ই-মেইলের ইতিহাস
ই-মেইলের প্রথম দিকের কথা আমাদের অনেকেরই আজও অজানা। ইলেকট্রনিক মেইলকে সংক্ষেপে ই-মেইল বলা হয়। ই-মেইল হচ্ছে এমন এক ধরনের পদ্ধতি, যার মাধ্যমে কমিপউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বার্তা পাঠানো হয়। যখন ই-মেইলের প্রচলন শুরু হলো ঠিক সেই সময়ে প্রথম ই-মেইল পাঠানো হয়েছিল দুটি কমিপউটারের মধ্যে। আর দুটি কমিপউটারের মধ্যে ই-মেইল পাঠানোর সময় আরপানেট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়েছিল। আরও মজার ব্যাপার হলো ই-মেইলে প্রথম যে বার্তা ছিল তা হলো QWERTYUIOP। প্রথমদিকে অনেক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এতে প্রোগ্রাম লিখেছিল বার্তা আদান-প্রদান করার জন্য। সে সময় এতে বিভিন্ন টার্মিনালের সাহায্যে তাৎক্ষণিক চ্যাটও করা যেত। আবার এর কিছু জটিলতাও ছিল। কারণ এতে এক দল ব্যবহারকারী একটি কমিপউটার ব্যবহার করতে পারে। ১৯৬০ সালের শুরুর দিকে টাইম শেয়ারিং কমিপউটার কোনো নির্দিষ্ট প্রোগ্রামের ওপর বেশ সক্রিয় ছিল। অনেক গবেষণা প্রতিষ্ঠান টেক্সট মেসেজ রূপান্তরে তাদের প্রোগ্রামকে সেভাবে তৈরি করেছিল। ১৯৭২ সালে ই-মেইল স্থানান্তরের জন্য মেইল এবং এমএলএফএল সংযুক্ত করা হয় এফটিপি প্রোগ্রামের সাথে। উদ্দেশ্য আধুনিক মানের নেটওয়ার্ক চালু করা। গবেষক বেরি ওয়েসলার আরডি প্রোগ্রাম উন্নয়নে কাজ করেন, যার নামকরণ করা হয় এনআরডি প্রোগ্রাম। মার্টি ইয়ংক এনআরডি এবং এসএনডিএমএসজিকে একটি স্বাধীন প্রোগ্রামে উন্নয়ন ঘটান। ১৯৮০ সালে ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ই-মেইল প্রযুক্তিতে আরও অগ্রগতি পান। এরিক অলম্যানের তৈরি প্রোগ্রাম ডেলিভারি মেইল সংস্কার ঘটিয়ে নামকরণ করা হয় সেইন্ড মেইল। ১৯৮৮ সালে বাণিজ্যিক ই-মেইলের প্রবর্তন হয়। ১৯৯৩ সালে অনলাইনে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ই-মেইল।
ই-মেইলের ব্যবহার
বার্তা পাঠানো ও বার্তা পড়ার মাঝে ই-মেইল সেবা প্রথমে সীমাবদ্ধ ছিল। ১৯৭০-এর প্রথম দিকে রে-টমলিনসন একটি ছোট দল নিয়ে ট্যানেক্স অপারেটিং সিস্টেমের উন্নয়নে কাজটি করেছিলেন। রে-টমলিনসন যেটা নিয়ে কাজ করছিলেন সেটা ছিল লোকাল ই-মেইল প্রোগ্রাম। ১৯৭১ সালের শেষের দিকে টমলিনসন প্রথম আরপানেট ই-মেইল অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়ন করেছিলেন, যার মাধ্যমে এ পদ্ধতি হালনাগাদ করা হয়। ১৯৭৪ সালে সামরিক বাহিনীতে এর ব্যাপক প্রচলন বাড়ে। বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ আদেশ পাঠাতে কর্মকর্তারা ব্যবহার করতেন ই-মেইল।
টমলিনসন ১৯৭২ সালে এক কমিপউটার থেকে অন্য কমিপউটারে তথ্য পাঠানোর জন্য @ চিহ্নটি ব্যবহার করেন। আর তখন থেকেই ই-মেইল অ্যাড্রেস হিসেবে ব্যবহারকারীর নাম @ হোস্ট ব্যবহার করা হয়। এরপর আস্তে আস্তে ই-মেইল পদ্ধতির উন্নয়ন সাধিত হতে থাকে। ল্যারি রবার্টস তৈরি করেন ই-মেইলের অন্যান্য সেবা। ১৯৭৬ সালে রবার্টের হাত ধরে যাত্রা শুরু করে কিছু ই-মেইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে গ্রাহকেরা অনলাইন ছাড়াও অফলাইনে নির্দিষ্ট নেটওয়ার্কের ভেতর ই-মেইল আদান-প্রদান করতে পারে মাইক্রোসফট আউটলুকের মাধ্যমে। প্রথম দিকে ই-মেইলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহারের মধ্যে ছিল এসএমটিপি অর্থাৎ সাধারণ তথ্য আদান-প্রদান সুবিধা। আর এখন ই-মেইলের মাধ্যমে আপনি আপনার যাবতীয় তথ্য প্রেরণ করতে পারবেন কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে।
বিশ্বের ই-মেইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান
বর্তমানে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ই-মেইল সেবা দিচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো : জি-মেইল, জোহো মেইল, এআইএম মেইল, জিএমএক্স মেইল, ইয়াহু মেইল, গাওয়াব ডট কম, ইনবক্স ডট কম, ফাস্ট মেইল গেস্ট অ্যাকাউন্ট, উইন্ডোজ লাইভ হট মেইল, ইয়াহু মেইল ক্লাসিক, বিগস্ট্রিং ডট কম, লাভাবিট, জাপাক মেইল, মাইস্পেস মেইল, হটপপ, মাইওয়ে মেইল, কেয়ার টু ই-মেইল, মেইল ডট কম।
ই-মেইলের বর্তমান প্রেক্ষাপট
ইয়াহু এবং হটমেইল এবং জিমেইলের মতো অসংখ্য প্রতিষ্ঠান আমাদের যোগাযোগব্যবস্থাকে করেছে বন্ধুত্বপরায়ণ। শুরুর দিকে যখন অফলাইন পাঠকরা তাদের পার্সোনাল কমিপউটারে কিছুটা প্রসার ঘটিয়েছিল তখন অফলাইন পাঠকরা ই-মেইলকে গ্রহণ করেছিল তাদের মেইল সংরক্ষণের মাধ্যম হিসেবে। তারা তাদের মেইলকে পড়তে কিংবা পুনরাবৃত্তি করতে সক্ষম ছিল, যা বর্তমানে মাইক্রোসফট খুব সহজেই করে থাকে।
প্রতিনিয়ত উন্নয়নের ফলে বর্তমানে অনলাইনে ২৯০ কোটি ই-মেইল অ্যাকাউন্ট সৃষ্টি হয়েছে। গত বছর এসব অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১০৭ ট্রিলিয়ন ই-মেইল পাঠানো হয়েছে। ওয়েভ মনিটরিং সংস্থা পিংডমের হিসাব মতে, প্রতিদিন গড়ে ২৯ হাজার ৪০০ কোটি ই-মেইল পাঠানো হয়।
রয়েছে শঙ্কা
বর্তমান সময়ে একটি ই-মেইল ঠিকানা প্রত্যেকটি মানুষের যেন সময়েরই দাবি। তবে আপনাকে অবশ্যই সচেতনতার সাথে এটিকে ব্যবহার করতে হবে। কারণ ই-মেইল তথ্য আদান-প্রদানের নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হওয়ায় বর্তমানে এটিকে বেছে নিয়েছে হ্যাকাররা। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ভাইরাস ছড়িয়ে দিচ্ছে ই-মেইলের মাধ্যমে। আর এ ভাইরাস বিপাকে ফেলছে মানুষকে। তবে একটু সচেতন হলেই রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
ই-মেইলের প্রথম দিকের কথা আমাদের অনেকেরই আজও অজানা। ইলেকট্রনিক মেইলকে সংক্ষেপে ই-মেইল বলা হয়। ই-মেইল হচ্ছে এমন এক ধরনের পদ্ধতি, যার মাধ্যমে কমিপউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বার্তা পাঠানো হয়। যখন ই-মেইলের প্রচলন শুরু হলো ঠিক সেই সময়ে প্রথম ই-মেইল পাঠানো হয়েছিল দুটি কমিপউটারের মধ্যে। আর দুটি কমিপউটারের মধ্যে ই-মেইল পাঠানোর সময় আরপানেট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়েছিল। আরও মজার ব্যাপার হলো ই-মেইলে প্রথম যে বার্তা ছিল তা হলো QWERTYUIOP। প্রথমদিকে অনেক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এতে প্রোগ্রাম লিখেছিল বার্তা আদান-প্রদান করার জন্য। সে সময় এতে বিভিন্ন টার্মিনালের সাহায্যে তাৎক্ষণিক চ্যাটও করা যেত। আবার এর কিছু জটিলতাও ছিল। কারণ এতে এক দল ব্যবহারকারী একটি কমিপউটার ব্যবহার করতে পারে। ১৯৬০ সালের শুরুর দিকে টাইম শেয়ারিং কমিপউটার কোনো নির্দিষ্ট প্রোগ্রামের ওপর বেশ সক্রিয় ছিল। অনেক গবেষণা প্রতিষ্ঠান টেক্সট মেসেজ রূপান্তরে তাদের প্রোগ্রামকে সেভাবে তৈরি করেছিল। ১৯৭২ সালে ই-মেইল স্থানান্তরের জন্য মেইল এবং এমএলএফএল সংযুক্ত করা হয় এফটিপি প্রোগ্রামের সাথে। উদ্দেশ্য আধুনিক মানের নেটওয়ার্ক চালু করা। গবেষক বেরি ওয়েসলার আরডি প্রোগ্রাম উন্নয়নে কাজ করেন, যার নামকরণ করা হয় এনআরডি প্রোগ্রাম। মার্টি ইয়ংক এনআরডি এবং এসএনডিএমএসজিকে একটি স্বাধীন প্রোগ্রামে উন্নয়ন ঘটান। ১৯৮০ সালে ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ই-মেইল প্রযুক্তিতে আরও অগ্রগতি পান। এরিক অলম্যানের তৈরি প্রোগ্রাম ডেলিভারি মেইল সংস্কার ঘটিয়ে নামকরণ করা হয় সেইন্ড মেইল। ১৯৮৮ সালে বাণিজ্যিক ই-মেইলের প্রবর্তন হয়। ১৯৯৩ সালে অনলাইনে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ই-মেইল।
ই-মেইলের ব্যবহার
বার্তা পাঠানো ও বার্তা পড়ার মাঝে ই-মেইল সেবা প্রথমে সীমাবদ্ধ ছিল। ১৯৭০-এর প্রথম দিকে রে-টমলিনসন একটি ছোট দল নিয়ে ট্যানেক্স অপারেটিং সিস্টেমের উন্নয়নে কাজটি করেছিলেন। রে-টমলিনসন যেটা নিয়ে কাজ করছিলেন সেটা ছিল লোকাল ই-মেইল প্রোগ্রাম। ১৯৭১ সালের শেষের দিকে টমলিনসন প্রথম আরপানেট ই-মেইল অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়ন করেছিলেন, যার মাধ্যমে এ পদ্ধতি হালনাগাদ করা হয়। ১৯৭৪ সালে সামরিক বাহিনীতে এর ব্যাপক প্রচলন বাড়ে। বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ আদেশ পাঠাতে কর্মকর্তারা ব্যবহার করতেন ই-মেইল।
টমলিনসন ১৯৭২ সালে এক কমিপউটার থেকে অন্য কমিপউটারে তথ্য পাঠানোর জন্য @ চিহ্নটি ব্যবহার করেন। আর তখন থেকেই ই-মেইল অ্যাড্রেস হিসেবে ব্যবহারকারীর নাম @ হোস্ট ব্যবহার করা হয়। এরপর আস্তে আস্তে ই-মেইল পদ্ধতির উন্নয়ন সাধিত হতে থাকে। ল্যারি রবার্টস তৈরি করেন ই-মেইলের অন্যান্য সেবা। ১৯৭৬ সালে রবার্টের হাত ধরে যাত্রা শুরু করে কিছু ই-মেইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে গ্রাহকেরা অনলাইন ছাড়াও অফলাইনে নির্দিষ্ট নেটওয়ার্কের ভেতর ই-মেইল আদান-প্রদান করতে পারে মাইক্রোসফট আউটলুকের মাধ্যমে। প্রথম দিকে ই-মেইলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহারের মধ্যে ছিল এসএমটিপি অর্থাৎ সাধারণ তথ্য আদান-প্রদান সুবিধা। আর এখন ই-মেইলের মাধ্যমে আপনি আপনার যাবতীয় তথ্য প্রেরণ করতে পারবেন কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে।
বিশ্বের ই-মেইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান
বর্তমানে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ই-মেইল সেবা দিচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো : জি-মেইল, জোহো মেইল, এআইএম মেইল, জিএমএক্স মেইল, ইয়াহু মেইল, গাওয়াব ডট কম, ইনবক্স ডট কম, ফাস্ট মেইল গেস্ট অ্যাকাউন্ট, উইন্ডোজ লাইভ হট মেইল, ইয়াহু মেইল ক্লাসিক, বিগস্ট্রিং ডট কম, লাভাবিট, জাপাক মেইল, মাইস্পেস মেইল, হটপপ, মাইওয়ে মেইল, কেয়ার টু ই-মেইল, মেইল ডট কম।
ই-মেইলের বর্তমান প্রেক্ষাপট
ইয়াহু এবং হটমেইল এবং জিমেইলের মতো অসংখ্য প্রতিষ্ঠান আমাদের যোগাযোগব্যবস্থাকে করেছে বন্ধুত্বপরায়ণ। শুরুর দিকে যখন অফলাইন পাঠকরা তাদের পার্সোনাল কমিপউটারে কিছুটা প্রসার ঘটিয়েছিল তখন অফলাইন পাঠকরা ই-মেইলকে গ্রহণ করেছিল তাদের মেইল সংরক্ষণের মাধ্যম হিসেবে। তারা তাদের মেইলকে পড়তে কিংবা পুনরাবৃত্তি করতে সক্ষম ছিল, যা বর্তমানে মাইক্রোসফট খুব সহজেই করে থাকে।
প্রতিনিয়ত উন্নয়নের ফলে বর্তমানে অনলাইনে ২৯০ কোটি ই-মেইল অ্যাকাউন্ট সৃষ্টি হয়েছে। গত বছর এসব অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১০৭ ট্রিলিয়ন ই-মেইল পাঠানো হয়েছে। ওয়েভ মনিটরিং সংস্থা পিংডমের হিসাব মতে, প্রতিদিন গড়ে ২৯ হাজার ৪০০ কোটি ই-মেইল পাঠানো হয়।
রয়েছে শঙ্কা
বর্তমান সময়ে একটি ই-মেইল ঠিকানা প্রত্যেকটি মানুষের যেন সময়েরই দাবি। তবে আপনাকে অবশ্যই সচেতনতার সাথে এটিকে ব্যবহার করতে হবে। কারণ ই-মেইল তথ্য আদান-প্রদানের নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হওয়ায় বর্তমানে এটিকে বেছে নিয়েছে হ্যাকাররা। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ভাইরাস ছড়িয়ে দিচ্ছে ই-মেইলের মাধ্যমে। আর এ ভাইরাস বিপাকে ফেলছে মানুষকে। তবে একটু সচেতন হলেই রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
No comments:
Post a Comment