একাদশ শ্রেণীর বিষয়ভিত্তিক আলোচনা
বাংলা দ্বিতীয় পত্র
ভাষণ: কোনো বিশেষ উপলক্ষে সম্বোধন ও সম্ভাষণ সহযোগে শ্রোতাদের উদ্দেশে যে সুগঠিত বাক্যসমষ্টি উপস্থাপন করা হয়, তাকেই ভাষণ বলে।
ভাষণের প্রকারভেদ: ভাষণকে সাধারণত ৩ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১. উৎসগতভাবে
২. মাধ্যমগতভাবে ও
৩. বৈশিষ্ট্যগতভাবে
উৎসগতভাবে ভাষণের প্রকারভেদ: উৎসগতভাবে ভাষণ মূলত দু’প্রকার। যথা-
১. লিখিত ভাষণ: লিখিত কোনো পাণ্ডুলিপি পাঠের মাধ্যমে যে ভাষণ দেয়া হয়, তাকে লিখিত ভাষণ বলে। সাধারণত, জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কোনো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে এ ধরনের ভাষণ দেয়া হয়।
২. অলিখিত ভাষণ: লিখিত পাণ্ডুলিপি ছাড়াই তাৎক্ষণিকভাবে যে ভাষণ দেয়া হয়, তাকে অলিখিত ভাষণ বলে।
মাধ্যমগতভাবে ভাষণের প্রকারভেদ: মাধ্যমগতভাবে ভাষণ সাধারণত দু’প্রকার। যথা-
১. প্রত্যক্ষ ভাষণ: শ্রোতাদের সামনে সরাসরি উপস্থিত হয়ে যে ভাষণ দেয়া হয়, তাকে প্রত্যক্ষ ভাষণ বলে।
২. পরোক্ষ ভাষণ: শ্রোতাদের সামনে সরাসরি উপস্থিত না হয়ে রেডিও, টেলিভিশন, সিডি, ভিডিও, ক্যাসেট, ইন্টারনেট কিংবা অন্য কোনো তৃতীয় মাধ্যম ব্যবহার করে দর্শক-শ্রোতাদের উদ্দেশে যে ভাষণ দেয়া হয়, তাকে পরোক্ষ ভাষণ বলে। বৈশিষ্ট্যগতভাবে ভাষণের প্রকারভেদ: বৈশিষ্ট্যগতভাবে ভাষণ তিন প্রকার। যথা:
১. রাজনৈতিক ভাষণ: রাজনৈতিক দলের কার্যাবলির সঙ্গে সাধারণ জনগণকে সম্পৃক্ত করার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে যে ভাষণ দেয়া হয়, তাকে রাজনৈতিক ভাষণ বলে। এ জাতীয় ভাষণের সম্বোধনে বিশেষণের বাহুল্য লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া, এর বক্তব্যের বিষয়ে থাকে ব্যাপক বৈচিত্র্য এবং কণ্ঠস্বর বেশিরভাগ সময়ই তারা সপ্তক বা উঁচুতে অবস্থান করে।
২. প্রশাসনিক ভাষণ: কোনো সংস্থা, দফতর বা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত বিষয় নিয়ে যে ভাষণ দেয়া হয়, তাকেই প্রশাসনিক ভাষণ বলে। এ জাতীয় ভাষণের সম্বোধন হয় খুবই সংক্ষিপ্ত এবং মার্জিত। এর বিষয় হয় সুনির্দিষ্ট তথ্যবহুল ও দিকনির্দেশনামূলক। এ জাতীয় ভাষণে কণ্ঠস্বর সাধারণত মুদারা বা মধ্য সপ্তকেই সীমাবদ্ধ থাকে।
৩. সাধারণ ভাষণ: রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাজের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কহীন বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক, অর্থনৈতিক বা শিল্প-সাহিত্য বিষয়ক ভাষণকেই সাধারণ ভাষণ বলে। এ জাতীয় ভাষণের সম্বোধন হয় অলংকৃত এবং এর বিষয়বস্তু হয় তত্ত্ব ও তথ্যবহুল। এ ধরনের ভাষণে কণ্ঠস্বরে মুদারা বা মধ্য সপ্তকের প্রাধান্য থাকলেও কখনো কখনো তা উদারা (নিচু) বা তারা (উঁচু) সপ্তকেও বিস্তৃত হয়।
সার্থক ভাষণের অংশসমূহ: একটি সার্থক ভাষণে সাধারণত ৩টি অংশ থাকে। যথা: ১. সম্বোধন ও সম্ভাষণ
২. মূল বক্তব্য (সূচনা, বিস্তার ও উপসংহার)
৩. বিদায় সম্ভাষণ ও সমাপ্তি। সাধারণ ভাষণের ক্ষেত্রে সম্বোধনের ধারাক্রম :
১. সভাপতি (সভাপতির ভাষণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)।
২. প্রধান অতিথি (প্রধান অতিথির ভাষণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)।
৩. বিশেষ অতিথি (বিশেষ অতিথি একাধিক থাকতে পারেন)।
৪. অন্যান্য (যারা উপস্থিত থাকেন। যেমন: কলেজের গভর্নিং বডির সম্মানিত সদস্যবৃন্দ/উপস্থিত শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ও কর্মচারিবৃন্দ/সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দ/প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ/বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ/ জাতীয় পত্রিকা এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ইত্যাদি)।
ভাষণ: কোনো বিশেষ উপলক্ষে সম্বোধন ও সম্ভাষণ সহযোগে শ্রোতাদের উদ্দেশে যে সুগঠিত বাক্যসমষ্টি উপস্থাপন করা হয়, তাকেই ভাষণ বলে।
ভাষণের প্রকারভেদ: ভাষণকে সাধারণত ৩ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১. উৎসগতভাবে
২. মাধ্যমগতভাবে ও
৩. বৈশিষ্ট্যগতভাবে
উৎসগতভাবে ভাষণের প্রকারভেদ: উৎসগতভাবে ভাষণ মূলত দু’প্রকার। যথা-
১. লিখিত ভাষণ: লিখিত কোনো পাণ্ডুলিপি পাঠের মাধ্যমে যে ভাষণ দেয়া হয়, তাকে লিখিত ভাষণ বলে। সাধারণত, জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কোনো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে এ ধরনের ভাষণ দেয়া হয়।
২. অলিখিত ভাষণ: লিখিত পাণ্ডুলিপি ছাড়াই তাৎক্ষণিকভাবে যে ভাষণ দেয়া হয়, তাকে অলিখিত ভাষণ বলে।
মাধ্যমগতভাবে ভাষণের প্রকারভেদ: মাধ্যমগতভাবে ভাষণ সাধারণত দু’প্রকার। যথা-
১. প্রত্যক্ষ ভাষণ: শ্রোতাদের সামনে সরাসরি উপস্থিত হয়ে যে ভাষণ দেয়া হয়, তাকে প্রত্যক্ষ ভাষণ বলে।
২. পরোক্ষ ভাষণ: শ্রোতাদের সামনে সরাসরি উপস্থিত না হয়ে রেডিও, টেলিভিশন, সিডি, ভিডিও, ক্যাসেট, ইন্টারনেট কিংবা অন্য কোনো তৃতীয় মাধ্যম ব্যবহার করে দর্শক-শ্রোতাদের উদ্দেশে যে ভাষণ দেয়া হয়, তাকে পরোক্ষ ভাষণ বলে। বৈশিষ্ট্যগতভাবে ভাষণের প্রকারভেদ: বৈশিষ্ট্যগতভাবে ভাষণ তিন প্রকার। যথা:
১. রাজনৈতিক ভাষণ: রাজনৈতিক দলের কার্যাবলির সঙ্গে সাধারণ জনগণকে সম্পৃক্ত করার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে যে ভাষণ দেয়া হয়, তাকে রাজনৈতিক ভাষণ বলে। এ জাতীয় ভাষণের সম্বোধনে বিশেষণের বাহুল্য লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া, এর বক্তব্যের বিষয়ে থাকে ব্যাপক বৈচিত্র্য এবং কণ্ঠস্বর বেশিরভাগ সময়ই তারা সপ্তক বা উঁচুতে অবস্থান করে।
২. প্রশাসনিক ভাষণ: কোনো সংস্থা, দফতর বা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত বিষয় নিয়ে যে ভাষণ দেয়া হয়, তাকেই প্রশাসনিক ভাষণ বলে। এ জাতীয় ভাষণের সম্বোধন হয় খুবই সংক্ষিপ্ত এবং মার্জিত। এর বিষয় হয় সুনির্দিষ্ট তথ্যবহুল ও দিকনির্দেশনামূলক। এ জাতীয় ভাষণে কণ্ঠস্বর সাধারণত মুদারা বা মধ্য সপ্তকেই সীমাবদ্ধ থাকে।
৩. সাধারণ ভাষণ: রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাজের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কহীন বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক, অর্থনৈতিক বা শিল্প-সাহিত্য বিষয়ক ভাষণকেই সাধারণ ভাষণ বলে। এ জাতীয় ভাষণের সম্বোধন হয় অলংকৃত এবং এর বিষয়বস্তু হয় তত্ত্ব ও তথ্যবহুল। এ ধরনের ভাষণে কণ্ঠস্বরে মুদারা বা মধ্য সপ্তকের প্রাধান্য থাকলেও কখনো কখনো তা উদারা (নিচু) বা তারা (উঁচু) সপ্তকেও বিস্তৃত হয়।
সার্থক ভাষণের অংশসমূহ: একটি সার্থক ভাষণে সাধারণত ৩টি অংশ থাকে। যথা: ১. সম্বোধন ও সম্ভাষণ
২. মূল বক্তব্য (সূচনা, বিস্তার ও উপসংহার)
৩. বিদায় সম্ভাষণ ও সমাপ্তি। সাধারণ ভাষণের ক্ষেত্রে সম্বোধনের ধারাক্রম :
১. সভাপতি (সভাপতির ভাষণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)।
২. প্রধান অতিথি (প্রধান অতিথির ভাষণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)।
৩. বিশেষ অতিথি (বিশেষ অতিথি একাধিক থাকতে পারেন)।
৪. অন্যান্য (যারা উপস্থিত থাকেন। যেমন: কলেজের গভর্নিং বডির সম্মানিত সদস্যবৃন্দ/উপস্থিত শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ও কর্মচারিবৃন্দ/সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দ/প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ/বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ/ জাতীয় পত্রিকা এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ইত্যাদি)।
No comments:
Post a Comment