অধ্যায় : হাজার বছর ধরে
১। গাঁয়ের চাষিরা মিলিয়াছে আসি মোড়লের দলিজায়,
গল্পে গানে কি জাগাইতে চাহে আজিকার দিনটায়।
মাঝখানে বসে গাঁয়ের বৃদ্ধ, করুণ ভাটির সুরে
আমির সাধুর কাহিনী কহিছে সারাটা দলিজা জুড়ে
ক. 'হাজার বছর ধরে' কোন জাতীয় রচনা?
খ. মন্তু ও টুনি ধল পহরে শাপলা তুলতে যায় কেন?
গ. উদ্দীপকটি 'হাজার বছর ধরে' উপন্যাসের কোন দিকটি প্রতিফলিত করে? বর্ণনা দাও।
ঘ. উদ্দীপকের বৃদ্ধরাই আমাদের আবহমান গ্রামীণ সংস্কৃতির প্রাণ-পুরুষ -'হাজার বছর ধরে' উপন্যাস অবলম্বনে বিশ্লেষণ কর।
১ (ক) নং প্রশ্নের উত্তর:'হাজার বছর ধরে' একটি সামাজিক উপন্যাস।
১ (খ) নং এর উত্তর :মন্তু ও টুনি একসাথে কিছু আনন্দঘন মুহূর্ত কাটাতে ধলপুকুরে শাপলা তুলতে যায়।
বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জহির রায়হান রচিত 'হাজার বছর ধরে' শীর্ষক উপন্যাসে দেখা যায়, টুনি তের-চৌদ্দ বছর বয়সী এক চপল কিশোরী এবং মন্তু তার সমবয়সী। টুনি মন্তুর সাথে সময় কাটাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে এবং তাই তারা ধলপুকুরে এক সাথে শাপলা তুলতে যায়।
১ (গ) নং প্রশ্নের উত্তর: উদ্দীপকটি 'হাজার বছর ধরে' উপন্যাসের গ্রামীণ সস্তা-বিনোদন ব্যবস্থার দিকটি প্রতিফলিত করে।
আলোচ্য 'হাজার বছর ধরে' উপন্যাসে দেখা যায়, গ্রামীণ মানুষেরা সারাদিন অনেক কাজের পর রাতে বিনোদনের ব্যবস্থা করে। শিকদার বাড়ির উঠানে সকলে জমায়েত হয় সুরত আলীর পুঁথি শোনার জন্য। সুরত আলী সারারাত ঢুলে ঢুলে ভেলুয়া সুন্দরীর পুঁথি, কমলা সুন্দরী পুঁথি পাঠ করে। আর সেসব রূপকথার সাথে একাকার হয়ে যায় গ্রামের সেসব শ্রোতাদের আবেগ। তাছাড়া বিভিন্ন হাটে সার্কাস-পার্টি, যাত্রা-পালা ইত্যাদিও তাদের বিনোদনের উত্স।
আলোচ্য উদ্দীপকে দেখা যায়, মোড়লের দলিজায় মাঝখানে বসে গাঁয়ের বৃদ্ধ করুণ ভাঁটির সুর আমির সাধুর কাহিনী পড়ছে। আর তা শোনার জন্য গাঁয়ের চাষিরা সেখানে জমায়েত্ হয়েছে।
১ (ঘ) নং প্রশ্নের উত্তর :'উদ্দীপকে বৃদ্ধরাই আমাদের আবহমান গ্রামীণ সংস্কৃতির প্রাণ-পুরুষ।'- মন্তব্যটি যথার্থ।
আলোচ্য 'হাজার বছর ধরে' উপন্যাসে দেখা যায়, সারাদিন হাড় ভাঙ্গা খাটুনি খাটে দারিদ্রের কষাঘাতে নিষ্পেষিত গ্রামীণ মানুষ। তারা কাজ শেষে রাতের বেলায় শিকদার বাড়ির উঠানে মিলিত হয় পুঁথি শুনতে। সুরত আলী সারারাত সুর করে 'ভেলুয়া সুন্দরীর পুঁথি', 'কমলা সুন্দরীর' পুঁথি ইত্যাদি পাঠ করে। আর তা শুনে আবেগে বশীভূত হয়ে পড়ে তারা। এটাই তাদের গ্রামীণ সংস্কৃতি বা বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম।
তেমনি আলোচ্য উদ্দীপকে দেখা যায়, মোড়লের দলিজায় বসে গাঁয়ের বৃদ্ধ সুর করে আমি সাধুর কাহিনী পড়ে আর গ্রামের সব চাষি এসে সেখানে মিলিত হয়। গল্পে গানে তারা মেতে উঠতে চায়।
উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, উদ্দীপকের বৃদ্ধ যেমন সুর করে আমির সাধুর কাহিনী পড়ে গাঁয়ের চাষিদের বিনোদন দেয়; তেমনি 'হাজার বছর ধরে' উপন্যাসের সুরত আলীও সুর করে বিভিন্ন পুঁথি শুনিয়ে গ্রামের লোকদের বিনোদন দেয়। আর তাদের বিনোদনের অন্যতম উত্স এটি। তাই এটিই তাদের গ্রামীণ সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। সুতরাং উদ্দীপকের বৃদ্ধরা তথা সুরত আলী আমাদের আবহমান গ্রামীণ সংস্কৃতির প্রাণ-পুরুষ।
২। একটি দৈনিক পত্রিকার সংবাদ:
স্বামীর নির্মম নির্যাতনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক রুমানা মনজুরের দুটো চোখই নষ্ট হয়ে গেছে। ঘটনা সম্পর্কে রুমানা জানান-তার স্বামী হাসান সাঈদ সেদিন বিকেলে বাইরে থেকে এসেই চুলের মুঠি ধরে তাকে বিছানার ওপর ফেলে দেয়। এক হাতে গলা চেপে ধরে, এরপর দুই চোখে আঙুল ঢুকিয়ে দিয়ে চোখ তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। চিত্কার করতে চাইলে গলায় আঙুল ঢুকিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে নাক কামড়ে ছিড়ে নেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বিভিন্ন নারীবাদী সংগঠন, মহিলা এমপি এবং সুশীল সমাজ এই ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করে অবিলম্বে হাসান সাঈদের উপযুক্ত শাস্তি দাবী করেছে। পুলিশ হাসান সাঈদকে গ্রেফতার করে জেল-হাজতে পাঠিয়েছে।
ক.কাশেম শিকদার কোন গ্রামের বাসিন্দা?
খ. হালিমা বারবার গলায় ফাঁসি নিতে যেয়েও নিতে পারে না কেন?
গ. হাসান সাঈদ 'হাজার বছর ধরে' উপন্যাসের কোন চরিত্রের প্রতীক বর্ণনা কর।
ঘ. উদ্দীপকের পরিণতি 'হাজার বছর ধরে' উপন্যাসে দেখানো হলে নারী নির্যাতনের বহুলাংশে হরাস পেতো বলে তুমি মনে কর কি? তোমার মতের স্বপক্ষে যুক্তি দাও।
২ (ক) নং প্রশ্নের উত্তর:কাশেম শিকদার কুলাউড়া গ্রামের বাসিন্দা।
২ (খ) নং প্রশ্নের উত্তর:পৃথিবীর প্রতি ভালোবাসার জন্য হামিলা বারবার গলায় ফাঁসি নিতে যেয়েও নিতে পারে না।
বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জহির রায়হান রচিত 'হাজার বছর ধরে' উপন্যাসে দেখা যায়, স্বামীর নির্যাতনে জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধা এসে যায় হালিমার। একসময় সে আত্মহত্যা করতে গলায় ফাঁসি নিতে যায়। কিন্তু পৃথিবীর প্রতি চিরন্তন ভালোবাসা তাকে এতে বাঁধা দেয়।
২ (গ) নং প্রশ্নের উত্তর:হাসান সাঈদ 'হাজার বছর ধরে' উপন্যাসের আবুল চরিত্রের প্রতীক।
আলোচ্য 'হাজার বছর ধরে' উপন্যাসে দেখা যায়, আবুল তিনটি বিয়ে করে এবং বউ মারায় সে এক পৈশাচিক আনন্দ পায়। বড় বউ আয়েশা, মেজ বউ ফাতেমা আর ছোট বউ হালিমাকে পৈশাচিক নির্যাতন করে হত্যা করে সে।
আলোচ্য উদ্দীপকে দেখা যায়, হাসান সাঈদ একদিন বিকেলে তার স্ত্রী রুমানা মনজুরের গলা চেপে, দুই চোখে আঙুল ঢুকিয়ে তার দুই চোখ নষ্ট করে দেয় এবং গলায় আঙুল ঢুকিয়ে দেয়। অর্থাত্ সে আবুলের মতো স্ত্রীর সাথে নির্মমভাবে খারাপ আচরণ করেছে।
২ (ঘ) নং প্রশ্নের উত্তর: উদ্দীপকের পরিণতি 'হাজার বছর ধরে' উপন্যাসে দেখানো হলে নারী নির্যাতন বহুলাংশে হরাস পেতো বলে আমি মনে করি।
আলোচ্য উপন্যাসে দেখা যায়, আবুল তার স্ত্রীদের নির্মমভাবে নির্যাতন করে। মেরে মেরে সে তিন বউকে হত্যা করে। মকবুল রাত-দুপুরে তার বউদের দিয়ে চাল ভানে।
আলোচ্য উদ্দীপকে রুমানা মনজুরের প্রতি তার স্বামী হাসান সাঈদের নির্মম নির্যাতনের চিত্র ফুটে উঠেছে এবং পরিনামে সুশীল সমাজের প্রতিবাদী সত্ত্বাও উদ্দীপকে তুলে ধরা হয়েছে। হাসান সাঈদের জেল হাজতে গ্রেফতার হওয়ার কথাও উদ্দীপকে আছে।
১। গাঁয়ের চাষিরা মিলিয়াছে আসি মোড়লের দলিজায়,
গল্পে গানে কি জাগাইতে চাহে আজিকার দিনটায়।
মাঝখানে বসে গাঁয়ের বৃদ্ধ, করুণ ভাটির সুরে
আমির সাধুর কাহিনী কহিছে সারাটা দলিজা জুড়ে
ক. 'হাজার বছর ধরে' কোন জাতীয় রচনা?
খ. মন্তু ও টুনি ধল পহরে শাপলা তুলতে যায় কেন?
গ. উদ্দীপকটি 'হাজার বছর ধরে' উপন্যাসের কোন দিকটি প্রতিফলিত করে? বর্ণনা দাও।
ঘ. উদ্দীপকের বৃদ্ধরাই আমাদের আবহমান গ্রামীণ সংস্কৃতির প্রাণ-পুরুষ -'হাজার বছর ধরে' উপন্যাস অবলম্বনে বিশ্লেষণ কর।
১ (ক) নং প্রশ্নের উত্তর:'হাজার বছর ধরে' একটি সামাজিক উপন্যাস।
১ (খ) নং এর উত্তর :মন্তু ও টুনি একসাথে কিছু আনন্দঘন মুহূর্ত কাটাতে ধলপুকুরে শাপলা তুলতে যায়।
বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জহির রায়হান রচিত 'হাজার বছর ধরে' শীর্ষক উপন্যাসে দেখা যায়, টুনি তের-চৌদ্দ বছর বয়সী এক চপল কিশোরী এবং মন্তু তার সমবয়সী। টুনি মন্তুর সাথে সময় কাটাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে এবং তাই তারা ধলপুকুরে এক সাথে শাপলা তুলতে যায়।
১ (গ) নং প্রশ্নের উত্তর: উদ্দীপকটি 'হাজার বছর ধরে' উপন্যাসের গ্রামীণ সস্তা-বিনোদন ব্যবস্থার দিকটি প্রতিফলিত করে।
আলোচ্য 'হাজার বছর ধরে' উপন্যাসে দেখা যায়, গ্রামীণ মানুষেরা সারাদিন অনেক কাজের পর রাতে বিনোদনের ব্যবস্থা করে। শিকদার বাড়ির উঠানে সকলে জমায়েত হয় সুরত আলীর পুঁথি শোনার জন্য। সুরত আলী সারারাত ঢুলে ঢুলে ভেলুয়া সুন্দরীর পুঁথি, কমলা সুন্দরী পুঁথি পাঠ করে। আর সেসব রূপকথার সাথে একাকার হয়ে যায় গ্রামের সেসব শ্রোতাদের আবেগ। তাছাড়া বিভিন্ন হাটে সার্কাস-পার্টি, যাত্রা-পালা ইত্যাদিও তাদের বিনোদনের উত্স।
আলোচ্য উদ্দীপকে দেখা যায়, মোড়লের দলিজায় মাঝখানে বসে গাঁয়ের বৃদ্ধ করুণ ভাঁটির সুর আমির সাধুর কাহিনী পড়ছে। আর তা শোনার জন্য গাঁয়ের চাষিরা সেখানে জমায়েত্ হয়েছে।
১ (ঘ) নং প্রশ্নের উত্তর :'উদ্দীপকে বৃদ্ধরাই আমাদের আবহমান গ্রামীণ সংস্কৃতির প্রাণ-পুরুষ।'- মন্তব্যটি যথার্থ।
আলোচ্য 'হাজার বছর ধরে' উপন্যাসে দেখা যায়, সারাদিন হাড় ভাঙ্গা খাটুনি খাটে দারিদ্রের কষাঘাতে নিষ্পেষিত গ্রামীণ মানুষ। তারা কাজ শেষে রাতের বেলায় শিকদার বাড়ির উঠানে মিলিত হয় পুঁথি শুনতে। সুরত আলী সারারাত সুর করে 'ভেলুয়া সুন্দরীর পুঁথি', 'কমলা সুন্দরীর' পুঁথি ইত্যাদি পাঠ করে। আর তা শুনে আবেগে বশীভূত হয়ে পড়ে তারা। এটাই তাদের গ্রামীণ সংস্কৃতি বা বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম।
তেমনি আলোচ্য উদ্দীপকে দেখা যায়, মোড়লের দলিজায় বসে গাঁয়ের বৃদ্ধ সুর করে আমি সাধুর কাহিনী পড়ে আর গ্রামের সব চাষি এসে সেখানে মিলিত হয়। গল্পে গানে তারা মেতে উঠতে চায়।
উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, উদ্দীপকের বৃদ্ধ যেমন সুর করে আমির সাধুর কাহিনী পড়ে গাঁয়ের চাষিদের বিনোদন দেয়; তেমনি 'হাজার বছর ধরে' উপন্যাসের সুরত আলীও সুর করে বিভিন্ন পুঁথি শুনিয়ে গ্রামের লোকদের বিনোদন দেয়। আর তাদের বিনোদনের অন্যতম উত্স এটি। তাই এটিই তাদের গ্রামীণ সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। সুতরাং উদ্দীপকের বৃদ্ধরা তথা সুরত আলী আমাদের আবহমান গ্রামীণ সংস্কৃতির প্রাণ-পুরুষ।
২। একটি দৈনিক পত্রিকার সংবাদ:
স্বামীর নির্মম নির্যাতনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক রুমানা মনজুরের দুটো চোখই নষ্ট হয়ে গেছে। ঘটনা সম্পর্কে রুমানা জানান-তার স্বামী হাসান সাঈদ সেদিন বিকেলে বাইরে থেকে এসেই চুলের মুঠি ধরে তাকে বিছানার ওপর ফেলে দেয়। এক হাতে গলা চেপে ধরে, এরপর দুই চোখে আঙুল ঢুকিয়ে দিয়ে চোখ তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। চিত্কার করতে চাইলে গলায় আঙুল ঢুকিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে নাক কামড়ে ছিড়ে নেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বিভিন্ন নারীবাদী সংগঠন, মহিলা এমপি এবং সুশীল সমাজ এই ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করে অবিলম্বে হাসান সাঈদের উপযুক্ত শাস্তি দাবী করেছে। পুলিশ হাসান সাঈদকে গ্রেফতার করে জেল-হাজতে পাঠিয়েছে।
ক.কাশেম শিকদার কোন গ্রামের বাসিন্দা?
খ. হালিমা বারবার গলায় ফাঁসি নিতে যেয়েও নিতে পারে না কেন?
গ. হাসান সাঈদ 'হাজার বছর ধরে' উপন্যাসের কোন চরিত্রের প্রতীক বর্ণনা কর।
ঘ. উদ্দীপকের পরিণতি 'হাজার বছর ধরে' উপন্যাসে দেখানো হলে নারী নির্যাতনের বহুলাংশে হরাস পেতো বলে তুমি মনে কর কি? তোমার মতের স্বপক্ষে যুক্তি দাও।
২ (ক) নং প্রশ্নের উত্তর:কাশেম শিকদার কুলাউড়া গ্রামের বাসিন্দা।
২ (খ) নং প্রশ্নের উত্তর:পৃথিবীর প্রতি ভালোবাসার জন্য হামিলা বারবার গলায় ফাঁসি নিতে যেয়েও নিতে পারে না।
বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জহির রায়হান রচিত 'হাজার বছর ধরে' উপন্যাসে দেখা যায়, স্বামীর নির্যাতনে জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধা এসে যায় হালিমার। একসময় সে আত্মহত্যা করতে গলায় ফাঁসি নিতে যায়। কিন্তু পৃথিবীর প্রতি চিরন্তন ভালোবাসা তাকে এতে বাঁধা দেয়।
২ (গ) নং প্রশ্নের উত্তর:হাসান সাঈদ 'হাজার বছর ধরে' উপন্যাসের আবুল চরিত্রের প্রতীক।
আলোচ্য 'হাজার বছর ধরে' উপন্যাসে দেখা যায়, আবুল তিনটি বিয়ে করে এবং বউ মারায় সে এক পৈশাচিক আনন্দ পায়। বড় বউ আয়েশা, মেজ বউ ফাতেমা আর ছোট বউ হালিমাকে পৈশাচিক নির্যাতন করে হত্যা করে সে।
আলোচ্য উদ্দীপকে দেখা যায়, হাসান সাঈদ একদিন বিকেলে তার স্ত্রী রুমানা মনজুরের গলা চেপে, দুই চোখে আঙুল ঢুকিয়ে তার দুই চোখ নষ্ট করে দেয় এবং গলায় আঙুল ঢুকিয়ে দেয়। অর্থাত্ সে আবুলের মতো স্ত্রীর সাথে নির্মমভাবে খারাপ আচরণ করেছে।
২ (ঘ) নং প্রশ্নের উত্তর: উদ্দীপকের পরিণতি 'হাজার বছর ধরে' উপন্যাসে দেখানো হলে নারী নির্যাতন বহুলাংশে হরাস পেতো বলে আমি মনে করি।
আলোচ্য উপন্যাসে দেখা যায়, আবুল তার স্ত্রীদের নির্মমভাবে নির্যাতন করে। মেরে মেরে সে তিন বউকে হত্যা করে। মকবুল রাত-দুপুরে তার বউদের দিয়ে চাল ভানে।
আলোচ্য উদ্দীপকে রুমানা মনজুরের প্রতি তার স্বামী হাসান সাঈদের নির্মম নির্যাতনের চিত্র ফুটে উঠেছে এবং পরিনামে সুশীল সমাজের প্রতিবাদী সত্ত্বাও উদ্দীপকে তুলে ধরা হয়েছে। হাসান সাঈদের জেল হাজতে গ্রেফতার হওয়ার কথাও উদ্দীপকে আছে।
No comments:
Post a Comment