সাইনোসাইটিস একটি অতিপরিচিত রোগ। শতকরা ২৫ ভাগ মানুষ এ রোগে আক্রান্ত
হয়ে থাকেন। আমাদের নাকের চার পাশের অস্থিগুলোর পাশে বাতাসপূর্ণ কুঠরি
থাকে। এদের সাইনাস বলে। সাইনাসের কাজ হলো মাথাকে হালকা রাখা, মাথাকে আঘাত
থেকে রক্ষা করা, কণ্ঠস্বরকে সুরেলা রাখা, দাঁত ও চোয়াল গঠনে সহায়তা করা।
যদি কোনো কারণে এ সাইনাসগুলোয় প্রদাহ সৃষ্টি হয়, তখন তাকে সাইনোসাইটিস
বলে। সাইনোসাইটিস ব্যাকটেরিয়াজনিত ইনফেকশন, অ্যালার্জি অথবা অটোইমিউন
ডিজিজ ইত্যাদি কারণে হয়ে থাকে।
প্রকারভেদ
সাইনোসাইটিসকে বিভিন্নভাবে শ্রেণী বিভাগ করা যায়। নিচে সাইনোসাইটিসের শ্রেণী বিভাগ নিয়ে আলোচনা করা হলো :
আক্রান্ত হওয়ার সময়ের ওপর ভিত্তি করে সাইনোসাইটিস দুই প্রকার :
১. অ্যাকিউট সাইনোসাইটিস, ২. ক্রোনিক সাইনোসাইটিস
আক্রান্ত সাইনাসের অবস্থান অনুসারে
* ম্যাক্সিলারি সাইনোসাইটিস
* ফ্রন্টাল সাইনোসাইটিস
* ইথাময়েড সাইনোসাইটিস
* স্পেনয়েড সাইনোসাইটিস
অ্যাকিউট সাইনোসাইটিস : সাধারণত অ্যাকিউট সাইনোসাইটিসকে শ্বাসনালীর ওপরের দিকের ইনফেকশন বলা হয়। অ্যাকিউট সাইনোসাইটিস ৭-১০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়ে থাকে।
ক্রনিক সাইনোসাইটিস : তিন মাস বা তার বেশি সময় ধরে যে সাইনোসাইটিস থাকে তাকে ক্রনিক সাইনোসাইটিস বলা হয়।
অবস্থান অনুসারে
ম্যাক্সিলারি সাইনোসাইটিস : ম্যাক্সিলারি অর্থাৎ গালের পাশে অবস্থিত সাইনাস ইনফেকশন হলে তাকে ম্যাক্সিলারি সাইনোসাইটিস বলা হয়। এর লক্ষণ হচ্ছে দাঁতব্যথা ও মাথাব্যথা।
ফ্রন্টাল সাইনোসাইটিস : কোনো কারণে চোখের ওপরে অবস্থিত ফ্রন্টাল সাইনাস গহ্বরে আঘাতপ্রাপ্ত হলে যে সাইনোসাইটিস হয় তাকে ফ্রন্টাল সাইনোসাইটিস বলে।
ইথাময়েড সাইনোসাইটিস : ইথাময়েড সাইনোসাইটিস হলে চোখ ও মাথার মধ্যে প্রদাহ শুরু হয়।
স্পেনয়েড সাইনোসাইটিস : চোখের পাশে ব্যথা শুরু হয়।
কারণ
* ভাইরাসজনিত ইনফেকশন
* ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনÑ স্ট্রেপটোকক্কাস নিমোনি, হিমোফাইলাম ইনফুয়েঞ্জা, মোরাক্সেলা ক্যাটারহালিম স্টাফাইলোকক্কাস অরিয়াস, স্ট্রেপটোকক্কাস সেপসিস, অ্যারাবিক ব্যাকটেরিয়া।
* অ্যালার্জি; * নাকের ভেতর পলিপস হওয়া; * নাকের হাড়ের বৃদ্ধি; * সাইনাসের ভেতর কোনো ময়লা ঢুকে যাওয়া
লক্ষণ
* মাথাব্যথা * মাথা ভারী বোধ করা * নাকের পাশে ব্যথা করা * গাল ও চোয়াল ব্যথা * নাক দিয়ে ঘন সর্দি পড়া, নাক বন্ধ থাকা * নাকের হাড়ের গঠনে অস্বাভাবিকতা * ঘ্রাণশক্তি কমে যাওয়া * জ্বর * গলাব্যথা
রোগ নির্ণয় পদ্ধতি
* সিটিস্ক্যান * নেসাল এন্ডোসকপি * নাকের মাংসের বায়োপসি * সানুসকপি * সুইয়েট কোরাইড টেস্ট
জটিলতা
* এবসেস * ওস্টিওম্যালাইটিস * ম্যানিনজাইটিস * অরবিটল সেলুলাইটিস (চোখের চার পাশের চামড়ায় ইনফেকশন)
সাইনোসাইটিস প্রতিরোধে করণীয়
* প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ ফল ও সবজি খেতে হবে * হাত ও মুখ নিয়মিত ধুয়ে পরিষ্কার রাখা * ধূমপান পরিহার করতে হবে * প্রচুর পানি পান করতে হবে, যাতে শরীরের ময়েশ্চার ঠিক থাকে। নাক ও মুখে গরম পানির ভাপ নিতে হবে।
চিকিৎসা
ভেষজের মাধ্যমে
রসুন : সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, রসুন অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কার্যকর ভূমিকা রাখে। তাই ভাইরাল ও ব্যাকটেরিয়ার ইনফেকশনজনিত সাইনোসাইটিস প্রতিরোধে রসুন অনন্য। প্রতিদিন দুই-চার কোয়া রসুন দুই চা চামচ মধুর সাথে দিনে দুই বার সেবন করলে সাইনোসাইটিস ভালো হয়।
পেঁয়াজ : প্রতিদিন এক চা চামচ পেঁয়াজের রস এক চা চামচ মধুর সাথে সেবন করলে সাইনোসাইটিস ভালো হয়ে যাবে।
গোলমরিচ : পাঁচ গ্রাম গোলমরিচ চূর্ণ এক গ্লাস গরম দুধের সাথে সেবন করলে সাইনোসাইটিস দূর হয়ে যায়।
আদা : নিয়মিত আদার রস এক চা চামচ পরিমাণ সাথে এক চামচ মধুসহ সেবন করলে সাইনোসাইটিসজনিত মাথাব্যথা দূর হয়।
গোল্ডেনসিয়াল : দক্ষিণ আমেরিকার এ ভেষজটি অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে খুবই কার্যকর। এ ভেষজে বেরবেরিন এবং হাইড্রস্টিন বিদ্যমান, যা সাইনোসাইটিস প্রতিরোধে খুবই কার্যকর।
যষ্টিমধু : গবেষণায় দেখা গেছে, যষ্টিমধু অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিভাইরাল হিসেবে কাজ করে এবং শ্বসনতন্ত্রের প্রদাহ দূর করে। তাই যষ্টিমধু সাইনোসাইটিস প্রতিরোধে খুবই কার্যকর।
পুদিনা তেল : পুদিনার তেল সাইনোসাইটিসজনিত মাথাব্যথা, নাক ও মুখমণ্ডলের ব্যথা দূর করতে কার্যকর।
ইউক্যালিপটাস তেল : ইউক্যালিপটাস তেল খুব ভালো অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। তাই ইউক্যালিপটাস তেল ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনজনিত সাইনোসাইটিস দূর করে।
লেমন বাল্ম : সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়া, অ্যান্টিহিস্টামিটিক ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে এবং সাইনোসাইটিস প্রতিরোধে ভালো কাজ করে।
ম্যাসাজ থেরাপি
তিলতেল : তিলতেল দিয়ে নিয়মিত ম্যাসাজ করলে সাইনোসাইটিস ভালো হয়।
প্রকারভেদ
সাইনোসাইটিসকে বিভিন্নভাবে শ্রেণী বিভাগ করা যায়। নিচে সাইনোসাইটিসের শ্রেণী বিভাগ নিয়ে আলোচনা করা হলো :
আক্রান্ত হওয়ার সময়ের ওপর ভিত্তি করে সাইনোসাইটিস দুই প্রকার :
১. অ্যাকিউট সাইনোসাইটিস, ২. ক্রোনিক সাইনোসাইটিস
আক্রান্ত সাইনাসের অবস্থান অনুসারে
* ম্যাক্সিলারি সাইনোসাইটিস
* ফ্রন্টাল সাইনোসাইটিস
* ইথাময়েড সাইনোসাইটিস
* স্পেনয়েড সাইনোসাইটিস
অ্যাকিউট সাইনোসাইটিস : সাধারণত অ্যাকিউট সাইনোসাইটিসকে শ্বাসনালীর ওপরের দিকের ইনফেকশন বলা হয়। অ্যাকিউট সাইনোসাইটিস ৭-১০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়ে থাকে।
ক্রনিক সাইনোসাইটিস : তিন মাস বা তার বেশি সময় ধরে যে সাইনোসাইটিস থাকে তাকে ক্রনিক সাইনোসাইটিস বলা হয়।
অবস্থান অনুসারে
ম্যাক্সিলারি সাইনোসাইটিস : ম্যাক্সিলারি অর্থাৎ গালের পাশে অবস্থিত সাইনাস ইনফেকশন হলে তাকে ম্যাক্সিলারি সাইনোসাইটিস বলা হয়। এর লক্ষণ হচ্ছে দাঁতব্যথা ও মাথাব্যথা।
ফ্রন্টাল সাইনোসাইটিস : কোনো কারণে চোখের ওপরে অবস্থিত ফ্রন্টাল সাইনাস গহ্বরে আঘাতপ্রাপ্ত হলে যে সাইনোসাইটিস হয় তাকে ফ্রন্টাল সাইনোসাইটিস বলে।
ইথাময়েড সাইনোসাইটিস : ইথাময়েড সাইনোসাইটিস হলে চোখ ও মাথার মধ্যে প্রদাহ শুরু হয়।
স্পেনয়েড সাইনোসাইটিস : চোখের পাশে ব্যথা শুরু হয়।
কারণ
* ভাইরাসজনিত ইনফেকশন
* ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনÑ স্ট্রেপটোকক্কাস নিমোনি, হিমোফাইলাম ইনফুয়েঞ্জা, মোরাক্সেলা ক্যাটারহালিম স্টাফাইলোকক্কাস অরিয়াস, স্ট্রেপটোকক্কাস সেপসিস, অ্যারাবিক ব্যাকটেরিয়া।
* অ্যালার্জি; * নাকের ভেতর পলিপস হওয়া; * নাকের হাড়ের বৃদ্ধি; * সাইনাসের ভেতর কোনো ময়লা ঢুকে যাওয়া
লক্ষণ
* মাথাব্যথা * মাথা ভারী বোধ করা * নাকের পাশে ব্যথা করা * গাল ও চোয়াল ব্যথা * নাক দিয়ে ঘন সর্দি পড়া, নাক বন্ধ থাকা * নাকের হাড়ের গঠনে অস্বাভাবিকতা * ঘ্রাণশক্তি কমে যাওয়া * জ্বর * গলাব্যথা
রোগ নির্ণয় পদ্ধতি
* সিটিস্ক্যান * নেসাল এন্ডোসকপি * নাকের মাংসের বায়োপসি * সানুসকপি * সুইয়েট কোরাইড টেস্ট
জটিলতা
* এবসেস * ওস্টিওম্যালাইটিস * ম্যানিনজাইটিস * অরবিটল সেলুলাইটিস (চোখের চার পাশের চামড়ায় ইনফেকশন)
সাইনোসাইটিস প্রতিরোধে করণীয়
* প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ ফল ও সবজি খেতে হবে * হাত ও মুখ নিয়মিত ধুয়ে পরিষ্কার রাখা * ধূমপান পরিহার করতে হবে * প্রচুর পানি পান করতে হবে, যাতে শরীরের ময়েশ্চার ঠিক থাকে। নাক ও মুখে গরম পানির ভাপ নিতে হবে।
চিকিৎসা
ভেষজের মাধ্যমে
রসুন : সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, রসুন অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কার্যকর ভূমিকা রাখে। তাই ভাইরাল ও ব্যাকটেরিয়ার ইনফেকশনজনিত সাইনোসাইটিস প্রতিরোধে রসুন অনন্য। প্রতিদিন দুই-চার কোয়া রসুন দুই চা চামচ মধুর সাথে দিনে দুই বার সেবন করলে সাইনোসাইটিস ভালো হয়।
পেঁয়াজ : প্রতিদিন এক চা চামচ পেঁয়াজের রস এক চা চামচ মধুর সাথে সেবন করলে সাইনোসাইটিস ভালো হয়ে যাবে।
গোলমরিচ : পাঁচ গ্রাম গোলমরিচ চূর্ণ এক গ্লাস গরম দুধের সাথে সেবন করলে সাইনোসাইটিস দূর হয়ে যায়।
আদা : নিয়মিত আদার রস এক চা চামচ পরিমাণ সাথে এক চামচ মধুসহ সেবন করলে সাইনোসাইটিসজনিত মাথাব্যথা দূর হয়।
গোল্ডেনসিয়াল : দক্ষিণ আমেরিকার এ ভেষজটি অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে খুবই কার্যকর। এ ভেষজে বেরবেরিন এবং হাইড্রস্টিন বিদ্যমান, যা সাইনোসাইটিস প্রতিরোধে খুবই কার্যকর।
যষ্টিমধু : গবেষণায় দেখা গেছে, যষ্টিমধু অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিভাইরাল হিসেবে কাজ করে এবং শ্বসনতন্ত্রের প্রদাহ দূর করে। তাই যষ্টিমধু সাইনোসাইটিস প্রতিরোধে খুবই কার্যকর।
পুদিনা তেল : পুদিনার তেল সাইনোসাইটিসজনিত মাথাব্যথা, নাক ও মুখমণ্ডলের ব্যথা দূর করতে কার্যকর।
ইউক্যালিপটাস তেল : ইউক্যালিপটাস তেল খুব ভালো অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। তাই ইউক্যালিপটাস তেল ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনজনিত সাইনোসাইটিস দূর করে।
লেমন বাল্ম : সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়া, অ্যান্টিহিস্টামিটিক ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে এবং সাইনোসাইটিস প্রতিরোধে ভালো কাজ করে।
ম্যাসাজ থেরাপি
তিলতেল : তিলতেল দিয়ে নিয়মিত ম্যাসাজ করলে সাইনোসাইটিস ভালো হয়।
No comments:
Post a Comment