৩য় অধ্যায় : আত্মকর্মসংস্থান
প্রিয় শিক্ষার্থী, শুভেচ্ছা নিও। ইতোমেধ্য তোমাদের চূড়ান্ত পরীক্ষার সময়সূচি হাতে পেয়েছ আশা করছি। সুতরাং রুটিন অনুযায়ী নিয়মিত পড়াশোনা করা এখন তোমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজ তোমাদের ৩য় অধ্যায়ের আত্মকর্মসংস্থান থেকে গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক কয়েকটি প্রশ্নোত্তর আলোচনা করব।
জ্ঞানমূলক :
প্রশ্ন ১ : আত্মকর্মসংস্থান কী?
উত্তর : নিজেই নিজের কর্মসংস্থান করাকে আত্মকর্মসংস্থান বলে। আরও একটু স্পষ্ট করে বলা যায় যে, নিজস্ব অথবা ঋণ করা স্বল্প সম্পদ, নিজস্ব চিন্তা, জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ন্যূনতম ঝুঁকি নিয়ে আত্মপ্রচেষ্টায় জীবিকা অর্জনের ব্যবস্থাকে আত্মকর্মসংস্থান বলা হয়।
প্রশ্ন ২ : দেশের শিল্প-বাণিজ্যের উন্নয়নে কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে?
উত্তর : দেশের শিল্প-বাণিজ্যের উন্নয়নে উদ্যোক্তার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিল্প উদ্যোক্তা দেশের বস্তুসম্ভার জনসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করেন।
প্রশ্ন ৩ : একটি সংগঠন স্থাপনের প্রাথমিক প্রচেষ্টাকে কী বলে?
উত্তর : একটি সংগঠন স্থাপনের প্রাথমিক প্রচেষ্টাকে ব্যবসায় উদ্যোগ বলে।
প্রশ্ন ৪ : ‘মৌমাছি চাষ’ কিসের ক্ষেত্র?
উত্তর : ‘মৌমাছি চাষ’ আত্মকর্মসংস্থানের একটি সফল ক্ষেত্র।
প্রশ্ন ৫ : উদ্যোক্তা কে?
উত্তর : উদ্যোক্তা একজন দক্ষ সংগঠক। সে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক ঝুঁকি ও দায়িত্ব বহন করে।
প্রশ্ন ৬ : আত্মকর্মসংস্থানের জন্য কী প্রয়োজন?
উত্তর : আত্মকর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজন উদ্যোগ, দুটি কর্মঠ হাত, স্বল্প প্রশিক্ষণ ও প্রবল আত্মবিশ্বাস।
প্রশ্ন ৭ : আত্মকর্মসংস্থানমূলক পেশা কী?
উত্তর : যে পেশায় নিজের অথবা ঋণ করা স্বল্প সম্পদ, নিজস্ব চিন্তা, মেধা, দক্ষতা, জ্ঞান ও কঠোর পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে ন্যূনতম ঝুঁকি গ্রহণের মাধ্যমে সেবাদানের বিনিময়ে বা ব্যবসায় পরিচালনা করে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে জীবিকা চালানোর চেষ্টা করা হয় তাকে আত্মকর্মসংস্থানমূলক পেশা বলে।
প্রশ্ন ৮ : যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কী?
উত্তর : যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর হচ্ছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে গঠিত একটি আলাদা অধিদপ্তর, যারা বেকার সমস্যার সমাধানে এবং যুবকদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করে।
প্রশ্ন ৯ : রণদা প্রসাদ সাহা কে ছিলেন?
উত্তর : রণদা প্রসাদ সাহা ১৮৯৮ সালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এক সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। রণদা প্রসাদ সাহা মাত্র নিম্ন প্রাইমারী পর্যন্ত লেখাপড়া শিখেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে যুদ্ধে চলে যান এবং সেনাবাহিনীতে নার্স হিসেবে কাজ করেন।
প্রশ্ন ১০ : জহুরুল ইসলাম কে ছিলেন?
উত্তর : বাংলাদেশে সফল উদ্যোক্তাদের মধ্যে জহুরুল ইসলাম ছিলেন অন্যতম। ১৯২৮ সালের আগস্ট মাসে কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানাধীন ভাগলপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি বহু শিল্প কারখানা ও মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করেছিলেন।‘
প্রশ্ন ১১ : গুলবক্স ভূঁইয়া কে?
উত্তর : গুলবক্স ভূঁইয়া বাংলাদেশের শিল্প উদ্যোক্তাদের মধ্যে একটি বিশেষ পরিচিত নাম। ১৯১৩ সালে ঢাকা জেলার রূপগঞ্জ থানার মর্তুজাবাদ গ্রামে তাঁর জন্ম। তার পিতার নাম এলাহি বক্স।
অনুধাবনমূলক :
প্রশ্ন ১. আত্মকর্মসংস্থানের একটি গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: আত্মকর্মসংস্থানের গুরুত্ব হচ্ছে বেকারত্ব দূর করা। আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে মানুষ নিজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে সামাজিক অভিশাপ বেকারত্ব থেকে মুক্তি পায়। আমাদের দেশে সরকারী ও বেসরকারী খাতে চাকরির সুযোগ ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে। এ অবস্থায় বেকার সমস্যা দূরীকরণে আত্মকর্মসংস্থান ছাড়া আমাদের সামনে বিকল্প কোন পথ নেই।
প্রশ্ন ২ : ঝুঁকি গ্রহণের মনোভাব উদ্যোক্তার কোন ধরনের বৈশিষ্ট্য তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ঝুঁকি গ্রহণের মনোভাব উদ্যোক্তার মনস্তত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য। উদ্যোক্তাকে উদ্যম, সাহস ও বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে হয়। ব্যবসায়ে ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা বিদ্যমান। উদ্যম, সাহস ও বিচক্ষতার মাধ্যমে উদ্যাক্তা ঝুঁকিসম্পন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্রতী হয়। সুতরাং উদ্যোক্তার ঝুঁকি গ্রহণের মনোভাব ও সাহস থাকতে হয়।
প্রশ্ন ৩ . উদ্যোক্তার ব্যতিক্রমধর্মী গুণটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : সাফল্য অর্জনের তীব্র আকাক্সক্ষা উদ্যোক্তার ব্যতিক্রমধর্মী একটি গুণ। নিজের কর্মদক্ষতা সম্পর্কে সে উচ্চ ধারণা পোষণ করে। জয়ী হবার জন্য থাকে তার অদম্য ইচ্ছা। ঝুঁকিপূর্ণ কাজে সে ব্রতী হয় সুদৃঢ় মনোবল আর আত্মপ্রত্যয়ে। সাফল্য অর্জন হয় তার চূড়ান্ত লক্ষ্য।
প্রশ্ন ৪. যুব উন্নয়ন অধিদফতর কেন যুবকদের প্রশিক্ষণ ও ঋণদান করে।
উত্তর : যুব উন্নয়ন অধিদফতর বেকার জনগোষ্ঠীকে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করে। যুবকরা যাতে নির্ভুলভাবে এবং সফলভাবে আত্মকর্মসংস্থান করে স্বাবলম্বী হতে পারে সেজন্য যুব উন্নয়ন অধিদফতর প্রশিক্ষণ প্রদান করে। পাশাপাশি যোগ্যতাসম্পন্ন, আত্মবিশ্বাসী এবং কঠোর পরিশ্রমী যুবকদের ঋণদান করার মাধ্যমে পুঁজির সংস্থান করে।
প্রশ্ন ৫. গুলবক্স ভূঁইয়াকে ‘তমঘায়ে পাকিস্তান’ খেতাব কেন দেয়া হয়।
উত্তর : ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সাফল্যস্বরূপ এবং সততা অধ্যবসায় ও কঠোর পরিশ্রমের জন্য ১৯৬৮ সালে গুলবক্স ভূঁইয়াকে ‘তমঘায়ে পাকিস্তান’ খেতাবে ভূষিত করা হয়।
প্রশ্ন ৬. আর পি সাহা একজন দেশপ্রেমিক ছিলেন ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : যারা সত্যিকারের দেশপ্রেমিক তারা সবসময় সব স্থানেই দেশের প্রয়োজন এগিয়ে আসেন। আর পি সাহা ছিলেন দেশপ্রেমিক। ১৯১৪ সালে ১ম বিশ্বযুদ্ধে বাড়ি থেকে পলায়ন করে যুদ্ধে নাম লেখান। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান ও ভারত আলাদা হলে অনেক বিত্তশালী হিন্দু পরিবার ভারতে চলে গেলেও তিনি দেশকে ভালবেসে এদেশে রয়ে যান। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে কাজ করতে গিয়ে তিনি গুপ্তহত্যার শিকার হন।
প্রশ্ন ৭. একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উদ্যোক্তার প্রয়োজনীয়তা কী?
উত্তর : যে কোন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন উদ্যোক্তার প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার্য। দক্ষ উদ্যোক্তাদের প্রচেষ্টায় দেশে শিল্প ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়। ফলে প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত হয়। উদ্যোক্তারা স্বল্প ব্যয়ে ও প্রচেষ্টায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধিতে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখেন।
প্রশ্ন ৮. কোন কোন গুণাবলীর কারণে জহুরুল ইসলাম সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন?
উত্তর : বাংলাদেশে সফল উদ্যোক্তাদের মধ্যে জহুরুল ইসলাম অন্যতম। তিনি ১৯২৮ সালে কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানাধীন ভাগলপুর গ্রামে এক সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ব্যবসায়ের অসাধারণ আগ্রহ, উচ্চাকাক্সক্ষা, পরিশ্রমের ফলে তিনি পরবর্তীতে একজন সার্থক শিল্পোদ্যাক্তা ও অন্যতম ধনী ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন।
প্রিয় শিক্ষার্থী, শুভেচ্ছা নিও। ইতোমেধ্য তোমাদের চূড়ান্ত পরীক্ষার সময়সূচি হাতে পেয়েছ আশা করছি। সুতরাং রুটিন অনুযায়ী নিয়মিত পড়াশোনা করা এখন তোমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজ তোমাদের ৩য় অধ্যায়ের আত্মকর্মসংস্থান থেকে গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক কয়েকটি প্রশ্নোত্তর আলোচনা করব।
জ্ঞানমূলক :
প্রশ্ন ১ : আত্মকর্মসংস্থান কী?
উত্তর : নিজেই নিজের কর্মসংস্থান করাকে আত্মকর্মসংস্থান বলে। আরও একটু স্পষ্ট করে বলা যায় যে, নিজস্ব অথবা ঋণ করা স্বল্প সম্পদ, নিজস্ব চিন্তা, জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ন্যূনতম ঝুঁকি নিয়ে আত্মপ্রচেষ্টায় জীবিকা অর্জনের ব্যবস্থাকে আত্মকর্মসংস্থান বলা হয়।
প্রশ্ন ২ : দেশের শিল্প-বাণিজ্যের উন্নয়নে কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে?
উত্তর : দেশের শিল্প-বাণিজ্যের উন্নয়নে উদ্যোক্তার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিল্প উদ্যোক্তা দেশের বস্তুসম্ভার জনসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করেন।
প্রশ্ন ৩ : একটি সংগঠন স্থাপনের প্রাথমিক প্রচেষ্টাকে কী বলে?
উত্তর : একটি সংগঠন স্থাপনের প্রাথমিক প্রচেষ্টাকে ব্যবসায় উদ্যোগ বলে।
প্রশ্ন ৪ : ‘মৌমাছি চাষ’ কিসের ক্ষেত্র?
উত্তর : ‘মৌমাছি চাষ’ আত্মকর্মসংস্থানের একটি সফল ক্ষেত্র।
প্রশ্ন ৫ : উদ্যোক্তা কে?
উত্তর : উদ্যোক্তা একজন দক্ষ সংগঠক। সে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক ঝুঁকি ও দায়িত্ব বহন করে।
প্রশ্ন ৬ : আত্মকর্মসংস্থানের জন্য কী প্রয়োজন?
উত্তর : আত্মকর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজন উদ্যোগ, দুটি কর্মঠ হাত, স্বল্প প্রশিক্ষণ ও প্রবল আত্মবিশ্বাস।
প্রশ্ন ৭ : আত্মকর্মসংস্থানমূলক পেশা কী?
উত্তর : যে পেশায় নিজের অথবা ঋণ করা স্বল্প সম্পদ, নিজস্ব চিন্তা, মেধা, দক্ষতা, জ্ঞান ও কঠোর পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে ন্যূনতম ঝুঁকি গ্রহণের মাধ্যমে সেবাদানের বিনিময়ে বা ব্যবসায় পরিচালনা করে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে জীবিকা চালানোর চেষ্টা করা হয় তাকে আত্মকর্মসংস্থানমূলক পেশা বলে।
প্রশ্ন ৮ : যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কী?
উত্তর : যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর হচ্ছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে গঠিত একটি আলাদা অধিদপ্তর, যারা বেকার সমস্যার সমাধানে এবং যুবকদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করে।
প্রশ্ন ৯ : রণদা প্রসাদ সাহা কে ছিলেন?
উত্তর : রণদা প্রসাদ সাহা ১৮৯৮ সালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এক সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। রণদা প্রসাদ সাহা মাত্র নিম্ন প্রাইমারী পর্যন্ত লেখাপড়া শিখেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে যুদ্ধে চলে যান এবং সেনাবাহিনীতে নার্স হিসেবে কাজ করেন।
প্রশ্ন ১০ : জহুরুল ইসলাম কে ছিলেন?
উত্তর : বাংলাদেশে সফল উদ্যোক্তাদের মধ্যে জহুরুল ইসলাম ছিলেন অন্যতম। ১৯২৮ সালের আগস্ট মাসে কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানাধীন ভাগলপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি বহু শিল্প কারখানা ও মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করেছিলেন।‘
প্রশ্ন ১১ : গুলবক্স ভূঁইয়া কে?
উত্তর : গুলবক্স ভূঁইয়া বাংলাদেশের শিল্প উদ্যোক্তাদের মধ্যে একটি বিশেষ পরিচিত নাম। ১৯১৩ সালে ঢাকা জেলার রূপগঞ্জ থানার মর্তুজাবাদ গ্রামে তাঁর জন্ম। তার পিতার নাম এলাহি বক্স।
অনুধাবনমূলক :
প্রশ্ন ১. আত্মকর্মসংস্থানের একটি গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: আত্মকর্মসংস্থানের গুরুত্ব হচ্ছে বেকারত্ব দূর করা। আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে মানুষ নিজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে সামাজিক অভিশাপ বেকারত্ব থেকে মুক্তি পায়। আমাদের দেশে সরকারী ও বেসরকারী খাতে চাকরির সুযোগ ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে। এ অবস্থায় বেকার সমস্যা দূরীকরণে আত্মকর্মসংস্থান ছাড়া আমাদের সামনে বিকল্প কোন পথ নেই।
প্রশ্ন ২ : ঝুঁকি গ্রহণের মনোভাব উদ্যোক্তার কোন ধরনের বৈশিষ্ট্য তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ঝুঁকি গ্রহণের মনোভাব উদ্যোক্তার মনস্তত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য। উদ্যোক্তাকে উদ্যম, সাহস ও বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে হয়। ব্যবসায়ে ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা বিদ্যমান। উদ্যম, সাহস ও বিচক্ষতার মাধ্যমে উদ্যাক্তা ঝুঁকিসম্পন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্রতী হয়। সুতরাং উদ্যোক্তার ঝুঁকি গ্রহণের মনোভাব ও সাহস থাকতে হয়।
প্রশ্ন ৩ . উদ্যোক্তার ব্যতিক্রমধর্মী গুণটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : সাফল্য অর্জনের তীব্র আকাক্সক্ষা উদ্যোক্তার ব্যতিক্রমধর্মী একটি গুণ। নিজের কর্মদক্ষতা সম্পর্কে সে উচ্চ ধারণা পোষণ করে। জয়ী হবার জন্য থাকে তার অদম্য ইচ্ছা। ঝুঁকিপূর্ণ কাজে সে ব্রতী হয় সুদৃঢ় মনোবল আর আত্মপ্রত্যয়ে। সাফল্য অর্জন হয় তার চূড়ান্ত লক্ষ্য।
প্রশ্ন ৪. যুব উন্নয়ন অধিদফতর কেন যুবকদের প্রশিক্ষণ ও ঋণদান করে।
উত্তর : যুব উন্নয়ন অধিদফতর বেকার জনগোষ্ঠীকে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করে। যুবকরা যাতে নির্ভুলভাবে এবং সফলভাবে আত্মকর্মসংস্থান করে স্বাবলম্বী হতে পারে সেজন্য যুব উন্নয়ন অধিদফতর প্রশিক্ষণ প্রদান করে। পাশাপাশি যোগ্যতাসম্পন্ন, আত্মবিশ্বাসী এবং কঠোর পরিশ্রমী যুবকদের ঋণদান করার মাধ্যমে পুঁজির সংস্থান করে।
প্রশ্ন ৫. গুলবক্স ভূঁইয়াকে ‘তমঘায়ে পাকিস্তান’ খেতাব কেন দেয়া হয়।
উত্তর : ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সাফল্যস্বরূপ এবং সততা অধ্যবসায় ও কঠোর পরিশ্রমের জন্য ১৯৬৮ সালে গুলবক্স ভূঁইয়াকে ‘তমঘায়ে পাকিস্তান’ খেতাবে ভূষিত করা হয়।
প্রশ্ন ৬. আর পি সাহা একজন দেশপ্রেমিক ছিলেন ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : যারা সত্যিকারের দেশপ্রেমিক তারা সবসময় সব স্থানেই দেশের প্রয়োজন এগিয়ে আসেন। আর পি সাহা ছিলেন দেশপ্রেমিক। ১৯১৪ সালে ১ম বিশ্বযুদ্ধে বাড়ি থেকে পলায়ন করে যুদ্ধে নাম লেখান। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান ও ভারত আলাদা হলে অনেক বিত্তশালী হিন্দু পরিবার ভারতে চলে গেলেও তিনি দেশকে ভালবেসে এদেশে রয়ে যান। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে কাজ করতে গিয়ে তিনি গুপ্তহত্যার শিকার হন।
প্রশ্ন ৭. একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উদ্যোক্তার প্রয়োজনীয়তা কী?
উত্তর : যে কোন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন উদ্যোক্তার প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার্য। দক্ষ উদ্যোক্তাদের প্রচেষ্টায় দেশে শিল্প ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়। ফলে প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত হয়। উদ্যোক্তারা স্বল্প ব্যয়ে ও প্রচেষ্টায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধিতে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখেন।
প্রশ্ন ৮. কোন কোন গুণাবলীর কারণে জহুরুল ইসলাম সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন?
উত্তর : বাংলাদেশে সফল উদ্যোক্তাদের মধ্যে জহুরুল ইসলাম অন্যতম। তিনি ১৯২৮ সালে কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানাধীন ভাগলপুর গ্রামে এক সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ব্যবসায়ের অসাধারণ আগ্রহ, উচ্চাকাক্সক্ষা, পরিশ্রমের ফলে তিনি পরবর্তীতে একজন সার্থক শিল্পোদ্যাক্তা ও অন্যতম ধনী ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন।
No comments:
Post a Comment