Tuesday, October 30, 2012

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা: বাংলা

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও
হঠাত্ একদিন খবর এল, মর্জিনারে ভুতে ধরছে। সেকি কথা! চমকে উঠলাম সবাই। দু’দিন বাদে মেয়েটির বিয়ে, গায়ে হলুদ পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে। অনেক কষ্টে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে যখন বাড়ি পৌঁছালাম তখন সেখানে বিচিত্র লোকের আনাগোনা। তাদের বেশির ভাগই এসেছে মর্জিনারে ঝাঁড়-ফুঁক দিতে।

ক) রূপার ফ্রেমে বাল্ব দুটি কে লাগিয়েছিল?
খ)‘অশরীরী শক্তি কল্পনা ছাড়া এ সমস্তের কী মানে থাকতে পারে।’ কথাটি কেন বলা হয়েছে?
গ) উদ্দীপকের নিরক্ষর মানুষ এবং সংশ্লিষ্ট গদ্যের নগেনের সাদৃশ্যগত বৈশিষ্ট্য নিরূপণ কর।
ঘ) ‘পরাশর ডাক্তার আধুনিক যুগের সচেতন মানুষ’ সংশ্লিষ্ট গদ্যের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর (ক)
রূপার ফ্রেমে বাল্ব দুটো লাগিয়েছিল নগেনের মামাতো ভাই পরেশ।
১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর (খ)
পরাশর ডাক্তার নগেনের ভূতে বিশ্বাস নিয়ে কোনো বিজ্ঞানসম্মত ধারণা না থাকায় প্রদত্ত উক্তিটির অবতারণা করেছে।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পে পরাশর ডাক্তার একজন বিজ্ঞানবাদী চরিত্র। তিনি কোনো ভূত বা অশরীরী কিছুতে বিশ্বাসী নন। কারণ তিনি দেখেছেন প্রত্যেক ভৌতিক ঘটনার বাস্তবসম্মত বা বিজ্ঞানসম্মত ধারণা রয়েছে। কিন্তু নগেনের ক্ষেত্রে তিনি দেখলেন দিনের বেলায় তৈলচিত্রে ভূত থাকে না বরং রাতে তেজ বাড়ে অর্থাত্ ভূতের দেখা মেলে। কিন্তু তাত্ক্ষণিকভাবে তিনি  ঘটনার কোনো বিজ্ঞানসম্মত যুক্তি বা ধারণা দিতে না পারায় বলেন-‘অশরীরী শক্তি কল্পনা ছাড়া এ সমস্তের কী মানে থাকতে পারে।
১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর (গ)
উদ্দীপক ও ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পে আমরা দেখি কীভাবে মানুষ কুসংস্কারাচ্ছন্ন হয় এবং ভীত হয়ে পড়ে। নগেন সে চরিত্রেরই প্রতীক। যে তার কুসংস্কারাচ্ছন্ন মনোভাবের কারণে ইলেকট্রিক শককে ভূতের কাজ বলে মনে করেছে। সে অশরীরী শক্তির প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে ভীত হয়ে পড়েছিল। এ থেকে বোঝা যায় নগেন অত্যন্ত কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানসিকতার অধিকারী।
উদ্দীপকের মানুষগুলোও নগেনের মতোই কুসংস্কারাচ্ছন্ন। যার ফলে ভূতে ধরার ঘটনাটিকে অশীরী শক্তির কাজ বলে মনে করল। তারা ভেতর ছিল কুসংস্কার এবং অভাব ছিল যথাযথ জ্ঞানের। 
সুতরাং উদ্দীপক সাধারণ কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষ ও ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পের নগেনের মধ্যে অশরীরী শক্তির প্রতি বিশ্বাসের স্বরূপ দেখতে পাওয়া যায়।
১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর (ঘ)
সমাজে কিছু মানুষ আছে যারা অত্যন্ত বাস্তববাদী এবং বিজ্ঞানসম্মত মানসিকতার অধিকারী। আবার কিছু মানুষ অত্যন্ত কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানসিকতার অধিকারী। এ ভিন্নধর্মী দুটি চরিত্র ফুটে উঠেছে পরাশর ডাক্তার ও নগেনের মধ্য দিয়ে।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পের দুটি মুখ্য চরিত্র পরাশর ডাক্তার ও নগেন যার মধ্য দিয়ে এ গল্পের মূল কাহিনী আবর্তিত।
নগেন কুসংস্কারাচ্ছন্ন সে অশরীরী শক্তির প্রতি ভীত হয়ে বৈদ্যুতিক শককে ভূতের কাজ বলে মনে করেছে। অন্যদিকে পরাশর ডাক্তার সব কিছু যুক্তি দিয়ে বিচার করেন বলে তার কাছে সহজেই নগেনের বিশ্বাসের ভিত্তিহীনতা ধরা পড়েছে। অতএব আমরা বলতে পারি নগেন যেমন কুসংস্কারাচ্ছন্ন, তার মধ্যে রয়েছে জ্ঞানের অপ্রতুলতা। অন্যদিকে পরাশর ডাক্তার যুক্তিবাদী, বিজ্ঞানসম্মত মানসিকতার অধিকারী।   

No comments:

Post a Comment

Composition on Female Education in Bangladesh for Examination

  Female Education in Bangladesh Education is a light to which everybody has the equal right. Education is the backbone of a nation. The ...