Monday, August 27, 2012

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা-২০১২:পরিবেশ পরিচিতি সমাজ

শুদ্ধ-অশুদ্ধ
১। বিজ্ঞানের ভাষায় লেখাপড়া করাও কাজ। (অশুদ্ধ)
২। বাঁকা ধনুকে জমা হওয়া শক্তি স্থিতিশক্তি। (শুদ্ধ)
৩। আলো ছাড়াও আমরা দেখতে পাই। (অশুদ্ধ)
৪। সূর্য থেকে আসা আলোর উপস্থিতিতে গাছপালা খাবার তৈরি করে। (শুদ্ধ)
৫। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে গ্যাসীয় পদার্থ আয়তনে বৃদ্ধি পায়। (শুদ্ধ)
৬। তাপ প্রয়োগে ধাতু সংকুচিত হয়। (অশুদ্ধ)
৭। আলো এক সেকেন্ডে যায় ৩,০০,০০০ মাইল। (অশুদ্ধ)
৮। ওলন্দাজরা এশিয়া মাইনর বা ম্যাগনেশিয়া নামক স্থানে এক বিশেষ কালো পাথর আবিষ্কার করেন। (অশুদ্ধ)
৯। শব্দ চলাচলের জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন। (শুদ্ধ)
১০। বায়ুর অপর নাম প্রাণ। (অশুদ্ধ)
১১। আমরা প্রকৃত পক্ষে বায়ুর সাগরে ডুবে আছি। (শুদ্ধ)
১২। সাধারণ অবস্থায় বায়ুর চাপকে অ্যাটমোসফিয়ার বলে। (শুদ্ধ)
১৩। রাতের বেলায় জলভাগ অপেক্ষা স্থলভাগ তাড়াতাড়ি তাপ শোষণ করে। (অশুদ্ধ)
১৪। ব্যারোমিটারে পারদের উচ্চতা ৭৬ সে. মি. এর নিচে নামলে ঝড় ও বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা থাকে। (শুদ্ধ)
১৫। বিষুবীয় অঞ্চলে দিন ও রাত সমান। (শুদ্ধ)
১৬। বৃষ্টি মাপার যন্ত্রটি ৫১ সে. মি. দীর্ঘ ও ২১ সে. মি. ব্যাসের একটি বেলনাকার পাত্র। (শুদ্ধ)
১৭। বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে গেলে বায়ুর চাপ কমে যায়। (শুদ্ধ)
১৮। ল্যাকটোমিটারের সাহায্যে বায়ুর চাপ মাপা হয়। (অশুদ্ধ)
১৯। আবহাওয়ার পরিবর্তন দিন দিন ঘটতে পারে। (শুদ্ধ)
২০। চাপ প্রয়োগে পদার্থ বাধা প্রদান করে। (অশুদ্ধ)
২১। কাজ হলো সরণ ও ত্বরণের গুণফল। (অশুদ্ধ)
২২। অকারণে শক্তি নষ্ট করাকে শক্তির অপচয় বলে। (শুদ্ধ)
২৩। বিজ্ঞানী আলেকজা-ার গ্রাহামবেল ডায়নামো আবিষ্কার করেন। (অশুদ্ধ)
২৪। লোহার দ-কে চুম্বক দ্বারা ঘষে কৃত্রিম চুম্বক তৈরি করা যায়। (শুদ্ধ)
২৫। বিদ্যুৎ শক্তিকে প্রয়োজনে সঞ্চিত করে রাখা যায়। (শুদ্ধ)

বাংলায় ইংরেজ শাসন

সুপ্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা শুভেচ্ছা নিও। বন্ধুরা আজ আমরা ত্রয়োদশ অধ্যায়ের (বাংলায় ইংরেজ শাসন) থেকে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে পড়াশোনা করব।

১। বাংলা ১১৭৬ সনকে কি বলা হয় এবং কেন?
উত্তর : বাংলা ১১৭৬ সনকে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর বলা হয়। কারণ, ‘দ্বৈত শাসন’ প্রবর্তিত ব্যবস্থায় ইংরেজরা নবাবের হাত থেকে আর্থিক অধিকার কেড়ে নেয় এবং শুধু শাসনকার্য পরিচালনার দায়ভার তাঁর হাতে থাকে। এ পদ্ধতির কারণে নবাব ক্ষমতাহীন হয়ে যান আর প্রকৃত ক্ষমতা চলে যায় ইংরেজদের হাতে। প্রশাসনিক অব্যবস্থার সাথে যুক্ত হয় ১৭৭০ সালের অনাবৃষ্টি আর খরা। সবকিছু মিলিয়ে বাংলায় নেমে আসে প্রচ- দুর্ভিক্ষ। তখন বাংলা ১১৭৬ সন ছিল, তাই বাংলা ১১৭৬ সনকে ইতিহাসে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর বলা হয়।

২। ‘লাহোর প্রস্তাব’ এর মূল বক্তব্য কী?
উত্তর : বাংলার রাজনীতিতে চূড়ান্ত ধাপ হচ্ছে ১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৪৭ সালের রাজনৈতিক পরিবর্তন। এ পর্যায়ে ইংরেজ বিরোধী আন্দোলন আরো তীব্র হয়। কংগ্রেসে হিন্দু নেতাদের মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাব এবং আরো নানাবিধ কারণে অধিকাংশ ভারতীয় মুসলমানের মধ্যে এই ধারণা জন্মায় যে, তাদের স্বার্থরক্ষার জন্য আলাদা রাষ্ট্রের প্রয়োজন। এই লক্ষ্যে ১৯৪০ সালে মুসলিম লীগের লাহোর অধিবেশনে শেরেবাংলা একে ফজলুল হক একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এটি ‘লাহোর প্রস্তাব’ নামে খ্যাত।
৩। ফরায়েজী আন্দোলনের উদ্দেশ্য কী?
উত্তর : ফরায়েজী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন হাজী শরিয়তউল্লাহ। ফরায়েজী আন্দোলনের অন্য উদ্দেশ্য ছিল মুসলমানদের ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা ও অনুশাসন পালনের জন্য উদ্বুদ্ধ করা। পাশাপাশি জমিদার, নীলকর, মহাজন স্থানীয় প্রশাসনের শোষণ ও অত্যাচার থেকে মুসলমানদের রক্ষা করাও ছিল এ আন্দোলনের উদ্দেশ্য।
৪। বাংলায় কীভাবে ইংরেজ শাসনের ভিত্তি স্থাপিত হয়?
উত্তর : ১৭৫৭ সালের ২৩শে জুন রবার্ট ক্লাইভের নেতৃত্বে ইংরেজ বাহিনীর সাথে নবাব সিরাজউদ্দৌলার সৈন্যদের পলাশীর প্রান্তরে যুদ্ধ হয়। সেনাপতি মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতার ফলে যুদ্ধে অসহায়ভাবে পরাজয় ঘটে নবাবের। পরে তাঁকে হত্যা করা হয়। এই যুদ্ধের মাধ্যমেই বাংলায় ইংরেজ শাসনের ভিত্তি এদেশে স্থাপিত হয়।

No comments:

Post a Comment

Composition on Female Education in Bangladesh for Examination

  Female Education in Bangladesh Education is a light to which everybody has the equal right. Education is the backbone of a nation. The ...