নিচের অনুচ্ছেদ পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
গফুর সাহেব একজন চিকিৎসক। তিনি ছুটিতে গ্রামে গিয়ে জানতে পারলেন যে, দরিদ্র কৃষক গণি মিয়ার টিউমার ক্যান্সার হয়েছে। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হওয়ায় গফুর সাহেব ইবনে সিনা ট্রাস্টের সেক্রেটারির কাছে গণি মিয়ার দরিদ্রতার কথা উল্লেখ করে সহযোগিতা চান। সেক্রেটারি বললেন, ইসলাম হচ্ছে মানবতার ধর্ম। কাজেই আমি তার চিকিৎসার ভার নিলাম।
ক) ইবনে সিনা কে ছিলেন? ১
খ) মানবকল্যাণ বলতে কী বুঝায়? ২
গ) গফুর সাহেবের কাজটিকে তুমি কোন ধরনের সেবামূলক কাজ বলে মনে করো, ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ) ইসলাম হচ্ছে মানবকল্যাণের ধর্মÑ বিশ্লেষণ করো। ৪
উত্তর : ক) ইবনে সিনা ছিলেন একজন বিশ্ববিখ্যাত চিকিৎসাবিদ ও দার্শনিক।
খ) মানবকল্যাণ বলতে মানবতার সেবাকে বোঝায়। ইসলাম মানবকল্যাণের ধর্ম, মানবতার সেবাই মুসলমানদের মিশন। অসহায় ও দুস্থ মানুষকে সাহায্য-সহযোগিতা করা মানুষের একান্ত কর্তব্য। কেননা, যে ব্যক্তি অসহায় লোকদের সাহায্য করে আল্লাহতায়ালা তাকে ভালোবাসেন ও সাহায্য করেন। মহানবী সা: বলেছেন, ‘আল্লাহ ততক্ষণই তাঁর বান্দার সাহায্যে রত থাকেন, বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্যে রত থাকে।’
গ) গফুর সাহেবের এ কাজটিকে আমি মানব কল্যাণমূলক কাজ বলে মনে করি। কারণ মানবতার কল্যাণ সাধনই ইসলামের মূলমন্ত্র। দুস্থ, আর্তের সেবায়, অভাবীর সাহায্যে এবং কল্যাণকর কাজে মুসলমানদের রয়েছে অনুসরণীয় আদর্শ।
হজরত উমর রা:-এর স্ত্রী এক নিঃসঙ্গ বেদুইন মহিলার প্রসবকালে তার পাশে থেকে সেবা প্রদান করেছিলেন। এরূপ আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে গফুর সাহেব একজন দরিদ্র কৃষককে তার টিউমার ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধিকে নিরাময়ের জন্য গ্রাম থেকে শহরে নিয়ে এসে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। এ ক্ষেত্রে গফুর সাহেবের ব্যক্তিত্ব ও পদমর্যাদা তাকে মোটেই বিচলিত করেনি। তাই দেখা যায়, তিনি একজন দুস্থ মানুষের নিরাময়ের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানের দ্বারস্থ হয়েছেন, যা একজন উন্নত মানসিকতা ও সত্যিকার মুসলিম ডাক্তারের পক্ষেই সম্ভব।
ঘ) ইসলাম হচ্ছে মানবতার ধর্ম। মানবকল্যাণ সাধনই ইসলামের মূলমন্ত্র। আর্তমানবতার সেবায়, অভাবীর সাহায্যে এবং কল্যাণকর কাজে মুসলমানদের রয়েছে অনুসরণীয় আদর্শ। হজরত উমর রা: অসংখ্য মসজিদ, হাসপাতাল, সড়ক, সেতু ও বিদ্যালয় নির্মাণ করেন এবং সেচ সুবিধা ও পানীয় পানির জন্য খাল খনন করেন। তার স্ত্রীকে প্রসূতি পরিচর্চার জন্য এক নিঃসঙ্গ বেদুইন মহিলার কাছে প্রেরণ করেন। হজরত উমর রা:-এর মতো যদি আমাদের মধ্যে জনসেবার অনুভূতি জাগ্রত হয়, তাহলে গরিব, দুঃখী, অভাবী মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘব হতে পারে।
মদিনায় পানিস্বল্পতার কারণে মুসলমানদের কষ্ট হচ্ছিল। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য হজরত উসমান রা: ইহুদির কাছ থেকে রুমা কূপ ক্রয় করে ওয়াকফ করে দেন। এটা একটি মানবসেবার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
বাংলায় মুসলিম শিক্ষার গোড়াপত্তনে হাজী মুহম্মদ মুহসীনের দান অপরিসীম। মানবকল্যাণে পুরুষের পাশাপাশি মুসলিম নারীরাও বিরাট অবদান রেখে গেছেন। খলিফা হারুন-অর-রশীদের স্ত্রী সম্রাজ্ঞী জুবাইদা হজব্রত পালনে আগত মুসলমানদের পানির কষ্ট দূর করতে একটি খাল খনন করে পবিত্র নগরী মক্কা, মিনা ও আরাফাতে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করেন। আজাদউদ্দৌলার স্ত্রী একটি বিরাট হাসপাতাল তৈরি করেন। মালিক আশরাফের কন্যা খাতুন দামেস্কে একটি বিরাট কলেজ স্থাপন করেন।
ওপরের আলোচনা থেকে জানা যায়, মানবসেবায় মুসলমানদের রয়েছে অগ্রণী ভূমিকা। তাই এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, ইসলাম হচ্ছে মানবতার ধর্ম।
গফুর সাহেব একজন চিকিৎসক। তিনি ছুটিতে গ্রামে গিয়ে জানতে পারলেন যে, দরিদ্র কৃষক গণি মিয়ার টিউমার ক্যান্সার হয়েছে। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হওয়ায় গফুর সাহেব ইবনে সিনা ট্রাস্টের সেক্রেটারির কাছে গণি মিয়ার দরিদ্রতার কথা উল্লেখ করে সহযোগিতা চান। সেক্রেটারি বললেন, ইসলাম হচ্ছে মানবতার ধর্ম। কাজেই আমি তার চিকিৎসার ভার নিলাম।
ক) ইবনে সিনা কে ছিলেন? ১
খ) মানবকল্যাণ বলতে কী বুঝায়? ২
গ) গফুর সাহেবের কাজটিকে তুমি কোন ধরনের সেবামূলক কাজ বলে মনে করো, ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ) ইসলাম হচ্ছে মানবকল্যাণের ধর্মÑ বিশ্লেষণ করো। ৪
উত্তর : ক) ইবনে সিনা ছিলেন একজন বিশ্ববিখ্যাত চিকিৎসাবিদ ও দার্শনিক।
খ) মানবকল্যাণ বলতে মানবতার সেবাকে বোঝায়। ইসলাম মানবকল্যাণের ধর্ম, মানবতার সেবাই মুসলমানদের মিশন। অসহায় ও দুস্থ মানুষকে সাহায্য-সহযোগিতা করা মানুষের একান্ত কর্তব্য। কেননা, যে ব্যক্তি অসহায় লোকদের সাহায্য করে আল্লাহতায়ালা তাকে ভালোবাসেন ও সাহায্য করেন। মহানবী সা: বলেছেন, ‘আল্লাহ ততক্ষণই তাঁর বান্দার সাহায্যে রত থাকেন, বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্যে রত থাকে।’
গ) গফুর সাহেবের এ কাজটিকে আমি মানব কল্যাণমূলক কাজ বলে মনে করি। কারণ মানবতার কল্যাণ সাধনই ইসলামের মূলমন্ত্র। দুস্থ, আর্তের সেবায়, অভাবীর সাহায্যে এবং কল্যাণকর কাজে মুসলমানদের রয়েছে অনুসরণীয় আদর্শ।
হজরত উমর রা:-এর স্ত্রী এক নিঃসঙ্গ বেদুইন মহিলার প্রসবকালে তার পাশে থেকে সেবা প্রদান করেছিলেন। এরূপ আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে গফুর সাহেব একজন দরিদ্র কৃষককে তার টিউমার ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধিকে নিরাময়ের জন্য গ্রাম থেকে শহরে নিয়ে এসে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। এ ক্ষেত্রে গফুর সাহেবের ব্যক্তিত্ব ও পদমর্যাদা তাকে মোটেই বিচলিত করেনি। তাই দেখা যায়, তিনি একজন দুস্থ মানুষের নিরাময়ের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানের দ্বারস্থ হয়েছেন, যা একজন উন্নত মানসিকতা ও সত্যিকার মুসলিম ডাক্তারের পক্ষেই সম্ভব।
ঘ) ইসলাম হচ্ছে মানবতার ধর্ম। মানবকল্যাণ সাধনই ইসলামের মূলমন্ত্র। আর্তমানবতার সেবায়, অভাবীর সাহায্যে এবং কল্যাণকর কাজে মুসলমানদের রয়েছে অনুসরণীয় আদর্শ। হজরত উমর রা: অসংখ্য মসজিদ, হাসপাতাল, সড়ক, সেতু ও বিদ্যালয় নির্মাণ করেন এবং সেচ সুবিধা ও পানীয় পানির জন্য খাল খনন করেন। তার স্ত্রীকে প্রসূতি পরিচর্চার জন্য এক নিঃসঙ্গ বেদুইন মহিলার কাছে প্রেরণ করেন। হজরত উমর রা:-এর মতো যদি আমাদের মধ্যে জনসেবার অনুভূতি জাগ্রত হয়, তাহলে গরিব, দুঃখী, অভাবী মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘব হতে পারে।
মদিনায় পানিস্বল্পতার কারণে মুসলমানদের কষ্ট হচ্ছিল। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য হজরত উসমান রা: ইহুদির কাছ থেকে রুমা কূপ ক্রয় করে ওয়াকফ করে দেন। এটা একটি মানবসেবার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
বাংলায় মুসলিম শিক্ষার গোড়াপত্তনে হাজী মুহম্মদ মুহসীনের দান অপরিসীম। মানবকল্যাণে পুরুষের পাশাপাশি মুসলিম নারীরাও বিরাট অবদান রেখে গেছেন। খলিফা হারুন-অর-রশীদের স্ত্রী সম্রাজ্ঞী জুবাইদা হজব্রত পালনে আগত মুসলমানদের পানির কষ্ট দূর করতে একটি খাল খনন করে পবিত্র নগরী মক্কা, মিনা ও আরাফাতে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করেন। আজাদউদ্দৌলার স্ত্রী একটি বিরাট হাসপাতাল তৈরি করেন। মালিক আশরাফের কন্যা খাতুন দামেস্কে একটি বিরাট কলেজ স্থাপন করেন।
ওপরের আলোচনা থেকে জানা যায়, মানবসেবায় মুসলমানদের রয়েছে অগ্রণী ভূমিকা। তাই এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, ইসলাম হচ্ছে মানবতার ধর্ম।
No comments:
Post a Comment