Sunday, December 9, 2012

লেখাপড়ার মধ্যে আনন্দ খোঁজা উচিত

রশ্ন : আপনার বিদ্যালয়ের ধারাবাহিক ভালো ফলাফলের পেছনে কারণ কি?

দীপক রায় : বিদ্যালয়ের দক্ষ শিক্ষকমণ্ডলীর নিয়মিত পাঠদান, শ্রেণী অভীক্ষা গ্রহণ, মডেল টেস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত করে গড়ে তোলা, অভিভাবকদের সচেতনতা, সর্বোপরি শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ ও পড়াশোনার প্রতি তাদের মনোযোগ বাড়ানোর ফলেই সাফল্যের ধারা অব্যাহত রয়েছে।

প্রশ্ন : গ্রামের শিক্ষার্থীরা ইংরেজি ও গণিতে তুলনামূলক বেশি দুর্বল হয়। এই দুর্বলতা দূরীকরণে শিক্ষকদের ভূমিকা কি?

দীপক রায় : গ্রামের স্কুলগুলোতে দক্ষ ইংরেজি শিক্ষকের অভাব রয়েছে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সঠিক মানে গড়ে তোলা। ইংলিশ স্পিকিংয়ের ওপর গুরুত্বারোপ, ক্লাস রুটিনে ইংরেজির ক্লাস বেশি রাখা, গণিত করানোর সময় সূত্রগুলো ভালোভাবে শিক্ষার্থীদের বোঝাতে হবে।

প্রশ্ন : শিক্ষার্থীদের আরও বেশি করে স্কুলমুখী করতে বা ঝরে পড়া রোধে কি করা উচিত?

দীপক রায় : স্কুলের পাঠদান আকর্ষণীয় করতে হবে। শ্রেণীকক্ষে শিক্ষা উপকরণ, চার্ট ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে। স্কুলে হালকা টিফিনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। বিষয়ভিত্তিক কনটেন্ট তৈরি করে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রশ্ন : পাঠ্যবইয়ের বাইরে আর কি কি বই পড়লে শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ও সামগ্রিক জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে?

দীপক রায় : বিজ্ঞান, ইতিহাসবিষয়ক বই, বিখ্যাত মনীষীদের জীবনী পাঠ একান্ত প্রয়োজন।

প্রশ্ন : ভালো ফলাফল অর্জনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের করণীয় কি?

দীপক রায় : নিয়মিত পাঠদান, সাপ্তাহিক পরীক্ষা নেওয়া, শিক্ষক-অভিভাবক সম্মেলনের আয়োজন, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা এবং ছাত্র উপস্থিতি শতভাগ নিশ্চিত করা।

শিক্ষকের কথা
লেখাপড়ার মধ্যে আনন্দ খোঁজা উচিত
মাগুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ১৮৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটির সাফল্যের কারণ ও আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে কথা বলেছেন এটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দীপক কুমার রায়।
প্রশ্ন : শিক্ষার্থীদের ইংরেজি দুর্বলতা দূর করার জন্য আপনার প্রতিষ্ঠান কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে?

দীপক রায় : ইংরেজিতে দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ক্লাস নেওয়া হয়। আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ইংরেজি পত্রিকা পড়ে। আমার প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন তিন কপি ডেইলি স্টার পত্রিকা রাখা হয় ও শিক্ষার্থীদের তা পড়ানো হয়। পরীক্ষায় ভালো করার জন্য পরীক্ষার আগে মডেল টেস্ট নেওয়া হয়। পিছিয়ে পড়া ছাত্রদের বিশেষ পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়।

প্রশ্ন : ভালো ফলাফলের জন্য শিক্ষার্থীদের কেমন পড়াশোনা করা উচিত?

দীপক রায় : প্রতিটি বিষয়ে সমান গুরুত্ব দেওয়া, নিয়মিত ৭/৮ ঘণ্টা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা করা। বোঝা মনে না করে লেখাপড়ার মধ্যে আনন্দ খোঁজা উচিত।

প্রশ্ন : আপনার জীবনে মজার কোনো স্মৃতি থাকলে বলুন।

দীপক রায় : আমার ছোটবেলা ছিল খুব মজার। একবার বর্ষাকালে ১০/১২ জন মিলে নৌকায় বনভোজনের আয়োজন করা হয়। কিন্তু রান্নার কাজে কেউ যেতে চাইল না। অবশেষে বাধ্য হয়ে আমি রান্না করি। আমার রান্না খেয়ে সবাই এত খুশি হয় যে, পরবর্তীতে রান্নার কাজ এলেই আমর ডাক পড়ত।

No comments:

Post a Comment

Composition on Female Education in Bangladesh for Examination

  Female Education in Bangladesh Education is a light to which everybody has the equal right. Education is the backbone of a nation. The ...