প্রশ্নঃ
নিচের বিক্রিয়াটি লক্ষ কর এবং
প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
H2SO4+NaOHgNa2SO4+H2O
ক. এসিড কী? ১
খ. বিক্রিয়াটি কী ধরণের এবং কেন? ২
গ. H2SO4একটি এসিড- এর যৌক্তিক প্রমাণ দাও। ৩
ঘ. “সকল ক্ষারই ক্ষারক কিন্তু সকল ক্ষারক ক্ষার নয়”-উদাহরণসহ মতামত দাও। ৪
উত্তরঃ ক. এসিড ঃ যদি কোনো যৌগের অণুতে এক বা একাধিক প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন পরমাণু থাকে এবং ঐ প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেনকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো ধাতু বা ধাতুর ন্যায় ক্রিয়াশীল কোনো যৌগমূলক দ্বারা আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে প্রতিস্থাপিত করা যায়, যা ক্ষারকের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উত্পন্ন করে তাকে অম্ল বা এসিড বলে।
খ. বিক্রিয়ার ধরনঃ উল্লেখিত বিক্রিয়াটি একটি প্রশমন বিক্রিয়া।
কারণ ঃ কোন বিক্রিয়ায় এসিড ও ক্ষারক পরস্পরের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উত্পন্ন করলে সে বিক্রিয়াকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে। উদ্দীপকে সালফিউরিক এসিড (H2SO4), ক্ষারক সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NaOH)-এর সাথে বিক্রিয়া করে সোডিয়াম সালফেট (Na2SO4) লবণ ও পানি (H2O) উত্পন্ন করেছে। তাই এটি একটি প্রশমন বিক্রিয়া।
গ.‘H2SO4 একটি এসিড’- এর যৌক্তিক প্রমাণ ঃ H2SO4 যে একটি এসিড, নিচে বিভিন্ন যুক্তি দ্বারা তা প্রমাণ করা হল-
i) সালফিউরিক এসিডের সংকেত H2SO4। অর্থাত্ সালফিউরিক এসিডের অণুতে দুটি প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন পরমাণু আছে।
ii) এ প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন পরমাণু দুটিকে কোনো ধাতু যেমন- সোডিয়াম (Na) দ্বারা আংশিক ও সম্পূর্ণরূপে প্রতিস্থাপন করে যথাক্রমে সোডিয়াম হাইড্রোজেন সালফেট (NaHSO4) ও সোডিয়াম সালফেট (Na2SO4) দুটি লবণ তৈরি হয়। যেমন-
2Na + 2H2SO4 = 2NaHSO4 + H2
সোডিয়াম + সালফিউরিক এসিড = সোডিয়াম হাইড্রোজেন সালফেট + হাইড্রোজেন
2Na + 2NaHSO4 = 2Na2SO4 + H2
সোডিয়াম + সোডিয়াম হাইড্রোজেন সালফেট = সোডিয়াম সালফেট + হাইড্রোজেন
iii) সালফিউরিক এসিড ক্ষারকের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উত্পন্ন করে।
H2SO4 + NaOH = NaHSO4 + H2O
সালফিউরিক এসিড + সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড = সোডিয়াম হাইড্রোজেন সালফেট + পানি
iv) সালফিউরিক এসিডের পাতলা জলীয় দ্রবণ নীল লিটমাসকে লাল করে।
উপর্যুক্ত ব্যাখ্যা থেকে প্রমাণিত হয় যে, সালফিউরিক এসিড একটি এসিড।
ঘ. “সকল ক্ষারই ক্ষারক, কিন্তু সকল ক্ষারক ক্ষার নয়”ঃ “সকল ক্ষারই ক্ষারক, কিন্তু সকল ক্ষারক ক্ষার নয়”-নিম্নে তা যুক্তিসহকারে উপস্থাপন করা হলো-
ধাতুর অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইড যৌগ, যারা এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে এসিডের ধর্মকে বিলুপ্ত করে লবণ ও পানি উত্পন্ন করে তাদেরকে ক্ষারক বলে। যেমন- Na2O, NaOH, K2O, KOH ইত্যাদি বিভিন্ন ধাতুর অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইড।
এখানে, Na2O + 2HCl NaCl + H2O এবং
NaOH + HCl NaCl + H2O
উপরের বিক্রিয়া সমূহের আলোকে বলা যায় Na2O, NaOH ইত্যাদি ক্ষারক।
অধিকাংশ ক্ষারকই পানিতে দ্রবীভূত হয় না। যেসব ক্ষারক পানিতে দ্রবীভূত হয় তাদেরকে ক্ষার বলে। অন্যকথায়, পানিতে দ্রবণীয় ক্ষারককেই ক্ষার বলে। কাজেই ক্ষার একটি বিশেষ শ্রেণীর ক্ষারক। অর্থাত্, সকল ক্ষারই ক্ষারক।
আবার, ধাতুর অক্সাইডসমূহ সাধারণত ক্ষারধর্মী। জিঙ্ক অক্সাইড, সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড, কপার হাইড্রোক্সাইড প্রভৃতি ক্ষারক। কিন্তু এদের মধ্যে সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড এবং পটাসিয়াম হাইড্রোক্সাইড ড়্গারক দুটো পানিতে দ্রবণীয় বলে ঐ হাইড্রোক্সাইড দুটো ক্ষার। জিঙ্ক অক্সাইড ও কপার হাইড্রোক্সাইড দুটি পানিতে দ্রবণীয় নয় বলে এরা ক্ষার নয়। সুতরাং, বলা যায় যে- ‘সকল ক্ষারই ক্ষারক কিন্তু সকল ক্ষারক ক্ষার নয়’।
H2SO4+NaOHgNa2SO4+H2O
ক. এসিড কী? ১
খ. বিক্রিয়াটি কী ধরণের এবং কেন? ২
গ. H2SO4একটি এসিড- এর যৌক্তিক প্রমাণ দাও। ৩
ঘ. “সকল ক্ষারই ক্ষারক কিন্তু সকল ক্ষারক ক্ষার নয়”-উদাহরণসহ মতামত দাও। ৪
উত্তরঃ ক. এসিড ঃ যদি কোনো যৌগের অণুতে এক বা একাধিক প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন পরমাণু থাকে এবং ঐ প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেনকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো ধাতু বা ধাতুর ন্যায় ক্রিয়াশীল কোনো যৌগমূলক দ্বারা আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে প্রতিস্থাপিত করা যায়, যা ক্ষারকের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উত্পন্ন করে তাকে অম্ল বা এসিড বলে।
খ. বিক্রিয়ার ধরনঃ উল্লেখিত বিক্রিয়াটি একটি প্রশমন বিক্রিয়া।
কারণ ঃ কোন বিক্রিয়ায় এসিড ও ক্ষারক পরস্পরের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উত্পন্ন করলে সে বিক্রিয়াকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে। উদ্দীপকে সালফিউরিক এসিড (H2SO4), ক্ষারক সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NaOH)-এর সাথে বিক্রিয়া করে সোডিয়াম সালফেট (Na2SO4) লবণ ও পানি (H2O) উত্পন্ন করেছে। তাই এটি একটি প্রশমন বিক্রিয়া।
গ.‘H2SO4 একটি এসিড’- এর যৌক্তিক প্রমাণ ঃ H2SO4 যে একটি এসিড, নিচে বিভিন্ন যুক্তি দ্বারা তা প্রমাণ করা হল-
i) সালফিউরিক এসিডের সংকেত H2SO4। অর্থাত্ সালফিউরিক এসিডের অণুতে দুটি প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন পরমাণু আছে।
ii) এ প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন পরমাণু দুটিকে কোনো ধাতু যেমন- সোডিয়াম (Na) দ্বারা আংশিক ও সম্পূর্ণরূপে প্রতিস্থাপন করে যথাক্রমে সোডিয়াম হাইড্রোজেন সালফেট (NaHSO4) ও সোডিয়াম সালফেট (Na2SO4) দুটি লবণ তৈরি হয়। যেমন-
2Na + 2H2SO4 = 2NaHSO4 + H2
সোডিয়াম + সালফিউরিক এসিড = সোডিয়াম হাইড্রোজেন সালফেট + হাইড্রোজেন
2Na + 2NaHSO4 = 2Na2SO4 + H2
সোডিয়াম + সোডিয়াম হাইড্রোজেন সালফেট = সোডিয়াম সালফেট + হাইড্রোজেন
iii) সালফিউরিক এসিড ক্ষারকের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উত্পন্ন করে।
H2SO4 + NaOH = NaHSO4 + H2O
সালফিউরিক এসিড + সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড = সোডিয়াম হাইড্রোজেন সালফেট + পানি
iv) সালফিউরিক এসিডের পাতলা জলীয় দ্রবণ নীল লিটমাসকে লাল করে।
উপর্যুক্ত ব্যাখ্যা থেকে প্রমাণিত হয় যে, সালফিউরিক এসিড একটি এসিড।
ঘ. “সকল ক্ষারই ক্ষারক, কিন্তু সকল ক্ষারক ক্ষার নয়”ঃ “সকল ক্ষারই ক্ষারক, কিন্তু সকল ক্ষারক ক্ষার নয়”-নিম্নে তা যুক্তিসহকারে উপস্থাপন করা হলো-
ধাতুর অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইড যৌগ, যারা এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে এসিডের ধর্মকে বিলুপ্ত করে লবণ ও পানি উত্পন্ন করে তাদেরকে ক্ষারক বলে। যেমন- Na2O, NaOH, K2O, KOH ইত্যাদি বিভিন্ন ধাতুর অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইড।
এখানে, Na2O + 2HCl NaCl + H2O এবং
NaOH + HCl NaCl + H2O
উপরের বিক্রিয়া সমূহের আলোকে বলা যায় Na2O, NaOH ইত্যাদি ক্ষারক।
অধিকাংশ ক্ষারকই পানিতে দ্রবীভূত হয় না। যেসব ক্ষারক পানিতে দ্রবীভূত হয় তাদেরকে ক্ষার বলে। অন্যকথায়, পানিতে দ্রবণীয় ক্ষারককেই ক্ষার বলে। কাজেই ক্ষার একটি বিশেষ শ্রেণীর ক্ষারক। অর্থাত্, সকল ক্ষারই ক্ষারক।
আবার, ধাতুর অক্সাইডসমূহ সাধারণত ক্ষারধর্মী। জিঙ্ক অক্সাইড, সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড, কপার হাইড্রোক্সাইড প্রভৃতি ক্ষারক। কিন্তু এদের মধ্যে সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড এবং পটাসিয়াম হাইড্রোক্সাইড ড়্গারক দুটো পানিতে দ্রবণীয় বলে ঐ হাইড্রোক্সাইড দুটো ক্ষার। জিঙ্ক অক্সাইড ও কপার হাইড্রোক্সাইড দুটি পানিতে দ্রবণীয় নয় বলে এরা ক্ষার নয়। সুতরাং, বলা যায় যে- ‘সকল ক্ষারই ক্ষারক কিন্তু সকল ক্ষারক ক্ষার নয়’।
No comments:
Post a Comment