মহেশ
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
প্রশ্ন: গফুর মহেশকে কসাইয়ের কাছে বেচতে চায় না কেন?
উত্তর: প্রতিবেশীর বাগানের গাছপালা নষ্ট করায় মহেশকে খোঁয়াড়ে দেয় মানিক ঘোষেরা। দরিদ্রের একমাত্র সম্বল পিতলের থালাটা বন্দক দিয়ে মহেশকে ছাড়িয়ে আনে গফুর। রাগের মাথায় মহেশকে বিক্রি করার জন্য বায়না হিসেবে কসাইয়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আসে সে। কিন্তু কসাই পরদিন মহেশকে নিতে এলে গফুর বাধা দেয়। তার প্রিয় মহেশকে জবাই করে কসাইরা বিক্রি করবে, এ কথা সে স্বাভাবিক অবস্থায় ভাবতেও পারে না। তাই সে মহেশকে কসাইয়ের কাছে বেচতে চায় না।
জাগো গো ভগিনী
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন:
১। নারী জাগরণের মূলমন্ত্র কী?
উত্তর: নারী জাগরণের মূলমন্ত্র হলো নারীশিক্ষা।
২। শিক্ষার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বেগম রোকেয়া কী বলেছেন?
উত্তর: ঈশ্বর যে স্বাভাবিক জ্ঞান বা ক্ষমতা দিয়েছেন, সেই ক্ষমতাকে অনুশীলন দ্বারা বৃদ্ধি করাই শিক্ষা।
৩। লেখিকা কাদের জেগে ওঠার কথা বলেছেন?
উত্তর: নারী জাতির।
৪। বাংলার মুসলমান নারীদের জাগরণের পথিকৃৎ কে?
উত্তর: বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন।
৫। লেখকের মতে কোন বিদ্যাকে প্রকৃত শিক্ষা বলি না?
উত্তর: পাস করা বিদ্যাকে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
প্রশ্ন: পাস করা বিদ্যাকে লেখিকা ‘প্রকৃত শিক্ষা’ বলেননি কেন?
উত্তর: যে শিক্ষা নিছক মুখস্থ বা অনুকরণের বিদ্যা, তা প্রকৃত শিক্ষা নয়। বরং নিজস্ব সৃজনশীলতা ও ব্যক্তিত্বের বিকাশ হয় যে শিক্ষায়, তা-ই প্রকৃত শিক্ষা। তাই কেবল পাস করা বিদ্যাকে লেখিকা প্রকৃত শিক্ষা মনে করেন না।
প্রশ্ন: নারীর পক্ষে স্বাধীনভাবে জীবিকা অর্জনের উপায় কী?
উত্তর: নারীরা স্বাধীনভাবে লেডি-কেরানি হতে পারে, লেডি-ম্যাজিস্ট্রেট, লেডি-ব্যারিস্টার ও লেডি-জজ হতে পারে। তা ছাড়া প্রয়োজন হলে রাজকীয় কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে যদি নাও পারে, তবে কৃষিতে প্রবেশ করে নারীরা স্বাধীনভাবে জীবিকা অর্জন করতে পারবে।
প্রশ্ন: ‘নারী সমাজেরই অর্ধ-অঙ্গ’—এ কথার তাৎপর্য কী?
উত্তর: নারী ও পুরুষের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে এ পৃথিবী এত সুন্দর ও সাবলীল। সমাজের, দেশের তথা পৃথিবীর উন্নতি শুধু পুরুষের হাতে বদ্ধ নয়, নারীর অংশগ্রহণে তার অর্ধেকটা সম্ভব হতে পারে বলেই লেখিকা নারীকে সমাজের অর্ধেক অঙ্গ বলেছেন।
প্রশ্ন: দেশের উপযুক্ত কন্যার মর্যাদা পেতে হলে নারীকে কী কী কাজ করতে হবে?
উত্তর: নারীর আত্মোন্নয়নের জন্য নিজ থেকে তাকে পুরুষের সমকক্ষীয় মনে করতে হবে। কারণ, উপযুক্ত কন্যা না থাকলে সর্বাগ্রে উন্নয়নের দেখা পাওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নিজের অবস্থান দেশে শক্ত করতে পারলেই নারী উপযুক্ত কন্যার মর্যাদা লাভ করতে পারে।
পল্লীসাহিত্য
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন:
১। মনসুর বয়াতী কে ছিলেন?
উত্তর: ‘দেওয়ানা-মদিনা’ লোকগাথার প্রখ্যাত কবি।
২। ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ সম্পাদনা করেন কে?
উত্তর: ড. দীনেশচন্দ্র সেন।
৩। মদিনা বিবি কে?
উত্তর: ‘দেওয়ানা-মদিনা’র নায়িকা।
৪। ‘জাঁ ক্রিস্তফ’ কার অমূল্য কীর্তি? উত্তর: রোঁমা রোঁলার।
৫। পল্লীসাহিত্যে কাদের অধিকার সমান?
উত্তর: পল্লীজননীর হিন্দু-মুসলমান সব সন্তানের।
৬। ‘দেওয়ানা-মদিনা’ লোকগাথার নায়িকার নাম কী?
উত্তর: ‘দেওয়ানা-মদিনা’ লোকগাথার নায়িকার নাম মদিনা বিবি।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
প্রশ্ন: ‘এগুলি সরস প্রাণের জীবন্ত উৎস’—পল্লীসাহিত্যের কোন দিকটি সম্পর্কে এ মন্তব্য করা হয়েছে?
উত্তর: উক্তিটিকে পল্লীসাহিত্যের ছড়ার কথা বলা হয়েছে। ছড়া কাটতে কাটতে ছেলেমেয়েরা সময় কাটাত, মায়েরা ঘুমপাড়ানির গান গেয়ে বাচ্চাদেরও ঘুম পাড়াতেন। আজ এগুলো বিলুপ্তির পথে। লেখক এগুলোকেই বলেছেন সরস প্রাণের জীবন্ত উৎস।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
প্রশ্ন: গফুর মহেশকে কসাইয়ের কাছে বেচতে চায় না কেন?
উত্তর: প্রতিবেশীর বাগানের গাছপালা নষ্ট করায় মহেশকে খোঁয়াড়ে দেয় মানিক ঘোষেরা। দরিদ্রের একমাত্র সম্বল পিতলের থালাটা বন্দক দিয়ে মহেশকে ছাড়িয়ে আনে গফুর। রাগের মাথায় মহেশকে বিক্রি করার জন্য বায়না হিসেবে কসাইয়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আসে সে। কিন্তু কসাই পরদিন মহেশকে নিতে এলে গফুর বাধা দেয়। তার প্রিয় মহেশকে জবাই করে কসাইরা বিক্রি করবে, এ কথা সে স্বাভাবিক অবস্থায় ভাবতেও পারে না। তাই সে মহেশকে কসাইয়ের কাছে বেচতে চায় না।
জাগো গো ভগিনী
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন:
১। নারী জাগরণের মূলমন্ত্র কী?
উত্তর: নারী জাগরণের মূলমন্ত্র হলো নারীশিক্ষা।
২। শিক্ষার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বেগম রোকেয়া কী বলেছেন?
উত্তর: ঈশ্বর যে স্বাভাবিক জ্ঞান বা ক্ষমতা দিয়েছেন, সেই ক্ষমতাকে অনুশীলন দ্বারা বৃদ্ধি করাই শিক্ষা।
৩। লেখিকা কাদের জেগে ওঠার কথা বলেছেন?
উত্তর: নারী জাতির।
৪। বাংলার মুসলমান নারীদের জাগরণের পথিকৃৎ কে?
উত্তর: বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন।
৫। লেখকের মতে কোন বিদ্যাকে প্রকৃত শিক্ষা বলি না?
উত্তর: পাস করা বিদ্যাকে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
প্রশ্ন: পাস করা বিদ্যাকে লেখিকা ‘প্রকৃত শিক্ষা’ বলেননি কেন?
উত্তর: যে শিক্ষা নিছক মুখস্থ বা অনুকরণের বিদ্যা, তা প্রকৃত শিক্ষা নয়। বরং নিজস্ব সৃজনশীলতা ও ব্যক্তিত্বের বিকাশ হয় যে শিক্ষায়, তা-ই প্রকৃত শিক্ষা। তাই কেবল পাস করা বিদ্যাকে লেখিকা প্রকৃত শিক্ষা মনে করেন না।
প্রশ্ন: নারীর পক্ষে স্বাধীনভাবে জীবিকা অর্জনের উপায় কী?
উত্তর: নারীরা স্বাধীনভাবে লেডি-কেরানি হতে পারে, লেডি-ম্যাজিস্ট্রেট, লেডি-ব্যারিস্টার ও লেডি-জজ হতে পারে। তা ছাড়া প্রয়োজন হলে রাজকীয় কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে যদি নাও পারে, তবে কৃষিতে প্রবেশ করে নারীরা স্বাধীনভাবে জীবিকা অর্জন করতে পারবে।
প্রশ্ন: ‘নারী সমাজেরই অর্ধ-অঙ্গ’—এ কথার তাৎপর্য কী?
উত্তর: নারী ও পুরুষের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে এ পৃথিবী এত সুন্দর ও সাবলীল। সমাজের, দেশের তথা পৃথিবীর উন্নতি শুধু পুরুষের হাতে বদ্ধ নয়, নারীর অংশগ্রহণে তার অর্ধেকটা সম্ভব হতে পারে বলেই লেখিকা নারীকে সমাজের অর্ধেক অঙ্গ বলেছেন।
প্রশ্ন: দেশের উপযুক্ত কন্যার মর্যাদা পেতে হলে নারীকে কী কী কাজ করতে হবে?
উত্তর: নারীর আত্মোন্নয়নের জন্য নিজ থেকে তাকে পুরুষের সমকক্ষীয় মনে করতে হবে। কারণ, উপযুক্ত কন্যা না থাকলে সর্বাগ্রে উন্নয়নের দেখা পাওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নিজের অবস্থান দেশে শক্ত করতে পারলেই নারী উপযুক্ত কন্যার মর্যাদা লাভ করতে পারে।
পল্লীসাহিত্য
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন:
১। মনসুর বয়াতী কে ছিলেন?
উত্তর: ‘দেওয়ানা-মদিনা’ লোকগাথার প্রখ্যাত কবি।
২। ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ সম্পাদনা করেন কে?
উত্তর: ড. দীনেশচন্দ্র সেন।
৩। মদিনা বিবি কে?
উত্তর: ‘দেওয়ানা-মদিনা’র নায়িকা।
৪। ‘জাঁ ক্রিস্তফ’ কার অমূল্য কীর্তি? উত্তর: রোঁমা রোঁলার।
৫। পল্লীসাহিত্যে কাদের অধিকার সমান?
উত্তর: পল্লীজননীর হিন্দু-মুসলমান সব সন্তানের।
৬। ‘দেওয়ানা-মদিনা’ লোকগাথার নায়িকার নাম কী?
উত্তর: ‘দেওয়ানা-মদিনা’ লোকগাথার নায়িকার নাম মদিনা বিবি।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
প্রশ্ন: ‘এগুলি সরস প্রাণের জীবন্ত উৎস’—পল্লীসাহিত্যের কোন দিকটি সম্পর্কে এ মন্তব্য করা হয়েছে?
উত্তর: উক্তিটিকে পল্লীসাহিত্যের ছড়ার কথা বলা হয়েছে। ছড়া কাটতে কাটতে ছেলেমেয়েরা সময় কাটাত, মায়েরা ঘুমপাড়ানির গান গেয়ে বাচ্চাদেরও ঘুম পাড়াতেন। আজ এগুলো বিলুপ্তির পথে। লেখক এগুলোকেই বলেছেন সরস প্রাণের জীবন্ত উৎস।
No comments:
Post a Comment