বই পড়া
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন:
২। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখক কোনটিকে মনের হাসপাতাল বলেছেন? উত্তর: লাইব্রেরিকে।
৩। স্বশিক্ষিত বলতে কী বোঝ? উত্তর: যে নিজে নিজে লিখে শিক্ষিত।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
প্রশ্ন: ‘অন্তর্নিহিত প্রচ্ছন্ন শক্তি’ বলতে কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর: প্রাবন্ধিক ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে ‘অন্তর্নিহিত প্রচ্ছন্ন শক্তি’ বলতে ছাত্রের ভেতরকার সৃজনশীল সত্তাকে বুঝিয়েছেন, যার মাধ্যমে সে নিজেই নিজের মনকে গড়ে তোলে।
প্রশ্ন: ‘যে জাতির জ্ঞানের ভান্ডার শূন্য সে জাতির ধনের ভাঁড়েও ভবানী’—এ কথার মর্মার্থ কী?
উত্তর: জ্ঞানের ভাষ্যকে যারা অবমূল্যায়ন করে, তারা যত বড়ই ধনী হোক না কেন সে ধনের কোনো অর্থ নেই। উক্তিটি দ্বারা বোঝায়, জ্ঞানহীন বা জ্ঞানশূন্য জাতি ধনেও কখনো বড় হতে পারে না, মনেও না।
প্রশ্ন: ‘মনের দাবি রক্ষা না করলে মানুষের আত্মা বাঁচে না’—কথাটির তাৎপর্য কী?
উত্তর: মানুষের মনুষ্যত্বকে জাগ্রত করতে হলে মনের খোরাক মেটাতে হয়। বই হলো মানুষের মনের খোরাক। মনের মধ্যে সৃষ্টিশীল দাবি পূরণ শুধু বই দ্বারাই সম্ভব। তাই লেখক বলেছেন, মনের দাবি রক্ষা না করতে পারলে আত্মা বাঁচে না।
প্রশ্ন: ‘পাস করা ও শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয়’—কেন এ কথা বলেছেন?
উত্তর: প্রকৃত শিক্ষা মানুষের মনের সুপরিবর্তন ঘটায় বলে পাস করা বিদ্যা আর শিক্ষিত হওয়া এক কথা নয়।
শিক্ষা মানুষের মনের চেতনা খুলে দিতে দায়বদ্ধ। তবু উদ্দেশ্যপ্রণোদিত শিক্ষায় যারা কেবল পাস করার জন্য পড়ে, তারা মানসিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে না। পাস করা বিদ্যায় আত্মার অপমৃত্যু ঘটে এবং মানুষ তার মনুষ্যত্ববোধ হারিয়ে ফেলে আর স্বশিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তি সব সময়ই সুশিক্ষিত হয়ে ওঠে। তাই পাস করা ও শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয়।
প্রশ্ন: ‘সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত’—লেখক এ মন্তব্যটি কেন করেছেন?
উত্তর: প্রবন্ধকারের মতে, বিদ্যা আর শিক্ষা এক জিনিস নয়। স্কুলে-কলেজে কিংবা শিক্ষকের কাছে যা লাভ করা যায়, তা হলো বিদ্যা। শিক্ষক ছাত্রের শিক্ষালাভের ক্ষুধা জাগিয়ে কিংবা বাড়িয়ে দিতে পারেন, তার সুপ্ত জ্ঞানতৃষ্ণাকে জাগিয়ে তুলতে পারেন কিন্তু যথার্থ শিক্ষা লাভ করতে হবে নিজেকেই। যে শিক্ষা নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিশে নিজের প্রজ্ঞার অংশ হয়ে ওঠেনি, তা শিক্ষাই নয়, বিদ্যা মাত্র। আর বিদ্যাকে নিজের জীবনের রসে সিঞ্চিত করে তাকে শিক্ষা হিসেবে গড়ে তোলার ভার নিজেকেই নিতে হয়। অন্য কেউ তা করে দিতে পারে না। সে কারণেই লেখকের মত হলো, যে ব্যক্তি সত্যিকার অর্থে শিক্ষিত বা সুশিক্ষিত, তিনি স্বশিক্ষিত অর্থাৎ নিজের অর্জিত শিক্ষায় আলোকিত।
মহেশ
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন:
১. তর্করত্ন কে?
উত্তর: জমিদারের পুরোহিত।
২. মহেশ কে?
উত্তর: গফুরের ষাঁড়।
৩. গফুর কাকে চড় মেরেছে?
উত্তর: আমিনাকে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
প্রশ্ন: ‘আ মর, ছুঁয়ে ফেলবি না কি?’—তর্করত্নের এ উক্তির কারণ কী?
উত্তর: তর্করত্নের আলোচ্য উক্তিটির কারণ হচ্ছে, গফুর তার কাছে কাহন-দুই খড় ধার চায়। এ ধার যেন তাকে দিতে না হয় তাই সে তার কথা ঘুরিয়ে ফেলে।
প্রশ্ন: ‘এত লোক মরে তুই মরিসনে?’—কে, কোন প্রসঙ্গে এ কথা বলেছে?
উত্তর: উক্তিটি আমিনার উদ্দেশে গফুর করেছিল। আমিনার কাছে ভাত ও পানি চাইলে তা না পেয়ে গফুর আমিনার মুখে চড় দিয়ে বলে—‘মুখপোড়া মেয়ে, সারা দিন তুই করিস কী? এত লোক মরে তুই করিসনে।’
প্রশ্ন: ‘মহারানির রাজত্বে কেউ কারও গোলাম নয়’—কে, কাকে, কেন বলেছিল?
উত্তর: উক্তিটি গফুর জমিদারের পিয়াদাকে করেছে। কারণ, যখন তার ঘরে পানি পর্যন্ত নেই, তখনই তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর জন্য জোর করা হয়। এ জন্য বদমেজাজি গফুর বলে ওঠে—মহারানির রাজত্বে কেউ কারও গোলাম নয়।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন:
২। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখক কোনটিকে মনের হাসপাতাল বলেছেন? উত্তর: লাইব্রেরিকে।
৩। স্বশিক্ষিত বলতে কী বোঝ? উত্তর: যে নিজে নিজে লিখে শিক্ষিত।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
প্রশ্ন: ‘অন্তর্নিহিত প্রচ্ছন্ন শক্তি’ বলতে কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর: প্রাবন্ধিক ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে ‘অন্তর্নিহিত প্রচ্ছন্ন শক্তি’ বলতে ছাত্রের ভেতরকার সৃজনশীল সত্তাকে বুঝিয়েছেন, যার মাধ্যমে সে নিজেই নিজের মনকে গড়ে তোলে।
প্রশ্ন: ‘যে জাতির জ্ঞানের ভান্ডার শূন্য সে জাতির ধনের ভাঁড়েও ভবানী’—এ কথার মর্মার্থ কী?
উত্তর: জ্ঞানের ভাষ্যকে যারা অবমূল্যায়ন করে, তারা যত বড়ই ধনী হোক না কেন সে ধনের কোনো অর্থ নেই। উক্তিটি দ্বারা বোঝায়, জ্ঞানহীন বা জ্ঞানশূন্য জাতি ধনেও কখনো বড় হতে পারে না, মনেও না।
প্রশ্ন: ‘মনের দাবি রক্ষা না করলে মানুষের আত্মা বাঁচে না’—কথাটির তাৎপর্য কী?
উত্তর: মানুষের মনুষ্যত্বকে জাগ্রত করতে হলে মনের খোরাক মেটাতে হয়। বই হলো মানুষের মনের খোরাক। মনের মধ্যে সৃষ্টিশীল দাবি পূরণ শুধু বই দ্বারাই সম্ভব। তাই লেখক বলেছেন, মনের দাবি রক্ষা না করতে পারলে আত্মা বাঁচে না।
প্রশ্ন: ‘পাস করা ও শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয়’—কেন এ কথা বলেছেন?
উত্তর: প্রকৃত শিক্ষা মানুষের মনের সুপরিবর্তন ঘটায় বলে পাস করা বিদ্যা আর শিক্ষিত হওয়া এক কথা নয়।
শিক্ষা মানুষের মনের চেতনা খুলে দিতে দায়বদ্ধ। তবু উদ্দেশ্যপ্রণোদিত শিক্ষায় যারা কেবল পাস করার জন্য পড়ে, তারা মানসিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে না। পাস করা বিদ্যায় আত্মার অপমৃত্যু ঘটে এবং মানুষ তার মনুষ্যত্ববোধ হারিয়ে ফেলে আর স্বশিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তি সব সময়ই সুশিক্ষিত হয়ে ওঠে। তাই পাস করা ও শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয়।
প্রশ্ন: ‘সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত’—লেখক এ মন্তব্যটি কেন করেছেন?
উত্তর: প্রবন্ধকারের মতে, বিদ্যা আর শিক্ষা এক জিনিস নয়। স্কুলে-কলেজে কিংবা শিক্ষকের কাছে যা লাভ করা যায়, তা হলো বিদ্যা। শিক্ষক ছাত্রের শিক্ষালাভের ক্ষুধা জাগিয়ে কিংবা বাড়িয়ে দিতে পারেন, তার সুপ্ত জ্ঞানতৃষ্ণাকে জাগিয়ে তুলতে পারেন কিন্তু যথার্থ শিক্ষা লাভ করতে হবে নিজেকেই। যে শিক্ষা নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিশে নিজের প্রজ্ঞার অংশ হয়ে ওঠেনি, তা শিক্ষাই নয়, বিদ্যা মাত্র। আর বিদ্যাকে নিজের জীবনের রসে সিঞ্চিত করে তাকে শিক্ষা হিসেবে গড়ে তোলার ভার নিজেকেই নিতে হয়। অন্য কেউ তা করে দিতে পারে না। সে কারণেই লেখকের মত হলো, যে ব্যক্তি সত্যিকার অর্থে শিক্ষিত বা সুশিক্ষিত, তিনি স্বশিক্ষিত অর্থাৎ নিজের অর্জিত শিক্ষায় আলোকিত।
মহেশ
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন:
১. তর্করত্ন কে?
উত্তর: জমিদারের পুরোহিত।
২. মহেশ কে?
উত্তর: গফুরের ষাঁড়।
৩. গফুর কাকে চড় মেরেছে?
উত্তর: আমিনাকে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
প্রশ্ন: ‘আ মর, ছুঁয়ে ফেলবি না কি?’—তর্করত্নের এ উক্তির কারণ কী?
উত্তর: তর্করত্নের আলোচ্য উক্তিটির কারণ হচ্ছে, গফুর তার কাছে কাহন-দুই খড় ধার চায়। এ ধার যেন তাকে দিতে না হয় তাই সে তার কথা ঘুরিয়ে ফেলে।
প্রশ্ন: ‘এত লোক মরে তুই মরিসনে?’—কে, কোন প্রসঙ্গে এ কথা বলেছে?
উত্তর: উক্তিটি আমিনার উদ্দেশে গফুর করেছিল। আমিনার কাছে ভাত ও পানি চাইলে তা না পেয়ে গফুর আমিনার মুখে চড় দিয়ে বলে—‘মুখপোড়া মেয়ে, সারা দিন তুই করিস কী? এত লোক মরে তুই করিসনে।’
প্রশ্ন: ‘মহারানির রাজত্বে কেউ কারও গোলাম নয়’—কে, কাকে, কেন বলেছিল?
উত্তর: উক্তিটি গফুর জমিদারের পিয়াদাকে করেছে। কারণ, যখন তার ঘরে পানি পর্যন্ত নেই, তখনই তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর জন্য জোর করা হয়। এ জন্য বদমেজাজি গফুর বলে ওঠে—মহারানির রাজত্বে কেউ কারও গোলাম নয়।
No comments:
Post a Comment