Friday, April 13, 2012

The way to mainatain high blood pressure

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে লবণ

কথায় বলে 'নুন খাই যার, গুণ গাই তার।' অর্থানুনের মূল্য অসাধারণ। কিন্তু এখন কারও নুন খেলেই তার গুণ গাওয়া যাবে কিনা, এটা নিয়ে একটু দ্বিধাদ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। কারণ বেশি নুন শরীরের জন্য ৰতিকর।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে লবণের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। আজ আমরা সম্পর্কে আলোচনা করব।
খাবারের অতিরিক্ত লবণ উচ্চ রক্তচাপের রোগীর জন্য হিতকর নয়। লবণ বেশি খেলে রক্তরসের পরিমাণ বেড়ে যায়। যার ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায় বলে মনে করা হয়। জন্য সুষম খাবারে লবণের পরিমাণ সীমিত থাকা উচিত। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, আলুনি খাবার অনেকের মুখে রোচে না। রূপকথার গল্পে রাজা তার তিন কন্যাকে প্রশ্ন করেছিলেন, তাঁকে কে-কেমন ভালবাসে? ছোট রাজকন্যা তাঁকে নুনের মতো ভালবাসে শুনে রাজা খুবই ৰিপ্ত হয়েছিলেন। পরবতর্ীতে ঘটনাচক্রে ছোট রাজকন্যা প্রমাণ করতে সৰম হন যে, নুনের মতো ভালবাসাই উত্তম। কিন্তু এই রূপকথার গল্পের রাজার উচ্চ রক্তচাপ ছিল কিনা, আমরা তা জানতে পারিনি। তবে কথা নিশ্চিত, বর্তমান সময়ের কন্যাগণ তাদের পিতৃদেবকে আর যাই হোক লবণের তুল্য ভালবাসায় নোনতা করবে না। বরং উচ্চ রক্তচাপ আক্রানত্ম পিতাদের খেতে বসে একটুখানি বাড়তি পাতের লবণের জন্য জায়া-কন্যাদের সতর্ক শ্যেন দৃষ্টি এড়িয়ে খেতে হয়।
খাবার লবণের বৈজ্ঞানিক নাম সোডিয়াম ক্লোরাইড। আমরা দৈনিক গড়ে প্রায় আড়াই গ্রামের বেশি সোডিয়াম গ্রহণ করি। পরিমাণ সোডিয়াম গ্রাম বা চা চামচ খাবার লবণের সমতুল্য। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের দৈনিক গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া উচিত নয়। এটা ভাত-তরকারি রান্না এবং পাতের লবণসহ হিসেব করা হয়েছে। অনেকে মনে করেন, পাতে লবণ না খেয়ে তরকারিতে বেশি পরিমাণে লবণ ব্যবহার করা উত্তম। কিন্তু তা সত্য নয়। আবার অনেকে লবণ ভেজে খেয়ে থাকেন। লবণ যেভাবেই ব্যবহার করা হোক না কেন একজন সুস্থ মানুষের সার্বিকভাবে আধা চা চামচের বেশি লবণ খাওয়া উচিত না। উচ্চ রক্তচাপের রোগীর আরও কম লবণ গ্রহণ করা ভাল।
অনেকে সামুদ্রিক লবণের বা সোডিয়াম ক্লোরাইডের বিকল্প লবণ ব্যবহার করেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে বিকল্প লবণে পটাশিয়াম ক্লোরাইড থাকে। অনেকের স্বাস্থ্যের জন্য অতিরিক্ত পটাশিয়াম ক্লোরাইড ৰতিকর হতে পারে। জন্য চিকিসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেয়া ভাল।
আধুনিক ডিপার্টমেন্টাল স্টোর বা চেন শপগুলোতে হিমায়িত খাবার কিংবা কৌটাজাত ফলমূল এবং সবজি বিক্রি হয়। মাছ, মাংস, রান্না করা ভাত, রম্নটি,পাসত্মা নান ইত্যাদি হরেক রকম খাবার এভাবে প্রসত্মতকৃত সংরৰিত অবস্থায় ব্যাপকভাবে বিক্রি হয়। কর্মব্যসত্মতার কারণে কিংবা যাঁরা হোস্টেল, মেস, হল কিংবা ডরমিটরিতে বাস করেন তাঁদের জন্য সকল রেডিমেড খাবার খুবই আকর্ষণীয়। চিরনত্ম গৃহবধূর হাতে রান্না করা সুস্বাদু গরম তরকারি আর ভাত যাদের নিয়তিতে নেই; নিঃসঙ্গ জীবনে মোড়কজাত নানাবিধ প্রসত্মত খাবার তাদের জন্য দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতোই। কম লবণযুক্ত ঘোল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু মোড়কজাত খাবারের ব্যাপারে সাবধান। খাবার সংরৰণের জন্য নানাবিধ রাসায়নিক উপাদানের কথা বাদ দিলেও, সকল খাবারে অতিরিক্ত লবণ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। জন্য মোড়কজাত খাবার কেনার আগে মোড়কের গায়ে উলেস্নখিত লবণের পরিমাণ দেখে নেয়া উচিত। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আধকাপ পরিমাণ হিমায়িত মটরশুঁটিতে ১২৫ মি. গ্রাম লবণ থাকে। সমপরিমাণ কৌটাজাত মটরশুঁটিতে ৩৮০ মি.গ্রাম লবণ থাকে। অর্থাকৌটাজাত মটরশুঁটিতে হিমায়িত মরটশুঁটির চেয়ে তিনগুণ বেশি লবণ থাকে। রকম সব সংরৰিত খাবারের প্যাকেটে লবণের পরিমাণ দেখে নিলে বোঝা যায় আমরা কি পরিমাণ লবণ গ্রহণ করছি।
লবণ ছাড়া যাদের নিকট খাবার বিস্বাদ মনে হয় তারা বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন ধরনের মসলা ব্যবহার করতে পারেন। জন্য প্রয়োজন এবং পরিমাণমতো আদা, মরিচ, রসুন, লবঙ্গ, গোল মরিচ, র্যাসিল, পারসলি, পেসত্মা ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।
দৈনিক খাবারের লবণ স্বাভাবিকের চেয়ে অর্ধেক করে দিলে উচ্চ রক্তচাপের রোগীর রক্তচাপ / মি.মি.পারদ চাপ কমে যায়। অবশ্য এটার মাত্রা এবং স্থায়িত্ব সম্পর্কে প্রশ্ন রয়েছে। খাবারে লবণের পরিমাণ খুব কমিয়ে দিলে অনেক ওষুধের কার্যকারিতা কমে যায়। আবার অতিরিক্ত লবণ খেলেও উচ্চ রক্তচাপের কোন কোন ওষুধ ঠিকমতো কাজ করে না। জন্য সব উচ্চ রক্তচাপের রোগীকে লবণ কম খেতে দিলেও সমস্যা হতে পারে। অতএব এৰেত্রে একজন চিকিসকের সতর্ক বিবেচনার প্রয়োজন রয়েছে।

No comments:

Post a Comment

Composition on Female Education in Bangladesh for Examination

  Female Education in Bangladesh Education is a light to which everybody has the equal right. Education is the backbone of a nation. The ...