Tuesday, October 30, 2012

পরীক্ষক তোমার উত্তরপত্র দেখে মেধার মূল্যায়ন করবে

জেএসসি পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই তোমরা একটি পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছো। তাই তোমরা রুটিনমাফিক ধারবাহিকভাবে প্রতিটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে পড়াশুনা করবে। পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তু সম্পর্কে তোমাদের পূর্ণ ধারণা থাকতে হবে। বারবার রিভিশন দিতে হবে পাঠ্যবইয়ের প্রতিটি অধ্যায়। লিখতে হবে বেশি বেশি যাতে লেখার দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা যায়। সময়ের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। একটুও বাজে সময় নষ্ট করা যাবে না। পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে যেভাবে তোমার কাছে উত্তর চাওয়া হয়েছে ঠিক সেভাবেই উত্তর করবে। বস্তুনিষ্ঠ কথা দিয়ে উত্তর করবে। অহেতুক পয়েন্ট বাড়াবে না। তোমার উত্তরপত্রটি হতে হবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, নির্ভুল ও মানসম্মত। পরীক্ষক তোমার উত্তরপত্র দেখে মেধার মূল্যায়ন করবে। সুতরাং তোমার মেধা ও মননশীলতার পরিচয় বহন করবে তোমার উত্তরপত্রটি। পরীক্ষার আগে তোমাকে মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে। কোনো প্রকার হীনমন্যতায় ভোগা যাবে না। তুমি পরীক্ষায় ভালো করতে পারবে এ আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। তোমার এ আত্মবিশ্বাস আর প্রচেষ্টা তোমার সফলতা এনে দেবে। কোনো বিষয়কে সহজ ভেবে অবহেলা করে ফেলে রাখবে না। গণিতের অনুশীলন নিয়মিত চালিয়ে যাবে। একজন কৃতী শিক্ষার্থী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে তোমার জ্ঞানের ভিত্তিটা মজবুত হতে হবে। থাকতে হবে জ্ঞানের গভীরতা। একজন শিক্ষার্থীর বিদ্যা অর্জনের পাশাপাশি মনুষ্যত্ব বিকাশে তার আচার-আচরণ হতে হবে মার্জিত, শিক্ষার্থীসুলভ। তোমরা জাতির আগামীর উজ্জল সম্ভাবনা। তোমরাই ভবিষ্যতে জাতির নেতৃত্ব দেবে। একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে পালন করবে গুরুদায়িত্ব। এখনো (ক্ষেত্রবিশেষ) শিক্ষার্থীরা শিক্ষককে পিতামাতার চেয়ে বেশি অনুসরণ করে। তাই একজন শিক্ষক যেন তার শিক্ষার্থীদের মডেল হতে পারেন সেভাবেই তাকে শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করতে হবে। শিক্ষক যদি নৈতিকতার আদর্শে বলীয়ান হতে পারেন, তবেই শিক্ষার্থীরা তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হবে। ইলেকট্রোনিক্স মিডিয়ার কিছু বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান শিক্ষার্থীদের মানসিকতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। শিক্ষার্থীদের এ থেকে দূরে রাখতে হবে। শিক্ষামূলক প্রোগ্রামে তাদের উত্সাহিত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে যথাসম্ভব অভিভাবকদের নজর রাখা দরকার। মন যা চায় সবটাই ভালো নয়। তারা যেন মার্জিত রুচিশীল হয়। সেটা অভিভাবকদের দায়িত্ব। ভালোবাসা দিয়ে শাসনের সাথে মটিভেশন করতে হবে। পারিবারিক বন্ধন জীবনে শৃঙ্খলা নিয়ে আসে। পরিবারে অনৈতিকতার চর্চা তাদের মাঝে বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাই পরিবার থেকেই তাদের নীতি নৈতিকতা, মানবিকতা ও মমত্ববোধ শিক্ষা দিতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষা ও মহান ব্যক্তিদের জীবনাদর্শে তাদের উজ্জিবিত করা গেলে তারা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ জ্ঞান অর্জন, সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার প্রেরণা পাবে।

No comments:

Post a Comment

Composition on Female Education in Bangladesh for Examination

  Female Education in Bangladesh Education is a light to which everybody has the equal right. Education is the backbone of a nation. The ...