Saturday, November 10, 2012

Examination Tips for PEC Examination

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, এখন আর তোমাদের স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা দিতে হয় না। স্কুলের বার্ষিক বা অন্যান্য যে কোন পরীক্ষা থেকে সমাপনী পরীক্ষার পরিবেশ কিছুটা ভিন্ন  এবং শিক্ষাজীবনের জন্য এর তাত্পর্যও অনেক বেশি। একটি ইউনিয়ন বা অঞ্চলের সবক’টি স্কুলের ছাত্রছাত্রীকে নির্ধারিত কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। ফলে নিজের স্কুলের চেনা পরিবেশে পরীক্ষা দেওয়ার যে সুবিধা থাকে সেটাও সবাই পাবে না। সেজন্য কোনো প্রকার মানসিক দুশ্চিন্তা বা ভয় মনে পোষণ করার প্রয়োজন নেই। তোমার স্কুলের শিক্ষকদের মতোই শিক্ষকরা পরীক্ষার হলে কর্তব্যরত থাকবেন এবং তোমাকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করবেন। আশা করি তোমরা  প্রথম পাবলিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল লাভের জন্য সার্বিকভাবে প্রস্তুত। তোমাদের প্রস্তুতিকে আরও কার্যকর করতে দরকারি পরামর্শ সম্বলিত আমাদের এই বিশেষ আয়োজনটি সহায়ক হিসাবে কাজ করবে।
পরীক্ষার আগের রাতের পড়া
পরীক্ষার আগের দিন রাতে খুব বেশি রাত করে পড়ালেখা করা উচিত না। নতুন কোন টপিক শুরু না করে পূবের্র পড়াগুলো অধ্যয়ন করা উচিত। অনেক রাত জেগে পড়ার কারণে পরীক্ষার সময় ক্লান্তি অনুভব হতে পারে এবং স্মরণ শক্তি হ্রাস পেতে পারে।

পরীক্ষার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সংগ্রহ ও মনে করে পরীক্ষার কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া
পরীক্ষার প্রয়োজনীয় কলম, পেন্সিল, সাইন পেন,  স্কেল, ক্যালকুলেটর, প্রবেশপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ডসহ অনুমোদিত অন্যান্য সরঞ্জাম মনে করে নিয়ে যেতে হবে। অতিরিক্ত কলম  ইত্যাদি নিয়ে যাওয়া উচিত। এতে একটি সমস্যা হলে অন্যটি দিয়ে কাজ করা যাবে। প্রয়োজনে সরঞ্জামগুলো পরীক্ষা করে, দেখে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে।

সঠিক সময়ে উপস্থিত হওয়া
পরীক্ষার ২০-২৫ মিনিট পূর্বে কেন্দ্রে আসা উচিত, আর পরীক্ষা কেন্দ্র দূরে হলে আরও কিছু বাড়তি সময় নিয়ে আসতে হবে, পথে কোন সমস্যা (জানজট ইত্যাদি) হলে যাতে সমস্যা না হয়।

পরীক্ষার হলে
 উত্তরপত্রের কভার পৃষ্ঠার নির্ধারিত স্থানে ছাত্রছাত্রীর নাম, বিষয়ের নাম, কেন্দ্র ও রোল নম্বর লিখতে হবে। এ ছাড়া স্কুলের শাখা, ঠিকানা বা অন্য কোনো কিছু লেখা যাবে না।
 পরীক্ষার্থীকে প্রতিদিন প্রত্যেক বিষয়ের জন্য হাজিরা শিটে অবশ্যই স্বাক্ষর করতে হবে।
 উত্তরপত্র ও অতিরিক্ত উত্তরপত্রে অবশ্যই ইনভিজিলেটরের স্বাক্ষর থাকতে হবে।
 উত্তরপত্রের ভেতরে বা বাইরে অপ্রয়োজনীয় কিছু লেখা যাবে না।
 খসড়ার জন্য কোনো অতিরিক্ত কাগজ দেওয়া হবে না, খসড়া করার প্রয়োজন হলে তা উত্তরপত্রেই করতে হবে। যেখানে খসড়া করবে তার ওপর ‘খসড়া’ কথাটি লিখবে এবং পরে কেটে দিতে হবে।
 অতিরিক্ত কাগজ বা স্বাক্ষর প্রয়োজন হলে দাঁড়িয়ে কর্তব্যরত শিক্ষকের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।
 প্রশ্ন পাওয়ার পর এক ঘণ্টা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা হলের বাইরে যেতে পারবে না।
 পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর উত্তরপত্র কর্তব্যরত ইনভিজিলেটরের কাছে জমা দিয়ে হল ত্যাগ করতে হবে।

খাতায় মার্জিন টানা
খাতা দেয়ার পর এবং প্রশ্ন পাওয়ার পূর্বের সময়টাতে কিছু কাজ করতে হয়। খাতা সুন্দর করে মার্জিন টানতে হবে। পেন্সিল দিয়ে মার্জিন টানা ভাল। খাতায় ভাঁজ করে কোন দাগ না দিয়েও মার্জিন চিহ্নিত করা যায়। অনেকে খাতায় পৃষ্ঠানম্বর যুক্তও করে।

প্রশ্নটির সম্পূর্ণ অংশ পড়া
প্রশ্ন দেয়ার পর প্রশ্নটি সম্পূর্ণ অংশ পড়া উচিত। প্রশ্নগুলো কঠিন মনে হলেও হতাশ হওয়া যাবে না। বাস্তবতা হলো যে প্রশ্নটি প্রথমে কঠিন মনে হয় তা একটু পরেই সহজ মনে হতে থাকে।

প্রশ্ন বাছাই
অধিকাংশ পরীক্ষায়ই অতিরিক্ত প্রশ্ন থাকে,  তা থেকে বাছাই করে লিখতে হবে। সবচেয়ে ভাল জানা উত্তরের প্রশ্নকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আবার ভালভাবে জানা দুটি প্রশ্ন থেকে একটি বাছাই করতে হলে ভেবে দেখতে হবে-কোন প্রশ্নের উত্তরে বেশি নম্বর পাওয়া যেতে পারে। প্রমাণ করা, গাণিতিক যুক্তি বা চিত্রসহ অলোচনার প্রশ্নের উত্তরে ভাল নম্বর পাওয়া যায়। তাছাড়া সময় কম থাকলে অপেক্ষাকৃত কম সময়ে উত্তর দেয়া যায় এরকম প্রশ্ন বাছাই করা উচিত। সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে লেখা শুরু করা ভাল।

সময় বণ্টন
প্রশ্নগুলোর মান ও ধরনের উপর ভিত্তি করে কত সময়ে কোন কোন প্রশ্নের উত্তর দেয়া শেষ হবে তার একটি হিসেব মনে রাখতে হবে। মাঝে মাঝে সময়ের সাথে লেখার গতির হিসেব করে এগিয়ে যেতে হবে। একটি প্রশ্নের বিশাল বিবরণ লিখতে গিয়ে অন্য প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় না পাওয়ার চেয়ে দুঃখের কি আছে !

খেয়াল রাখতে হবে
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই উল্লেখিত সবগুলো অংশের প্রশ্নোত্তর করতে হবে। পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য প্রশ্নের উত্তর শুধু ভালোভাবে জানা থাকলেই হবে না; ভালোভাবে সাফল্য অর্জন করতে হলে উত্তরপত্রের পরিচ্ছন্নতা, হাতের লেখা, বানান, ভাষারীতি, প্রশ্নের নম্বর সঠিকভাবে উল্লেখ করা, উত্তরপত্রে সঠিকভাবে মার্জিন ব্যবহার করা সবকিছুই নিখুঁত হতে হবে। নির্ভুল বানান, পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর হাতের লেখা, পরিমিত মার্জিন রাখা অধিক নম্বর অর্জনের একটি বড় উপায়। তাই প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে লেখার পাশাপাশি হাতের লেখায় পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য বাড়ানোসহ সব নিয়ম-কানুন যথাসম্ভব প্রয়োগ করার চেষ্টা করবে। প্রতিটি পরীক্ষাতেই নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ার কমপক্ষে ১০ মিনিট আগে লেখা শেষ করার জন্য সচেষ্ট থাকতে হবে যাতে কয়েকবার ভালোভাবে রিভিশন দেয়া যায়।


ছয়টি মূল বই খুবই ভাল করে পড়বে 
পঞ্চম শ্রেণির বন্ধুরা,  তোমরা ছয়টি মূল বই খুবই ভাল করে পড়বে। ইংরেজি মূল বই-এর Tense থেকে শুরু করে সকল তথ্য ভালোভাবে শিখতে হবে। অংকের জন্য শুধু অনুশীলনী করলে চলবে না। উদাহরণের প্রতিটি অংক ভাল করে বুঝতে হবে। জ্যামিতির যে মূল বিষয়গুলো যেমন রেখা, বৃত্ত, ত্রিভুজ, চতুর্ভূজ খুব ভাল করে শিখবে। বিশেষ করে বৃত্তের সবকিছু এঁকে চর্চা করবে। বাংলা অনেক বড় সিলেবাস। এর কোনটিই বাদ দিবে না। প্রথমেই গল্প, প্রবন্ধ ও কবিতার নাম ও লেখকের নাম বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে। কারণ এর উপর নির্ভর করে ব্যাখ্যা ও ছোটবড় প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। ছোট প্রশ্নের উত্তর বেশি বড় করবে না। তাহলে সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারবে না।
সমাজের জন্য পুরো বইটি ভাল করে রিভিশন দেবে। সালগুলো আন্ডার লাইন করে মনে রাখার চেষ্টা করতে হবে। বিজ্ঞান একটি মজার বিষয়। যেখানে প্রয়োজন সেখানে অবশ্যই ছবি দেবে। নম্বর অনুযায়ী উত্তর দিতে চেষ্টা করবে। ধর্মকে সহজ মনে করে হালকাভাবে নিবে না। তোমাদের মনে রাখতে হবে সকল বিষয়ে ৯০%-এর উপর নম্বর পেলেই বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হবে।
প্রত্যেকটি বিষয়ে শূন্যস্থান পূরণ করবার সময় নিচে Underline করবে। যে কোন বিষয়ে পার্থক্য করার  সময় ছক এঁকে দেখাবে। খাতার উপরে বাঁয়ে দু’আঙ্গুলি পরিমাণ ফাঁকা রেখে মার্জিন দেবে। ডানদিক ও নিচে সমপরিমাণ জায়গা খালি রাখবে। প্রতিটি প্রশ্নের শুরু ও সমাপ্তি চিহ্ন ব্যবহার করবে। খাতাটি সার্বিকভাবে পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করবে।  প্রশ্নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে না পারলে  যেগুলো তোমার ভালভাবে জানা বা ভাল মুখস্থ আছে  সেগুলো আগে লিখে ফেলবে। পরে অন্যগুলো লিখবে।
প্রশ্ন পেয়েই লেখা শুরু না করে খুব ঠান্ডা মাথায় প্রত্যেকটি প্রশ্ন পড়ে সিদ্ধান্ত নেবে কোন কোন প্রশ্নের উত্তর তুমি দিতে পারবে। একই নম্বর অথচ লিখতে হবে কম এমন প্রশ্ন নির্বাচন করা ভাল। সময়ের ব্যাপারটি বিশেষভাবে খেয়াল রাখবে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পূর্বেই যেন পরীক্ষা শেষ হয় সেভাবে অগ্রসর হবে।  পরীক্ষা শেষে নাম রোল পুনরায় চেক করে পুরো খাতা রিভিশন দেবে। শ্রেণিতে অযথা কোন রকম কথা বলে শিক্ষকের বিরক্তির কারণ হবে না।
 যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নে কোন ভয় পাবে না 
শিক্ষার্থী বন্ধুরা, এবার আমি তোমাদের ৬টি বিষয়ের ওপর বিশেষ কিছু পরামর্শ দিচ্ছি, খেয়াল করো।
১। গণিত: তোমাদের প্রথম পরীক্ষা গণিত। গণিত ৬টি বিষয়ের মধ্যে অন্যতম একটি বিষয়, যেখানে তুমি সঠিক উত্তর করতে পারলেই ১০০তে ১০০ নম্বরই পেয়ে যাবে। কিন্তু একটু-আধটু যদি ভুল করো তাহলে পুরো নম্বর কাটা
যেতে পারে। প্রশ্নপত্র কাঠামোতে গণিত বিষয় ১ নম্বর প্রশ্নে ১০টি যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন থাকবে। ২ নম্বরে থাকে ১০টি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন, যার প্রত্যেকটির মান ১। মনে রাখবে, ১, ২ , ১৪ এই তিনটি প্রশ্নের উত্তর তোমাকে অবশ্যই দিতে হবে। অন্যান্য ক্ষেত্রে গণিত কিন্তু অধ্যায়ভিত্তিক এসে থাকে। এ বিষয়ে তুমি সর্বশেষ পরিবর্তিত প্রশ্নপত্র কাঠামো ও নম্বর বিভাজন বিজ্ঞাপন দেখে গুরুত্বপূর্ণ অংকগুলো বারবার করবে। সূত্র ও অন্যান্য গাণিতিক বিষয় মুখস্থ রাখবে। জ্যামিতির ক্ষেত্রে সংজ্ঞা, চিত্র ও চিত্রের মাপ নির্ভুল হওয়া বাঞ্ছনীয়।

২। বাংলা: বাংলা পরীক্ষা ২২ নভেম্বর। তুমি কী জানো, বৃত্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে যদি তোমার নম্বর অন্য একজনের বা বহুজনের সাথে মিলে যায় তাহলে কোন বিষয়টির গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি? বাংলার। বাংলা পরীক্ষায় বানান ভুল, হাতের লেখা অস্পষ্ট বা খারাপ, মার্জিনের অভাব, এলোমেলো শব্দ দিয়ে বাক্য গঠন বা গল্প-কবিতা ও কবি লেখকের নামের ভুলে পরীক্ষকরা খুব বিরক্ত হন। অতিরিক্ত কাটাকাটি বাংলা পরীক্ষায় নম্বর কমিয়ে দেয়। যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নগুলো বুঝে উত্তর দিতে হবে। কবিতার ও কবির নাম সঠিক করে কবিতা লিখলে পুরো নম্বর পাবে। ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে প্রসঙ্গ সঠিক হতেই হবে। বড় প্রশ্ন তুলনামূলক লিখবে, শব্দ দিয়ে বাক্য গঠনে শব্দ বামে বসিয়ে ৫টি বাক্য গঠন করবে। বিরাম চিহ্নের জায়গা পাঁচটিই থাকবে, বেশি দিবে না। অনুচ্ছেদ পড়ে প্রশ্ন তৈরি খুব সোজা। লাইন পড়েই মনে মনে প্রশ্নটি তৈরি করবে। মনে রাখবে, প্রশ্নটি যেন সুন্দর ও মানসম্মত হয়। যুক্তবর্ণ ভাঙার দরকার নেই। সমার্থক শব্দে/বিপরীত শব্দে উপরে শিরোনাম লিখে উত্তর শুরু করবে। বাক্য লিখে এক কথায় প্রকাশ করবে। অনুচ্ছেদ পড়ে অনুচ্ছেদ আকারেই সাধু শব্দ চলিতে রূপান্তর করবে। সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ছোট আকারে সঠিক উত্তরটুকু লিখবে। কবিতার মূল ভাব পাঠ্যবইয়ের অংশটুকু দিলেই যথেষ্ট। ১৫০টি শব্দের রচনার ক্ষেত্রে উপস্থাপন কৌশল ও সঠিক তথ্য নম্বর পেতে সাহায্য করবে।

ইংরেজি : আমাদের দেশের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই ইংরেজিতে ভালো পারা সত্ত্বেও ভয়ের জন্য তারা পিছিয়ে পড়ে। তোমরা তো আর ভয় পাবে না। অতএব ভালো করবেই এটা সহজ কথা। ইংরেজি বিষয়ে মনোবলই আগের কথা। আমার মনে হয়, সমাপনী পরীক্ষায় সবচেয়ে সহজ বিষয় ইংরেজি। এ পরীক্ষার আগে ৭২ ঘণ্টার এক বিরাট বিরতি রয়েছে। চোখ-কান খোলা রেখে পরিকল্পিতভাবে পড়লেই হলো। Competency based (যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন) Text  থেকেই আসবে। Fill in the blanks এবং Answering questionsও Text  থেকেই হবে। একটি প্রশ্ন বড় হতে পারে। নির্ভুল বানানে Poem-এর ৮ লাইন লিখবে। Making sentence  সঠিকভাবে বের করে লিখবে। দুইটি শব্দ Matching words-এ বেশি দেয়া থাকবে। কিন্তু লক্ষ্য করবে, ৭ নং question-এ using capital letter and punctuation marks, Ques-no-8-এর Re-arrange খেয়াল করলেই পারবে। Dialogue  ও Paragraph-এ সুন্দর বাক্য গঠনই পুরো নম্বর পেতে সাহায্য করবে। correct form of verb শুধু উত্তর লিখলেও চলে,  তবে বাক্যে দেখানো ভালো। Letter-এর ক্ষেত্রে বিদেশি বন্ধুকে লিখলে capital letter-এ খামে ঠিকানা ব্যবহার করবে।

পরিবেশ পরিচিতি সমাজ, বিজ্ঞান ও ধর্ম শিক্ষা
সমাজ, বিজ্ঞান ও ধর্মশিক্ষা  পরীক্ষায় খেয়াল রাখলেই দেখতে পাবে ৩৮ নম্বরই রয়েছে যোগ্যতাভিত্তিক, শূন্যস্থান পূরণ, শুদ্ধ/অশুদ্ধ নির্ণয়, বাম-ডান মিলকরণে। যোগ্যতাভিত্তিক বহু নির্বাচনী প্রশ্নের ক্ষেত্রে ১০টির উত্তর দিতে হবে। এই তিন বিষয়ে শূন্যস্থান ও শুদ্ধ/অশুদ্ধ প্রশ্নে ৫টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। সমাজ ও বিজ্ঞানে বাম-ডান মিলকরণের ক্ষেত্রে ৪টি অপশন পাবে, তবে ধর্মের ক্ষেত্রে পাবে ৫টি। সমাজ ও বিজ্ঞান বিষয়ে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ১২টি থাকবে, ১০টির উত্তর দিতে হবে। প্রশ্নমাফিক সঠিক উত্তর লিখলেই ৩-এ তিনই পাওয়া সম্ভব। সমাজের ক্ষেত্রে ইতিহাসের নাম, সাল, স্থান, মানচিত্র প্রভৃতি নির্ভুল উপস্থাপন করতে হবে। সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের ক্ষেত্রে ধর্মে ৭টির মধ্যে ৪টির উত্তর করতে হবে। উত্তর তুলনামূলক বড় হতে হবে। বড় প্রশ্নে নম্বর ভাগ ভাগ থাকবে। তোমরা চিত্র বা সূত্রের উত্তর দিতে চেষ্টা করবে। সমাজ ও বিজ্ঞানে ৬টি বড় প্রশ্ন থেকে ৪টির উত্তর দিবে। ধর্মে বড় প্রশ্ন ৭টি থাকবে, উত্তর দিবে ৫টির। প্রতিটি প্রশ্নের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় ব্যবহার করবে। ধীরগতি এ তিনটি বিষয়ে মোটেও ভালো না। বিজ্ঞানে চিত্র, সূত্র, সমাজে মানচিত্রের উত্তর দিতে পারলে পরীক্ষক খুশি হন।
যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন কথাটিতে ভয় পেও না। কারণ পরীক্ষায় সব প্রশ্নই তোমার অনুকূলে থাকবে, কেমন। পরীক্ষার আগের রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোবে। তার আগে প্রবেশপত্র, কলম, স্কেল, জ্যামিতিবক্স ঠিক করে রাখবে। সকালে উঠে যদি পারো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পুনরায় দেখে নাও, প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে রওনা দাও। কেন্দ্রে গিয়ে তোমার আসন দেখে বসবে। হৈ-হুল্লোড় করবে না। অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখলে ফেলে দাও। মনোযোগ দিয়ে প্রশ্নপত্র পড়ে যে প্রশ্নগুলো পারবে তার উত্তর আগে দিবে। কোনো প্রশ্ন বুঝতে না পারলে কক্ষ পরিদর্শককে বলবে। পরীক্ষা হলে ভয় পেলে তুমি জানা প্রশ্নও ভুলে যেতে পারো কিন্তু।

পরীক্ষার খাতায় শিক্ষার্থীরা সামান্য সাবধানতার অভাবে অথবা অতি সাবধানতার কারণে ছোট ছোট ভুল করে থাকে।  ভুলগুলো ছোট হলেও একজন পরীক্ষক সম্পূর্ণ নম্বর দিতে এগুলো বিবেচনা করে থাকে। এমনকি পরীক্ষার্থী অনেক ভালো লিখেও পূর্ণ নম্বর পায় না। তবে অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের একটু বুঝিয়ে সচেতন করলে অথবা অভ্যাস গড়ে তুললে শিক্ষার্থীদের অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে। গত সমাপনী পরীক্ষার কয়েকটি খাতা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে একজন শিক্ষার্থী উত্তরপত্রে খুঁটিনাটি অনেক ভুল করে থাকে। নিচের আলোচনায় পরীক্ষার্থীদের ভুল সম্পর্কে অভিভাবকদের  অবগত করার চেষ্টা করবো। যাতে সময়মতে সন্তানদের পরিচর্যার মাধ্যমে  শোধরাতে পারে। যেমন 
১.অনেক শিক্ষার্থী প্রশ্নপত্র পেয়েই লিখা শুরু করে দেয় ফলে পরীক্ষা শেষে দেখে প্রশ্নের উত্তর কম লিখেছে অথবা বেশি লিখেছে।
২.অনেক শিক্ষার্থীই জানে না কোন্ প্রশ্নের উত্তর লিখল এর নম্বর উত্তর পত্রে কিভাবে লিখতে হয়।
৩. গণিতের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অঙ্কটি করে ফলাফল না বসিয়েই আরেকটি প্রশ্নের উত্তর লিখা শুরু করে।
৪. বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় চিত্র দেয় না।
৫.লিখার সময় অসংখ্য বানান ভুল করে।
৬. বাক্য সম্পূর্ণ করে না।
৭.অনেকে আবার একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে অন্য আরেকটি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেয়।
৮। যারা অতিরিক্ত কাগজ নেয় তারা সঠিকভাবে উত্তরপত্রের সাথে পিনআপ  করে না। তারাহুরো করে লিখা আকাঁবাকা হয়ে যায়। কেউ কেউ অনেক বড় করে লিখে যা কয়েক লাইনেই পাতা ভরাট হয়ে যায়।
৯. প্রশ্ন না বুঝলে পাশের পরীক্ষার্থীদের বিরক্ত করে।
১০। প্রশ্নের  নম্বর না লিখেই উত্তর লিখা শুরু করে।
১১। ভুল সংশোধন করতে গিয়ে অভাররাইটিং করে।
১২। কলম দিয়ে মার্জিনের পরবির্তে উত্তরপত্র ভেঙে মার্জিন দেয়।


শিক্ষার্থীরাই জাতির ভবিষ্যত্ পরিচালক। তারাই জাতিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের মুক্ত বাতায়নের পথিক। তারাই সংকটকালে জাতিকে আলোর পথ দেখাবে। তাই সমৃদ্ধ ভবিষ্যত্ ও স্বর্ণোজ্জ্বল আগামীর জন্য তাদের সঠিক পথে চলতে হবে। শিক্ষার্থীরা জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হতে হবে। যে আলোর প্রভা বিচ্ছুরিত হবে সমাজ এবং দেশের সর্বত্র। আজকের জরাগ্রস্ত সমাজকে নবজীবন দিতে পারে একমাত্র শিক্ষার্থীরা। আর এর জন্য প্রয়োজন সঠিক জ্ঞানসাধনা। কিন্তু আধুনিক শিক্ষার্থীরা এই সাধনা থেকে বিরত রয়েছে। তারা জ্ঞান সাধনার দ্বারা শিক্ষার মূলটা আহরণ করতে পারছে না। তারা ছকবদ্ধভাবে বেড়ে ওঠছে। যার ফলশ্রুতিতে শিক্ষার আসল লক্ষ্যই ব্যাহত হচ্ছে। যেখানে শিক্ষা দিয়ে নিজেকে সুশৃঙ্খল ভাবে গড়ে তোলার কথা, সেখানে আজ নম্বর প্রাপ্তির প্রতিযোগিতা। শিক্ষার্থীরা শিক্ষার প্রকৃত স্বাদ থেকে বহুদূরে চলে এসেছে। তাদেরকে সঠিক পথে নিয়ে আসতে হবে। আর এ দায়িত্ব নিতে হবে শিক্ষকদের। শিক্ষকরাই জাতির কর্ণধার। শিক্ষার্থীদেরকে লেখা-পড়া করে নিজের বোধটাকে জাগিয়ে পূর্ণ মানুষ হওয়ার মন্ত্র শিক্ষা দিতে  হবে। যার সুফল ভোগ করবে সমাজ, দেশ তথা জাতি। আজ আমাদের ছাত্র সমাজ অবক্ষয়িত, তাদের মূল্যবোধ ভূলুণ্ঠিত। ফলে সমাজে সৃষ্টি হচ্ছে নানা নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা। তাদের মূল্যবোধ জাগ্রত হলেই তারা ন্যায়-অন্যায় সর্ম্পকে বুঝতে পারবে। আর দূর করতে পারবে সকল নৈরাশ্য। তাই শিক্ষকদের পাশাপাশি মা-বাবাদের লক্ষ্য রাখতে হবে তাঁদের সন্তানদের নৈতিকতার প্রতি। তাদেরকে নৈতিকতার শিক্ষা দিতে হবে। বর্তমান সময়ে এই নৈতিকতার খুব অভাব রয়েছে। মূলত শিক্ষার্থীদের উচিত লেখা-পড়ার পাশাপাশি নীতিশিক্ষা গ্রহণ করা। শুধু পাঠ্যবইয়ের পড়া না পড়ে সার্বিক জ্ঞান লাভের চেষ্টা করতে হবে। পাঠ্যবই পড়তে হবে ভালোফল লাভের জন্য, আর নিজেকে সমৃদ্ধ করার জন্য জ্ঞান চর্চা করতে হবে। একমাত্র জ্ঞান সাধনার দ্বারাই যে মানুষ পরিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে এটা তাদের বুঝাতে হবে। সর্বোপরি, আমি যেহেতু একজন ইংরেজি শিক্ষক, তাই আমার পরামর্শ থাকবে সকল শিক্ষার্থীকে ইংরেজিতে দক্ষ হওয়ার। কারণ, জীবনের সর্বক্ষেত্রে ইংরেজি শিক্ষার বিকল্প নেই। ইংরেজিতে দক্ষ হলে জীবনে সাফল্য নিশ্চিত। কিন্তু বর্তমান শিক্ষার্থীরা ইংরেজি চর্চা করে না। ফলে ছেলেবেলা থেকেই শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভীতি জন্ম নেয়। যে ভীতি তাদের সারা জীবনে কাটে না।
তাই প্রাথমিক পর্যায় থেকেই তাদের সঠিক শিক্ষাদানের মাধ্যমে এ ভীতি দূর করতে হবে। লেখা-পড়ার শুরুতেই তাদের ইংরেজির উপর জোর দিতে হবে। তবে এর পাশাপাশি অবশ্যই মাতৃভাষার সঠিক প্রয়োগ ও ব্যবহার আয়ত্ত করতে হবে।





No comments:

Post a Comment

Composition on Female Education in Bangladesh for Examination

  Female Education in Bangladesh Education is a light to which everybody has the equal right. Education is the backbone of a nation. The ...