শুধু প্রাইভেট এবং
কোচিং ক্লাস নির্ভর
লেখাপড়া শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনে কোন কাজে আসবে না। শিক্ষার্থীরা যা জানবে, শুনবে
এবং শিখবে তাই
তার কর্মজীবনের কাজে লাগাতে পারার নামই শিক্ষা। একজন
শিক্ষার্থীকে পূর্ণাঙ্গ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হলে
প্রাইভেট
কোচিং এর
গণ্ডি
থেকে অবশ্যই বের হতে হবে। কারণ এ
ধরনের শিক্ষা মেধা বিকাশের অন্তরায়। ধৈর্য্য , সহনশীলতা এবং
টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে
একজন শিক্ষার্থী তার সুপ্ত প্রতিভা বিকাশ করতে পারে। এজন্য তাকে পাঠ্যসূচির
পাশাপাশি প্রকৃতি, সংস্কৃতি
এবং মানসিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে
সহপাঠ কার্যক্রম বিতর্ক, অভিনয়, গল্পশোনা, গল্পবলা,
আবৃত্তি, জ্ঞান জিজ্ঞাসার মত কর্মকাণ্ডে অবশ্যই অংশগ্রহণ করতে হবে। সুস্থ দেহের জন্য পরিমিত খেলাধুলা এবং
মানসিক বিনোদনের জন্য
পাঠ্যসূচির বাইরে রুচি
সম্মত সহজ
সরল নিবন্ধ-প্রবন্ধ, গল্প-উপন্যাস পড়া
প্রত্যেক শিক্ষার্থীর রুটিন
ওয়ার্ক হওয়া উচিত। এখন সৃজনশীল পদ্ধতিতে ভালো রেজাল্ট করার জন্য টেক্সটবুক
রপ্ত করার কোন
বিকল্প নেই। আর শিক্ষার্থীদের কোনক্রমেই ভয়ভীতি দেখানো যাবে না। ‘তুমি পারবে
না। তোমার দ্বারা
কিছুই হবে
না।’ এভাবে শিক্ষার্থীদের নিরুত্সাহিত করা যাবে না। বরং
তাদের
বেশি বেশি উত্সাহিত করতে হবে। যাতে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রেরণার সৃষ্টি হয়।
তাদের সাহস দিতে
হবে। ‘তোমরা নিশ্চয়ই পারবে। তোমাদের উদ্যমতা, তোমাদের প্রচেষ্টা, তোমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে
পৌঁছে দেবে।’ শিক্ষার্থীদের বাসার কাজ,
শ্রেণির কাজ, সাপ্তাহিক পরীক্ষা, ক্লাস পারফরমেন্স
ভালো করে
মনিটরিং
করতে হবে। চিহ্নিত করতে হবে
তাদের দুর্বলতা। সমস্যার আলোকে তাদের দুর্বলতা
কাটিয়ে উঠতে সমাধান
খুঁজে বের
করতে হবে। ঘন
ঘন পরীক্ষা নিতে
হবে। মনে
রাখতে
হবে পরীক্ষার কোন বিকল্প নেই। শিক্ষক শিক্ষার্থীর সম্পর্কটাও হতে হবে
বন্ধুত্বপূর্ণ।
যাতে তারা তাদের
যে কোন
সমস্যার কথা
অনায়াসে শিক্ষকের সাথে শেয়ার করতে পারে। পড়াশুনার পাশাপাশি চিত্তবিনোদনের জন্য সাহিত্য সাময়িকী প্রকাশ
করা। যা তাদের লেখনি শক্তির মাধ্যমে মেধা ও মননশীলতা বিকাশে আরো বেশি অনুপ্রাণিত করবে। সর্বোপরি শিক্ষার্থীদের ক্লাসের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে। পাঠদান হতে হবে আনন্দদায়ক। যা শিক্ষার্থীর আত্মার খোরাক জোগাতে সক্ষম। আত্মবিশ্বাস, দৃঢ় মনোবল একজন শিক্ষার্থীকে যে পরিমান উজ্জীবিত করতে পারে, অন্য কোন উপায়ে তা সম্ভব নয় । আমি মনে করি রুটিন ওয়ার্ক এবং দলীয়কাজে মনোবল ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে একজন শিক্ষার্থী সামনের দিকে এগুতে পারলে সে অবশ্যই তার লক্ষ্যস্থলে পৌঁছতে পারবে।
অনায়াসে শিক্ষকের সাথে শেয়ার করতে পারে। পড়াশুনার পাশাপাশি চিত্তবিনোদনের জন্য সাহিত্য সাময়িকী প্রকাশ
করা। যা তাদের লেখনি শক্তির মাধ্যমে মেধা ও মননশীলতা বিকাশে আরো বেশি অনুপ্রাণিত করবে। সর্বোপরি শিক্ষার্থীদের ক্লাসের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে। পাঠদান হতে হবে আনন্দদায়ক। যা শিক্ষার্থীর আত্মার খোরাক জোগাতে সক্ষম। আত্মবিশ্বাস, দৃঢ় মনোবল একজন শিক্ষার্থীকে যে পরিমান উজ্জীবিত করতে পারে, অন্য কোন উপায়ে তা সম্ভব নয় । আমি মনে করি রুটিন ওয়ার্ক এবং দলীয়কাজে মনোবল ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে একজন শিক্ষার্থী সামনের দিকে এগুতে পারলে সে অবশ্যই তার লক্ষ্যস্থলে পৌঁছতে পারবে।
No comments:
Post a Comment