Saturday, December 1, 2012

আত্মবিশ্বাসই জোগাবে অনুপ্রেরণাস্মার্ট ক্যারিয়ার

আত্মবিশ্বাসই জোগাবে অনুপ্রেরণাস্মার্ট ক্যারিয়ার
পেশাগত জীবনের এই প্রতিনিয়ত পরিবর্তনে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে চলতে প্রয়োজন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও দূরদর্শিতা। লিখেছেন তানজিনা আফরোজ
আমরা মনে যা ভাবছি তার ওপর নির্ভর করে আমাদের কথাবার্তা, আচার-আচরণ এমনকি বিভিন্ন বিষয়ে নেয়া হয় বহু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। ধরা যাক কারো ব্যবহারে আপনি খুব অপমানবোধ করেছেন; সারাদিন সেই অপমানবোধই আপনার মধ্যে জাগিয়ে তুলছে রাগ, বিদ্বেষ, সন্দেহের মতো নানা খারাপ অনুভূতি। দিনের শেষে হয়তো দেখা গেল অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে ফেলেছেন, ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন এবং নিজেকে আরো সমস্যার দিকে ঠেলে দিয়েছেন। ঠিক এ সময় কাজ দেবে পজেটিভ থিংকিং। জীবনের নানা চ্যালেঞ্জ, প্রতিকূলতার মধ্যে এই পজেটিভ আউটলুকই ফিরিয়ে আনতে পারে আশা, আনন্দ এবং স্বস্তি। এ জন্য প্রয়োজন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও দূরদর্শিতা।
নিজের চিন্তাভাবনার ওপর নিয়ন্ত্রণ আনুন। কোনো মন্তব্য বা ঘটনা আপনার মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করার আগেই সেটা মনে মনে একবার কাটাছেঁড়া করে নিন। ঠিক যে কথা বা ঘটনা আপনার মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করছে সেটাকে যুক্তি দিয়ে সাজিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন। যদি আপনার কোনো দোষ থেকে থাকে তাহলে সেটিকে একটা টার্নিং হিসেবে নিন, যাতে ভবিষ্যতে আর এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার না হতে হয়। যদি আপনার আদৌ কোনো ভুল না হয়ে থাকে তাহলে অন্তত নিজের কাছে নিজে পরিষ্কার আছেন জেনে নিশ্চিন্তে থাকুন। অপরের ভুলের জন্য নিজের মনকে কলুষিত করা কোনো কাজের কথা নয়। বন্ধু বা কলিগদের মধ্যে যারা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য পরিচিত, তাদের সঙ্গে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলুন। কোনো সমস্যায় পড়লে তাদের থেকে পরামর্শ চান। এরা আপনার কর্মক্ষমতা বাড়াবে, সাহস দেবে এবং জীবনকে ভালোভাবে গড়ে তুলতে সহযোগিতা করবে। যারা নেগেটিভ টেম্পারমেন্টের মানুষ অথবা সবকিছুর অহেতুক সমালোচনা করেন, অন্যের সাফল্য সন্দেহের চোখে দেখেন তাদের এড়িয়ে চলুন। প্রতিদিন সকালে উঠে নিজেকে নিজে বলুন, আমি ভালো আছি। আমি ভালো থাকব। দৃঢ় বিশ্বাস এবং ইচ্ছাশক্তির ওপর নির্ভর করে বলা এই কথাগুলো আপনাকে নতুন সাহস জোগাতে সাহায্য করবে। এছাড়া ‘আমার কপালটাই খারাপ বা আমার দ্বারা কিছু হবে না’ এ জাতীয় মন্তব্য করা বন্ধ করে দিন। বরং এ কাজটা শক্ত কিন্তু আমি পারব এ চিন্তাটাই মনে গেঁথে নিন।
বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সেলফ ইমপ্র“ভমেন্ট বা পার্সোনালিটি ডেভেলপমেন্টের বইও দৈনন্দিন জীবনের জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করতে পারে। নিজের লক্ষ্য ঠিক করুন। সাংসারিক কাজকর্মই হোক বা ক্যারিয়ার সব ব্যাপারেই একটা খসড়া পরিকল্পনা থাকা খুবই জরুরি। প্রতিদিন না হোক সপ্তাহের শুরুতে বাড়ির কাজ আর অফিসের কাজের দুটি আলাদা আলাদা চেকলিস্ট বানিয়ে নিন। এক একটা কাজ শেষ হলেই লাল পেনসিল দিয়ে কেটে দিন। সব কাজ ঠিকমতো শেষ হলে নিজেকেই ছোট একটা প্রাইজ দিন। ছোট ছোট লক্ষ্য পূরণ করতে করতে আত্মবিশ্বাস থেকেই গড়ে উঠবে পজেটিভ চিন্তা-ভাবনা। সারাদিনে যা করেছেন তা দিনের শেষে মনে করুন। কোনো কাজটি পারেননি, সেটা নিয়ে চিন্তা না।

No comments:

Post a Comment

Composition on Female Education in Bangladesh for Examination

  Female Education in Bangladesh Education is a light to which everybody has the equal right. Education is the backbone of a nation. The ...