Saturday, November 3, 2012

পরীক্ষার দিনগুলোতে বাবা-মার করণীয়

রীক্ষার ঠিক  আগে বাবা-মায়ের করার মতো কিছু প্রাকটিক্যাল কাজ রয়েছে।
পরীক্ষার টাইমটেবলটা বাবা-মা’রা যেন ভালো করে দেখে নেন। কোন পরীক্ষা কবে, ক’টায়, সে সম্পর্কে একেবারে ঠিকঠাক জানতে হবে।
পরীক্ষার দিন সকালবেলা যেন তাড়াহুড়ো না করতে হয়, সে জন্য আগের দিন থেকে কলম, অ্যাডমিট কার্ড, ক্যালকুলেটর, যা যা দরকার সব রাখতে হবে গুছিয়ে। পরীক্ষার কেন্দ্র কোথায়, চেনা না থাকলে আগে দেখে রাখতে হবে, যাতে পরীক্ষার প্রথম দিন খুঁজতে না হয়।
পরীক্ষার আগের দিনগুলোতে এমন কিছু করা ঠিক নয়, যাতে পরীক্ষার্থী উত্তেজিত হয়, তার ভাবনা-চিন্তার স্বাভাবিক ছন্দটা বিঘিœত হয়।
পারিবারিক কোন অনুষ্ঠান বা পার্টি, কিংবা কোন দুর্ঘটনা বা খারাপ সংবাদ নিয়ে পরিবারে আলোচনা, হৈচৈ-এ বিষয়গুলো আপনার সন্তানের মনকে বিক্ষিপ্ত করবে। মনকে শান্ত, স্থির রাখা দরকার। সে জন্য তার দিকে একটু বাড়তি খেয়াল রাখুন।
সেই সঙ্গে শরীরের দিকেও নজর রাখতে হবে। পরীক্ষার আগের দিন বেশি রাত পর্যন্ত পড়া ঠিক নয়। খাওয়া নিয়েও সাবধান হতে হবে।
বাইরের খাবার খেয়ে শরীর খারাপ হলো, পরীক্ষা ভালো হলো না, এমন যেন না হয়।
অনেক বাবা-মাকেই, ছেলেমেয়ে পরীক্ষা দিয়ে বেরুনোর সঙ্গে সঙ্গে ‘কেমন হলো?’ ‘কী লিখলি?’ প্রশ্ন করে বসেন। বাবা বা অভিভাবকদের মধ্যে কেউ হয়তো অঙ্কের পুরো প্রশ্নপত্রটা গুণে বললেন, ‘তুমি তেষট্টি পেয়েছ।’ মা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জিজ্ঞেস করছেন, ‘এটার উত্তরে কী লিখেছ? ওটার উত্তরে কী লিখেছ?’ এমন তাৎক্ষণিক মূল্যায়ন করে কী লাভ হয়? শিক্ষার্থীর এতে কোন লাভই হয় না। এসব না করে তাকে পরের পরীক্ষার ওপর ফোকাস করতে সাহায্য করা দরকার। যদি ছেলে বা মেয়ে নিজে বলতে চায় সে কী লিখেছে, তাকে বলতে দিন। বাবা-মার অতি উৎসাহী প্রশ্ন করার প্রয়োজন নেই। এতে করে ক্ষতিই হয়।
ঝালিয়ে নেয়ার টেকনিক
পরীক্ষার আগের যে রিভিশন, তারও কিছু টেকনিক রয়েছে। পরীক্ষার আগের দিনের রিভিশন কেমন হবে, তার প্রস্তুতি নিতে হবে আগে থাকতেই। পুরো সিলেবাসটা পড়তে গেলে রাত তিনটা বেজে যাবে। এভাবে ভাবাই উচিত নয়। দরকার হচ্ছে, প্রতিটা বিষয়কে সংক্ষিপ্ত করে এমনভাবে লিখে রাখা, যাতে সেগুলো দেখা মাত্রই উত্তরটা মনে পড়ে যাবে।
খুব বেশি দরকার হলে বই খুলে দেখবে। অঙ্কে আলাদা আলাদা খাতা থাকবে, এক একটা বিভাগের জন্য। কোন খাতায় কোন কোন ধরনের অঙ্ক রয়েছে, ওপরেই লিখে রাখা দরকার। পরীক্ষার আগের দিন খাতাগুলো দেখে নিলেই হবে। বিশেষ করে নজর করতে হবে ভুলগুলোকে।
এই ধরনের গাইডেন্স বাবা-মাকেই তার সন্তানকে দিতে হবে। এতে করে তাদের মানসিকভাবে অনেক তৃপ্ত বোধ করবে। যার ফলশ্রুতিতে তাদের রেজাল্ট অনেক ভালো হবে।পরীক্ষার দিন উত্তর লেখার সময়ে যা যা করতে হবে, সেগুলোও আগে থেকে প্র্যাকটিস করা দরকার। বাবা-মাকে এ বিষয়ে নজর করতে পারেন, সাহায্য করতে পারেন।

No comments:

Post a Comment

Composition on Female Education in Bangladesh for Examination

  Female Education in Bangladesh Education is a light to which everybody has the equal right. Education is the backbone of a nation. The ...