শিশু যেভাবে খেতে আগ্রহী
সব বাবা মা-ই চান তার শিশু সব ধরনের
খাবার প্রচুর পরিমাণে গ্রহণ করুক। বাস্তবে দেখা যায় অনেক বাচ্চা খাবার
একেবারেই খেতে চায় না। এ সমস্যা যাতে আপনার শিশুর ক্ষেত্রে না হয় এ জন্য
আপনাকে কিছু বিষয় জানতে হবে।
বাচ্চা জন্মের প্রথম দিকে খাবার খাওয়া শেখে। তাই সম্পূরক খাবার শুরু করলে স্বাভাবিকভাবেই সে প্রথম দিকে অল্প খাবে এবং আপনার দায়িত্ব তাকে অল্প করে খাওয়ানো, ধীরে ধীরে খাবারের পরিমাণ বাড়ানো। বাচ্চাকে খাওয়ানোর ক্ষেত্রে চরম ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে, কখনোই তাকে জোর করে খাওয়ানো যাবে না। সে যে খাবার অপছন্দ করে তা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হবে পরে, আবার দিতে হবে, কারণ বাচ্চাদের পছন্দ দ্রুত পরিবর্তন হতে পারে।
নতুন একটা খাবার শুরু করার পর থেকে পরপর তিন দিন বাচ্চাকে ওই একই খাবার খাওয়াতে হবে। এতে বাচ্চা ধীরে ধীরে নতুন স্বাদের খাবারের সঙ্গে পরিচিত হবে। প্রথম দিকে বাচ্চাকে তরল ভাত বুকের দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াবেন। এরপর বিভিন্ন রকম সবজি তরল ভাতের সঙ্গে মিশিয়ে তরল বা অর্ধ তরল করে খাওয়াবেন। বাচ্চাকে সবজি খাওয়ানো শুরু করার কমপক্ষে এক মাস পর বাচ্চাকে ফলের রস বা ফল খাওয়ানো উচিত। মিষ্টি ফলের স্বাদ যেহেতু সবজির তুলনায় খুব তীব্র তাই শুরুতেই ফল বা ফলের রস না খাওয়ানো ভালো। কারণ ফল খাওয়ানোর পর সবজি খাওয়াতে গেলে অনেক বাচ্চা আর সবজি খেতে চায় না। সবজি রান্না করে এর সঙ্গে মিষ্টি আলু মিশিয়ে তরল করে নিলে বাচ্চা সহজে খাবে। মায়ের দুধ মিষ্টি তাই প্রথম দিকে বাচ্চা বুকের দুধের কাছাকাছি স্বাদের খাবার পছন্দ করে।
খাওয়ার সময় নির্ধারণবাচ্চা জন্মের প্রথম দিকে খাবার খাওয়া শেখে। তাই সম্পূরক খাবার শুরু করলে স্বাভাবিকভাবেই সে প্রথম দিকে অল্প খাবে এবং আপনার দায়িত্ব তাকে অল্প করে খাওয়ানো, ধীরে ধীরে খাবারের পরিমাণ বাড়ানো। বাচ্চাকে খাওয়ানোর ক্ষেত্রে চরম ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে, কখনোই তাকে জোর করে খাওয়ানো যাবে না। সে যে খাবার অপছন্দ করে তা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হবে পরে, আবার দিতে হবে, কারণ বাচ্চাদের পছন্দ দ্রুত পরিবর্তন হতে পারে।
নতুন একটা খাবার শুরু করার পর থেকে পরপর তিন দিন বাচ্চাকে ওই একই খাবার খাওয়াতে হবে। এতে বাচ্চা ধীরে ধীরে নতুন স্বাদের খাবারের সঙ্গে পরিচিত হবে। প্রথম দিকে বাচ্চাকে তরল ভাত বুকের দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াবেন। এরপর বিভিন্ন রকম সবজি তরল ভাতের সঙ্গে মিশিয়ে তরল বা অর্ধ তরল করে খাওয়াবেন। বাচ্চাকে সবজি খাওয়ানো শুরু করার কমপক্ষে এক মাস পর বাচ্চাকে ফলের রস বা ফল খাওয়ানো উচিত। মিষ্টি ফলের স্বাদ যেহেতু সবজির তুলনায় খুব তীব্র তাই শুরুতেই ফল বা ফলের রস না খাওয়ানো ভালো। কারণ ফল খাওয়ানোর পর সবজি খাওয়াতে গেলে অনেক বাচ্চা আর সবজি খেতে চায় না। সবজি রান্না করে এর সঙ্গে মিষ্টি আলু মিশিয়ে তরল করে নিলে বাচ্চা সহজে খাবে। মায়ের দুধ মিষ্টি তাই প্রথম দিকে বাচ্চা বুকের দুধের কাছাকাছি স্বাদের খাবার পছন্দ করে।
ছয় মাস বয়স থেকে প্রথম যখন সম্পূরক খাবার দেয়া শুরু করবেন তখন মনে রাখবেন এ নতুন খাবার বাচ্চাকে তখনই দেবেন যখন বাচ্চা খুব হাসিখুশি অবস্থায় থাকবে। যেমন সকালে বাচ্চা ঘুম থেকে ওঠার পর বুকের দুধ আগে একবারে যতটুকু খাওয়াতেন তার অর্ধেক খাওয়াবেন। এরপর সম্পূরক খাদ্য অল্প করে খাওয়াবেন, তারপর বাকি বুকের দুধ খাওয়াবেন। ক্ষুধার্ত অবস্থায় সরাসরি নতুন খাবার না খাওয়ানো ভালো। কারণ বাচ্চা ক্ষুধার্ত অবস্থায় সাধারণত নতুন কোনো কিছুর দিকে মনোযোগ দেয় না।
নিজে খাওয়ার অভিনয় করে দেখান
বাচ্চাদের শেখার ক্ষমতা অসাধারণ। তারা সব সময় চারপাশের সবকিছু খুব আগ্রহের সঙ্গে খেয়াল করে এবং নিজে অনুসরণের চেষ্টা করে। আপনি বাচ্চাকে যে খাবার খাওয়াতে চান আগে অল্প পরিমাণে তার সামনে খান অথবা খাওয়ার অভিনয় করুন এবং এমনভাব করুন যেন আপনি খাবারটাতে প্রচণ্ড মজা পাচ্ছেন। দেখবেন সে নিজেই আপনার কাছ থেকে খাবারটা নিয়ে খেতে চাইবে।
খাবারের সময়টা আনন্দময় করে তুলুন
বাচ্চা যখন খাবার খাবে এ সময়টা যেন তার জন্য খুব আনন্দময় হয় সে ব্যবস্থা করুন। খাওয়ার কাজটা যেন কখনোই তার জন্য বিরক্তিকর না হয় সতর্কতার সঙ্গে লক্ষ রাখবেন। প্রথমদিকে বাচ্চা যদি খুব আগ্রহ নিয়ে খাওয়া শেখে তবে পুরো শিশুকাল তার আগ্রহ নিয়ে খাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। প্রথমদিকে যদি আপনি তাকে বিরক্ত করে তোলেন তবে পুরো শিশুকাল সে আপনাকে বিরক্ত করবে। পারিবারিকভাবে সবাই কমপক্ষে একবেলা একসঙ্গে খান এবং বাচ্চা এ সময় কাছে রাখুন। একটু বড় হলে প্লেট দিয়ে পাশে বসিয়ে দিন। তার হাতে খাবার যেমন গাজরের টুকরা দিন। সে একা একা খেতে শিখবে। বাড়িতে যদি তার চেয়ে বড় শিশু থাকে তবে বড় শিশুকে আপনার ছোট শিশুর সামনে খেতে দিন। শিশুকে আপনি যেভাবে খাওয়াবেন একই সঙ্গে তাকে নিজের হাতে খেতে অভ্যস্ত করে তুলুন। তবে বাচ্চা যখন নিজের হাতে খাবে তখন অবশ্যই তার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। অনেক সময় খাবার বাচ্চাদের শ্বাসনালিতে ঢুকে যেতে পারে অথবা বাচ্চা নোংরা খাবার মুখে দিতে পারে, এ ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। বাচ্চাকে আপনার পরিবারের খাবারের সঙ্গে পরিচিত করে তুলুন। অর্থাৎ আপনারা যে ধরনের খাবার খান তাকে সে ধরনের খাবার খেতে অভ্যস্ত করুন, যেমন আপনারা ভাত এবং সবজি খাচ্ছেন তার জন্যও আলাদাভাবে ভাত এবং সবজি রান্না করুন এবং একসঙ্গে খান। তবে খেয়াল রাখবেন প্রথম এক বছর বাচ্চার খাবারে ঝাল বা লবণ দেবেন না।
বাচ্চাকে খাওয়ানোর জন্য প্রতিবার খুব অল্প পরিমাণে খাবার তৈরি করবেন যাতে খাবার নষ্ট না হয়। তবে যে খাবারটুকু বেঁচে যাবে সেটা নিজে খেয়ে ফেলবেন, রেখে দেবেন না বা এই অবশিষ্ট খাবার শিশুকে পরে খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন না। বাচ্চা খাওয়ার সময় অবশ্যই তার সঙ্গে থাকবেন। গরম খাবার বাচ্চাকে খাওয়ানোর আগে নিজে অবশ্যই দেখে নেবেন খাবার কতটুকু গরম এবং এ তাপমাত্রা সে সহ্য করতে পারবে কি না, এদিকেও লক্ষ রাখবেন।
No comments:
Post a Comment