অধ্যায়-১
# চিত্রটি লক্ষ কর এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
ক. পরমাণু কী?
খ. পানিকে যৌগিক পদার্থ বলা হয় কেন?
গ. Q পাত্রে চাপ প্রয়োগ করলে কী ঘটবে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. R পাত্রের পদার্থের তাপমাত্রা কমিয়ে ফেললে অণুর গতিশক্তি ও অবস্থার কোনো পরিবর্তন হবে কি? উত্তরের পক্ষে তোমার যুক্তি দাও।
উত্তর: ক. পরমাণু: পরমাণু হলো মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা, যার মধ্যে ওই পদার্থের বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ন থাকে এবং প্রকৃতিতে যাদের স্বাধীন অস্তিত্ব নেই।
উত্তর: খ. যে পদার্থকে রাসায়নিক উপায়ে বিশ্লেষণ করলে দুই বা ততোধিক সম্পূর্ণ ভিন্ন ধর্মবিশিষ্ট মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায়, তাকে যৌগিক পদার্থ বলে।
পানিকে তড়িৎপ্রবাহ দিয়ে বিশ্লেষণ করলে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন নামক ভিন্ন ধর্মবিশিষ্ট মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায়। এ জন্য পানিকে যৌগিক পদার্থ বলে।
উত্তর: গ. Q পাত্রে তরল পদার্থ আছে। তরল পদার্থের অণুগুলো জোট বা সমষ্টি নিয়ে গঠিত হলেও এর মধ্যে আকর্ষণশক্তি তুলনামূলকভাবে কম থাকায় অণুগুলো পরস্পরের সঙ্গে শিথিলভাবে সংযুক্ত থাকে। অর্থাৎ অণুগুলোর মধ্যে ফাঁকা স্থান থাকে। তাই তরল পদার্থের ওপর চাপ প্রয়োগ করলে তা কিছুটা সংকুচিত হবে এবং এর আয়তনও কমে যাবে।
উত্তর: ঘ. R পাত্রে বায়বীয় পদার্থ আছে। বায়বীয় পদার্থের তাপমাত্রা কমিয়ে ফেললে এর অণুর গতিশক্তি ও অবস্থার পরিবর্তন হবে। বায়বীয় পদার্থের তাপমাত্রা কমালে অণুর গতিশক্তি কমে যায় এবং অণুগুলো পরস্পরের কিছুটা কাছে আসে। ফলে অণুর আনবিক শক্তি বেড়ে যায় এবং আন্ত-আণবিক শক্তি যথেষ্ট বেড়ে গিয়ে বায়বীয় পদার্থ তরল পদার্থে রূপান্তরিত হয়। আবার তরল পদার্থের তাপমাত্রা কমালে অণুগুলো পরস্পরের আরও কাছাকাছি আসে বলে আন্ত-আণবিক শক্তি বেড়ে যায়। তরল পদার্থ অবশেষে কঠিন পদার্থে রূপান্তরিত হয়। সুতরাং, উপরিউক্ত আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে R পাত্রের পদার্থের তাপমাত্রা কমিয়ে ফেললে অণুর গতিশক্তি ও অবস্থার পরিবর্তন হয়।
অম্ল, ক্ষারক ও লবণ’
শুষ্ক চুনের মধ্যে পানি যোগ করায় একটি নতুন যৌগ উৎপন্ন হলো। উৎপন্ন যৌগের সঙ্গে ফেনফথ্যালিন দ্রবণ যোগ করার পর এটি গোলাপি বর্ণ ধারণ করল। এরপর তাতে H2SO4 যোগ করা হলো।
প্রশ্ন:
ক. খাবার সোডার রাসায়নিক সংকেত কী?
খ. লবণ বলতে কী বোঝায়?
গ. উৎপন্ন যৌগের সঙ্গে H2SO4-এর যে বিক্রিয়া হবে, তা সমীকরণসহ লেখো।
ঘ. H2SO4 এসিডের সঙ্গে বিক্রিয়ায় উৎপন্ন যৌগগুলো বিক্রিয়ক যৌগ দুটি থেকে ভিন্নধর্মী বিশ্লেষণ করো।
উত্তর: ক. খাবার সোডার রাসায়নিক নাম NaHCO3
উত্তর: খ. এসিডের প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন পরমাণু কোনো ধাতু বা ধাতুর মতো ক্রিয়াশীল মূলক দ্বারা আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে প্রতিস্থাপিত হয়ে যে যৌগ গঠন করে, তাকে লবণ বলে। এসিড ও ক্ষারকের বিক্রিয়ার ফলে ক্ষারকের ধাতু এসিডের হাইড্রোজেনের স্থান দখল করে যে নতুন যৌগ উৎপন্ন করে, তাকে লবণ বলে।
যেমন: NaCl, ZnSO4, KNO3 ইত্যাদি।
উত্তর: গ. উৎপন্ন যৌগটি ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড বা Ca(OH)2। দ্রবণে সালফিউরিক এসিড (H2SO4) যোগ করলে পরস্পরের সঙ্গে বিক্রিয়া করে ক্যালসিয়াম সালফেট লবণ ও পানি উৎপন্ন করে।
বিক্রিয়াটি নিম্নরূপ:
Ca(OH)2+H2SO4 CaSO4+2H2O
উত্তর: ঘ. উদ্দীপক অনুসারে বিক্রিয়াটি হলো:
Ca(OH)2+H2SO4 CaSO4+2H2O
বিক্রিয়াটিতে বিক্রিয়ক Ca(OH)2 এবং H2SO4 হলো যথাক্রমে ক্ষার ও এসিড। এ বিক্রিয়ক দুটি পরস্পরের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় দুটি ভিন্ন ধর্মবিশিষ্ট প্রোডাক্ট Ca(OH)2 এবং H2O উৎপন্ন করে। এ ক্ষেত্রে প্রোডাক্ট CaSO4 একটি লবণ এবং H2O একটি তরল, যা বিক্রিয়ক এসিড ও ক্ষারের ধর্ম থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। যেমন: এসিড ও ক্ষার লিটমাস পেপারের সংস্পর্শে বর্ণ পরিবর্তন করে। কিন্তু লবণ বা পানি কোনোটিই লিটমাস পেপারের সংস্পর্শে বর্ণ পরিবর্তন করে না। সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনা থেকে প্রতীয়মাণ হয়, H2SO4 এসিডের সঙ্গে বিক্রিয়ায় উৎপন্ন যৌগগুলো বিক্রিয়ক যৌগ দুটি থেকে ভিন্নধর্মী।
# চিত্রটি লক্ষ কর এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
ক. পরমাণু কী?
খ. পানিকে যৌগিক পদার্থ বলা হয় কেন?
গ. Q পাত্রে চাপ প্রয়োগ করলে কী ঘটবে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. R পাত্রের পদার্থের তাপমাত্রা কমিয়ে ফেললে অণুর গতিশক্তি ও অবস্থার কোনো পরিবর্তন হবে কি? উত্তরের পক্ষে তোমার যুক্তি দাও।
উত্তর: ক. পরমাণু: পরমাণু হলো মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা, যার মধ্যে ওই পদার্থের বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ন থাকে এবং প্রকৃতিতে যাদের স্বাধীন অস্তিত্ব নেই।
উত্তর: খ. যে পদার্থকে রাসায়নিক উপায়ে বিশ্লেষণ করলে দুই বা ততোধিক সম্পূর্ণ ভিন্ন ধর্মবিশিষ্ট মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায়, তাকে যৌগিক পদার্থ বলে।
পানিকে তড়িৎপ্রবাহ দিয়ে বিশ্লেষণ করলে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন নামক ভিন্ন ধর্মবিশিষ্ট মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায়। এ জন্য পানিকে যৌগিক পদার্থ বলে।
উত্তর: গ. Q পাত্রে তরল পদার্থ আছে। তরল পদার্থের অণুগুলো জোট বা সমষ্টি নিয়ে গঠিত হলেও এর মধ্যে আকর্ষণশক্তি তুলনামূলকভাবে কম থাকায় অণুগুলো পরস্পরের সঙ্গে শিথিলভাবে সংযুক্ত থাকে। অর্থাৎ অণুগুলোর মধ্যে ফাঁকা স্থান থাকে। তাই তরল পদার্থের ওপর চাপ প্রয়োগ করলে তা কিছুটা সংকুচিত হবে এবং এর আয়তনও কমে যাবে।
উত্তর: ঘ. R পাত্রে বায়বীয় পদার্থ আছে। বায়বীয় পদার্থের তাপমাত্রা কমিয়ে ফেললে এর অণুর গতিশক্তি ও অবস্থার পরিবর্তন হবে। বায়বীয় পদার্থের তাপমাত্রা কমালে অণুর গতিশক্তি কমে যায় এবং অণুগুলো পরস্পরের কিছুটা কাছে আসে। ফলে অণুর আনবিক শক্তি বেড়ে যায় এবং আন্ত-আণবিক শক্তি যথেষ্ট বেড়ে গিয়ে বায়বীয় পদার্থ তরল পদার্থে রূপান্তরিত হয়। আবার তরল পদার্থের তাপমাত্রা কমালে অণুগুলো পরস্পরের আরও কাছাকাছি আসে বলে আন্ত-আণবিক শক্তি বেড়ে যায়। তরল পদার্থ অবশেষে কঠিন পদার্থে রূপান্তরিত হয়। সুতরাং, উপরিউক্ত আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে R পাত্রের পদার্থের তাপমাত্রা কমিয়ে ফেললে অণুর গতিশক্তি ও অবস্থার পরিবর্তন হয়।
অম্ল, ক্ষারক ও লবণ’
শুষ্ক চুনের মধ্যে পানি যোগ করায় একটি নতুন যৌগ উৎপন্ন হলো। উৎপন্ন যৌগের সঙ্গে ফেনফথ্যালিন দ্রবণ যোগ করার পর এটি গোলাপি বর্ণ ধারণ করল। এরপর তাতে H2SO4 যোগ করা হলো।
প্রশ্ন:
ক. খাবার সোডার রাসায়নিক সংকেত কী?
খ. লবণ বলতে কী বোঝায়?
গ. উৎপন্ন যৌগের সঙ্গে H2SO4-এর যে বিক্রিয়া হবে, তা সমীকরণসহ লেখো।
ঘ. H2SO4 এসিডের সঙ্গে বিক্রিয়ায় উৎপন্ন যৌগগুলো বিক্রিয়ক যৌগ দুটি থেকে ভিন্নধর্মী বিশ্লেষণ করো।
উত্তর: ক. খাবার সোডার রাসায়নিক নাম NaHCO3
উত্তর: খ. এসিডের প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন পরমাণু কোনো ধাতু বা ধাতুর মতো ক্রিয়াশীল মূলক দ্বারা আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে প্রতিস্থাপিত হয়ে যে যৌগ গঠন করে, তাকে লবণ বলে। এসিড ও ক্ষারকের বিক্রিয়ার ফলে ক্ষারকের ধাতু এসিডের হাইড্রোজেনের স্থান দখল করে যে নতুন যৌগ উৎপন্ন করে, তাকে লবণ বলে।
যেমন: NaCl, ZnSO4, KNO3 ইত্যাদি।
উত্তর: গ. উৎপন্ন যৌগটি ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড বা Ca(OH)2। দ্রবণে সালফিউরিক এসিড (H2SO4) যোগ করলে পরস্পরের সঙ্গে বিক্রিয়া করে ক্যালসিয়াম সালফেট লবণ ও পানি উৎপন্ন করে।
বিক্রিয়াটি নিম্নরূপ:
Ca(OH)2+H2SO4 CaSO4+2H2O
উত্তর: ঘ. উদ্দীপক অনুসারে বিক্রিয়াটি হলো:
Ca(OH)2+H2SO4 CaSO4+2H2O
বিক্রিয়াটিতে বিক্রিয়ক Ca(OH)2 এবং H2SO4 হলো যথাক্রমে ক্ষার ও এসিড। এ বিক্রিয়ক দুটি পরস্পরের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় দুটি ভিন্ন ধর্মবিশিষ্ট প্রোডাক্ট Ca(OH)2 এবং H2O উৎপন্ন করে। এ ক্ষেত্রে প্রোডাক্ট CaSO4 একটি লবণ এবং H2O একটি তরল, যা বিক্রিয়ক এসিড ও ক্ষারের ধর্ম থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। যেমন: এসিড ও ক্ষার লিটমাস পেপারের সংস্পর্শে বর্ণ পরিবর্তন করে। কিন্তু লবণ বা পানি কোনোটিই লিটমাস পেপারের সংস্পর্শে বর্ণ পরিবর্তন করে না। সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনা থেকে প্রতীয়মাণ হয়, H2SO4 এসিডের সঙ্গে বিক্রিয়ায় উৎপন্ন যৌগগুলো বিক্রিয়ক যৌগ দুটি থেকে ভিন্নধর্মী।
অধ্যায়-৩
# বিক্রিয়া দুটি লক্ষ করো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
(i) 2H2O 2H2 + O2
(ii) Zn + H2SO4 ZnSO4 + H2
ক. যোজনী কাকে বলে?
খ. প্রশমন বিক্রিয়া বলতে কী বোঝ?
গ. (ii) নম্বর বিক্রিয়াটি কী ধরনের, ব্যাখ্যা করো।
ঘ. (i) নম্বর বিক্রিয়াটি কি বিযোজন ও বিশ্লেষণ উভয় ধরনের? মতামত দাও।
উত্তর: ক. যোজনী: একটি মৌলের অন্য মৌলের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার সামর্থ্যকে যোজনী বা যোগ্যতা বলে। কোনো মৌলের একটি পরমাণু যতসংখ্যক হাইড্রোজেন পরমাণুর সঙ্গে যুক্ত হয় অথবা যতসংখ্যক হাইড্রোজেন পরমাণুকে অপসারিত করে, সেই সংখ্যা দিয়ে এ মৌলের যোগ্যতা প্রকাশ করা হয়।
উত্তর: খ. যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় একটি এসিড ও একটি ক্ষারকের সংযোগে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে, তাকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে। যেমন: হাইড্রোক্লোরিক এসিডের সঙ্গে ম্যাগনেশিয়াম অক্সাইড বিক্রিয়া করে ম্যাগনেশিয়াম ক্লোরাইড ও পানি উৎপন্ন করে।
বিক্রিয়া: 2HCl + MgO MgCl2 - H2O
উত্তর: গ. (ii) নম্বর বিক্রিয়াটি প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া। সংজ্ঞা অনুসারে যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় একটি মৌল অন্য যৌগের অণুর এক বা একাধিক পরমাণুকে সরিয়ে নিজেই তার স্থান দখল করে নতুন যৌগ উৎপন্ন করে সে বিক্রিয়াকে প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া বলে।
(ii) নম্বর বিক্রিয়ায় Zn মৌল সালফিউরিক এসিড থেকে H2 সরিয়ে নিজেই তার স্থান দখল করে নতুন যৌগ জিংক সালফেট উৎপন্ন করেছে। অর্থাৎ, জিংক সালফিউরিক এসিড থেকে H2 কে প্রতিস্থাপন করে H2 কে মুক্ত করে দেয়। সুতরাং (ii) নম্বর বিক্রিয়াটি প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া।
উত্তর: ঘ. (i) নম্বর বিক্রিয়াটি হলো 2H2O2H2+O2
বিযোজন বিক্রিয়ার সংজ্ঞা থেকে আমরা জানি, যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় একটি যৌগ বিভক্ত হয়ে দুই বা ততোধিক মৌলে বা যৌগে পরিণত হয়, তাকে বিযোজন বিক্রিয়া বলে। আবার, যে বিযোজন বিক্রিয়ায় একটি যৌগিক পদার্থ ভেঙে দুই বা ততোধিক মৌলে পরিণত হয়, তাকে বিশ্লেষণ বিক্রিয়া বলে। (i) নম্বর বিক্রিয়াটিতে পানি বিশ্লিষ্ট হয়ে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনে পরিণত হয়। সুতরাং এটি বিযোজন বিক্রিয়া। তবে এ বিক্রিয়ায় যৌগিক পদার্থটি ভেঙে দুটি মৌলিক পদার্থ অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন উৎপন্ন করে। তাই এটি বিশ্লেষণ বিক্রিয়া। সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে,
(i) নম্বর বিক্রিয়াটি বিযোজন ও বিশ্লেষণ উভয় ধরনের।
# বিক্রিয়া দুটি লক্ষ করো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
(i) 2H2O 2H2 + O2
(ii) Zn + H2SO4 ZnSO4 + H2
ক. যোজনী কাকে বলে?
খ. প্রশমন বিক্রিয়া বলতে কী বোঝ?
গ. (ii) নম্বর বিক্রিয়াটি কী ধরনের, ব্যাখ্যা করো।
ঘ. (i) নম্বর বিক্রিয়াটি কি বিযোজন ও বিশ্লেষণ উভয় ধরনের? মতামত দাও।
উত্তর: ক. যোজনী: একটি মৌলের অন্য মৌলের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার সামর্থ্যকে যোজনী বা যোগ্যতা বলে। কোনো মৌলের একটি পরমাণু যতসংখ্যক হাইড্রোজেন পরমাণুর সঙ্গে যুক্ত হয় অথবা যতসংখ্যক হাইড্রোজেন পরমাণুকে অপসারিত করে, সেই সংখ্যা দিয়ে এ মৌলের যোগ্যতা প্রকাশ করা হয়।
উত্তর: খ. যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় একটি এসিড ও একটি ক্ষারকের সংযোগে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে, তাকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে। যেমন: হাইড্রোক্লোরিক এসিডের সঙ্গে ম্যাগনেশিয়াম অক্সাইড বিক্রিয়া করে ম্যাগনেশিয়াম ক্লোরাইড ও পানি উৎপন্ন করে।
বিক্রিয়া: 2HCl + MgO MgCl2 - H2O
উত্তর: গ. (ii) নম্বর বিক্রিয়াটি প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া। সংজ্ঞা অনুসারে যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় একটি মৌল অন্য যৌগের অণুর এক বা একাধিক পরমাণুকে সরিয়ে নিজেই তার স্থান দখল করে নতুন যৌগ উৎপন্ন করে সে বিক্রিয়াকে প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া বলে।
(ii) নম্বর বিক্রিয়ায় Zn মৌল সালফিউরিক এসিড থেকে H2 সরিয়ে নিজেই তার স্থান দখল করে নতুন যৌগ জিংক সালফেট উৎপন্ন করেছে। অর্থাৎ, জিংক সালফিউরিক এসিড থেকে H2 কে প্রতিস্থাপন করে H2 কে মুক্ত করে দেয়। সুতরাং (ii) নম্বর বিক্রিয়াটি প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া।
উত্তর: ঘ. (i) নম্বর বিক্রিয়াটি হলো 2H2O2H2+O2
বিযোজন বিক্রিয়ার সংজ্ঞা থেকে আমরা জানি, যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় একটি যৌগ বিভক্ত হয়ে দুই বা ততোধিক মৌলে বা যৌগে পরিণত হয়, তাকে বিযোজন বিক্রিয়া বলে। আবার, যে বিযোজন বিক্রিয়ায় একটি যৌগিক পদার্থ ভেঙে দুই বা ততোধিক মৌলে পরিণত হয়, তাকে বিশ্লেষণ বিক্রিয়া বলে। (i) নম্বর বিক্রিয়াটিতে পানি বিশ্লিষ্ট হয়ে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনে পরিণত হয়। সুতরাং এটি বিযোজন বিক্রিয়া। তবে এ বিক্রিয়ায় যৌগিক পদার্থটি ভেঙে দুটি মৌলিক পদার্থ অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন উৎপন্ন করে। তাই এটি বিশ্লেষণ বিক্রিয়া। সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে,
(i) নম্বর বিক্রিয়াটি বিযোজন ও বিশ্লেষণ উভয় ধরনের।
অধ্যায়-৭ সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়ের ‘পরিমাপ’
# নিচের চিত্রটি লক্ষ করো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
ক. এসআই-পদ্ধতিতে আয়তনের একক কী?
খ. ধনাত্মক ত্রুটি বলতে কী বোঝায়?
গ. চিত্র P-এর আয়তন নির্ণয় করো।
ঘ. ভার্নিয়ার স্কেলের সাহায্যে চিত্র P-এর ব্যাসার্ধ পরিমাপ কতটুকু নির্ভুল হবে, মতামত দাও।
উত্তর: ক. এসআই-পদ্ধতিতে আয়তনের একক ঘনমিটার।
উত্তর: খ. ভার্নিয়ার স্কেলের চোয়াল এবং মূল স্কেলের চোয়াল যখন পরস্পরকে স্পর্শ করে, তখন যদি ভার্নিয়ার স্কেলের শূন্য দাগ মূল স্কেলের শূন্য দাগের সঙ্গে না মেলে, তবে বুঝতে হবে, যন্ত্রে ত্রুটি আছে। এই ত্রুটিকে যান্ত্রিক ত্রুটি বলে। ভার্নিয়ার স্কেলের শূন্য দাগ মূল স্কেলের শূন্য দাগের ডান দিকে থাকলে যে ত্রুটি হয়, তাকে ধনাত্মক ত্রুটি বলে।
উত্তর: গ. দেওয়া আছে,
চিত্র P-(গোলক)-এর ব্যাসার্ধ = ১.৫২ সেমি
গোলকের আয়তন নির্ণয় করতে হবে।
জানা আছে,
গোলকের আয়তন = × (ব্যাসার্ধ)৩
= × ৩.১৪ (১.৫২)৩ ঘন সেমি
= ১৪.৭০৩ ঘন সেমি
চিত্র P (গোলক)-এর আয়তন ১৪.৭০৩ ঘন সেমি (উত্তর)
উত্তর: ঘ. ভার্নিয়ার স্কেল ব্যবহার করে স্লাইড ক্যালিপার্সের সাহায্যে চিত্র P (গোলক)-এর ব্যাসার্ধ পরিমাণ করা যায়। সাধারণ স্কেলের সাহায্যে ১ মি. মি.-এর চেয়ে কম দৈর্ঘ্য নির্ভুলভাবে পরিমাপ করা যায় না। কিন্তু ভার্নিয়ার স্কেল ব্যবহার করলে ভার্নিয়ার ধ্রুবকের মান পর্যন্ত গোলকটির ব্যাসার্ধ নির্ভুলভাবে পরিমাপ করা যায়। সাধারণত ভার্নিয়ার ধ্রুবকের মান ০.১ মি. মি. বা ০.০১ সেমি হয়। সুতরাং এ ধরনের ভার্নিয়ার স্কেলের সাহায্যে ০.০১ সেমি পর্যন্ত গোলকটির ব্যাসার্ধ পরিমাপ করা যাবে। অর্থাৎ ভার্নিয়ার স্কেলের সাহায্যে চিত্র P (গোলক)-এর ব্যাসার্ধ পরিমাণ নির্ভুল হবে।
ক. এসআই-পদ্ধতিতে আয়তনের একক কী?
খ. ধনাত্মক ত্রুটি বলতে কী বোঝায়?
গ. চিত্র P-এর আয়তন নির্ণয় করো।
ঘ. ভার্নিয়ার স্কেলের সাহায্যে চিত্র P-এর ব্যাসার্ধ পরিমাপ কতটুকু নির্ভুল হবে, মতামত দাও।
উত্তর: ক. এসআই-পদ্ধতিতে আয়তনের একক ঘনমিটার।
উত্তর: খ. ভার্নিয়ার স্কেলের চোয়াল এবং মূল স্কেলের চোয়াল যখন পরস্পরকে স্পর্শ করে, তখন যদি ভার্নিয়ার স্কেলের শূন্য দাগ মূল স্কেলের শূন্য দাগের সঙ্গে না মেলে, তবে বুঝতে হবে, যন্ত্রে ত্রুটি আছে। এই ত্রুটিকে যান্ত্রিক ত্রুটি বলে। ভার্নিয়ার স্কেলের শূন্য দাগ মূল স্কেলের শূন্য দাগের ডান দিকে থাকলে যে ত্রুটি হয়, তাকে ধনাত্মক ত্রুটি বলে।
উত্তর: গ. দেওয়া আছে,
চিত্র P-(গোলক)-এর ব্যাসার্ধ = ১.৫২ সেমি
গোলকের আয়তন নির্ণয় করতে হবে।
জানা আছে,
গোলকের আয়তন = × (ব্যাসার্ধ)৩
= × ৩.১৪ (১.৫২)৩ ঘন সেমি
= ১৪.৭০৩ ঘন সেমি
চিত্র P (গোলক)-এর আয়তন ১৪.৭০৩ ঘন সেমি (উত্তর)
উত্তর: ঘ. ভার্নিয়ার স্কেল ব্যবহার করে স্লাইড ক্যালিপার্সের সাহায্যে চিত্র P (গোলক)-এর ব্যাসার্ধ পরিমাণ করা যায়। সাধারণ স্কেলের সাহায্যে ১ মি. মি.-এর চেয়ে কম দৈর্ঘ্য নির্ভুলভাবে পরিমাপ করা যায় না। কিন্তু ভার্নিয়ার স্কেল ব্যবহার করলে ভার্নিয়ার ধ্রুবকের মান পর্যন্ত গোলকটির ব্যাসার্ধ নির্ভুলভাবে পরিমাপ করা যায়। সাধারণত ভার্নিয়ার ধ্রুবকের মান ০.১ মি. মি. বা ০.০১ সেমি হয়। সুতরাং এ ধরনের ভার্নিয়ার স্কেলের সাহায্যে ০.০১ সেমি পর্যন্ত গোলকটির ব্যাসার্ধ পরিমাপ করা যাবে। অর্থাৎ ভার্নিয়ার স্কেলের সাহায্যে চিত্র P (গোলক)-এর ব্যাসার্ধ পরিমাণ নির্ভুল হবে।
No comments:
Post a Comment