Sunday, November 11, 2012

যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন

যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন কী?
বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের জন্য প্রণীত শিক্ষাক্রম যোগ্যতাভিত্তিক অর্থাত্ ২০০২-২০০৩ সালে শিক্ষা বিশেষজ্ঞগণ ৫০টি প্রান্তিক যোগ্যতা নির্ধারণ করেন। ৫ বছর মেয়াদী প্রাথমিক শিক্ষাচক্র শেষে প্রতিটি  শিশু ১ম শ্রেণি হতে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রণীত পাঠ্যবই অধ্যয়নের মাধ্যমে উল্লেখিত ৫০টি যোগ্যতা অর্জন করবে বলে আশা করা যায় । কিন্তু পরীক্ষা পদ্ধতিতে যে প্রশ্নগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয় সেগুলো  মূলত কোন একটি বিষয়বন্তু ভিত্তিক যা শিশুদের শ্রেণিতে পড়ানো হয়  এবং শিশু তা কতটুকু পারলো তা অনুশীলন নির্ভর । সে প্রশ্নগুলোই যখন পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় তখন তা স্মরণশক্তি যাচাই নির্ভর হয়ে পড়ে । বিগত দিনগুলোতে সমাপনী পরীক্ষায় যে সকল প্রশ্ন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল সেগুলো মূলত শিশুদের মনে রাখার ক্ষমতা কতটুকু তা যাচাই করে । এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্যই যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন । একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরো পরিষ্কার হবে । যেমন পঞ্চম শ্রেণির পড়া বিষয়ক একটি যোগ্যতা হলো শিশু গল্প, অনুচ্ছেদ পড়ে বুঝতে পারবে । এজন্য ৫ম শ্রেণিতে অনেকগুলো গল্প, প্রবন্ধ দেয়া আছে এবং সেগুলো পড়ে বুঝতে পারে কিনা তার জন্য অনুশীলনমূলক প্রশ্নও দেয়া থাকে । এখন যদি একই কাঠিন্য সম্পন্ন এবং তাদের বয়স ও সামর্থ নির্ভর ভিন্ন একটি গল্প বা অনুচ্ছেদ পড়তে দেয়া হয় এবং তা পড়ে বুঝতে পারলো কিনা  তা যাচাই করার জন্য  পাইলটিং এর মাধ্যমে প্রস্তুকৃত প্রশ্নব্যাংকের অন্তর্ভুক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারলে বুঝা যাবে যে শিশুর পড়ার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে ।
প্রশ্ন: স্মরণশক্তি নির্ভর প্রশ্ন ছাড়া অন্য কোন ধরনের প্রশ্ন  অন্তর্ভুক্ত থাকবে কি ?
এ বছর ৫ম শ্রেণির প্রশ্নপত্রে ১০ নম্বর যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন অন্তর্ভুক্ত হবে বলে সরকারের সিদ্ধান্ত রয়েছে । সে মোতাবেক প্রতিটি বিষয়ের ১ নম্বর প্রশ্নটি হবে যোগ্যতাভিত্তিক । এ প্রশ্নটির ধরণ হবে বহুনির্বাচনিক (Multiple Choice Question) এবং ১০ টি বহুনির্বাচনিক প্রশ্ন (অভীক্ষাপদ) দেয়া হবে । প্রতিটি অভীক্ষাপদের বিপরীতে চারটি করে সম্ভাব্য উত্তর দেয়া থাকবে। পরীক্ষার্থীকে সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লিখতে হবে। ১০ টি অভীক্ষাপদের মধ্যে ৪টি হবে জ্ঞানমূলক ও ৩টি হলো অনুধাবনমূলক এবং ৩টি হলো প্রয়োগমূলক ।

প্রশ্ন: পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে কিছু বলুন ।
প্রিয় পরীক্ষার্থীবৃন্দ যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন কোন কঠিন বিষয় নয় । তোমরা এগুলোর উত্তর দিতে অবশ্যই মজা পাবে । তোমরা খাতায় শুধু উত্তর লিখবে। যেমন: বাংলাদেশের রাজধানী কোথায়? সেক্ষেত্রে যে চারটি সম্ভাব্য উত্তর দেয়া থাকবে তার মধ্যে সঠিকটি তথা ক)‘ঢাকা’ শব্দটি তোমার খাতায় লিখবে । এক্ষেত্রে প্রশ্ন লিখতে হবে না । তোমরা সবাই ভালো করবে এ বিশ্বাস আমার আছে ।

প্রশ্ন:অভিভাবকদের উদ্দেশে আপনার বক্তব্য কী?
অভিভাবকবৃন্দ অনেক অভিজ্ঞ। প্রকৃতপক্ষে তাদের উদ্দেশে বলার তেমন কিছু নেই । তবে কয়েকটি বিষয় আলোকপাত করতে চাই। প্রথমত: শিশুদের রাতভর পড়াবেন না । শিশুর যথেষ্ট পরিমাণ ঘুম দরকার। তা না হলে শিশু পরীক্ষার হলে অসুস্থ বোধ করবে। এ জন্য পরীক্ষা খারাপ হতে পারে । দ্বিতীয়ত: শিশুদের আশ্বস্ত করুন যে, সে পরীক্ষায় যা পারবে তাই লিখবে । তাকে ১০০ নম্বরের মধ্যে ১০০ নম্বর পেতে হবে এমন ধারণা করা উচিত নয় ।

তৃতীয়ত: শিশু পরীক্ষার দিন সকালবেলা পরীক্ষার টেনশনে খেতে চাইবে না এক্ষেত্রে শিশু যা খেতে চায় তাই দিবেন তবে মিষ্টি, ডিম  খাওয়াতে ভুলবেন না। পরিশেষে বলতে চাই- সকলেই প্রথম হয় না, সবাই বৃত্তি পাবে না । তবে সবাই পরীক্ষায় পাস করে এটাই সত্য ।



No comments:

Post a Comment

Composition on Female Education in Bangladesh for Examination

  Female Education in Bangladesh Education is a light to which everybody has the equal right. Education is the backbone of a nation. The ...