Friday, November 16, 2012

Tips for Study

দিনাজপুর জেলার শীর্ষ স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শতবর্ষী দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। দেশের নারী শিক্ষার প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী স্কুলটির বর্তমান প্রধান শিক্ষক চন্দ্র শেখর ভট্টাচার্য্য। শিক্ষাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সম্প্রতি তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের দিনাজপুর প্রতিনিধি- রিয়াজুল ইসলাম



প্রশ্ন : আপনার স্কুলটি কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?

চন্দ্রশেখর ভট্টাচার্য্য : নারী শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে তৎকালীন জেলা কালেক্টরের স্ত্রী মিসেস রেডনেস'র উদ্যোগে মহারাজা জগদীস নাথের আর্থিক সহায়তায় ১৮৫৪ সালে এটি প্রতিষ্ঠা হয়। প্রতিষ্ঠার শত বছর পর স্কুলটি সরকারি করা হয়।

প্রশ্ন : সৃজনশীল পদ্ধতি শিক্ষার মান উন্নয়নে কতটুকু সহায়ক?

চন্দ্রশেখর ভট্টাচার্য্য : শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক মেধা বিকাশে সৃজনশীল পদ্ধতি সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। তবে এ পদ্ধতিতে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ঠিক যেভাবে হওয়া উচিত সেভাবে হচ্ছে না। তাছাড়া খাতার মূল্যায়নও যথার্থভাবে হচ্ছে না। তবে এ পদ্ধতিতে ফলাফল ভালো হচ্ছে।

প্রশ্ন : শিক্ষার্থীদের আরও বেশি করে স্কুলমুখী করা বা ঝরে পড়া রোধ করার লক্ষ্যে কি করা উচিত?

চন্দ্রশেখর ভট্টাচার্য্য : গ্রামাঞ্চলের যেকোনো স্কুলের চেয়ে শহরের স্কুলে ঝরে পড়ার সংখ্যা খুব কম। বাল্যবিয়ে বন্ধ করা গেলে বিশেষ করে মেয়ে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার সংখ্যা অনেক কমে যাবে। ছেলেমেয়েদের স্কুলমুখী করা এবং ঝরে পড়া রোধে অভিভাবকদের সচেতন হওয়া লাগবে। শিক্ষার্থীরা যাতে শিক্ষকদের দেখে ভয় না পায় সেজন্য পাঠদান সহজ ও আনন্দময় করতে হবে। যেসব শিক্ষার্থী পড়ালেখায় একটু বেশি দুর্বল তাদের প্রতি আলাদা নজর দিয়ে দুর্বলতা দূর করতে হবে। মূল শিক্ষার পাশাপাশি খোলাধুলাসহ তাদের সামগ্রিক মননশীলতা বিকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থী প্রতিটি বিষয় বুঝতে পেরেছে কি না তার প্রতি সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের খেয়াল রাখতে হবে। বুঝতে সমস্যা হলে তা বারবার বলে বুঝিয়ে দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের ওপর কখনই রাগ করা যাবে না। তবেই শিক্ষার্থীরা স্কুলমুখী হবে।

প্রশ্ন : কোচিংনির্ভর শিক্ষার চেয়ে ক্লাসনির্ভর শিক্ষার মধ্যে কোনটা শ্রেয়?

চন্দ্রশেখর ভট্টাচার্য্য : ক্লাসনির্ভর শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। স্কুলে ঠিকমতো প্রতিটি বিষয়ের পাঠদান করা গেলে শিক্ষার্থীদের কোচিংয়ে যাওয়ার কোনো দরকার পড়বে না। এজন্য শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাসে আসা নিশ্চিত করতে হবে। তাছাড়া শিক্ষকদের জন্যও যথার্থ সম্মানির ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রশ্ন : ভালো ফলাফল অর্জনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কি করা উচিত?

চন্দ্রশেখর ভট্টাচার্য্য : শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে তাদের জন্য সব ধরনের সহযোগিতার নিশ্চয়তা দিতে হবে। কোনো বিষয়ে শিক্ষার্থীরা অধিক দুর্বল হলে ঔই বিষয়ের ওপর অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশের চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই ভালো ফলাফল অর্জন সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের সহযোগিতাও খুব জরুরি।

প্রশ্ন : এইচএসসি অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আপনার পরামর্শ কি?

চন্দ্রশেখর ভট্টাচার্য্য : উচ্চমাধ্যমিকের সময়টা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। এ সময়টার যথার্থ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তাই অভিভাবকদের উচিত তাদের সন্তানদের সার্বক্ষণিক চোখে চোখে রাখা যাতে তারা বিপথে চলে না যায়। তাছাড়া শিক্ষার্থীদেরও বুঝতে হবে প্রতিযোগিতামূলক এ বিশ্বে সর্বোচ্চ পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই। তবে তোমাদের শুধু পাঠ্যবই নিয়ে ব্যস্ত থাকলেই চলবে না। ইংরেজি, তথ্যপ্রযুক্তিসহ সব বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তাহলেই জীবনে ভালো কিছু করতে পারবে।


No comments:

Post a Comment

Composition on Female Education in Bangladesh for Examination

  Female Education in Bangladesh Education is a light to which everybody has the equal right. Education is the backbone of a nation. The ...