১। উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
কোন দেশের তথা জাতির উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শব্দ দুটি পরষ্পরের সম্পূরক। জেলেরা জালে গাবের আঠা ব্যবহার করে থাকেন। এটাও এক ধরণের প্রযুক্তি। তবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যেমন মানব জাতির কল্যাণ করে, ঠিক এর উল্টোটাও করে, অর্থাত্ ক্ষতিও করে। এ ধরনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার থেকে দূরে থাকা উচিত।
ক. প্রযুক্তি কী?
খ. জেলেরা জালে গাব দেয় কেন?
গ. একজন বিজ্ঞানী ও একজন প্রযুক্তিবিদের মধ্যে পার্থক্য লিখ।
ঘ. "বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পরষ্পরের সম্পূরক"- উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর।
উত্তর ঃ
ক. প্রযুক্তি ঃ বিজ্ঞানের আবিষ্কারকে মানবকল্যাণে বাস্তব ক্ষেত্রে প্রয়োগ করাই হলো প্রযুক্তি।
খ. জালে গাব দেওয়ার কারণ ঃ জেলেরা জাল দিয়ে পানিতে মাছ ধরে। জালের সুতা বারবার ও দীর্ঘসময় ধরে পানিতে ভিজলে তা অল্পদিনেই পঁচে যায়। গাবের আঠার বিশেষ গুণ হলো এটি শুকালে শক্ত প্রলেপের ন্যায় কাজ করে। আর তাই জালে গাব দিলে এর আঠা শুকিয়ে সুতার চারদিকে শক্ত প্রলেপ পড়ে। এতে করে সুতা পানিতে ভিজেনা। ফলে জাল দীর্ঘদিন ভালো থাকে। এটি একটি প্রযুক্তি।
গ. একজন বিজ্ঞানী ও একজন প্রযুক্তিবিদের মধ্যে পার্থক্য ঃ নিচে একজন বিজ্ঞানী ও একজন প্রযুক্তিবিদের মধ্যে পার্থক্য লিপিবদ্ধ করা হলো-
বিজ্ঞানী ক্রম প্রযুক্তিবিদ
যিনি প্রকৃতির রহস্য অনুসন্ধান করেন এবং রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য গবেষণা করেন তিনিই বিজ্ঞানী। ১. বিজ্ঞানের আবিষ্কারকে যিনি মানব কল্যাণে ব্যবহার করেন তিনিই প্রযুক্তিবিদ।
বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন বিষয়ে অদম্য কৌতুহলি ও বাস্তববাদী হয়ে থাকেন। ২. প্রযুক্তিবিদগণ কৌশলী ও যথেষ্ট ধৈর্যের সাথে বিজ্ঞানের আবিষ্কারকে কাজে লাগান।
উদাহরণঃ পদার্থবিজ্ঞানী, রসায়নবিদ, প্রাণীবিজ্ঞানী। ৩. উদাহরণ ঃ প্রকৌশলী, ডাক্তার, কৃষিবিদ।
ঘ. "বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পরষ্পরের সম্পূরক"- উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ ঃ বিজ্ঞান শব্দের অর্থ হচ্ছে বিশেষ জ্ঞান। বিশ্বজগত্ সম্পর্কে সুসংবদ্ধ ও সুসামঞ্জস্য মঙ্গলজনক জ্ঞানই হচ্ছে বিজ্ঞান। আর প্রযুক্তিবিদের মাধ্যমে বিজ্ঞানের আবিষ্কারগুলো মানবকল্যাণে ব্যবহূত হয়। সাধারণত বিজ্ঞানের আবিষ্কারের প্রায় সাথে সাথেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেগুলোর প্রযুক্তিগত ব্যবহার হয়ে থাকে।
যেমনঃ পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নের বিভিন্ন আবিষ্কার প্রায় সাথে সাথেই চিকিত্সা, প্রকৌশল এমনকি কৃষিক্ষেত্রেও বহুলভাবে ব্যবহূত হচ্ছে। অর্থাত্ প্রযুক্তি ছাড়া বিজ্ঞান অচল। আবার বিজ্ঞানের আবিষ্কার যদি না হতো তবে কখনই প্রযুক্তিবিদরা এসবের ব্যবহার বা উপকারিতা সম্পর্কে জানতো না। মানব সভ্যতার প্রাথমিক পর্যায়ে মানুষ কাঁচা মাংস খেত। পরবর্তীতে আগুনের আবিষ্কার হয় এবং মানুষ রান্না করতে শেখে। যখন ভোতা অস্ত্রকে শান দিয়ে ধারালো অস্ত্র বানানো সম্ভব হলো তখন থেকেই শুরু হলো প্রযুক্তির ব্যবহার। কাজেই বিজ্ঞানের আবিষ্কারের সাথে প্রযুক্তি সম্পৃক্ত হয়ে মানব কল্যাণে ব্যবহূত হচ্ছে। সুতরাং বলা যায় যে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পরষ্পরের সম্পুরক।
কোন দেশের তথা জাতির উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শব্দ দুটি পরষ্পরের সম্পূরক। জেলেরা জালে গাবের আঠা ব্যবহার করে থাকেন। এটাও এক ধরণের প্রযুক্তি। তবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যেমন মানব জাতির কল্যাণ করে, ঠিক এর উল্টোটাও করে, অর্থাত্ ক্ষতিও করে। এ ধরনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার থেকে দূরে থাকা উচিত।
ক. প্রযুক্তি কী?
খ. জেলেরা জালে গাব দেয় কেন?
গ. একজন বিজ্ঞানী ও একজন প্রযুক্তিবিদের মধ্যে পার্থক্য লিখ।
ঘ. "বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পরষ্পরের সম্পূরক"- উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর।
উত্তর ঃ
ক. প্রযুক্তি ঃ বিজ্ঞানের আবিষ্কারকে মানবকল্যাণে বাস্তব ক্ষেত্রে প্রয়োগ করাই হলো প্রযুক্তি।
খ. জালে গাব দেওয়ার কারণ ঃ জেলেরা জাল দিয়ে পানিতে মাছ ধরে। জালের সুতা বারবার ও দীর্ঘসময় ধরে পানিতে ভিজলে তা অল্পদিনেই পঁচে যায়। গাবের আঠার বিশেষ গুণ হলো এটি শুকালে শক্ত প্রলেপের ন্যায় কাজ করে। আর তাই জালে গাব দিলে এর আঠা শুকিয়ে সুতার চারদিকে শক্ত প্রলেপ পড়ে। এতে করে সুতা পানিতে ভিজেনা। ফলে জাল দীর্ঘদিন ভালো থাকে। এটি একটি প্রযুক্তি।
গ. একজন বিজ্ঞানী ও একজন প্রযুক্তিবিদের মধ্যে পার্থক্য ঃ নিচে একজন বিজ্ঞানী ও একজন প্রযুক্তিবিদের মধ্যে পার্থক্য লিপিবদ্ধ করা হলো-
বিজ্ঞানী ক্রম প্রযুক্তিবিদ
যিনি প্রকৃতির রহস্য অনুসন্ধান করেন এবং রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য গবেষণা করেন তিনিই বিজ্ঞানী। ১. বিজ্ঞানের আবিষ্কারকে যিনি মানব কল্যাণে ব্যবহার করেন তিনিই প্রযুক্তিবিদ।
বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন বিষয়ে অদম্য কৌতুহলি ও বাস্তববাদী হয়ে থাকেন। ২. প্রযুক্তিবিদগণ কৌশলী ও যথেষ্ট ধৈর্যের সাথে বিজ্ঞানের আবিষ্কারকে কাজে লাগান।
উদাহরণঃ পদার্থবিজ্ঞানী, রসায়নবিদ, প্রাণীবিজ্ঞানী। ৩. উদাহরণ ঃ প্রকৌশলী, ডাক্তার, কৃষিবিদ।
ঘ. "বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পরষ্পরের সম্পূরক"- উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ ঃ বিজ্ঞান শব্দের অর্থ হচ্ছে বিশেষ জ্ঞান। বিশ্বজগত্ সম্পর্কে সুসংবদ্ধ ও সুসামঞ্জস্য মঙ্গলজনক জ্ঞানই হচ্ছে বিজ্ঞান। আর প্রযুক্তিবিদের মাধ্যমে বিজ্ঞানের আবিষ্কারগুলো মানবকল্যাণে ব্যবহূত হয়। সাধারণত বিজ্ঞানের আবিষ্কারের প্রায় সাথে সাথেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেগুলোর প্রযুক্তিগত ব্যবহার হয়ে থাকে।
যেমনঃ পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নের বিভিন্ন আবিষ্কার প্রায় সাথে সাথেই চিকিত্সা, প্রকৌশল এমনকি কৃষিক্ষেত্রেও বহুলভাবে ব্যবহূত হচ্ছে। অর্থাত্ প্রযুক্তি ছাড়া বিজ্ঞান অচল। আবার বিজ্ঞানের আবিষ্কার যদি না হতো তবে কখনই প্রযুক্তিবিদরা এসবের ব্যবহার বা উপকারিতা সম্পর্কে জানতো না। মানব সভ্যতার প্রাথমিক পর্যায়ে মানুষ কাঁচা মাংস খেত। পরবর্তীতে আগুনের আবিষ্কার হয় এবং মানুষ রান্না করতে শেখে। যখন ভোতা অস্ত্রকে শান দিয়ে ধারালো অস্ত্র বানানো সম্ভব হলো তখন থেকেই শুরু হলো প্রযুক্তির ব্যবহার। কাজেই বিজ্ঞানের আবিষ্কারের সাথে প্রযুক্তি সম্পৃক্ত হয়ে মানব কল্যাণে ব্যবহূত হচ্ছে। সুতরাং বলা যায় যে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পরষ্পরের সম্পুরক।
No comments:
Post a Comment