প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা-২০১২
পরিবেশ পরিচিতি বিজ্ঞান
বিজ্ঞান অধ্যায় ১/৩/৮/১২/১৪ থেকে গুরুত্বপূর্ণ লাইন যা শূন্যস্থান, সঠিক উত্তর, ডান-বাম মিলকরণ ও শুদ্ধ-অশুদ্ধ হিসেবে আসতে পারে।গুরুত্বপূর্ণ লাইনসমূহ
১ম অধ্যায়
১. অণুজীব মানে অতি ক্ষুদ্র জীব।
২. জীবজগৎ প্রধানত দুই দলে ভাগ করা যায়। যথা উদ্ভিদজগৎ ও প্রাণীজগৎ।
৩. আকার ও কা-ের ভিত্তিতে উদ্ভিদ তিন প্রকার। যথা বৃক্ষ, গুল্ম ও বিরুৎ।
৪. বৃক্ষের প্রধান কা-কে গাছের গুঁড়ি বলে।
৫. বৃক্ষের একটি মোটা প্রধান মূল থাকে।
৬. গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ মাঝারি আকারের।
৭. জবা, রঙ্গন, জোলাপ, লেবু, গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ।
৮. বিরুৎ জাতীয় উদ্ভিদের আকারে ছোট।
৯. অপুষ্পক উদ্ভিদের কা-, শাখা-প্রশাখা নেই অনেক উদ্ভিদের মূলও নেই।
১০. সপুষ্পক উদ্ভিদের মূল, কা-, শাখা-প্রশাখা ও ফুল আছে।
১১. গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ দেখতে ঝোপের মতো দেখায়।
১২. লাউ, কুমড়া, পুঁইশাক গাছগুলো লতানো উদ্ভিদ।
১৩. শৈবাল-ছত্রাক-মস এবং ফার্ন অপুষ্পক উদ্ভিদ।
১৪. শৈবাল পানি ও স্যাঁতসেঁতে জায়গায় জন্মে।
১৫. শৈবাল সবুজ, এদের দেহে ক্লোরোফিল আছে।
১৬. স্পাইরোগাইরা শৈবাল শ্রেণীর উদাহরণ।
১৭. ছত্রাক বাসি খাবার, গোবর ও আর্জনার স্তূপে জন্মে।
১৮. ব্যাঙের ছাতার দেহে ক্লোরোফিল নেই।
১৯. ছত্রাক ও শৈবালের দেহকে মূল, কা- ও পাতায় ভাগ করা যায় না।
২০. ছত্রাক ও শৈবালের দেহের প্রতিটি কোষ জনন কোষ উৎপন্ন করতে পারে।
২১. আমের মুকুল থেকে আম হয়।
২২. মুকুল আমের ফুল।
২৩. নগ্নবীজ উদ্ভিদে শাখা প্রশাখা থাকে না।
২৪. আবৃতবীজী উদ্ভিদ শাখা প্রশাখা থাকে।
২৫. সাইকাসের পাতা নারিকেল পাতার মতো।
২৬. পাইনাসের পাতা সুচের মতো।
২৭. আম, জাম, কাঁঠাল, বরই গাছ দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ।
২৮. নারিকেল, তাল, সুপারি, ধান, গম, ভুট্টা এ সকল উদ্ভিদ একবীজপত্রী উদ্ভিদ।
২৯. দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের পাতার সূক্ষ্ম শিরাগুলো জালের মতো সমস্ত পাতায় ছড়িয়ে থাকে।
৩০. একবীজপত্রী উদ্ভিদের পাতার সূক্ষ্ম শিরাগুলো পাতার গোড়া থেকে মাথা পর্যন্ত সমান্তরালভাবে ছড়িয়ে আছে।
৩য় অধ্যায়
১. সূর্য হচ্ছে পৃথিবীর তাপ ও আলোর মূল উৎস।
২. পৃথিবীপৃষ্ঠের সব জায়গায় সূর্যের আলো সমানভাবে পড়ে না।
৩. পৃথিবীর সকল প্রাণীকে নিয়েই বৈচিত্র্যময় প্রাণীজগৎ গঠিত হয়।
৪. মেরুদ-ের ছোট এক একটা হাড় খ-কে কশেরুকা বলে।
৫. চিংড়ি, কাঁকড়া, শামুক অমেরুদ-ী প্রাণী।
৬. রেশম পোকার গুটি থেকে আমরা রেশম পাই। (চলমান)
প্রিয় সমাপনী পরীক্ষার্থীরা, কেমন আছো তোমরা? সমাপনী পরীক্ষায় পাঠ্যবইয়ের আলোকে বাংলা প্রশ্নপত্রের ৭ নম্বরে তোমাদের জন্য থাকবে প্রদত্ত অনুচ্ছেদ পড়ে ৫টি প্রশ্ন তৈরিকরণ। আজ তোমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় থেকে এরকম কিছু প্রশ্নোত্তর উপস্থাপন করছি।
আমাদের এই দেশ
সবুজ শ্যামলিমায় ঘেরা বিস্তৃত সমতল ভূমি ছড়িয়ে আছে বাংলাদেশের হৃদয় জুড়ে। অন্যদিকে আছে ঘন সবুজ গাছে ঘেরা পাহাড়ি টিলা। রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবানে বাস করে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষ। এদের মধ্যে প্রধান হলো চাকমা, মুরং, মারমা, লুসাই, গারো ইত্যাদি। এরা পাহাড়ে জুম চাষ করে। আর বসবাসের জন্য ছোট ছোট ঘর বাঁধে টিলায়। এদের আছে নিজস্ব সংস্কৃতি।
উত্তর:
ক. বাংলাদেশের হৃদয়জুড়ে কী ছড়িয়ে আছে?
খ. পাহাড়ি টিলা কী দিয়ে ঘেরা আছে?
গ. ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষ কোন কোন জেলায় বাস করে?
ঘ. কারা পাহাড়ে জুম চাষ করে?
ঙ. ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষেরা কোথায় ঘর বাঁধে।
শখের মৃৎশিল্প
হাঁড়ি কলসি ছাড়াও আমাদের দেশে এক সময় গড়ে উঠেছিল সুন্দর পোড়ামাটির ফলকের কাজ। এর অন্য নাম টেরাকোটা। বাংলার অনেক পুরনো শিল্প এই টেরাকোটা। নকশা করা মাটির ফলক ইটের মতো পুড়িয়ে তৈরি করা হতো এই টেরাকোটা। শালবন বিহার, মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর বৌদ্ধস্তূপ ও দিনাজপুরের কান্তজির মন্দিরে এই টেরাকোটার কাজ রয়েছে। তাছাড়া বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদে পাওয়া গেছে পোড়ামাটির অপূর্ব সুন্দর কাজ। মাটির ফলকে ছবি ফলকে ছবি এঁকে শুকিয়ে পোড়ানোর পর এগুলো এমন সুন্দর হয়ে ওঠে।
ক. পোড়ামাটির ফলকের কাজের অন্য নাম কী?
খ. টেরাকোটা কী ভাবে তৈরি হয়?
গ. বাংলাদেশের কোথায় এই টেরাকোটার কাজ রয়েছে?
ঘ. ষাটগম্বুজ মসজিদ কোথায় অবস্থিত?
ঙ. পোড়ামাটির কাজ কীভাবে সুন্দর হয়ে ওঠে?
আমরা তাঁদের ভুলব না
২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানিরা আক্রমণ চালায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের হলে, শিক্ষকদের বাড়িতে বাড়িতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন এম. মনিরুজ্জামান। প্রচ- গোলাগুলির শব্দ শুনে তিনি পবিত্র কোরান শরিফ পড়তে বসেছিলেন। ওই অবস্থা থেকেই তাকে ধরে, টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় পাকিস্তানি সেনারা। ওই বাড়িতেই নিচ তলায় থাকতেন ইংরেজীর খ্যাতিমান অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা। হানাদার বাহিনী তাঁদের দু’জনকে ধরে নিয়ে নিচের সিঁড়িতে গুলি করে।
ক. ২৫ শে মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কখন পাকিনস্তানিরা আক্রমণ চালায়?
খ. এম. মনিরুজ্জামান কোন বিভাগের শিক্ষক ছিলেন?
গ. প্রচ- গোলাগুলির শব্দ শুনে তিনি কী করলেন?
ঘ. অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা কোন বিভাগের শিক্ষক ছিলেন?
ঙ. হানাদার বাহিনী তাদের দু’জনকে কোথায় নিয়ে গুলি করে?
গানের দেশে প্রাণের উল্লাস
প্রাচীনকাল থেকে মানুষ ভাব প্রকাশ করার জন্য গান করে এসেছে। কাজে উদ্দীপনা সৃষ্টির জন্য শ্রমজীবী মানুষ সমস্বরে গান করে থাকে। এগুলোকে বলা হয় শ্রমসংগীত। শ্রমজীবী মানুষ ছাদ পেটায় আর শ্রম লাঘব করার জন্য সমস্বরে ছাদ পেটানোর গান গায়। ধান কাটার সময়, ফসল তোলার সময় কৃষক গান করে। এভাবে মানুষ শ্রমের সঙ্গে বিনোদনকে যুক্ত করে। তখন শ্রম হয়ে ওঠে আনন্দদায়ক।
ক. প্রাচীনকাল থেকে মানুষ কেন গান করে এসেছে।
খ. শ্রমজীবী মানুষ কাজে উদ্দীপনা কী ভাবে সৃষ্টি করে থাকে?
গ. শ্রমসংগীত কী?
ঘ. কৃষক কোন সময়ে গান করে?
ঙ. শ্রম কীভাবে আনন্দদায়ক হয়ে ওঠে?
শহীদ তিতুমীর
তিতুমীরের যখন জন্ম, তখন আমাদের বাংলাদেশসহ পুরো ভারতবর্ষ ছিল পরাধীন। চলছে ইংরেজ রাজত্ব। ইংরেজরা চালাত অত্যাচার। অন্যদিকে ছিল দেশি জমিদারদের জুলুম। ইংরেজ কর্মচারীরা ঘোড়া ছুটিয়ে চলত দারুণ দাপটে। তিতুমীর এসব দেখাতেন আর ভাবতেন, এদের হাত থেকে কীভাবে মুক্তি পাবে দেশের মানুষ।
ক. তিতুমীরের জন্মের সময় ভারতবর্ষের অবস্থা কেমন ছিল?
খ. ভারতবর্ষে কাদের রাজত্ব ছিল?
গ. মানুষের উপর কারা জুলুম করত?
ঘ. ইংরেজ কর্মচারীরা কীভাবে চলত
ঙ. এ সকল অত্যাচার দেখে তিতুমীর কী ভাবতেন?
২২. কঠিন অবস্থায় পদার্থের নির্দিষ্ট আকৃতি ও আয়তন আছে।
২৩. লৌহ কঠিন, পানি তরল এবং অক্সিজেন গ্যাসরূপে থাকে।
১২ অধ্যায়
১. যে সব জ্যোতিষ্কের নিজস্ব আলো আছে তাদের বলা হয় নক্ষত্র বা তারা।
২. সূর্য সৌরজগতের কেন্দ্রীয় নক্ষত্র।
৩. সূর্যের ব্যাস প্রায় ১৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কি. মি.।
৪. পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব প্রায় ১৫ কোটি কি. মি.।
৫. পৃথিবী থেকে ধ্রুবতারার দূরত্ব প্রায় ৮২,১১,০০,০০০ কি. মি.।
৬. শুক্র গ্রহ সন্ধ্যায় পশ্চিম সন্ধ্যাতারা রূপে এবং ভোররাতে পূর্বাকাশে শুকতারা রূপে দেখা যায়।
৭. সৌরজগতে রয়েছে ৮টি গ্রহ এবং ৪১টি উপগ্রহ।
৮. দূরত্ব অনুসারে পৃথিবীর অবস্থান তৃতীয়।
৯. সৌরজগৎ সুবিশাল মহাজগতের একটি অতি ক্ষুদ্র অংশ।
১০. পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব ৩,৮৪,০০০ কি. মি.।
১১. চাঁদ পৃথিবীর নিকটতম জ্যোতিষ্ক।
১২. চাঁদ ২৭ দিন ৮ ঘণ্টায় একবার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে।
১৩. পৃথিবীর ১টি, মঙ্গলের ২টি, বৃহস্পতির ১৬টি, শনির ১৭টি, ইউরেনাসের ৪টি এবং নেপচুনের ১টি উপগ্রহ আছে।
১৪. সূর্য পৃথিবী থেকে ১৩,০০,০০০ গুণ বড়।
১৫. চাঁদ আয়তনে পৃথিবীর পঞ্চাশ ভাগের এক ভাগ।
১৬. পৃথিবীর দৈনিক গতির নাম আহ্নিক গতি।
১৭. আপন কক্ষপথে পৃথিবীর পরিভ্রমণকে বার্ষিক গতি বলে।
১৮. লীপ ইয়ারের বছর ৩৬৬ দিনে হয়।
১৯. কক্ষপথে একবার ঘুরে আসতে প্রকৃতপক্ষে ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড সময় লাগে।
২০. বার্ষিক গতির কারণে পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে ২১ জুন দিন সবচেয়ে বড় ও রাত সবচেয়ে ছোট।
২১. ২১শে মার্চ ও ২৩ সেপ্টেম্বর দিন ও রাত সমান হয়।
২২. ছায়াপথের একটি বিস্ময় হচ্ছে নীহারিকা।
২৪. নীহারিকা গ্যাসীয় পদার্থ দ্বারা পূর্ণ।
২৫. উল্কাপি-ের আঘাতে মাটিতে অনেক বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়।
২৬. ইংল্যান্ডের বিজ্ঞানী এডমন্ড হ্যালি ১৬৮২ স্থানে আকাশে একটি ধূমকেতু আবিষ্কার করেন।
২৭. হ্যালির ধূমকেতু ৭৬ বছর পরপর দেখা যায়। ১৮৩৪, ১৯১০, ১৯৮৬ সালে দেখা গেছে এবং ২০৬২ সালে আকার দেখা যাবে।
১৪ অধ্যায়
১. আধুনিক পৃথিবী হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির পৃথিবী।
২. উপগ্রহগুলো পৃথিবী থেকে ৩৬ হাজার কি. মি. দূরে।
৩. ১৮৭৬ সালে আলেকজা-ার গ্রাহাম বেল টেলিফোন আবিষ্কার করেন।
৪. প্রত্যেকটা টেলিফোনেই রয়েছে একটা মাইক্রোফোন ও আরেকটা স্পীকার।
৫. সিপিইউ অর্থ সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট।
৬. নতুন পৃথিবী আসলে তথ্য প্রযুুক্তির পৃথিবী।
২/৪/৫/৬/৭ অধ্যায়ের থেকে গুরুত্বপূর্ণ লাইনসমূহ
২ অধ্যায়
১. কাশফুল শরৎকালের বৈশিষ্ট্য।
২. ষড় ঋতুর দেশ আমাদের এ বাংলাদেশ।
৩. শিউলী বকুল ও হাসনাহেনাও শরৎকালে ফোটে।
৪. কাঞ্চন, পলাশ ও কৃষ্ণচূড়া বসন্তের ফুল।
৫. শীতের সময় সম্ভবত আমরা সবচেয়ে বেশি বৈচিত্র্যময় ফুল দেখতে পাই।
৬. গাঁদা, জিনিয়া, বাসময়, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা ইত্যাদি শীতকালে ফোটে।
৭. ফুলগাছ লাগাতে হলে প্রথমে মাটি তৈরি করতে হবে।
৮. দোআঁশ মাটিতে ফুলগাছ ভালো জন্মে।
৯. পেয়ারা, আমড়া, জামরুল বর্ষাকালীন ফুল।
১০. কমলালেবু, বরই, জলপাই শীতকালীন ফল।
১১. এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষ হয়।
১২. অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত শীতকালীন সবজি চাষ হয়।
১৩. যে সব গাছের কা- দুর্বল, তাদের বৃদ্ধি ও ভালো ফলনের জন্য মাচা করে দিতে হয়।
৪ অধ্যায়
১. খাদ্য থেকে আমরা পুষ্টি পাই।
২. আমাদের শরীর অসংখ্য জীবকোষ দিয়ে গঠিত।
৩. খাদ্যের সাথে স্বাস্থ্যের সম্পর্কই হলো পুষ্টি।
৪. সব রকম খাবার সমান পুষ্টিকর নয়।
৫. অনেক সময় পুষ্টিহীনতার কারণে অনেক শিশু অকালে মারা যায়।
৬. শ্বেতসার জাতীয় খাবার দেহে শক্তি ও কাজ করার ক্ষমতা যোগায়।
৭. শ্বেতসার কম খেলে দেহের ওজন কমে যায়।
৮. মাংসপেশি শুকিয়ে যাওয়া, প্রায়ই পাতলা পায়খানা হওয়া সেরাসমাস বা হাড্ডিসার রোগের লক্ষণ। (চলমান)
No comments:
Post a Comment