উপমাবাচক কর্মধারয় সমাস :উপমাবাচক কর্মধারয় সমাসে দুটি বস্তু বা বিষয়ের
সাদৃশ্য বা তুলনা করা হয়। যার সঙ্গে তুলনা করা হয় তাকে বলে উপমান। যাকে
তুলনা করা হয় তাকে বলে উপমেয়। আর যে বিষয়ে তুলনা করা হয় তাকে বলা হয় সাধারণ
ধর্ম।
এই উপমাবাচক কর্মধারয় সমাসকে তিন শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। যথা_
১. উপমান কর্মধারয়
২. উপমিত কর্মধারয়
৩. রূপক কর্মধারয়।
উপমান শব্দের অর্থ তুলনীয় বস্তু
উপমান কর্মধারয়কে চেনার সহজ উপায়
তুলনীয় বস্তুটি অর্থাৎ যার সঙ্গে তুলনা করা হয় (উপমান) সেটি প্রথমে থাকবে, পরে সাদৃশ্যবাচক শব্দ (ন্যায়, মতো) এবং শেষে সাধারণ ধর্ম থাকবে।
এখানে উপমেয় পদটি প্রায়ই উহ্য থাকে এবং সমস্ত পদটি বিশ্লেষণ হয়। যেমন : বজ্রের ন্যায় কঠিন = বজ্রকঠিন। এখানে বজ্র উপমান, কঠিন হলো সাধারণ ধর্ম।
উপমান+ন্যায়+সাধারণ ধর্ম
বিশেষ্যের ন্যায় বিশেষণ অর্থাৎ প্রশ্ন করলে কীসের মতো কী?
তুষারের ন্যায় শুভ্র
উপমিত কর্মধারয় : যে কর্মধারয় সমাসে সাধারণ ধর্মের কোনো উল্লেখ থাকে না, শুধু উপমেয় পদের সঙ্গে উপমান পদের সমাস হয়, তাকে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলে।
কর্মধারয় সমাস
দুটি বিশেষ্য বা দুটি বিশেষণ পদের অথবা বিশেষণের সঙ্গে বিশেষ্য পদের যোগে যে সমাস হয় এবং সাধারণত পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে।
যেমন : বিশেষ্য+বিশেষ্য_ যিনি শিক্ষক তিনিই মহাশয় = শিক্ষক মহাশয়
বিশেষণ+বিশেষ্য-নীল যে পদ্ম_ নীলপদ্ম
বিশেষণ+বিশেষণ-যে চালাক সেই চতুর-চালাকচতুর।
কর্মধারয় সমাসকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
যথা_ ১. সাধারণ কর্মধারয়
২। মধ্যপদলোপী কর্মধারয়
৩। উপমাবাচক কর্মধারয়
সাধারণ কর্মধারয় : সাধারণ কর্মধারয় সমাসে উত্তর পদ অর্থাৎ পরপদ বিশেষ্য এবং পূর্বপদ তার বিশেষণ কিংবা উভয়ই একার্থবোধক বিশেষ্য বা বিশেষণ হতে পারে।
দ্বিগু সমাস
যে সমাসে পূর্বপদটি সংখ্যাবাচক বিশেষণ, পরপদটি বিশেষ্য এবং সমস্ত পদটির দ্বারা সমাহার বা সমষ্টি বোঝায়, তাকে দ্বিগু সমাস বলে।
যেমন_ শত অব্দের সমাহার=শতাব্দী
পঞ্চ নদীর সমাহার=পঞ্চনদ ইত্যাদি।
তৎপুরুষ সমাস
যে সমাসে পূর্বপদের বিভক্তি বা অনুসর্গ লোপ পায় এবং পরপদের অর্থ প্রধান হয় তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে।
যেমন_ সুখকে প্রাপ্ত= সুখপ্রাপ্ত
রাজার পুত্র=রাজপুত্র
তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদের সঙ্গে উত্তরপদের সম্বন্ধ হয়_ কর্ম, করণ, অপাদান, অধিকরণ এবং সম্বন্ধ সম্পর্কে নানাভাবে। সেই দিক থেকে তৎপুরুষ সমাসকে বাংলা ব্যাকরণে কর্ম, করণ, অপাদান, অধিকরণ, সম্বন্ধ, নিমিত্ত উপপদ ও নঞ্- এই আট ভাগে ভাগ করা হয়। অলুক সমাস প্রকৃতপক্ষে কোনো স্বতন্ত্র সমাস নয়। একমাত্র কর্মতৎপুরুষ ছাড়া অন্য সব তৎপুরুষ সমাসেই অলুক আছে।
যেমন_ অলুক করণ- তাতে বোনা, চোখে দেখা, হাতে কাটা অলুক অপাদান : গাছের ফল, নদীর মাছ। অলুক নিমিত্ত তৎপুরুষ_ ভুলের মাশুল, বইয়ের তাক, খেলার মাঠ।
অলুক অধিকরণ তৎপুরুষ_ অঙ্কে কাঁচা, গোড়ায় গলদ।
অলুক সম্বন্ধ তৎপুরুষ- ঘোড়ার ডিম, মাটির মানুষ।
অলুক উপপদ তৎপুরুষ_ স্কুলে পড়া, জলে পড়া, গায়ে পড়া।
নঞ্ তৎপুরুষ_ নঞ্ একটি অব্যয়। নঞ্ অব্যয়কে পূর্বপদ করে উত্তরপদ বিশেষ্য বা বিশেষণের সঙ্গে যে সমাস হয় তাকে নঞ্ তৎপুরুষ সমাস বলে। এই সমাসে পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায়। নঞ্ তৎপুরুষ সমাসে নঞ্ অব্যয়টি 'না' এবং 'নয়' অর্থে ব্যবহৃত হয়, কিন্তু নঞ্ বহুব্রীহি সমাসে শুধু 'নাই' অর্থে ব্যবহৃত হয়। নঞ্ তৎপুরুষ চেনার আরও সহজ উপায় হলো সমস্ত পদের প্রথমে অ, অন, বে, নি, নির, না, গর উপসর্গ থাকবে এবং সমস্ত পদটি অব্যক্তিবাচক হবে কিন্তু নঞ্ বহুব্রীহির সমস্ত পদটি ব্যক্তবাচক হবে। (তবে ব্যতিক্রম : অভদ্র, অমানুষ, নাবালক) নঞ্ তৎপুরুষের বেলায়।
এই উপমাবাচক কর্মধারয় সমাসকে তিন শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। যথা_
১. উপমান কর্মধারয়
২. উপমিত কর্মধারয়
৩. রূপক কর্মধারয়।
উপমান শব্দের অর্থ তুলনীয় বস্তু
উপমান কর্মধারয়কে চেনার সহজ উপায়
তুলনীয় বস্তুটি অর্থাৎ যার সঙ্গে তুলনা করা হয় (উপমান) সেটি প্রথমে থাকবে, পরে সাদৃশ্যবাচক শব্দ (ন্যায়, মতো) এবং শেষে সাধারণ ধর্ম থাকবে।
এখানে উপমেয় পদটি প্রায়ই উহ্য থাকে এবং সমস্ত পদটি বিশ্লেষণ হয়। যেমন : বজ্রের ন্যায় কঠিন = বজ্রকঠিন। এখানে বজ্র উপমান, কঠিন হলো সাধারণ ধর্ম।
উপমান+ন্যায়+সাধারণ ধর্ম
বিশেষ্যের ন্যায় বিশেষণ অর্থাৎ প্রশ্ন করলে কীসের মতো কী?
তুষারের ন্যায় শুভ্র
উপমিত কর্মধারয় : যে কর্মধারয় সমাসে সাধারণ ধর্মের কোনো উল্লেখ থাকে না, শুধু উপমেয় পদের সঙ্গে উপমান পদের সমাস হয়, তাকে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলে।
কর্মধারয় সমাস
দুটি বিশেষ্য বা দুটি বিশেষণ পদের অথবা বিশেষণের সঙ্গে বিশেষ্য পদের যোগে যে সমাস হয় এবং সাধারণত পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে।
যেমন : বিশেষ্য+বিশেষ্য_ যিনি শিক্ষক তিনিই মহাশয় = শিক্ষক মহাশয়
বিশেষণ+বিশেষ্য-নীল যে পদ্ম_ নীলপদ্ম
বিশেষণ+বিশেষণ-যে চালাক সেই চতুর-চালাকচতুর।
কর্মধারয় সমাসকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
যথা_ ১. সাধারণ কর্মধারয়
২। মধ্যপদলোপী কর্মধারয়
৩। উপমাবাচক কর্মধারয়
সাধারণ কর্মধারয় : সাধারণ কর্মধারয় সমাসে উত্তর পদ অর্থাৎ পরপদ বিশেষ্য এবং পূর্বপদ তার বিশেষণ কিংবা উভয়ই একার্থবোধক বিশেষ্য বা বিশেষণ হতে পারে।
দ্বিগু সমাস
যে সমাসে পূর্বপদটি সংখ্যাবাচক বিশেষণ, পরপদটি বিশেষ্য এবং সমস্ত পদটির দ্বারা সমাহার বা সমষ্টি বোঝায়, তাকে দ্বিগু সমাস বলে।
যেমন_ শত অব্দের সমাহার=শতাব্দী
পঞ্চ নদীর সমাহার=পঞ্চনদ ইত্যাদি।
তৎপুরুষ সমাস
যে সমাসে পূর্বপদের বিভক্তি বা অনুসর্গ লোপ পায় এবং পরপদের অর্থ প্রধান হয় তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে।
যেমন_ সুখকে প্রাপ্ত= সুখপ্রাপ্ত
রাজার পুত্র=রাজপুত্র
তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদের সঙ্গে উত্তরপদের সম্বন্ধ হয়_ কর্ম, করণ, অপাদান, অধিকরণ এবং সম্বন্ধ সম্পর্কে নানাভাবে। সেই দিক থেকে তৎপুরুষ সমাসকে বাংলা ব্যাকরণে কর্ম, করণ, অপাদান, অধিকরণ, সম্বন্ধ, নিমিত্ত উপপদ ও নঞ্- এই আট ভাগে ভাগ করা হয়। অলুক সমাস প্রকৃতপক্ষে কোনো স্বতন্ত্র সমাস নয়। একমাত্র কর্মতৎপুরুষ ছাড়া অন্য সব তৎপুরুষ সমাসেই অলুক আছে।
যেমন_ অলুক করণ- তাতে বোনা, চোখে দেখা, হাতে কাটা অলুক অপাদান : গাছের ফল, নদীর মাছ। অলুক নিমিত্ত তৎপুরুষ_ ভুলের মাশুল, বইয়ের তাক, খেলার মাঠ।
অলুক অধিকরণ তৎপুরুষ_ অঙ্কে কাঁচা, গোড়ায় গলদ।
অলুক সম্বন্ধ তৎপুরুষ- ঘোড়ার ডিম, মাটির মানুষ।
অলুক উপপদ তৎপুরুষ_ স্কুলে পড়া, জলে পড়া, গায়ে পড়া।
নঞ্ তৎপুরুষ_ নঞ্ একটি অব্যয়। নঞ্ অব্যয়কে পূর্বপদ করে উত্তরপদ বিশেষ্য বা বিশেষণের সঙ্গে যে সমাস হয় তাকে নঞ্ তৎপুরুষ সমাস বলে। এই সমাসে পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায়। নঞ্ তৎপুরুষ সমাসে নঞ্ অব্যয়টি 'না' এবং 'নয়' অর্থে ব্যবহৃত হয়, কিন্তু নঞ্ বহুব্রীহি সমাসে শুধু 'নাই' অর্থে ব্যবহৃত হয়। নঞ্ তৎপুরুষ চেনার আরও সহজ উপায় হলো সমস্ত পদের প্রথমে অ, অন, বে, নি, নির, না, গর উপসর্গ থাকবে এবং সমস্ত পদটি অব্যক্তিবাচক হবে কিন্তু নঞ্ বহুব্রীহির সমস্ত পদটি ব্যক্তবাচক হবে। (তবে ব্যতিক্রম : অভদ্র, অমানুষ, নাবালক) নঞ্ তৎপুরুষের বেলায়।
No comments:
Post a Comment