বাংলা প্রথম পত্রের ‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাস থেকে একটি নমুনা সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করা হলো।
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
একটি দৈনিক পত্রিকার সংবাদ
স্বামীর নির্মম নির্যাতনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক রুমানা মনজুরের দুটো চোখই নষ্ট হয়ে গেছে। ঘটনা সম্পর্কে রুমানা জানানÑ তার স্বামী হাসান সাঈদ সেদিন বিকেলে বাইরে থেকে এসেই চুলের মুঠি ধরে তাকে বিছানার ওপর ফেলে দেয়। এক হাতে গলা চেপে ধরে, এরপর দুই চোখে আঙুল ঢুকিয়ে দিয়ে চোখ তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। চিৎকার করতে চাইলে গলায় আঙুল ঢুকিয়ে দেয়। একপর্যায়ে নাক কামড়ে ছিঁড়ে নেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক সমিতি, বিভিন্ন নারীবাদী সংগঠন, মহিলা এমপি ও সুশীলসমাজ এই ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করে অবিলম্বে হাসান সাঈদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছে। পুলিশ হাসান সাঈদকে গ্রেফতার করে জেল-হাজতে পাঠিয়েছে।
(ক) কাশেম শিকদার কোন গ্রামের বাসিন্দা?
(খ) হালিমা বারবার গলায় ফাঁসি নিতে যেয়েও নিতে পারে না কেন?
(গ) হাসান সাঈদ ‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাসের কোন চরিত্রের প্রতীকÑ বর্ণনা করো।
(ঘ) উদ্দীপকের পরিণতি ‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাসে দেখানো হলে নারী নির্যাতন বহুলাংশে হ্রাস পেত বলে তুমি মনে করো কি? তোমার মতের স্বপে যুক্তি দাও।
উত্তর : (ক) কাশেম শিকদার কুলাউড়া গ্রামের বাসিন্দা।
(খ) পৃথিবীর প্রতি ভালোবাসার জন্য হালিমা বারবার গলায় ফাঁসি নিতে যেয়েও নিতে পারে না।
বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জহির রায়হান রচিত ‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাসে দেখা যায়, স্বামীর নির্যাতনে জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধা এসে যায় হালিমার। একসময় সে আত্মহত্যা করতে গলায় ফাঁসি নিতে যায়। কিন্তু পৃথিবীর প্রতি চিরন্তন ভালোবাসা তাকে এতে বাধা দেয়।
(গ) হাসান সাঈদ ‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাসের আবুল চরিত্রের প্রতীক।
আলোচ্য ‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাসে দেখা যায়, আবুল তিনটি বিয়ে করে এবং বউ মারায় সে এক পৈশাচিক আনন্দ পায়। বড় বউ আয়েশা, মেজো বউ ফাতেমা আর ছোট বউ হালিমাকে পৈশাচিক নির্যাতন করে হত্যা করে সে।
আলোচ্য উদ্দীপকে দেখা যায়, হাসান সাঈদ একদিন বিকেলে তার স্ত্রী রুমানা মনজুরের গলা চেপে, দুই চোখে আঙুল ঢুকিয়ে তার দুই চোখ নষ্ট করে দেয় এবং গলায় আঙুল ঢুকিয়ে দেয়। অর্থাৎ সে আবুলের মতো স্ত্রীর সাথে নির্মমভাবে খারাপ আচরণ করেছে।
(ঘ) উদ্দীপকের পরিণতি ‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাসে দেখানো হলে নারী নির্যাতন বহুলাংশে হ্র্রাস পেত বলে আমি মনে করি।
আলোচ্য উপন্যাসে দেখা যায়, আবুল তার স্ত্রীদের নির্মমভাবে নির্যাতন করে। মেরে মেরে সে তিন বউকে হত্যা করে। মকবুল রাতদুপুরে তার বউদের দিয়ে চাল ভানে।
আলোচ্য উদ্দীপকে রুমানা মনজুরের প্রতি তার স্বামী হাসান সাঈদের নির্মম নির্যাতনের চিত্র ফুটে উঠেছে এবং পরিণামে সুশীলসমাজের প্রতিবাদও উদ্দীপকে তুলে ধরা হয়েছে। হাসান সাঈদের গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে যাওয়ার কথাও উদ্দীপকে আছে।
সুতরাং আলোচ্য উপন্যাসে নারী নির্যাতনের কারণে যদি আবুল, মকবুলের পরিণতি এরূপভাবে দেখানো হতো, যেমনটি সাঈদের েেত্র ঘটেছে। তাহলে তৎকালীন পুরুষতান্ত্রিক সমাজ সচেতন হতো। এভাবেই নারী নির্যাতন বহুলাংশে হ্রাস পেত বলে আমি মনে করি।
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
একটি দৈনিক পত্রিকার সংবাদ
স্বামীর নির্মম নির্যাতনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক রুমানা মনজুরের দুটো চোখই নষ্ট হয়ে গেছে। ঘটনা সম্পর্কে রুমানা জানানÑ তার স্বামী হাসান সাঈদ সেদিন বিকেলে বাইরে থেকে এসেই চুলের মুঠি ধরে তাকে বিছানার ওপর ফেলে দেয়। এক হাতে গলা চেপে ধরে, এরপর দুই চোখে আঙুল ঢুকিয়ে দিয়ে চোখ তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। চিৎকার করতে চাইলে গলায় আঙুল ঢুকিয়ে দেয়। একপর্যায়ে নাক কামড়ে ছিঁড়ে নেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক সমিতি, বিভিন্ন নারীবাদী সংগঠন, মহিলা এমপি ও সুশীলসমাজ এই ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করে অবিলম্বে হাসান সাঈদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছে। পুলিশ হাসান সাঈদকে গ্রেফতার করে জেল-হাজতে পাঠিয়েছে।
(ক) কাশেম শিকদার কোন গ্রামের বাসিন্দা?
(খ) হালিমা বারবার গলায় ফাঁসি নিতে যেয়েও নিতে পারে না কেন?
(গ) হাসান সাঈদ ‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাসের কোন চরিত্রের প্রতীকÑ বর্ণনা করো।
(ঘ) উদ্দীপকের পরিণতি ‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাসে দেখানো হলে নারী নির্যাতন বহুলাংশে হ্রাস পেত বলে তুমি মনে করো কি? তোমার মতের স্বপে যুক্তি দাও।
উত্তর : (ক) কাশেম শিকদার কুলাউড়া গ্রামের বাসিন্দা।
(খ) পৃথিবীর প্রতি ভালোবাসার জন্য হালিমা বারবার গলায় ফাঁসি নিতে যেয়েও নিতে পারে না।
বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জহির রায়হান রচিত ‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাসে দেখা যায়, স্বামীর নির্যাতনে জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধা এসে যায় হালিমার। একসময় সে আত্মহত্যা করতে গলায় ফাঁসি নিতে যায়। কিন্তু পৃথিবীর প্রতি চিরন্তন ভালোবাসা তাকে এতে বাধা দেয়।
(গ) হাসান সাঈদ ‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাসের আবুল চরিত্রের প্রতীক।
আলোচ্য ‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাসে দেখা যায়, আবুল তিনটি বিয়ে করে এবং বউ মারায় সে এক পৈশাচিক আনন্দ পায়। বড় বউ আয়েশা, মেজো বউ ফাতেমা আর ছোট বউ হালিমাকে পৈশাচিক নির্যাতন করে হত্যা করে সে।
আলোচ্য উদ্দীপকে দেখা যায়, হাসান সাঈদ একদিন বিকেলে তার স্ত্রী রুমানা মনজুরের গলা চেপে, দুই চোখে আঙুল ঢুকিয়ে তার দুই চোখ নষ্ট করে দেয় এবং গলায় আঙুল ঢুকিয়ে দেয়। অর্থাৎ সে আবুলের মতো স্ত্রীর সাথে নির্মমভাবে খারাপ আচরণ করেছে।
(ঘ) উদ্দীপকের পরিণতি ‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাসে দেখানো হলে নারী নির্যাতন বহুলাংশে হ্র্রাস পেত বলে আমি মনে করি।
আলোচ্য উপন্যাসে দেখা যায়, আবুল তার স্ত্রীদের নির্মমভাবে নির্যাতন করে। মেরে মেরে সে তিন বউকে হত্যা করে। মকবুল রাতদুপুরে তার বউদের দিয়ে চাল ভানে।
আলোচ্য উদ্দীপকে রুমানা মনজুরের প্রতি তার স্বামী হাসান সাঈদের নির্মম নির্যাতনের চিত্র ফুটে উঠেছে এবং পরিণামে সুশীলসমাজের প্রতিবাদও উদ্দীপকে তুলে ধরা হয়েছে। হাসান সাঈদের গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে যাওয়ার কথাও উদ্দীপকে আছে।
সুতরাং আলোচ্য উপন্যাসে নারী নির্যাতনের কারণে যদি আবুল, মকবুলের পরিণতি এরূপভাবে দেখানো হতো, যেমনটি সাঈদের েেত্র ঘটেছে। তাহলে তৎকালীন পুরুষতান্ত্রিক সমাজ সচেতন হতো। এভাবেই নারী নির্যাতন বহুলাংশে হ্রাস পেত বলে আমি মনে করি।
No comments:
Post a Comment