Wednesday, October 31, 2012

পেশা যখন অনলাইননির্ভর

পেশা যখন অনলাইননির্ভরঅনেকেই বলেন পেশা হয়ে উঠছে অনলাইননির্ভর। কথাটা যে একেবারেই যুক্তিহীন তা কিন্তু বলা যাবে না। কেননা বর্তমানে পেশা বলেন আর সামাজিক যোগাযোগ বলেন দুটোই অনেকটা নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে অনলাইনের ওপর। কেননা, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে কাজের ধরন। গত কয়েক বছরে আমাদের দেশে পেশার ক্ষেত্রে একধরনের বিপ্লব ঘটে গেছে। একদিকে যেমন তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান, অন্যদিকে পুরনো প্রতিষ্ঠানের আকার-আয়তন বেড়েছে। এরই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কাজের ক্ষেত্র। আগের তুলনায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনেক আধুনিকায়ন ঘটেছে এবং প্রযুক্তিনির্ভরতাও বেড়েছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাওয়ার জন্য একদিকে যেমন আধুনিক হতে হবে, তেমনি থাকতে হবে প্রযুক্তিসংক্রান্ত দক্ষতা। বর্তমান সময়ে ভালো ফলের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহারসংক্রান্ত জ্ঞানের বিকল্প নেই। এখন প্রায় প্রতিটি বড় প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে। ওয়েবসাইটগুলোয় প্রতিষ্ঠানের নিজেদের সম্পর্কে নানা ধরনের তথ্য থাকে। একই সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মী নেয়া হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের ওয়েবসাইটের একটা নির্দিষ্ট স্থানে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দেয়া থাকে। ভালো প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বিভিন্ন ধরনের জটিলতা এড়াতে ও স্বল্প সময়ে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপ সম্পন্ন করতে ওয়েবসাইটের সাহায্য নিয়ে থাকে।
তাই একজন চাকরিপ্রার্থীকে অবশ্যই ইন্টারনেটের ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে। যারা ইন্টারনেট ব্যবহারে দক্ষ, তারাই বিভিন্ন চাকরির সুযোগ সহজে পাবেন। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ঘাঁটলে এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পাবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এখন কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট একটি স্থানে জীবনবৃত্তান্ত ফরম পূরণের ব্যবস্থা থাকে। এ ক্ষেত্রে চাহিদা অনুযায়ী সেই নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করলেই চলে। তবে অনেক প্রতিষ্ঠান ই-মেইলের মাধ্যমে জীবনবৃত্তান্ত চায়। প্রথমেই ভালোভাবে দেখে নিতে হবে প্রতিষ্ঠানের কোনো ধরনের কর্মী আবশ্যক এবং কোনো কোনো যোগ্যতা চেয়েছে। সে অনুযায়ী জীবনবৃত্তান্ত পাঠিয়ে দিতে হবে। অনেক সময় নির্দিষ্ট কিছু কাজের অভিজ্ঞতা চেয়ে কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়। সে ক্ষেত্রে কোনোভাবেই অপ্রাসঙ্গিক কোনো তথ্য জীবনবৃত্তান্তে দেয়া যাবে না। আবার কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করার পর লিখিত পরীক্ষা বা সাক্ষাৎকারের আগে নিজেকে তৈরি করে নিতে হয়। কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা দেয়ার আগে সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালোভাবে জানা থাকলে তা অনেক সময় কাজে লাগতে পারে। নিয়োগকর্তারা যদি বুঝতে পারেন তাদের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে চাকরিপ্রার্থীর ভালো ধারণা রয়েছে, তাহলে সেই প্রার্থীর প্রতি তাদের ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয় যা চাকরি পেতে দারুণ সহায়ক হয়।  আর এ জন্য চাকরিপ্রার্থীরা সেই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ঘেঁটে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে নিতে পারেন অথবা ইন্টারনেটের সাহায্য নিতে পারেন।
এখন বিভিন্ন চাকরির খোঁজখবর দেয়ার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান লোকবল নিয়োগের প্রাথমিক পর্যায়টি তুলে দেয় এসব প্রতিষ্ঠানের ওপরে। এসব প্রতিষ্ঠানকে চাকরির ওয়েব পোর্টাল বলা হয়ে থাকে। বিভিন্ন জটিলতায় না গিয়ে এখন চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো চাকরির ওয়েব পোর্টালে চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। এরপর প্রাথমিকভাবে প্রার্থী বাছাই করার কাজটিও এসব প্রতিষ্ঠান সম্পন্ন করে দেয়। আর এ ক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীদের অবশ্যই ইন্টারনেটের ব্যবহারে দক্ষ হতে হয়। দেশে বসেই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদনও করা যায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চাকরির ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে। এভাবে ঘরে বসেই খুঁজে নেয়া যায় নিজের চাকরিটি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন আমরা সহজেই ঘরে বসে চাকরির আবেদন করতে পারি।
ফলে একদিকে যেমন সময় কম লাগছে, তেমনি নানা ধরনের জটিলতা থেকেও রেহাই পাওয়া যায় এবং ঘরে বসেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করতে পারছি। দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা করে থাকেন। কিন্তু এখানেই শেষ কথা নয়।
ফাতেমা খাতুন

No comments:

Post a Comment

Composition on Female Education in Bangladesh for Examination

  Female Education in Bangladesh Education is a light to which everybody has the equal right. Education is the backbone of a nation. The ...