বাংলা: রচনা-বৃক্ষরোপন
প্রবন্ধ রচনা
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ বাংলা বিষয়ের ‘বৃক্ষরোপণ’ প্রবন্ধ নিয়ে আলোচনা করা হলো।
বৃক্ষরোপণ
ভূমিকা: বৃক্ষ আমাদের পরম বন্ধু। বৃক্ষ শুধু প্রাকৃতিক শোভাই বর্ধন করে না, মাটির ক্ষয়রোধ করে, বন্যা প্রতিরোধ করে, ঝড়-তুফানকে বাধা দিয়ে জীব ও সম্পদ রক্ষা করে। আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণেও বৃক্ষের ভূমিকা অপরিসীম। বৃক্ষ ছাড়া পৃথিবী মরুভূমিতে পরিণত হতো। বৃক্ষ অক্সিজেন সরবরাহ করে আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। তাই বৃক্ষকে বলা হয় ‘প্রাণের অগ্রদূত’।
বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা: আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। বৃক্ষ আমাদের পরিবেশের অতিগুরুত্বপূর্ণ উপাদান এবং অন্যতম বনজ সম্পদ। বৃক্ষের পাতা, ফল ও বীজ আমরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করি। বৃক্ষ থেকে তন্তু আহরণ করে পরিধেয় বস্ত্র প্রস্তুত করা হয়। বৃক্ষ থেকে প্রাপ্ত কাঠ দিয়ে বাড়িঘর ও আসবাব তৈরি করা হয়। অতি প্রয়োজনীয় লেখার সামগ্রী কাগজ ও পেনসিল বৃক্ষের কাঠ দিয়েই তৈরি করা হয়ে থাকে। আমাদের রোগ নিরাময়ের ওষুধও এই বৃক্ষ থেকেই তৈরি করা হয়ে থাকে।
জীবন ও পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষের ভূমিকা: বৃক্ষ জীবকুলকে ছায়া দিয়ে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। বৃক্ষের ছায়া মাটির পানিকে সহজে বাষ্পে পরিণত হতে দেয় না। বিস্তৃত বনাঞ্চলের বৃক্ষ জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ুকে ঘনীভূত করে বৃষ্টিপাত ঘটায়। বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস গ্রহণ করে বৃক্ষ অক্সিজেন গ্যাস ছেড়ে দেয়, যা মানুষ ও অন্যান্য প্রাণিকুল শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য গ্রহণ করে।
বৃক্ষের বর্তমান অবস্থা: একসময় বৃক্ষ সুশোভিত অঞ্চলগুলো আমাদের বনাঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করত। আমাদের চাহিদা পূরণ করে জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য আনত। দুঃখজনক হলেও সত্যি, আজ আর সেই দিন নেই। বাংলাদেশের আম, কাঁঠাল, সুপারি, নারকেল বাগানের পরিসর ক্রমশ সংকীর্ণতর হতে হতে প্রায় শূন্যের কোঠায় এসে পৌঁছেছে।
বৃক্ষ বৃদ্ধি ও সংরক্ষণে আমাদের করণীয়: বিভিন্ন প্রকার শিল্পের উপকরণ ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার সীমাহীন প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের বৃক্ষ সম্পদের সংখ্যা নিতান্তই নগণ্য। এ পরিস্থিতিতে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত পরিকল্পিতভাবে বৃক্ষরোপণে অংশ নেওয়া। দেশের অর্থনীতি ও জনজীবনে স্বাচ্ছন্দ্য আনার জন্য আমাদের প্রত্যেকের অন্তত দুটি করে বৃক্ষ রোপণ করা দরকার।
উপসংহার: বৃক্ষহীন পরিবেশ জীবন ও জীবিকা নির্বাহের হুমকি। তাই এই সম্পদের ক্রমবর্ধমান ঘাটতি পূরণের জন্য লাগামহীন বৃক্ষনিধন বন্ধ করা দরকার। পাশাপাশি বৃক্ষরোপণ জোরদার করার প্রতি আমাদের সচেতন হওয়া উচিত। ‘আসুন, গাছ লাগাই, পরিবেশ বাচাই’ এ স্লোগানকে যদি আমরা মিলিতভাবে গ্রহণ করি ও কাজে লাগাই, তাহলে আমাদের বৃক্ষ সম্পদ বৃদ্ধি পাবে এবং পরিবেশও সুন্দর হবে।
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ বাংলা বিষয়ের ‘বৃক্ষরোপণ’ প্রবন্ধ নিয়ে আলোচনা করা হলো।
বৃক্ষরোপণ
ভূমিকা: বৃক্ষ আমাদের পরম বন্ধু। বৃক্ষ শুধু প্রাকৃতিক শোভাই বর্ধন করে না, মাটির ক্ষয়রোধ করে, বন্যা প্রতিরোধ করে, ঝড়-তুফানকে বাধা দিয়ে জীব ও সম্পদ রক্ষা করে। আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণেও বৃক্ষের ভূমিকা অপরিসীম। বৃক্ষ ছাড়া পৃথিবী মরুভূমিতে পরিণত হতো। বৃক্ষ অক্সিজেন সরবরাহ করে আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। তাই বৃক্ষকে বলা হয় ‘প্রাণের অগ্রদূত’।
বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা: আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। বৃক্ষ আমাদের পরিবেশের অতিগুরুত্বপূর্ণ উপাদান এবং অন্যতম বনজ সম্পদ। বৃক্ষের পাতা, ফল ও বীজ আমরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করি। বৃক্ষ থেকে তন্তু আহরণ করে পরিধেয় বস্ত্র প্রস্তুত করা হয়। বৃক্ষ থেকে প্রাপ্ত কাঠ দিয়ে বাড়িঘর ও আসবাব তৈরি করা হয়। অতি প্রয়োজনীয় লেখার সামগ্রী কাগজ ও পেনসিল বৃক্ষের কাঠ দিয়েই তৈরি করা হয়ে থাকে। আমাদের রোগ নিরাময়ের ওষুধও এই বৃক্ষ থেকেই তৈরি করা হয়ে থাকে।
জীবন ও পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষের ভূমিকা: বৃক্ষ জীবকুলকে ছায়া দিয়ে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। বৃক্ষের ছায়া মাটির পানিকে সহজে বাষ্পে পরিণত হতে দেয় না। বিস্তৃত বনাঞ্চলের বৃক্ষ জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ুকে ঘনীভূত করে বৃষ্টিপাত ঘটায়। বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস গ্রহণ করে বৃক্ষ অক্সিজেন গ্যাস ছেড়ে দেয়, যা মানুষ ও অন্যান্য প্রাণিকুল শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য গ্রহণ করে।
বৃক্ষের বর্তমান অবস্থা: একসময় বৃক্ষ সুশোভিত অঞ্চলগুলো আমাদের বনাঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করত। আমাদের চাহিদা পূরণ করে জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য আনত। দুঃখজনক হলেও সত্যি, আজ আর সেই দিন নেই। বাংলাদেশের আম, কাঁঠাল, সুপারি, নারকেল বাগানের পরিসর ক্রমশ সংকীর্ণতর হতে হতে প্রায় শূন্যের কোঠায় এসে পৌঁছেছে।
বৃক্ষ বৃদ্ধি ও সংরক্ষণে আমাদের করণীয়: বিভিন্ন প্রকার শিল্পের উপকরণ ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার সীমাহীন প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের বৃক্ষ সম্পদের সংখ্যা নিতান্তই নগণ্য। এ পরিস্থিতিতে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত পরিকল্পিতভাবে বৃক্ষরোপণে অংশ নেওয়া। দেশের অর্থনীতি ও জনজীবনে স্বাচ্ছন্দ্য আনার জন্য আমাদের প্রত্যেকের অন্তত দুটি করে বৃক্ষ রোপণ করা দরকার।
উপসংহার: বৃক্ষহীন পরিবেশ জীবন ও জীবিকা নির্বাহের হুমকি। তাই এই সম্পদের ক্রমবর্ধমান ঘাটতি পূরণের জন্য লাগামহীন বৃক্ষনিধন বন্ধ করা দরকার। পাশাপাশি বৃক্ষরোপণ জোরদার করার প্রতি আমাদের সচেতন হওয়া উচিত। ‘আসুন, গাছ লাগাই, পরিবেশ বাচাই’ এ স্লোগানকে যদি আমরা মিলিতভাবে গ্রহণ করি ও কাজে লাগাই, তাহলে আমাদের বৃক্ষ সম্পদ বৃদ্ধি পাবে এবং পরিবেশও সুন্দর হবে।
No comments:
Post a Comment