Saturday, October 20, 2012

বোর্ডের বাংলা ব্যাকরণ বইটি ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে

বাংলায় অনুবাদ :৫ নম্বর
১. অনুবাদ করার জন্য যে অনুচ্ছেদটুকু দেয়া থাকবে তা মনোযোগের সাথে কয়েকবার পড়ে তার মর্ম উদ্ধার করতে হবে।
২. কঠিন শব্দগুলোর অর্থ আয়ত্ত করতে হবে। এজন্য অধিক সংখ্যক ইংরেজি শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ জানতে হবে।
৩. ভাবানুবাদ করাই উত্তম। কারণ সরাসরি আক্ষরিক অনুবাদ করলে অর্থ স্পষ্ট হয় না এবং রস সৃষ্টি হয় না।

পত্র-আবেদনপত্র :১০ নম্বর
ব্যক্তিগতপত্র/আবেদনপত্র/সংবাদপত্রে প্রকাশিতব্য পত্র আসলে সংবাদপত্রে প্রকাশিতব্য পত্র দেয়াটাই ভালো হবে । কেননা তুলনামূলক ভালো নম্বর পাওয়া যেতে পারে।

সারমর্ম / সারাংশ: ১০ নম্বর
১. প্রথম বাক্যটি সুসংহত, নির্ভুল, আকর্ষণীয় হতে হবে। এতে পরীক্ষক বেশি নম্বর দিতে আকর্ষিত হন।
২. প্রশ্নে ব্যবহূত হয়েছে, কোন মনীষীর কোন উদ্ধৃতি বা বাণী সরাসরি উল্লেখ করা যাবে না। মূলে প্রত্যক্ষ উক্তি থাকলে তা পরোক্ষ উক্তিতে সংক্ষেপে প্রকাশ করতে হয়। অর্থাত্ কোন উদ্ধৃতাংশ থাকলে সারমর্মে উদ্ধৃতিচিহ্ন বর্জিত হবে এবং সংক্ষিপ্ত ও সংহতরূপে প্রকাশ করতে হবে।
৩. সারমর্ম/সারাংশ/সারসংক্ষেপ লিখতে হবে সম্পূর্ণ নিজের ভাষায়।

ভাবসমপ্রসারণ: ১০ নম্বর
১. প্রদত্ত পদ্যাংশ বা গদ্যাংশটুকু গভীর নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সঙ্গে পাঠ করতে হবে। পাঠ করার সঙ্গে সঙ্গেই লেখা আরম্ভ না করে উদ্ধৃতির ভ্রূণ ভাব বা অন্তর্নিহিত ভাবটি বুঝে নিতে হবে।
২. দীর্ঘ উদ্ধৃতি বা বহু উদ্ধৃতি উভয়ই পরিত্যাজ্য।
৩. প্রাসঙ্গিক কোন লেখকের বা মনীষীর উদ্ধৃতি তুলে ধরতে চাইলে তাঁদের কথাগুলো ছাড়া ছাড়া করে নিজের ভাষায় লেখা যাবে না। অর্থাত্ উদ্ধৃতিতে যেসব বাক্য আছে তা হুবহু লিখতে হবে; অন্যথায় নম্বর কমে যাবে।
৪. কোন বাক্যে বিরাম চিহ্ন (Punctuation) ভুল লেখা যাবে না। যেমন: যেখানে দাঁড়ি (।) হবে সেখানে প্রশ্নবোধক (?) বা বিস্ময়সূচক (!) চিহ্ন দেয়া যাবে না। উদ্ধৃতি তুলে ধরার সময় বাক্যের শুরু ও শেষে উদ্ধৃতি চিহ্ন “.........”) না দিলে উদ্ধৃতিই হবে না।

প্রবন্ধ রচনা :১৫ নম্বর
প্রবন্ধ রচনায় খুব অল্প সময়ে দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব নয়। তার জন্যে নিয়মিত অনুশীলন প্রয়োজন। প্রবন্ধ রচনায় দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে নিম্নে কিছু নিয়ম তুলে ধরা হলো:
১. প্রবন্ধের বিষয় অনুযায়ী যুক্তি, মনন, তথ্য বা তত্ত্বের পরিমাণ নির্ণীত হয়। পরিমাণাতিরিক্ত বাহুল্য উত্কৃষ্ট রচনার পরিপন্থি।
২. প্রবন্ধ লেখার দক্ষতা অর্জনের জন্যে প্রচুর প্রবন্ধ পড়তে হয়। এজন্যে পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধ, সংবাদ, প্রতিবেদন, ভাষণ ইত্যাদি নিয়মিত পাঠ করলে নানা প্রসঙ্গে বিষয়গত ধারণা ও শব্দভাণ্ডার বাড়ে। ফলে সহজেই কোন বিষয়ে প্রবন্ধ লেখা যায়।
৩. প্রবন্ধের বক্তব্য বাস্তব তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে এবং যৌক্তিক পরম্পরায় উপস্থাপিত ও সন্নিবেশিত হওয়া উচিত যেন তা স্পষ্ট সিন্ধান্তে উপনীত হওয়ায় সহায়ক হয়।
৪. ভাষারীতির ক্ষেত্রে সাধু ও চলিতের মধ্যে যে কোন একটি নির্বাচন করতে হয়। ভাষারীতি বিষয়ানুগ হওয়াই বাঞ্ছনীয়। আধুনিক বাংলায় যেহেতু চলিত রীতিরই জয়জয়কার, সেজন্যে চলিত রীতি অবলম্বন করে প্রবন্ধ লেখার চর্চা করা ভালো। সাধু-চলিতের মিশ্রণ অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
৫. প্রবন্ধে যুক্তি প্রদর্শন কিংবা প্রমাণ প্রতিষ্ঠার জন্য অন্য রচনা থেকে উদ্ধৃতির অবকাশ আছে, তবে সেক্ষেত্রেও লক্ষ্য রাখতে হয় প্রয়োজনীয় পরিমাপের দিকে। ঘনঘন ও বড় বড় উদ্ধৃতি প্রবন্ধের স্বাভাবিক প্রকাশকে ব্যাহত করে।
৬. প্রবন্ধ রচনায় বেশি নম্বর পেতে হলে প্রসঙ্গক্রমে বিভিন্ন কবিতার চরণ দিতে হবে এবং বিভিন্ন তথ্যসূত্র (যেমন: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন দিবসের ক্রোড়পত্র, বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার রিপোর্ট, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গবেষণা জার্নাল, বিবিসি, সিএনএন ইত্যাদি) তারিখসহ সাল উল্লেখ করতে হবে।
বোর্ডের বাংলা ব্যাকরণ বইটি ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। কারণ এ বই থেকেই বেশির ভাগ নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন হবে।

No comments:

Post a Comment

Composition on Female Education in Bangladesh for Examination

  Female Education in Bangladesh Education is a light to which everybody has the equal right. Education is the backbone of a nation. The ...