তাহারেই
পড়ে মনে
ক.‘কুঁড়ি’ শব্দটির ব্যুত্পত্তি নির্দেশ করো। ১
খ.শীত ঋতুকে কবি কেন ‘মাঘের সন্ন্যাসী’
বলেছেন? ২
প্রশ্নের ‘ক’-এর উত্তর
‘কুঁড়ি’ শব্দটির উত্পত্তি হয়েছে ‘কোরক’ (কুঁড়ি < কোরক) শব্দ থেকে।
প্রশ্নের ‘খ’-এর উত্তর
শীত এলে প্রকৃতিতে রিক্ততার ছায়া পড়ে, গাছের পাতা বিবর্ণ হয়ে ঝরে পড়ে, পুষ্প শোভিত বৃক্ষ হয়ে পড়ে পুষ্পহীন। তাই শীতকে মাঘের সন্ন্র্যাসী বলা হয়েছে।
বসন্ত আসার আগে সর্বস্বত্যাগী সন্ন্যাসীর মতো মাঘের শীত কুয়াশার চাদর গায়ে কোথায় যেন মিলিয়ে যায়। আর তাই পত্র-পুষ্পহীন দিগন্তের পানে চলে যাওয়া শীতকে কবি ‘মাঘের সন্ন্যাসী’ বলেছেন।
উত্তরের সারবস্তু : বসন্ত আসার আগে সর্বস্বত্যাগী সন্ন্যাসীর মতো মাঘের শীত কুয়াশার চাদর গায়ে মিলিয়ে যায় বলে কবি শীতকে মাঘের সন্ন্যাসী বলেছেন।
ক.‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার মূল সুর কী? ১
খ.বসন্তের সৌন্দর্য কবির কাছে অর্থহীন কেন? ২
প্রশ্নের ‘ক’-এর উত্তর
‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার মূল সুর হলো কবির ব্যক্তিজীবনের বিষাদময় রিক্ততার সুর।
প্রশ্নের ‘খ’-এর উত্তর
কারণ কবির প্রাণপ্রিয় স্বামী ও কাব্য-সাধনার প্রেরণা-পুরুষের আকস্মিক মৃত্যু কবির অন্তরে যে শূন্যতা সৃষ্টি করেছে।
ঋতুরাজ বসন্ত সৌন্দর্যের অফুরন্ত সম্ভার নিয়ে এ ধরায় আগমন করলেও কবি তাকে সাদরে গ্রহণ করতে পারছেন না। বসন্তের হূদয়গ্রাহী মুগ্ধতার মাঝেও কবি উদাসীন। বসন্তের আগমনী বার্তা যেন তাঁর কাছে পৌঁছায় নি। তাঁর সমগ্র চিত্ত জুড়ে আছে শীতের শূন্যতা। বসন্তের সৌন্দর্যও তাঁর সেই রিক্ততাকে পূরণ করতে ব্যর্থ। আর তাই বসন্তের সৌন্দর্য কবির কাছে অর্থহীন।
উত্তরের সারবস্তু : স্বামীর মৃত্যুতে কবি এতটাই আহত হয়েছেন যে বসন্তের সৌন্দর্য কবির কাছে অর্থহীন।
কবর
ক.‘কবর’ কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত? ১
খ.‘এ কথা লইয়া ভাবী-সাব মোরে তামাশা করিত শত’ - ভাবি-সাব তামাশা করতেন কেন? ২
প্রশ্নের ‘ক’-এর উত্তর
‘কবর’ কবিতাটি ষান্মাত্রিক মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।
প্রশ্নের ‘খ’-এর উত্তর
দেবরের সাথে তামাশা, রসিকতা করা বাঙালি-সংস্কৃতির অন্যতম একটি অংশ। দাদু যুবক বয়সে কিশোরী বধূর মুখখানি বার বার দেখতে ইচ্ছে করত দাদুর তাই ভাবি-সাব তামাশা করতেন।
দাদু খেতে লাঙল নিয়ে যাওয়ার সময়ও তিনি বার বার ফিরে দেখে নিতেন বধূর মুখ। দাদুকে এ বিষয়টি নিয়েই লজ্জায় ফেলবার জন্যে ভাবি-সাব তামাশা করতেন।
উত্তরের সারবস্তু : যুবক বয়সে বৃদ্ধ দাদু খেতে লাঙল নিয়ে যাওয়ার সময়ও ফিরে ফিরে কিশোরী বধূর মুখ দেখতেন বলে তাঁর ভাবি-সাব তাঁকে নিয়ে তামাশা করতেন।
ক.‘গহন’ শব্দের কাব্যিক রূপ কী? ১
খ.‘মোর জীবনের রোজকেয়ামত’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২
প্রশ্নের ‘ক’-এর উত্তর
‘গহন’ শব্দের কাব্যিক রূপ ‘গহীন’।
প্রশ্নের ‘খ’-এর উত্তর
‘মোর জীবনের রোজকেয়ামত’ বলতে বৃদ্ধ দাদুর আকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর দিনটিকে বোঝানো হয়েছে।
বৃদ্ধ দাদু তাঁর জীবনে এক এক করে হারিয়েছেন পাঁচ প্রিয়জনকে। প্রিয়জনের মৃত্যুবেদনায় ক্ষত-বিক্ষত হূদয় নিয়ে বেঁচে থাকা তাঁর জন্যে ভয়াবহ যন্ত্রণার। সেই যন্ত্রণা থেকে নিস্তার পেতে তিনি আকুল হয়ে প্রত্যাশা করেছেন তাঁর জীবনের রোজকেয়ামতের জন্যে।
উত্তরের সারবস্তু : প্রিয়জন হারানোর বেদনায় শোকাবিহ্বল দাদু প্রতীক্ষায় আছেন তাঁর জীবনের অন্তিম দিনের জন্যে। জীবনের রোজকেয়ামত বলতে দাদু জীবনের অন্তিম দিনটির কথাই বলেছেন।
ক.জীবনের কোন অনুভূতি দিয়ে ‘কবর’ কবিতা শুরু হয়েছে? ১
খ.‘মাটিরে আমি যে বড় ভালোবাসি’
( বৃদ্ধের এ উক্তিটির তাত্পর্য ব্যাখ্যা করো। ২
প্রশ্নের ‘ক’-এর উত্তর
জীবনের শোকবেদনার অনুভূতি দিয়ে ‘কবর’ কবিতাটি শুরু হয়েছে।
প্রশ্নের ‘খ’-এর উত্তর
মাটিতে ফিরে যেতে হবে বলে দাদুর মাটির প্রতি এমন টান।
‘কবর’ কবিতায় বৃদ্ধ দাদু হারিয়েছেন তাঁর পাঁচ জন প্রিয়জনকে। নিজ হাতে কবর খুঁড়ে দাদু প্রিয়জনদের মৃতদেহ মাটিতে সমাহিত করেছেন। তারা সবাই মিশে আছে মাটির সঙ্গে। বিধাতার ডাকে তাঁকেও একদিন এই মাটিতেই মিশে যেতে হবে। তাই দাদু এ মাটিকে বড় ভালোবাসেন।
উত্তরের সারবস্তু : প্রিয়জনের মৃত্যুতে শোকাবিহ্বল দাদু তাঁর পাঁচ জন প্রিয়জনকে নিজ হাতে মাটিতে সমাহিত করেছেন। তিনিও সেই মাটিতে একদিন সমাহিত হবেন। তাই মাটিকে তিনি অনেক ভালোবাসেন।
ক.‘কুঁড়ি’ শব্দটির ব্যুত্পত্তি নির্দেশ করো। ১
খ.শীত ঋতুকে কবি কেন ‘মাঘের সন্ন্যাসী’
বলেছেন? ২
প্রশ্নের ‘ক’-এর উত্তর
‘কুঁড়ি’ শব্দটির উত্পত্তি হয়েছে ‘কোরক’ (কুঁড়ি < কোরক) শব্দ থেকে।
প্রশ্নের ‘খ’-এর উত্তর
শীত এলে প্রকৃতিতে রিক্ততার ছায়া পড়ে, গাছের পাতা বিবর্ণ হয়ে ঝরে পড়ে, পুষ্প শোভিত বৃক্ষ হয়ে পড়ে পুষ্পহীন। তাই শীতকে মাঘের সন্ন্র্যাসী বলা হয়েছে।
বসন্ত আসার আগে সর্বস্বত্যাগী সন্ন্যাসীর মতো মাঘের শীত কুয়াশার চাদর গায়ে কোথায় যেন মিলিয়ে যায়। আর তাই পত্র-পুষ্পহীন দিগন্তের পানে চলে যাওয়া শীতকে কবি ‘মাঘের সন্ন্যাসী’ বলেছেন।
উত্তরের সারবস্তু : বসন্ত আসার আগে সর্বস্বত্যাগী সন্ন্যাসীর মতো মাঘের শীত কুয়াশার চাদর গায়ে মিলিয়ে যায় বলে কবি শীতকে মাঘের সন্ন্যাসী বলেছেন।
ক.‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার মূল সুর কী? ১
খ.বসন্তের সৌন্দর্য কবির কাছে অর্থহীন কেন? ২
প্রশ্নের ‘ক’-এর উত্তর
‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার মূল সুর হলো কবির ব্যক্তিজীবনের বিষাদময় রিক্ততার সুর।
প্রশ্নের ‘খ’-এর উত্তর
কারণ কবির প্রাণপ্রিয় স্বামী ও কাব্য-সাধনার প্রেরণা-পুরুষের আকস্মিক মৃত্যু কবির অন্তরে যে শূন্যতা সৃষ্টি করেছে।
ঋতুরাজ বসন্ত সৌন্দর্যের অফুরন্ত সম্ভার নিয়ে এ ধরায় আগমন করলেও কবি তাকে সাদরে গ্রহণ করতে পারছেন না। বসন্তের হূদয়গ্রাহী মুগ্ধতার মাঝেও কবি উদাসীন। বসন্তের আগমনী বার্তা যেন তাঁর কাছে পৌঁছায় নি। তাঁর সমগ্র চিত্ত জুড়ে আছে শীতের শূন্যতা। বসন্তের সৌন্দর্যও তাঁর সেই রিক্ততাকে পূরণ করতে ব্যর্থ। আর তাই বসন্তের সৌন্দর্য কবির কাছে অর্থহীন।
উত্তরের সারবস্তু : স্বামীর মৃত্যুতে কবি এতটাই আহত হয়েছেন যে বসন্তের সৌন্দর্য কবির কাছে অর্থহীন।
কবর
ক.‘কবর’ কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত? ১
খ.‘এ কথা লইয়া ভাবী-সাব মোরে তামাশা করিত শত’ - ভাবি-সাব তামাশা করতেন কেন? ২
প্রশ্নের ‘ক’-এর উত্তর
‘কবর’ কবিতাটি ষান্মাত্রিক মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।
প্রশ্নের ‘খ’-এর উত্তর
দেবরের সাথে তামাশা, রসিকতা করা বাঙালি-সংস্কৃতির অন্যতম একটি অংশ। দাদু যুবক বয়সে কিশোরী বধূর মুখখানি বার বার দেখতে ইচ্ছে করত দাদুর তাই ভাবি-সাব তামাশা করতেন।
দাদু খেতে লাঙল নিয়ে যাওয়ার সময়ও তিনি বার বার ফিরে দেখে নিতেন বধূর মুখ। দাদুকে এ বিষয়টি নিয়েই লজ্জায় ফেলবার জন্যে ভাবি-সাব তামাশা করতেন।
উত্তরের সারবস্তু : যুবক বয়সে বৃদ্ধ দাদু খেতে লাঙল নিয়ে যাওয়ার সময়ও ফিরে ফিরে কিশোরী বধূর মুখ দেখতেন বলে তাঁর ভাবি-সাব তাঁকে নিয়ে তামাশা করতেন।
ক.‘গহন’ শব্দের কাব্যিক রূপ কী? ১
খ.‘মোর জীবনের রোজকেয়ামত’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২
প্রশ্নের ‘ক’-এর উত্তর
‘গহন’ শব্দের কাব্যিক রূপ ‘গহীন’।
প্রশ্নের ‘খ’-এর উত্তর
‘মোর জীবনের রোজকেয়ামত’ বলতে বৃদ্ধ দাদুর আকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর দিনটিকে বোঝানো হয়েছে।
বৃদ্ধ দাদু তাঁর জীবনে এক এক করে হারিয়েছেন পাঁচ প্রিয়জনকে। প্রিয়জনের মৃত্যুবেদনায় ক্ষত-বিক্ষত হূদয় নিয়ে বেঁচে থাকা তাঁর জন্যে ভয়াবহ যন্ত্রণার। সেই যন্ত্রণা থেকে নিস্তার পেতে তিনি আকুল হয়ে প্রত্যাশা করেছেন তাঁর জীবনের রোজকেয়ামতের জন্যে।
উত্তরের সারবস্তু : প্রিয়জন হারানোর বেদনায় শোকাবিহ্বল দাদু প্রতীক্ষায় আছেন তাঁর জীবনের অন্তিম দিনের জন্যে। জীবনের রোজকেয়ামত বলতে দাদু জীবনের অন্তিম দিনটির কথাই বলেছেন।
ক.জীবনের কোন অনুভূতি দিয়ে ‘কবর’ কবিতা শুরু হয়েছে? ১
খ.‘মাটিরে আমি যে বড় ভালোবাসি’
( বৃদ্ধের এ উক্তিটির তাত্পর্য ব্যাখ্যা করো। ২
প্রশ্নের ‘ক’-এর উত্তর
জীবনের শোকবেদনার অনুভূতি দিয়ে ‘কবর’ কবিতাটি শুরু হয়েছে।
প্রশ্নের ‘খ’-এর উত্তর
মাটিতে ফিরে যেতে হবে বলে দাদুর মাটির প্রতি এমন টান।
‘কবর’ কবিতায় বৃদ্ধ দাদু হারিয়েছেন তাঁর পাঁচ জন প্রিয়জনকে। নিজ হাতে কবর খুঁড়ে দাদু প্রিয়জনদের মৃতদেহ মাটিতে সমাহিত করেছেন। তারা সবাই মিশে আছে মাটির সঙ্গে। বিধাতার ডাকে তাঁকেও একদিন এই মাটিতেই মিশে যেতে হবে। তাই দাদু এ মাটিকে বড় ভালোবাসেন।
উত্তরের সারবস্তু : প্রিয়জনের মৃত্যুতে শোকাবিহ্বল দাদু তাঁর পাঁচ জন প্রিয়জনকে নিজ হাতে মাটিতে সমাহিত করেছেন। তিনিও সেই মাটিতে একদিন সমাহিত হবেন। তাই মাটিকে তিনি অনেক ভালোবাসেন।
No comments:
Post a Comment