Saturday, November 10, 2012

Exclusive Tips for PEC Exam


 


 
খাতা পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করবে
 

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিও। আর কয়েকদিন পরই তোমাদের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। আশা করি, ইতিমধ্যে তোমাদের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। এখন শুধু রিভিশন করো। এ সময় আর নতুন করে কিছু পড়তে যেও না, বরং পুরনো বিষয়গুলোই বারবার পড়ে আত্মস্থ করে ফেলো। পরীক্ষার হলে গিয়ে মাথা ঠাণ্ডা রাখবে। প্রশ্নপত্র হাতে এলে প্রথমে সম্পূর্ণ প্রশ্নটি ভালো করে পড়বে। তারপর যে প্রশ্নটির উত্তর তুমি সবচেয়ে ভালো পারো সেটির উত্তর আগে দেবে। পরীক্ষার খাতায় সুন্দর করে মার্জিন করবে। পেন্সিল দিয়ে মার্জিন করাই ভালো। খাতায় কখনোই লাল, গোলাপি বা মেরুন কালারের সাইন পেন/মার্কার ব্যবহার করবে না। যদি মার্কিং করতেই চাও তাহলে সবুজ/নীল মার্কার ব্যবহার করবে। প্রশ্নের উত্তর খুব বেশি বড় না করে টু দ্য পয়েন্টে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবে। যতদূর সম্ভব খাতা পরিচ্ছন্ন এবং কাটাকাটিমুক্ত রাখবে। কোনো কিছু যদি কাটতেই হয় তাহলে একটান দিয়ে কেটে দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের অন্তত ১০ মিনিট আগে লেখা শেষ করে খাতায় শেষবারের মতো চোখ বুলিয়ে নেবে, যাতে কোনো প্রশ্নের নম্বর, পয়েন্ট/সাব-পয়েন্ট বাদ না পড়ে। আর পরীক্ষার আগের রাতে অবশ্যই রাত ১০টার মধ্যে ঘুমিয়ে যাবে। তোমরা সবাই সফলতা পাও, এই আশা করছি। 
শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিও। আশা করি, সমাপনী পরীক্ষার জন্য তোমাদের প্রস্তুতি এখন শেষ পর্যায়ে। ভালো ফলের জন্য এখন কেবল রিভিশন দেবে। সে সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক দিক থেকেও সুস্থ থাকার চেষ্টা করবে। তোমরা নিশ্চয়ই জানো যে, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমী (নেপ) কর্র্তৃক অনুমোদিত কাঠামো অনুযায়ী প্রণীত প্রশ্নের মাধ্যমে তোমাদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সে হিসেবে বাংলা বিষয়েও প্রশ্নের ধরন ও মান বণ্টনে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। তোমরা ইতিমধ্যে সে বিষয়ে অবগত হয়েছ।
প্রথমেই সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে উত্তরপত্রে লেখ_ এখানে যোগ্যতাভিত্তিক ১০টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন দেওয়া থাকবে, ১০টিরই উত্তর করতে হবে। প্রত্যেক প্রশ্নের সঙ্গে চারটি করে উত্তর দেওয়া থাকবে, সঠিক উত্তরটি যথাযথ নম্বর দিয়ে উত্তরপত্রে লিখতে হবে। ধারাবাহিকভাবে প্রশ্নের উত্তরগুলো লিখবে। এরপর কবিতা ও কবির নাম উল্লেখ করে কোনো নির্দিষ্ট কবিতার ৮ লাইন মুখস্থ লিখবে। এ ক্ষেত্রে কবির নাম বা নামের বানান যেন ভুল না হয়। তাছাড়া কবিতাটির যথাস্থানে দাঁড়ি, কমা, ড্যাস ইত্যাদি বিরাম চিহ্ন সঠিকভাবে দিতে হবে। কোথাও ভুল না করলে কবিতা লেখায় পূর্ণ নম্বর পাওয়া নিশ্চিত হবে। ব্যাখ্যা বা বুঝিয়ে বলার জন্য প্রশ্নপত্রে গদ্যাংশ ও পদ্যাংশ থেকে একটি করে মোট দুটি অংশ দেওয়া থাকবে। যে অংশের ব্যাখ্যা লেখা সহজ মনে হবে, সেটির ব্যাখ্যা করবে। এখানে 'ব্যাখ্যা লেখ' বা 'বুঝিয়ে লেখ' থাকবে। মোট তিনটি অনুচ্ছেদে ব্যাখ্যা লেখার কাজটি করবে। সুন্দর ও সহজ ভাষায় প্রদত্ত অংশটি বুঝিয়ে লিখতে পারলে পুরো নম্বরই পাওয়া যায়। তোমার পাঠ্যবইয়ের অনুশীলনীতে বাক্য রচনার জন্য যেসব শব্দ দেওয়া আছে সেগুলো শব্দের বাক্য রচনা শিখে রাখবে। উত্তরপত্রে প্রদত্ত শব্দগুলো বাম পাশে তুলে নিয়ে ডানে 'ড্যাস' বা 'সমান' চিহ্ন দিয়ে সহজ ভাষায় বাক্য রচনা করবে।
অনুচ্ছেদে বিরাম চিহ্ন বসানোর জন্য একটি গদ্যাংশ দেওয়া থাকে। যথাস্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি উত্তরপত্রে লিখলে পূর্ণ নম্বর পাবে। অনুচ্ছেদ পড়ে পাঁচটি প্রশ্ন তৈরি করতে বলা হলে প্রশ্ন নম্বর দিয়ে নিচে নিচে পাঁচটি প্রশ্ন তৈরি করে লিখবে। এরপর যুক্ত বর্ণ দিয়ে শব্দ তৈরি এবং বিপরীতার্থক শব্দগুলো সঠিকভাবে লিখবে। প্রদত্ত শব্দগুলো বাম পাশে লিখে ডান পাশে বিপরীত শব্দগুলো লিখবে। এককথায় প্রকাশের ক্ষেত্রে বাক্যগুলো লিখে 'ড্যাস চিহ্ন' দিয়ে ডান পাশে উত্তরগুলো লিখবে। বাক্যের ক্রিয়া পদের চলিত রূপ লেখার সময় উত্তরপত্রে প্রদত্ত বাক্যটি লিখে তার নিচে চলিত রূপটি লিখতে পার। অথবা, ১১নং প্রশ্নের উত্তর এভাবে লিখে নিচে (ক), (খ), (গ) ইত্যাদি নম্বর দিয়ে কেবল উত্তরটুকু লিখবে।
১৪নং প্রশ্নে রচনা লেখার সময় সহজ বিষয়টি বেছে নিয়ে রচনার শিরোনামসহ লিখবে। পয়েন্টস উল্লেখ করে রচনা লিখলে বেশি নম্বর পাওয়া যায়। সে সঙ্গে হাতের লেখা সুন্দর ও নির্ভুল বানানের বিষয়টি সব সময় লক্ষ্য রাখবে। মোটকথা, সুন্দর হাতের লেখা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও নির্ভুল বানান বেশি নম্বর পাওয়ার জন্য অপরিহার্য।  

যেসব শিক্ষার্থী এবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিতে যাচ্ছ, তোমাদের সবাইকে শুভেচ্ছা। আমি আশাবাদী, তোমরা নিয়মিত পড়াশোনা করে সিলেবাস শেষ করেছ এবং পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছ। এখন দরকার শুধুই রিভিশন। শেষ মুহূর্তে এসে নতুন করে কোনো প্রশ্ন না শিখে আগের কঠিন প্রশ্নগুলো বারবার পড়তে থাকো। সেই সঙ্গে খাতায় লেখ। এতে তোমাদের হাতের লেখা সুন্দর হবে এবং ভুলগুলো ধরা পড়ে যাবে। এ সময় বেশি রাত জেগে লেখাপড়ার পক্ষপাতী আমি নই। এতদিন যেভাবে রুটিন অনুসারে পড়ে এসেছ সেভাবেই পড়বে। ভালো ফল করতে হলে তোমাকে অবশ্যই আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। পরীক্ষার হলে কোনো প্রশ্ন যদি তোমার কিছুটা অজানাও থাকে, আত্মবিশ্বাস থাকলে তুমি সেটি নিজস্ব ধারাতেও বানিয়ে লিখতে পারবে। এ সময় পরীক্ষার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সুস্থতা। শরীরের প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখবে। পরীক্ষার হলে মাথা ঠাণ্ডা রাখবে। প্রশ্নপত্র হাতে এলে প্রথমে সম্পূর্ণ প্রশ্নটা একবার পড়ে নেবে। এরপর যে প্রশ্নটা তুমি সবচেয়ে ভালো পারবে সেটি দিয়েই আরম্ভ করবে। পরীক্ষার খাতায় কোনো কাটাকাটি বা ঘষামাজা করবে না। কিছু ভুল হলে এক টান দিয়ে কেটে দেবে। প্রবেশপত্রটি সামনে রেখে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো পূরণ করবে। তোমাদের সবার মঙ্গল কামনা করছি। 
 
গণিতের চিহ্নগুলো স্পষ্ট ও সুন্দর করে লিখবে
২০১২ সালে বহুনির্বাচনী প্রশ্নে ১০ নম্বর ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নে ১০ নম্বর থাকবে। বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তরের জন্য মূল বইয়ের কোটেশন অনুশীলন ও উদাহরণের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ভালো করে পড়তে হবে। প্রশ্ন কাঠামো অনুযায়ী যে অনুশীলনীগুলো থেকে একটি করে প্রশ্ন থাকবে, সে অনুশীলনীগুলো যাচাই করে ভালো করে আয়ত্ত করতে হবে। মনে রাখবে, ১১টি থেকে ৭টি অঙ্কের উত্তর দিতে হবে। তাই যে অনুশীলনীর অঙ্কগুলো সহজ সে অনুশীলনী যাচাই করে ৭টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। উত্তর দেওয়ার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে, উত্তরে একক লিখতে হবে, ভুল উত্তর লেখা যাবে না, কাটাকাটি বা ঘষামাজা পরিহার করতে হবে। সমাধানের কোনো স্তরে যাতে ভুল না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। গুণ বা ভাগের ক্ষেত্রে উত্তরপত্রে সরাসরি করে দেখাতে হবে অথবা সমাধানের পাশে রাফ দেখাতে হবে। অপ্রকৃত ভগ্নাংশে পরিণত করার সময় সমাধানের স্তরের সঙ্গে ভাগ করা যাবে না।
জ্যামিতির চিত্র অবশ্যই কাঠ পেনসিল দিয়ে আঁকতে হবে। চিত্রের নামকরণ পেনসিল দিয়ে করতে হবে। চিত্রের বর্ণনা কলম দিয়ে লিখতে হবে। জ্যামিতির চিত্র সঠিক হতে হবে। অতিরিক্ত প্রশ্নের উত্তর দেবে না এবং উত্তরপত্রে প্রশ্নের দাগ নম্বর দিতে ভুলবে না। তাহলেই গণিতে অধিক নম্বর পেতে পারো।
সুতরাং গণিতে অধিক নম্বর পেতে নিচের বিষয়গুলোর প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে।
উত্তরপত্রে প্রশ্নের দাগ লিখতে যেন ভুল না হয়।
বেশি কাটাকাটি বা ঘষামাজা না করা।
প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে এবং উত্তরের একক দিতে হবে।
পাটিগণিতের উত্তরের সময় ভাষাগত ত্রুটি যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সমাধানের প্রতিটি স্তর যাতে নির্ভুল হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
গুণ বা ভাগ উত্তরপত্রে সরাসরি করে দেখাবে বা সমাধানের পাশে রাফ করে দেবে।
অপ্রকৃত ভগ্নাংশে পরিণত করার সময় সমাধানের স্তরের সঙ্গে ভাগ করা যাবে না।
জ্যামিতির চিত্র কাঠ পেনসিল দিয়ে আঁকতে হবে।
জ্যামিতির সংজ্ঞা ও চিত্র সঠিক হতে হবে। চিত্রের বর্ণনা কলম দিয়ে লিখতে হবে। 
সংজ্ঞামূলক উত্তরে উদাহরণ দেবে
তোমাদের এ পরীক্ষার প্রস্তুতি একেবারে শেষ পর্যায়ে। পরিবেশ পরিচিতি বিজ্ঞান বিষয়ে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য দরকারি তথ্য জেনে রাখো।
প্রতিযোগিতামূলক এ পরীক্ষায় ভালো ফল করতে হলে নিয়মিত রিভিশন দিতে হবে। প্রশ্নের নম্বর বসানোর ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
প্রশ্নের উত্তরের জন্য সময় বণ্টন করে নেওয়া জরুরি। বড় ও ছোট প্রশ্নের উত্তরের জন্য কতটুকু সময় প্রয়োজন, তা ঠিক করে নেবে। অহেতুক একটা প্রশ্নের উত্তরের পেছনে বেশি সময় দিলে অন্য সব প্রশ্নের উত্তর লেখা শেষ নাও হতে পারে। এদিকে খেয়াল রাখবে। এ জন্য ঘড়ি ব্যবহার করে এখন থেকেই অনুশীলন করতে হবে।
কোন কোন প্রশ্নের উত্তর লিখবে, তা আগেই নির্ধারণ করে নিতে হবে। অপেক্ষাকৃত সহজ থেকে কঠিন ক্রমান্বয়ে উত্তর লিখতে হবে।
কমপক্ষে ১০ মিনিট পূর্বে সব প্রশ্নের উত্তর লেখা শেষ করার চেষ্টা করতে হবে। বাকি সময় রিভিশন দিতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়।
যেখানে চিত্র আঁকার প্রয়োজন রয়েছে, সেখানে অবশ্যই চিত্র দিতে হবে। তবে চিত্র আঁকার জন্য বেশি সময় নষ্ট করা যাবে না।
তোমরা নিশ্চয়ই জানো, তোমাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে ৬টি।
১. সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে অবশ্যই লিখতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের ১ করে মোট ১০টি প্রশ্নে ১ু১০=১০ নম্বর।
২. বাক্য উত্তরপত্রে লিখে উপযুক্ত শব্দ দ্বারা শূন্যস্থান পূরণ করতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নে ২ করে ৫টি প্রশ্নে ২ু৫=১০ নম্বর।
৩. বাক্যগুলো উত্তরপত্রে লিখে শুদ্ধ বাক্যটির ডান পাশে 'শুদ্ধ' এবং অশুদ্ধ বাক্যটির ডান পাশে 'অশুদ্ধ' লিখতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নে ২ করে ৫টি প্রশ্নে ২ু৫=১০ নম্বর।
৪. বাম পাশের বাক্যাংশের সাথে ডান পাশের বাক্যাংশের মিল করে উত্তরপত্রে লিখতে হবে। প্রতি বাক্যে ২ করে ৪টি বাক্যে ২ু৪=৮ নম্বর।
৫. সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন থেকে ১০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের ৩ করে ১০টি প্রশ্নের ৩ু১০=৩০ নম্বর।
৬. বড় প্রশ্ন থেকে ৪টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নে ৮ করে ৪টি প্রশ্নে ৮ু৪=৩২ নম্বর।
যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন (যদি থাকে)
৭. সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লিখতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নে ১ করে ৬টি প্রশ্নে ১ু৬=৬ নম্বর।
৮. সৃজনশীল প্রশ্নের তিনটি অংশে 'ক' এ ১ নম্বর, 'খ' এ ১ নম্বর এবং 'গ' এ ২ নম্বর করে মোট (১+১+২)=৪ নম্বর থাকবে।
মনে রাখতে হবে, যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন না থাকলে
১-৬ নং প্রশ্নের মানবণ্টন অপরিবর্তিত থাকবে। যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন থাকলে ৭ ও ৮ নং প্রশ্নের ৬+৪=১০ নম্বর সমন্বয় করে উত্তর দিতে হবে।
প্রথমেই নৈর্ব্যক্তিক অংশ, শূন্যস্থান, মিল করা ও শুদ্ধ/অশুদ্ধ উত্তর করবে। এগুলোর উত্তর লেখার আগে প্রশ্ন ভালোভাবে বুঝে উত্তর দিতে হবে।
তারপর সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন লেখা শুরু করতে হবে। সংজ্ঞামূলক উত্তরে উদাহরণ দেওয়ার চেষ্টা করবে। পার্থক্য বা বৈশিষ্ট্য লেখার সময় পয়েন্ট বা ক্রমিক নম্বর ব্যবহার করতে হবে।
সবশেষে লিখতে হবে বর্ণনামূলক প্রশ্নের উত্তর। এতে সময় বণ্টন সহজতর হবে। এ ক্ষেত্রে উত্তরে যেখানে প্রযোজ্য চিত্র আঁকতে হবে।
সব ধরনের প্রশ্নের উত্তর মূল পাঠ্যবই থেকে লেখার চেষ্টা করবে। প্রশ্নে যা চেয়েছে সেই উত্তরটিই লিখতে হবে। উত্তর যথাযথ লিখলেই নম্বর পাবে। অপ্রাসঙ্গিক কিছু লেখার প্রয়োজন নেই।  
জেনে নাও উত্তর দেওয়ার কিছু কৌশল
চিরাচরিত বার্ষিক ও বৃত্তি পরীক্ষার পরিবর্তে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে এবং বৃদ্ধি করেছে প্রতিযোগিতার মনোভাব। প্রতিযোগিতার পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় শিক্ষার মানোন্নয়ন হবে এবং বৃদ্ধি পাবে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা। সমাপনী পরীক্ষার এই কাছাকাছি সময়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য রইল আমার কিছু পরামর্শ।
ষআত্মবিশ্বাস রাখতে হবে যে, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কমন পড়বে এবং পুরো উত্তর করতে পারব।
ষএ বছর প্রথমবারের মতো ১০ নম্বরের একটি যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন সংযোজন করা হবে। তাই শিক্ষার্থীদের অবশ্যই এ প্রশ্নের উত্তরে মুখস্থ বিদ্যা পরিহার করে অত্যন্ত ধীরস্থিরভাবে চিন্তা, অনুধাবন ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর উত্তর দিতে হবে। কেননা উত্তরপত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও ভালো উপস্থাপনাই একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অধিক নম্বর প্রাপ্তির জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
ষসময়ের প্রতি সচেতন হতে হবে। একটি প্রশ্নোত্তর খুব বেশি লিখতে গিয়ে অন্য প্রশ্নোত্তরের মান খারাপ করা যাবে না। সব উত্তরের মান একই রকম হলে ভালো ফল করা যাবে।
ষযেটুকু পড়া আয়ত্তে আসবে বাসায় সেসব বারবার খাতায় লিখতে হবে। এতে পরীক্ষার সময় উত্তর করা সহজ হয়।।
ষশান্ত মনে পুরো খাতাটা রিভিশন দিয়ে ভুলভ্রান্তি থাকলে সংশোধন করতে হবে।
ষমূল প্রবেশপত্র, স্কেল, পেন্সিল বক্স ও ৩-৪টি বলপয়েন্ট কলমসহ পরীক্ষার হলে তোমার নিজের আসনে বসতে হবে।
ষহাতের লেখা স্পষ্ট হতে হবে, কাটাকাটি করা যাবে না। যদি কাটতেই হয় তবে এক টানে কেটে দিতে হবে। 
প্রাসঙ্গিক বিষয়ের দিকে নজর রাখবে
বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর সকল পরীক্ষার্থী একই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেবে। পরীক্ষার আগের দিন প্রবেশপত্রসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন- কলম, পেন্সিল, রাবার, স্কেল ইত্যাদি গুছিয়ে রাখবে। প্রথম দিন পরীক্ষা শুরু হওয়ার অন্তত আধঘণ্টা আগে পরীক্ষার হলে পেঁৗছানোর চেষ্টা করবে। পরীক্ষার হলে কোনো কারণে কোনো অসুবিধার কিছু মনে করলে কক্ষ পরিদর্শককে জানাবে। পরীক্ষার হলে প্রশ্ন পাওয়ার পর প্রশ্নটি সম্পূর্ণ পড়ে যেটি সবচেয়ে ভালো লিখতে পারবে বলে মনে করবে, সে প্রশ্নের উত্তর আগে লিখবে। সব প্রশ্নের উত্তর লেখা শেষে অবশ্যই খাতা রিভিশন করবে।
এবার আসা যাক, পরিবেশ পরিচিত সমাজ নিয়ে। পরিবেশ পরিচিত সমাজ বিষয়ের উত্তর লেখার সময় কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখবে। ভালো ফলের জন্য পরীক্ষার প্রস্তুতি যেমন ভালো হওয়া প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন পরীক্ষার খাতায় সুন্দর ও সঠিকভাবে উপস্থাপন। সেজন্য পাঠ্যবই ভালো করে পড়লে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে সহজ হবে।
প্রথমে সঠিক উত্তর, শূন্যস্থান পূরণ, শুদ্ধ/অশুদ্ধ, মিলকরণ শেষ করে প্রশ্নের উত্তরে যাবে। সঠিক উত্তরে শুধু সঠিক উত্তর লিখলেই হবে। কিন্তু শূন্যস্থান পূরণ এবং শুদ্ধ/অশুদ্ধ লেখার সময় অবশ্যই সম্পূর্ণ বাক্য লিখবে।
সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রশ্নে যেভাবে বলা হবে সেভাবে উত্তর লিখবে। সংক্ষেপে উত্তর লেখার সময় প্রয়োজনীয় এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখবে। ৮ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর লেখার সময় প্রথমে একটি অথবা দুটি লাইনে প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে লিখে পরের প্যারায় মূল উত্তর লিখবে। শেষে আলাদা প্যারায় একটি বাক্য দিয়ে উত্তর শেষ করতে পারো। পরীক্ষায় মানচিত্র এলে তুমি যদি ভালো আঁকতে পারো, তাহলে সে প্রশ্নের উত্তর দেবে। কেননা আঁকার পাশাপাশি প্রশ্ন অনুযায়ী ঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পারলে পূর্ণ নম্বর পাবে। লিখতে ভুল হলে একটানে কেটে পাশে লিখবে। খেয়াল রাখবে_ এই পরীক্ষায় ভালো ফলের সঙ্গে বৃত্তি পাওয়ার বিষয়টি জড়িত। তাই চেষ্টা করতে হবে সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর পেতে। 
মনে রাখবে ১০০ নম্বরের আবশ্যক বিষয় হিসেবে অন্যান্য বিষয়ের মতো ইসলাম শিক্ষা বিষয়েও অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। মূল বইটি ভালোভাবে পড়বে। বহু নির্বাচনী প্রশ্নের সঠিক উত্তর বাছাই করতে গিয়ে কখনোই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগবে না। তোমার জানামতে যেটি সবচেয়ে সঠিক বলে মনে হয় সেটিই উত্তরপত্রে লিখবে। নবী-রাসূলদের নামের বানান যেন ভুল না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবে। অনেক সময় বর্ণনামূলক প্রশ্নে সংযুক্ত প্রশ্ন থাকে, তা অবশ্যই প্যারা করে লিখবে। রচনামূলক প্রশ্নের উত্তরে আল্লাহতায়ালা ও মহানবীর (সা.) বাণী উদ্ধৃতি সহকারে লেখার চেষ্টা করবে। এতে নম্বর বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। প্রশ্নের চাহিদা অনুযায়ী পূর্ণ উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবে। তোমরা সবাই সফল হও। 
লেখা শেষ হলে অবশ্যই খাতা রিভিশন দেবে
  প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা তোমাদের দ্বারপ্রান্তে। সবার প্রস্তুতিও এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। এখন তোমাদের প্রয়োজন পরীক্ষায় ভালো করার একটি 'গাইডলাইন'। সারা বছরের অধ্যবসায় এবং পরিশ্রমের বিনিময়ে তোমরা যে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছ তার সঙ্গে এই প্রয়োজনীয় গাইডলাইন যুক্ত হলে তোমরা নিঃসন্দেহে পরীক্ষায় ভালো করবে। প্রথমেই বলবো তোমাদের সুস্থতার কথা। এসময় অতিরিক্ত রাত জেগে পড়তে যেও না। শরীরের সুস্থতার জন্য সুষম খাবার গ্রহণ করবে।
কারণ এত কষ্টের পর পরীক্ষার আগে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লে তো সবই শেষ হয়ে গেল। এজন্য অভিভাবকরা সচেতন থাকবেন। সন্তানদের মানসিক চাপমুক্ত রাখবেন। তোমরা কোন বিষয়ের কতটি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে এবং সেগুলোর মানবণ্টন কত_ সে সম্পর্কে নিশ্চয়ই অবগত আছ। মনে রাখবে পূর্বপ্রস্তুতির ওপরই পরীক্ষায় সফলতা ও ব্যর্থতা নির্ভর করে। সময়ের প্রতি অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী নিয়মিত পড়াশোনা করে সময়ের সঠিক ব্যবহার করবে। ছাত্রজীবনের সফলতা অনেকাংশে নির্ভর করে সময়ের সদ্ব্যবহারের ওপর। সিলেবাসভুক্ত সব বিষয় সমান গুরুত্বপূর্ণ হলেও অঙ্ক ও ইংরেজি বিষয়ে একটু বেশি পরিশ্রম করলে অন্যদের তুলনায় বেশি নম্বর পাওয়া যাবে। যেহেতু এ দুটি বিষয়ে সর্বাধিক নম্বর পাওয়া সম্ভব, তাই তোমাদের এদিকে সজাগ থাকতে হবে।
 

No comments:

Post a Comment

Composition on Female Education in Bangladesh for Examination

  Female Education in Bangladesh Education is a light to which everybody has the equal right. Education is the backbone of a nation. The ...