স্বার্থবোধক বিশেষ্য বা বিশেষণ হতে পারে।
বিশেষ্য+বিশেষ্য_ যিনি জজ তিনিই সাহেব-জজসাহেব
বিশেষণ+বিশেষণ_ যে শান্ত সেই শিষ্ট-শান্তশিষ্ট
বিশেষণ+বিশেষ্য_ মহান যে ঋষি-মহর্ষি
মধ্যপদলোপী কর্মধারয়_ যে কর্মধারয় সমাসে বাসবাক্যের মাঝের পদগুলো লোপ পায়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে।
যেমন প্রীতি উপলক্ষে ভোজ = প্রীতিভোজ
সাহিত্য বিষয়ক সভা=সাহিত্য সভা
উপমিত কর্মধারয় সমাস চেনার উপায়
উপমেয় পদটি আগে থাকবে তারপর উপমান এবং শেষে সাদৃশ্যবাচক শব্দ বসে। উপমিত কর্মধারয়ে উভয় পদ-ই বিশেষ্য এবং সমস্ত পদটিও বিশেষ্য হয়।
যেমন : উপমেয়+ উপমান + ন্যায়
মুখ চন্দ্রের ন্যায়
যদি প্রশ্ন করা হয়, কী কীসের মতো? তাহলে উত্তরে পাওয়া যাচ্ছে মুখ চন্দ্রের মতো/ন্যায়।
রূপক কর্মধারয় সমাস_ রূপক কর্মধারয় সমাসে উপমেয় ও উপমান পদে সমাস হয় এবং উভয়ের মধ্যে অভেদ কল্পনা করা হয়। এই সমাসে উপমান পদটি পরে বসে এবং ব্যাসবাক্যে উপমেয় ও উপমানের মাঝে রূপ শব্দটি বসে উভয়ের মধ্যে অভিন্নতা কল্পনা করা হয়। সমস্ত পদটি বিশেষ্য হয়।
এ সমাস চেনার সহজ উপায়
প্রথমে উপমেয় ও পরে উপমান পদ হবে।
আর প্রথম অংশটি অদৃশ্যমান অর্থাৎ উপলব্ধিবাচক ধরাছোঁয়া যায় না। পরপদটি দৃশ্যমান অর্থাৎ ধরাছোঁয়া যায়।
যেমন : প্রাণ রূপ পাখি = প্রাণপাখি
ক্রোধ রূপ অনল = ক্রোধানল।
বানানের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। বিশেষ করে গল্প, কবিতার নাম এবং লেখকের নাম শুদ্ধ করে লিখতে হবে। কোন ধরনের রচনা যেমন_ গল্প, উপন্যাস, না প্রবন্ধ_ তা সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে।
ষপ্রশ্নোত্তর অবশ্যই প্রাসঙ্গিক হতে হবে। অর্থাৎ যা চাওয়া হয়েছে তা-ই আলোচনা করতে হবে, অপ্রাসঙ্গিক বিষয় বেশি লিখে উত্তর বড় করার কোনো প্রয়োজন নেই।
ষপ্রশ্নোত্তরে 'ভূমিকা', 'উপসংহার' ইত্যাদি বাহুল্য শিরোনামের প্রয়োজন নেই। পয়েন্ট উল্লেখ না করে বিষয়বস্তু আলাদা প্যারা করে লেখা ভালো।
ষকবিতার প্রশ্নোত্তরের ক্ষেত্রে কবিতার ভাববস্তু বা তাৎপর্য বিশ্লেষণ করতে গিয়ে কোনোভাবেই কবিতার ভাবের বহির্ভূত কোনো বিষয় উপস্থাপন করা যাবে না।
ষব্যাখ্যা লেখার ক্ষেত্রে যথার্থ প্রসঙ্গ উল্লেখ করা অপরিহার্য। তবে উৎস, প্রসঙ্গ, বিশ্লেষণ ইত্যাদি শিরোনাম না উল্লেখ করাই শ্রেয়।
ষসংক্ষিপ্ত প্রশ্নে যা চাওয়া হয়েছে, তার যথার্থ উত্তর থাকা চাই।
ষপ্রশ্নোত্তরে সাধু-চলিত মিশ্রণ পরিহার করতে হবে। তবে উদ্ধৃতির ক্ষেত্রে সাধু ভাষায় লিখিত বাক্য সাধুতেই লিখতে হবে। এ ক্ষেত্রে উদ্ধৃত লাইনের শুরুতে এবং শেষে উদ্ধৃতি চিহ্ন ["............."] ব্যবহার করতে হবে।
ষসারাংশ লেখার সময় মূল ভাব যত সংক্ষেপে লেখা যায়, ততই ভালো। দু'তিনটি বাক্যে মূল ভাব ব্যক্ত করতে হবে।
ষউত্তরপত্রে সুন্দর হাতের লেখার প্রতি মূল্যায়নকারীর মনস্তাত্তি্বক প্রভাব পড়ে বলেই হাতের লেখার প্রতি যত্নবান হতে হবে।
ষপ্রথম পত্রে বেশি লিখতে হয়, এ জন্য লেখার গতি বাড়াতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নোত্তরের জন্য সময় নির্ধারণ করে নিলে সুবিধা হয়। বড় প্রশ্নের জন্য ১০ মিনিট এবং ছোট প্রশ্নের জন্য ৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা যেতে পারে।
হ বাংলা দ্বিতীয় পত্র
ষব্যাকরণে পূর্ণ নম্বর পাওয়া সম্ভব। কাজেই প্রশ্ন নির্বাচনে সতর্ক থাকতে হবে। যেগুলোর উত্তর নির্ভুলভাবে দিতে পারবে, সেগুলোই নির্বাচন করবে।
ষব্যক্তিগত পত্রের ক্ষেত্রে পত্রের শুরুতে সম্বোধন এবং শেষে প্রাপকের ঠিকানা অবশ্যই থাকতে হবে।
ষআবেদনপত্র নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে লিখতে হবে।
ষভাষণে সম্বোধন অংশ সঠিকভাবে লিখতে হবে। একই বক্তব্য যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
ষপ্রতিবেদনের ক্ষেত্রে প্রতিবেদনের শিরোনাম, প্রতিবেদকের নাম, স্থান ও তারিখ উল্লেখ করতে হবে।
ষসমসাময়িক ও বিষয়ভিত্তিক প্রবন্ধ রচনার ক্ষেত্রে তথ্য, তত্ত্ব ও উপাদান নির্ভুল এবং সাম্প্রতিক হতে হবে।
No comments:
Post a Comment