নবম অধ্যায় : শক্তি
খাবার খেলে নিঃশ্বাসের সঙ্গে নেয়া অক্সিজেন দ্বারা খাবারের দহন হয় এবং খাবারের রাসায়নিক শক্তি মানুষের শরীরে তাপ উৎপন্ন করে। এ তাপই আমাদের কাজের শক্তি জোগায়।
প্রশ্ন : ৬। তাপ প্রয়োগে পদার্থের কী কী পরিবর্তন হয়?
উত্তর : তাপ প্রয়োগ করলে পদার্থের অবস্থার নানারূপ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। নিচে তাপের প্রভাব বর্ণনা করা হলো-
১) তাপ প্রয়োগ করলে ধাতু প্রসারিত হয়। এ জন্য গ্রীষ্মকালে রেললাইন যাতে প্রসারিত হয়ে বেঁকে না যায় সেজন্য রেললাইনের মাঝে ফাঁক রাখা হয়। আবার কাঠের চাকার চারদিকে লোহার বেড়ি লাগানোর সময় লোহার বেড়ি উত্তপ্ত করে প্রসারিত করে নিতে হয়। ফলে ঠাণ্ডা হলে এটি কাঠের চাকার ওপর শক্ত হয়ে লেগে যায়। এসব উদাহরণ থেকে বোঝা যায়, তাপ প্রয়োগ করলে ধাতু প্রসারিত হয়।
২) আবার বরফে তাপ প্রয়োগ করলে বরফ পানিতে পরিণত হয়; অধিক তাপ প্রয়োগ করলে জলীয় বাষ্পে পরিণত হয়।
৩) তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে গ্যাসীয় পদার্থও আয়তনে বৃদ্ধি পায়। গ্যাসের এ প্রসারণের ফলে চাপ সৃষ্টি হয়।
৪) লোহার একটি টুকরার এক প্রান্তে আগুনে ধরলে কিছুক্ষণের মধ্যে অন্য প্রান্তও বেশ গরম হয়ে যায়। কারণ ধাতুর মধ্য দিয়ে তাপশক্তি চলাচল করতে পারে। অর্থাৎ তাপ পরিবহন হয়।
৭। স্বচ্ছ, অস্বচ্ছ ও ঈষদচ্ছ পদার্থ বলতে কী বোঝায়? এদের প্রত্যেকের উদাহরণ দাও।
উত্তর : স্বচ্ছ পদার্থ : যেসব পদার্থের ভেতর দিয়ে আলো সহজে চলাচল করতে পারে তাদের স্বচ্ছ পদার্থ বলে। উদাহরণ : কাচ ও বাতাস স্বচ্ছ পদার্থ। কারণ কাচের ভেতর দিয়ে আলো সহজেই চলাচল করতে পারে। আবার সূর্যের আলো বায়ুমণ্ডল ভেদ করে পৃথিবী পৃষ্ঠে আসে। তাই কাচ ও বাতাস স্বচ্ছ পদার্থ।
অস্বচ্ছ পদার্থ : যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে আলো প্রবেশ করতে পারে না তাদের অস্বচ্ছ পদার্থ বলে। উদাহরণ : কাঠ ও ধাতব পাত অস্বচ্ছ পদার্থ। কারণ কাঠ ও ধাতব পাতের ভেতর দিয়ে আলো চলাচল করতে পারে না।
ঈষদচ্ছ পদার্থ : যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে আলো আংশিক চলাচল করতে পারে তাদের ঈষদচ্ছ পদার্থ বলে। উদাহরণ : ময়লা পানি, ঘষা কাচ, তেলে ভেজা কাগজ, রঙিন প্লাস্টিক ইত্যাদি ঈষদচ্ছ পদার্থ।
খাবার খেলে নিঃশ্বাসের সঙ্গে নেয়া অক্সিজেন দ্বারা খাবারের দহন হয় এবং খাবারের রাসায়নিক শক্তি মানুষের শরীরে তাপ উৎপন্ন করে। এ তাপই আমাদের কাজের শক্তি জোগায়।
প্রশ্ন : ৬। তাপ প্রয়োগে পদার্থের কী কী পরিবর্তন হয়?
উত্তর : তাপ প্রয়োগ করলে পদার্থের অবস্থার নানারূপ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। নিচে তাপের প্রভাব বর্ণনা করা হলো-
১) তাপ প্রয়োগ করলে ধাতু প্রসারিত হয়। এ জন্য গ্রীষ্মকালে রেললাইন যাতে প্রসারিত হয়ে বেঁকে না যায় সেজন্য রেললাইনের মাঝে ফাঁক রাখা হয়। আবার কাঠের চাকার চারদিকে লোহার বেড়ি লাগানোর সময় লোহার বেড়ি উত্তপ্ত করে প্রসারিত করে নিতে হয়। ফলে ঠাণ্ডা হলে এটি কাঠের চাকার ওপর শক্ত হয়ে লেগে যায়। এসব উদাহরণ থেকে বোঝা যায়, তাপ প্রয়োগ করলে ধাতু প্রসারিত হয়।
২) আবার বরফে তাপ প্রয়োগ করলে বরফ পানিতে পরিণত হয়; অধিক তাপ প্রয়োগ করলে জলীয় বাষ্পে পরিণত হয়।
৩) তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে গ্যাসীয় পদার্থও আয়তনে বৃদ্ধি পায়। গ্যাসের এ প্রসারণের ফলে চাপ সৃষ্টি হয়।
৪) লোহার একটি টুকরার এক প্রান্তে আগুনে ধরলে কিছুক্ষণের মধ্যে অন্য প্রান্তও বেশ গরম হয়ে যায়। কারণ ধাতুর মধ্য দিয়ে তাপশক্তি চলাচল করতে পারে। অর্থাৎ তাপ পরিবহন হয়।
৭। স্বচ্ছ, অস্বচ্ছ ও ঈষদচ্ছ পদার্থ বলতে কী বোঝায়? এদের প্রত্যেকের উদাহরণ দাও।
উত্তর : স্বচ্ছ পদার্থ : যেসব পদার্থের ভেতর দিয়ে আলো সহজে চলাচল করতে পারে তাদের স্বচ্ছ পদার্থ বলে। উদাহরণ : কাচ ও বাতাস স্বচ্ছ পদার্থ। কারণ কাচের ভেতর দিয়ে আলো সহজেই চলাচল করতে পারে। আবার সূর্যের আলো বায়ুমণ্ডল ভেদ করে পৃথিবী পৃষ্ঠে আসে। তাই কাচ ও বাতাস স্বচ্ছ পদার্থ।
অস্বচ্ছ পদার্থ : যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে আলো প্রবেশ করতে পারে না তাদের অস্বচ্ছ পদার্থ বলে। উদাহরণ : কাঠ ও ধাতব পাত অস্বচ্ছ পদার্থ। কারণ কাঠ ও ধাতব পাতের ভেতর দিয়ে আলো চলাচল করতে পারে না।
ঈষদচ্ছ পদার্থ : যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে আলো আংশিক চলাচল করতে পারে তাদের ঈষদচ্ছ পদার্থ বলে। উদাহরণ : ময়লা পানি, ঘষা কাচ, তেলে ভেজা কাগজ, রঙিন প্লাস্টিক ইত্যাদি ঈষদচ্ছ পদার্থ।
No comments:
Post a Comment