাঁসের মতো সেও নিজের জীবন বিপন্ন করে মৃত্যুকে শেষ আশ্রয় হিসেবে গ্রহণ করে।
উত্তর: ঘ. লোভনীয় দৃষ্টিভঙ্গিই উদ্ধৃত অংশের চাষি ও ‘সাড়ে তিন হাত জমি’ গল্পের পখোমের জীবনের পরিণতির জন্য দায়ী।
লোভ মানুষকে চিরতরে ধ্বংস করে দেয়; যাকে লোকে বলে, ‘লোভে পাপ আর পাপে মৃত্যু’। উদ্দীপকের চাষি লোভের বশে হারিয়েছে তার অতিমূল্যের সোনার ডিম দেওয়া হাঁস আর লোভেল বশে ‘পাখোম’ সোনার জমির বিপরীতে সোনার জীবন হারিয়েছে।
উদ্দীপকের ‘কৃষক রাতারাতি বড় হওয়ার যে সুযোগ পেয়েছিল, সেই সুযোগ কাজে না লাগিয়ে অতি লোভে মত্ত হয়ে ওঠে। অতি লোভে সে একদিন দ্রুত বড় লোক হওয়ার নেশায় হাঁসটি জবাই করে, কিন্তু হায়! কিছুই পেল না সে। পাখোমও একই পথের পথিক হয়ে একের পর এক জমির লোভে মৃত্যুকে বরণ করেছে।
গল্পের পাখোম উদ্দীপকের চাষির পরিপূরক। পাখোম শয়তানের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে অতি লোভের ঘোরে বন্দী হয়ে যায়। শয়তানের প্ররোচনায় সে দ্রুত জমির মালিক বনে যায়; কিন্তু এখানেই শেষ নয়। একের পর এক জমির সস্তা প্রস্তাব আসায় সে হতবিহ্বল হয়ে পড়ে। কোনটি করতে কোনটি করবে না ভেবে একসময় সে যতটা পথ পাড়ি দেবে সেই জমি তার হবে বলে প্রস্তাব পায়। সোনার মতো জমি দেখে পাখোমের লোভ আর সয় না। ফলে নির্দিষ্ট সময়কে সে লোভের জন্য ভুলে যায়। একপর্যায়ে উদ্দীপকের কৃষকের মতো একবারে বড়লোক হতে গিয়ে সে তার নির্দিষ্ট সময়ে ফিরে আসতে পারলেও অতি লোভে সেখানেই তাকে মৃত্যুবরণ করতে হয়। তাই বলা যায়, উদ্ধৃত অংশের চাষি ও পাখোমের জীবনের পরিণতির জন্য লোভই দায়ী।

No comments:

Post a Comment

Composition on Female Education in Bangladesh for Examination

  Female Education in Bangladesh Education is a light to which everybody has the equal right. Education is the backbone of a nation. The ...