কেস স্টাডি-১ : রোদেলা বরাবরই পড়াশোনায় ভাল। কিন্তু সমস্যা শুরু হলো ক্লাস
নাইনে ওঠার পর। কেমন উড়ো উড়ো ভাব। মনোযোগ কম। অস্থিরতা। কোন দিকেই আগ্রহ
নেই। প্রভাব পড়ল নির্বাচনী পরীক্ষায়। খারাপ ফল করায় টনক নড়ল রোদেলার।
বন্ধুদের পরামর্শ, নোট সংগ্রহ, কোচিং, প্রাইভেট সব মিলিয়ে একটাই চিন্তা_
পরীক্ষায় কোন রকমে উৎরে যাওয়া।
কেস স্টাডি-২ : রোদেলা বন্ধু তানজিল। ওর সমস্যা অন্যরকম। প্রতিটি পরীৰায় তার প্রস্তুতি থাকে ভাল। কিন্তু পরীৰার দিন যতই এগিয়ে আসে ততই ওর মাঝে কাজ করে পরীৰা ভীতি। হলে গিয়ে জানা বিষয়ও অজানা হয়ে যায়। এবারও কি তেমন হবে? পরীৰা ভীতি তানজিলকে নানারকম দুশ্চিনত্মায় অস্থির করে রাখে। তাই ভাল প্রস্তুতি সত্ত্বেও আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি তানজিলকে পিছিয়ে দেয়।
এগুলো গল্প নয়। তোমাদের অভিজ্ঞতা থেকেই নেয়া। সঠিক পরিকল্পনা ও দিকনির্দেশনার অভাবে মেধা ও অনুশীলনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও অনেকেই কাঙ্ৰিত ফল অর্জন করতে পারে না।
পরীৰার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে সময় একেবারেই কম। এরই মধ্যে সব বিষয় দ্রম্নত শেষ করতে হবে। শুধু বিষয় রপ্ত করাই নয়, ভাল ফলের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের আরও কিছু বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে হয়, যা ভাল ফলের জন্য সহায়ক। এ রকমই কিছু দিকনির্দেশনা_
পরীৰার প্রস্তুতি
পরীৰা শুরম্ন হওয়ার খুব বেশি দেরি নেই। এই সময়টাতে মানসিক, শারীরিকভাবে সুস্থ থেকে রম্নটিনমাফিক পড়াশোনা কর, রেজাল্ট আশানুরূপ হবেই।
সঠিক পরিকল্পনা : পরীৰা প্রস্তুতির প্রথমেই দরকার পরিকল্পনা। পেছনের নষ্ট হওয়া সময়ের কথা মাথা থেকে ঝেঁড়ে ফেলতে হবে প্রথমেই। তার চেয়ে যেটুকু সময় হাতে আছে তার সর্বোচ্চ ব্যবহারে মনোযোগী হতে হবে।
ইতিবাচক পরিকল্পনা : নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পরীৰায় খারাপ ফলাফল আনতে পারে। এ জন্য মনের এলোমেলো চিনত্মা দ্রম্নত ঝেড়ে ফেলতে হবে। সার্বিক প্রস্তুতি যদি তোমাদের মনোপূত না হয়েও থাকে তারপরও দুশ্চিনত্মা করার কিছু নেই। তোমার ভা-ারে যা আছে তা-ই ঠিকমতো কাজে লাগাও। অবশ্যই তুমি সফল হবে।
মনকে চাপমুক্ত রাখ : পড়াশোনার চাপে যদি ধরাশায়ী হও তাহলে চলবে না। মনকে সব সময় ফুরফুরে রাখতে হবে।
টাইম ম্যানেজমেন্ট : পরীৰার প্রস্তুতির তালিকায় একেবারে প্রথমে আসবে এই ব্যাপারটি। টাইম ম্যানেজমেন্টকে বলা যেতে পারে ভিত, যার ওপর ভর করে দাঁড়িয়ে থাকবে গোটা এঙ্াম ম্যানেজমেন্ট। টাইম ম্যানেজমেন্ট বলতে শুধু ক'টা সময় ঘুম থেকে উঠে পড়তে বসবে, তা ঠিক করা নয়। সারাদিনের সময়ের হিসাব হবে ঘণ্টা ধরে। যেমন, সকাল সাতটা থেকে নয়টা পর্যনত্ম নতুন পড়া তৈরি করবে বা দুপুর তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যনত্ম পুরনো পড়া ঝালিয়ে নেবে ইত্যাদি। সপ্তাহের সাত দিনের রম্নটিন তৈরি করতে হবে এভাবেই। তবে এটা করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন ব্যাপারটা একঘেয়ে না হয়। চেষ্টা করবে পড়ার মধ্যে বৈচিত্র্য আনতে। এ সপ্তাহের রম্নটিন পরের সপ্তাহে এটা একটু পাল্টে নাও। গত সপ্তাহের সোমবারে যা পড়েছিলে, এই সপ্তাহে তা আসুক বৃহস্পতিবারে।
বিষয় নিয়ে ভাবনা
এটা অবশ্য যার যার নিজস্ব ভাবনার ব্যাপার। আগে নিজে ঠিক কর কোন্ বিষয়টা তুমি এখনও আয়ত্ত করতে পারনি, বেশি জোর দাও সেই বিষয়ের ওপর। যেগুলো ইতোমধ্যে তৈরি হয়ে গেছে সেগুলো নিয়মিত ঝালিয়ে নিতে হবে। যদি দেখ, বরাদ্দ সময়ের আগেই কোন পড়া শেষ হয়ে গেল, তা হলে উঠে না পড়ে অল্প তৈরি হওয়া অন্য কোন প্রশ্ন ঝালিয়ে নাও। মোট কথা, সময়ের সদ্ব্যবহার কর। যাদের পড়ার বিষয়ের মধ্যে অাঁকার একটা গুরম্নত্বপূর্ণ সমর্্পক আছে, দুপুর বেলাটা তা সে জন্য রাখতে পার। খুব ভাল হয় যদি পড়ার পাশাপাশি সময় ধরে উত্তর লেখার অভ্যাস কর।
পরীৰার আগের রাতে করণীয়
পরীৰার আগের রাতটি প্রায় সকল পরীৰাথর্ীর জন্যই গুরম্নত্বপূর্ণ। বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রী পরীৰার আগের রাতে যতটা না পড়াশোনা নিয়ে ব্যসত্ম থাকে তার চেয়ে বেশি ব্যসত্ম থাকে পরীৰা সংক্রানত্ম টেনশন নিয়ে। এই সময়ে একদম টেনশন করা যাবে না। যেগুলো রিভিশন করতে পারনি, সেগুলো নতুন করে পড়ার চেষ্টা না করাই ভাল। না হলে জানা বিষয়গুলো ভুলে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় কমপৰে সাত ঘণ্টা ঘুমের দরকার। পরীৰার হলের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম রাতেই গুছিয়ে ফেলবে।
পরীৰার দিনের পরামর্শ
পরীৰা কেন্দ্রে যাওয়ার আগে প্রবেশপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, কলম, পেন্সিল, জ্যামিতি বঙ্, শার্পনার, ইরেজার ও ক্যালকুলেটর ইত্যাদি মনে করে নিয়ে নেবে।
পরীৰা কেন্দ্রে গমন : পরীৰা হবার এক ঘণ্টা আগে ঘর থেকে বের হতে হবে, অবশ্য বাড়ি থেকে কেন্দ্রের দূরত্ব, ট্রাফিক জ্যাম ও যানবাহনের পাওয়া না পাওয়ার ওপর সময়ের হেরফের হতে পারে।
পরীৰার খাতা পাওয়ার পর : পরীৰার খাতা পাওয়ার পর নিভর্ুলভাবে রোল, রেজিস্ট্রেশন নম্বরসহ অন্যান্য বিষয় পূরণ করবে। কোন ভুল হলে সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিৰককে জানাতে হবে। এ ছাড়া অতিরিক্ত খাতা নিলে তার নম্বর সঠিকভাবে লিখতে হবে।
পরীৰা শেষ হওয়ার আগ মুহূর্ত : পরীৰা শেষ হবার ১৫ মিনিট পূর্বেই একটি সতর্ক ঘণ্টা বাজে। এ সময়ের মধ্যেই লেখা শেষ করতে হবে এবং খাতাটি প্রথম থেকে পড়া শুরম্ন কর এবং প্রয়োজনীয় সংশোধন কর।
পরীৰা স্পেশাল ডায়েট
শুনতে অবাক লাগলেও পরীৰা প্রস্তুতির এটাও একটা গুরম্নত্বপূর্ণ অংশ। তবে পরীৰার স্পেশাল ডায়েট মানেই ঝাল, আলুসিদ্ধ, ভাত বা বাবা-মা'র কথা শুনে বিশুদ্ধ ফলাহার নয়, আবার বাড়ির নিষেধ মেনে বিকালে বন্ধুদের সঙ্গে চুপিচুপি গিয়ে চটপটি খাওয়াও নয়। সাধারণ সময়ে তুমি যে ডায়েটে অভ্যসত্ম, সেটা বজায় রাখলেই যথেষ্ট। পরীৰার সময় পরিশ্রম বেশি হয় বলে খিদেটা একটু বেশিই পায়। লাঞ্চ বা ডিনারের সময় পেট ভরে না খেয়ে বারেবারে খাওয়াই ভাল। রান্নায় তেল-মসলা একটু কম হলেই ভাল। পড়তে বসলে আলসেমি এলে বা ঘুম ঘুম পেলে চা-কফি-দুধ ইত্যাদি যে কোন গরম পানীয় খাবে। এ্যানার্জি বাড়াতে দিনে অনত্মত একটা মিষ্টি খাওয়ার চেষ্টা কর।
লাস্ট মিনিট সাজেশন
১. পরীৰার আগের দিন রাত জেগে পড়া একদম নয়।
২. পরীৰার আগে কোন নতুন পড়া করা যাবে না।
৩. পরীৰার হলে ঢোকার আগের মুহূর্ত পর্যনত্ম বইয়ে মুখ ডুবিয়ে বসে থাকার দরকার নেই। মনে করতে হবে, যা পড়ার তা আগেই পড়া হয়ে গেছে।
৪. পরীৰার দিন অন্যের কথায় কম কান দেবে।
৫. পরীৰা দিয়ে বেরিয়ে ভুলেও বন্ধুকে 'তুই কি লিখেছিস রে'- জিজ্ঞেস করতে যাবে না।
৬. একদিনের পরীৰা শেষ মানেই সেই বিষয়টি থেকে আপাতত তোমার ছুটি।
৭. বাড়িতে ফিরে স্রেফ অন্যদিনের পরীৰা নিয়ে চিনত্মা করবে।
বিশেষ সতর্কতা
পরীৰার সাল : প্রথমে এসএসসি পরীৰা লেখার পাশে বঙ্রে ভেতরে পরীৰার সাল ২০১১ লিখবে।
বোর্ড : এবার বোর্ড লেখা বঙ্রে মধ্যে যে বোর্ড থেকে তুমি পরীৰা দেবে, সে বৃত্তটি ভরাট করবে।
পরীৰা : পরীৰা বঙ্ েলেখা রয়েছে এসএসসি ও এইচএসসি পরীৰার নাম। তুমি এসএসসি পরীৰার ঘরে বৃত্ত ভরাট করবে।
রোল নম্বর : এরপর দেখবে রোল নম্বরের ঘরটি। প্রথমে ফাঁকা ঘরে তোমার রোল নম্বরটি লিখবে এবং পরে বল পয়েন্ট দিয়ে বৃত্ত ভরাট করবে।
বিষয় কোড : এবার বিষয় কোডের ঘরে বিষয় কোডটি লেখ।
অতিরিক্ত খাতার নম্বর : অতিরিক্ত উত্তরপত্র পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এর ক্রমিক নম্বর উত্তরপত্রের ওএমআর ফরমের নির্দিষ্ট স্থানে লিখবে এবং ক্রমিক নম্বরের পাশের ছোট বৃত্তাকার ঘরটি ভরাট করে দেবে।
বাংলা ১ম পত্র
সৃজনশীল পদ্ধতির প্রশ্নোত্তরের নিয়ম একটু ভিন্ন আঙ্গিকে দিতে হয়। আগের মতো বেশি বড় করে উত্তর লিখতে যাবে না। কারণ এ পদ্ধতিতে কে কত বেশি বড় করে উত্তর দিতে পেরেছে তা দেখা হয় না; দেখা হয় কে কতটা যথাযথ উত্তর দিতে পেরেছে। তাই যথাযথ প্রশ্নোত্তর দিলে অবশ্যই বেশি নম্বর পাবে।
সৃজনশীল পদ্ধতিতে তোমার পাঠ্যসূচীর কোন গল্প/কবিতা/উপন্যাস/নাটকের কোন একটি ভাবের আলোকে একটি উদ্দীপক এবং তৎসংশিস্নষ্ট চারটি প্রশ্ন দেয়া থাকবে। জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক অংশের উত্তর পাঠ্যপুসত্মক থেকে দিতে হবে। তবে অনুধাবন সত্মরের প্রশ্নোত্তর নিজের ভাষায় দিবে। প্রয়োগ ও উচ্চতর দৰতার প্রশ্নোত্তর পাঠ্যবই ও উদ্দীপক উভয়ের আলোকেই হবে।
প্রশ্নপত্রে গদ্য, কবিতা ও সহপাঠ থেকে তিনটি করে মোট নয়টি প্রশ্ন দেয়া থাকবে। তোমাদের উত্তর করতে হবে মোট ছয়টি প্রশ্নের। প্রতি বিভাগ থেকে কমপৰে একটি করে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। একটি পূর্ণাঙ্গ প্রশ্নোত্তর অর্থাৎ প্রতি ১০ নম্বরের প্রশ্নোত্তরে ২০ মিনিটের বেশি সময় নেয়া ঠিক হবে না। অর্থাৎ প্রতি ১ নম্বরের জন্য সময় তুমি পাবে ২ মিনিট। মনে রাখবে, এর বেশি সময় নিলে বাকি প্রশ্নগুলোর উত্তর ঠিকভাবে লিখে শেষ করতে পারবে না।
সৃজনশীল পদ্ধতিতে চারটি অংশ (জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দৰতা) মিলে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রশ্ন এবং প্রতিটি প্রশ্নের জন্য পরীৰককে আলাদা করে নম্বর দিতে হয়। কাজেই পরীৰকের নম্বর প্রদানের সুবিধার্থে প্রশ্নোত্তরগুলোর মধ্যে তোমরা যথেষ্ট ফাঁক রাখবে। আর প্রশ্ন নম্বরগুলো নীল কালিতে দিলে সুন্দর দেখাবে।
যে কোন একটি প্রশ্নের উত্তর লেখা শুরম্ন করলে তার চারটি অংশের উত্তরই ধারাবাহিকভাবে দিবে। একটি প্রশ্নের জ্ঞানের উত্তর আবার আরেকটি প্রশ্নের অনুধাবনের উত্তর_ এভাবে করা ঠিক হবে না। প্রশ্নোত্তরে ভাষা সহজ-সরল ও মার্জিত হওয়া প্রয়োজন।
জ্ঞানমূলক প্রশ্নের নম্বর থাকবে এক। একটি উত্তর একটি বাক্যে দিবে। মনে রাখবে, জ্ঞানমূলক প্রশ্নে যে তথ্যটা জানতে চাওয়া হয়, তার বানান যেন কিছুতেই ভুল না হয়। এৰেত্রে বানান ভুল হলে শূন্য নম্বর পাবে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্নের নম্বর থাকে দুই। এতে জ্ঞানের জন্য থাকে এক নম্বর এবং অনুধাবনের জন্য থাকে আর এক নম্বর। তোমরা জ্ঞানের অংশটি আগে লিখবে, তারপর অনুধাবনের অংশটি দিবে। অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর দুটি প্যারায় দিলে ভাল হয়। অনরূপভাবে প্রয়োগের জন্য তিনটি প্যারা আর উচ্চতর দৰতার জন্য চারটি পারা দিবে। প্যারার সংখ্যা কমবেশি করলেও অসুবিধা নেই। তোমরা পাঠ্যবইয়ের যা শিখেছ তা নতুন ৰেত্র অর্থাৎ উদ্দীপকে প্রয়োগ করাই হচ্ছে প্রয়োগ। কোন প্রশ্নোত্তরের শুরম্নতে কবি-সাহিত্যিককে নানা বিশেষণে বিশেষায়িত করে অযথা প্রশ্নোত্তর বড় করার দরকার নেই। এতে শুধু সময় ও পরিশ্রমই নষ্ট হবে। তাই কোনক্রমে কোন প্রশ্নোত্তর অপ্রাসঙ্গিক কথা বা অপ্রয়োজনীয় তথ্য দিতে যাবে না।
উদ্দীপকটি যে ভাবের আলোকে তৈরি করা হয়েছে তার সাদৃশ্য/বৈসাদৃশ্যই জ্ঞান। ওই দিকটি একটি বাক্যে লিখতে পারলে এক নম্বর পাওয়া যাবে। তারপর ওই দিকটি পাঠ্যবইয়ের আলোকে বর্ণনা করাই হলো অনুধাবন। দ্বিতীয় প্যারায় অনুধাবনের উত্তর দিবে এবং সবশেষে প্রদত্ত দিকটি উদ্দীপকে কীভাবে ফুটে উঠেছে তা বর্ণনা করতে পারলেই প্রয়োগের জন্য বাকি নম্বরটি পাওয়া যাবে।
উচ্চতর দৰতা হচ্ছে একটা সিদ্ধানত্মের ব্যাপার। এতে প্রশ্নেই সাধারণত একটা অনুসিদ্ধানত্ম দেয়া থাকে। যদি সিদ্ধানত্মটি সঠিক হয়, তাহলে সেটাকে ব্যাখ্যা-বিশেস্নষণ করে উদ্দীপকে প্রয়োগ করে প্রমাণ করবে যে সিদ্ধানত্মটি সঠিক। আর যদি সিদ্ধানত্মটি ভুল হয়, তাহলে তাও প্রমাণ করে দেখাবে যে, সিদ্ধানত্মটি কী কারণে ভুল। অনেক সময় সিদ্ধানত্মটি আংশিক সত্য হতে পারে। সে ৰেত্রে উদ্দীপকের সঙ্গে পাঠ্যবইয়ের যে অংশটুকুর মিল আছে তা বর্ণনা করবে আর যে যে ৰেত্র মিল নেই সেগুলোও দেখবে। মনে রাখবে, সিদ্ধানত্মটি বুঝতে ভুল হলে পুরো চার নম্বরে শূন্য নম্বর পাবে।
বাংলা ২য় পত্র
বাংলা দ্বিতীয়পত্রের ১০০ নম্বর দুটি পর্বে বিভক্ত। প্রথম পর্ব রচনামূলক অংশে-৫০ নম্বর এবং দ্বিতীয় পর্ব নৈব্যক্তিক অংশে ৫০ নম্বর থাকবে। রচনামূলক অংশে সাধারণত প্রতিবছরে গতানুগতিক ধারার প্রশ্ন হয়ে থাকে। এ অংশে অনুবাদ, সারাংশ/সারমর্ম, পত্র, ভাব-সম্প্রসারণ ও রচনা মিলে মোট পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়।
অনুবাদ : বাংলা দ্বিতীয়পত্রের প্রথম প্রশ্নটি থাকে বাংলা অনুবাদ। খাতায় ইংরেজী অনুচ্ছেদ তুলে তোমরা সময় নষ্ট করবে না। অনুবাদ করার সময় প্রশ্নপত্র থেকে ইংরেজী অংশটি ভাল করে পড়ে নেবে। উপযুক্ত শব্দে বাংলা অনুবাদ করলেই পূর্ণ নম্বর পাওয়া যায়। মাত্র তিন-চার লাইনের অনুবাদে কাটাকাটি বা ওভার রাইটিং মোটেই কাম্য নয়।
পত্র বা দরখাসত্ম : পত্র বা দরখাসত্মের তিনটি প্রশ্ন থাকে, তোমাদের পছন্দ মতো উত্তর লিখবে। তবে মনে রাখবে, আবেদনপত্র লিখলে বেশি নম্বর পাওয়া যায়। নিজ প্রতিষ্ঠানের কাছে লেখা দরখাসত্ম ছাড়া অন্য সব ব্যক্তিগতপত্র বা দরখাসত্মে খাম দেবে। পত্র লেখার সময় কিছুতেই নিজের নাম-ঠিকানা লিখবে না; সাঙ্কেতিক নাম-ঠিকানা লিখবে। পত্র লেখার নিয়ম-কানুনের ব্যাপারে সতর্ক থাকবে।
ভাব-সম্প্রসারণ : পরীৰায় ভাব-সম্প্রসারণ প্রায় সময়েই কমন পড়ে; কমন না পড়লেও তোমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তিনটি প্যারা মাথায় রেখে লিখবে। প্রথম প্যারায় উদ্ধৃতাংশটির মূলভাব তিন-চারটি লাইনে লিখবে, দ্বিতীয় প্যারায় বিশেস্নষণ এবং শেষে মনত্মব্য রাখবে। এতে শিরোনাম লেখার প্রয়োজন নেই। ভাব-সম্প্রসারণ লেখার সময় প্রদত্ত উদ্ধৃতির মূলভাবকে উদাহরণ-উপমা ও ব্যাখ্যা-বিশেস্নষণ দিয়ে সম্প্রসারণ করবে।
সারাংশ বা সারমর্ম : সারাংশ/সারমর্ম লেখার সময় নির্ধারিত অংশটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিয়ে মূলভাবটি যথোপযুক্ত শব্দে চার-পাঁচ লাইনে লিখলে ভাল নম্বর পাওয়া যায়। মনে রাখবে সারাংশ-সারমর্ম যত বড় হবে তত কম নম্বর পাবে। এতে যেহেতু অল্প লিখে বেশি নম্বর পাওয়া যায়, সে জন্য শব্দ ব্যবহারের ৰেত্রে উন্নত মানের শব্দ বেছে নেবে। সারাংশ/সারমর্মে কিছুতেই কাটাকাটি করবে না।
প্রবন্ধ রচনা : বাংলা দ্বিতীয়পত্রের সর্বশেষ প্রশ্নটি থাকে_প্রবন্ধ রচনা লিখন। বিগত কয়েক বছরের প্রশ্ন দেখে সাজেশন তৈরি করে ১০-১৫টি রচনা পড়লেই কমন পড়বে। প্রশ্নপত্রে পাঁচটি প্রবন্ধ রচনার উলেস্নখ থাকে। যে কোন একটি লিখতে হয়। এ ৰেত্রে তথ্যমূলক ও বিজ্ঞানভিত্তিক রচনা পছন্দ করে নিলে অধিকতর নম্বর পাওয়া যায়। প্রবন্ধ রচনা পয়েন্ট করে লিখবে। পরীৰকের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য উদ্ধৃতি বা তথ্য নীল কালির কলমে আ-ার লাইন করে দেবে। প্রবন্ধ রচনা যথাসম্ভব উদ্ধৃতিবহুল এবং আয়তনে দীর্ঘ হলে ভাল নম্বর পেতে সাহায্য করবে।
রচনামূলক অংশের উত্তর লেখার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর প্রতি বিশেষ গুরম্নত্ব দেবে। ১. উত্তরের ভূমিকা ও উপসংহার আকর্ষণীয় হবে। ২. উত্তর প্রাসঙ্গিক ও যথাযথ করবে। ৩. প্রয়োজনীয় উদ্ধৃতি ও তথ্য দিয়ে উত্তরটি সমৃদ্ধ করবে। ৪. বানানের প্রতি সতর্ক থাকবে। ৫. খাতাটি সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন করবে।
নৈব্যত্তিকে ভাল করতে হলে
বোর্ডের ব্যাকরণ বইয়ের প্রায় প্রতিটি পরিচ্ছেদ থেকেই এক বা একাধিক প্রশ্ন থাকতে পারে। বোর্ডের বইটি ভাল করে পড়লে ব্যাকরণের প্রায় সব প্রশ্নই কমন পড়ে। তাছাড়া অনুবাদ ও চিঠিপত্র থেকেও অবজেকটিভ প্রশ্ন থাকে। ভালভাবে অধ্যয়ন না করে কোন প্রশ্নের উত্তর অনুমান করে দেয়া ঠিক নয়। এ ৰেত্রে গুরম্নত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো বুঝে বুঝে পড়বে। ধ্বনির পরিবর্তন, সন্ধি, সমাস, ধাতু, প্রত্যয়, কারক-বিভক্তি প্রভৃতি বিষয় মনোযোগ দিয়ে কয়েকবার পড়ে নিয়ে প্রয়োজনীয় অংশগুলো মার্কার দিয়ে চিহ্নিত করে রাখবে। পরে অবসরে চিহ্নিত অংশগুলো বারবার পড়ে আয়ত্ত করে নেবে।
তোমাদের চেষ্টা ও সাধনা সফল হোক। এ শুভ কামনা সবার জন্য।
# পরীক্ষার খাতায় প্রতিটি উত্তর প্রদানে প্রথমেই সঠিকভাবে
প্রশ্ন নম্বর লিখতে হবে এবং শুরম্নতেই যেন ভুল কিংবা কাটাকাটি না হয়
সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। এবং সহজ অঙ্ক দিয়ে পরীৰা শুরম্ন করতে হবে।
# যে অঙ্কগুলো জটিল মনে হয় সেগুলো শেষের দিকে করতে হবে।
# কোন অঙ্ক করার সময় যদি মনে হয় অঙ্কটি ভুল হয়ে যাচ্ছে, সেৰেত্রে আরও একবার চেষ্টা করা যেতে পারে, তবে ভুলের কারণ বোঝা না গেলে অযথা এৰেত্রে সময় নষ্ট না করে দ্রম্নত অন্য অঙ্কগুলো করতে হবে এবং শেষের দিকে উক্ত অঙ্কটি আবার চেষ্টা করতে হবে।
# বীজগণিতের চিহ্নের (+, -, , স্ট) ভুল হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। তাই এই ভুলগুলো অতিগুরম্নত্বের সাথে খেয়াল করতে হবে।
# অঙ্কের প্রতিটি লাইন করার সময় পূর্ববর্তী লাইনের দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে, তা হলে ভুল হবে না।
# অঙ্ক করার সময় মাথা ঠা-া রেখে যথাসম্ভব যতদ্রম্নত উত্তর দিতে হবে যেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব কয়টি অঙ্ক করা যায়।
অধিক নম্বর পাওয়ার কৌশল
# একটি অধ্যায়ের অঙ্ক করার পূর্বেই ঐ অধ্যায়ের সকল সূত্রাবলী ও তত্ত্ব সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নিতে হবে।
# অধ্যায়ভিত্তিক সহজ অঙ্কগুলো এবং উদাহরণমালা প্রথমে করে পরবর্তীতে ধীরে ধীরে কঠিন অঙ্কগুলো করতে হবে।
# যেহেতু বোর্ড পরীৰায় খুব জটিল অঙ্ক অথবা বইয়ের বাইরের অঙ্ক আসে না। সে জন্য বিগত পাঁচ বছরের বোর্ডের অঙ্ক বার বার অনুশীলন করতে হবে তা হলে বোর্ড পরীৰার ভীতি কমে যাবে এবং প্রস্তুতি অনেক শক্তিশালী হবে।
# পরীৰার হলে অঙ্ক নির্বাচন করতে হবে অতি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে, অর্থাৎ যে অঙ্কগুলোর উত্তর শতভাগ নিভর্ুলভাবে প্রদান করা যাবে সেগুলোই প্রথমে নির্বাচন করতে হবে। তা না হলে কঠিন অঙ্ক নিয়ে বার বার চেষ্টা করলে সময় নষ্ট হবে এবং সঠিক উত্তর প্রদানে ব্যাহত হতে পারে।
# কোন অঙ্ক শুরম্ন করার পূর্বে ভালভাবে বুঝে নিতে হবে তা না হলে অঙ্ক ভুল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে।
# অনেক সময় প্রশ্নপত্রে অঙ্ক অথবা সংখ্যা পরিবর্তন করে দিতে পারে সেৰেত্রে ঘাবড়ে না যেয়ে প্রশ্নটি গভীরভাবে পর্থবেৰণ করতে হবে, তখন অঙ্কটি পরিচিত ও সহজ মনে হবে।
কেস স্টাডি-২ : রোদেলা বন্ধু তানজিল। ওর সমস্যা অন্যরকম। প্রতিটি পরীৰায় তার প্রস্তুতি থাকে ভাল। কিন্তু পরীৰার দিন যতই এগিয়ে আসে ততই ওর মাঝে কাজ করে পরীৰা ভীতি। হলে গিয়ে জানা বিষয়ও অজানা হয়ে যায়। এবারও কি তেমন হবে? পরীৰা ভীতি তানজিলকে নানারকম দুশ্চিনত্মায় অস্থির করে রাখে। তাই ভাল প্রস্তুতি সত্ত্বেও আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি তানজিলকে পিছিয়ে দেয়।
এগুলো গল্প নয়। তোমাদের অভিজ্ঞতা থেকেই নেয়া। সঠিক পরিকল্পনা ও দিকনির্দেশনার অভাবে মেধা ও অনুশীলনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও অনেকেই কাঙ্ৰিত ফল অর্জন করতে পারে না।
পরীৰার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে সময় একেবারেই কম। এরই মধ্যে সব বিষয় দ্রম্নত শেষ করতে হবে। শুধু বিষয় রপ্ত করাই নয়, ভাল ফলের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের আরও কিছু বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে হয়, যা ভাল ফলের জন্য সহায়ক। এ রকমই কিছু দিকনির্দেশনা_
পরীৰার প্রস্তুতি
পরীৰা শুরম্ন হওয়ার খুব বেশি দেরি নেই। এই সময়টাতে মানসিক, শারীরিকভাবে সুস্থ থেকে রম্নটিনমাফিক পড়াশোনা কর, রেজাল্ট আশানুরূপ হবেই।
সঠিক পরিকল্পনা : পরীৰা প্রস্তুতির প্রথমেই দরকার পরিকল্পনা। পেছনের নষ্ট হওয়া সময়ের কথা মাথা থেকে ঝেঁড়ে ফেলতে হবে প্রথমেই। তার চেয়ে যেটুকু সময় হাতে আছে তার সর্বোচ্চ ব্যবহারে মনোযোগী হতে হবে।
ইতিবাচক পরিকল্পনা : নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পরীৰায় খারাপ ফলাফল আনতে পারে। এ জন্য মনের এলোমেলো চিনত্মা দ্রম্নত ঝেড়ে ফেলতে হবে। সার্বিক প্রস্তুতি যদি তোমাদের মনোপূত না হয়েও থাকে তারপরও দুশ্চিনত্মা করার কিছু নেই। তোমার ভা-ারে যা আছে তা-ই ঠিকমতো কাজে লাগাও। অবশ্যই তুমি সফল হবে।
মনকে চাপমুক্ত রাখ : পড়াশোনার চাপে যদি ধরাশায়ী হও তাহলে চলবে না। মনকে সব সময় ফুরফুরে রাখতে হবে।
টাইম ম্যানেজমেন্ট : পরীৰার প্রস্তুতির তালিকায় একেবারে প্রথমে আসবে এই ব্যাপারটি। টাইম ম্যানেজমেন্টকে বলা যেতে পারে ভিত, যার ওপর ভর করে দাঁড়িয়ে থাকবে গোটা এঙ্াম ম্যানেজমেন্ট। টাইম ম্যানেজমেন্ট বলতে শুধু ক'টা সময় ঘুম থেকে উঠে পড়তে বসবে, তা ঠিক করা নয়। সারাদিনের সময়ের হিসাব হবে ঘণ্টা ধরে। যেমন, সকাল সাতটা থেকে নয়টা পর্যনত্ম নতুন পড়া তৈরি করবে বা দুপুর তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যনত্ম পুরনো পড়া ঝালিয়ে নেবে ইত্যাদি। সপ্তাহের সাত দিনের রম্নটিন তৈরি করতে হবে এভাবেই। তবে এটা করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন ব্যাপারটা একঘেয়ে না হয়। চেষ্টা করবে পড়ার মধ্যে বৈচিত্র্য আনতে। এ সপ্তাহের রম্নটিন পরের সপ্তাহে এটা একটু পাল্টে নাও। গত সপ্তাহের সোমবারে যা পড়েছিলে, এই সপ্তাহে তা আসুক বৃহস্পতিবারে।
বিষয় নিয়ে ভাবনা
এটা অবশ্য যার যার নিজস্ব ভাবনার ব্যাপার। আগে নিজে ঠিক কর কোন্ বিষয়টা তুমি এখনও আয়ত্ত করতে পারনি, বেশি জোর দাও সেই বিষয়ের ওপর। যেগুলো ইতোমধ্যে তৈরি হয়ে গেছে সেগুলো নিয়মিত ঝালিয়ে নিতে হবে। যদি দেখ, বরাদ্দ সময়ের আগেই কোন পড়া শেষ হয়ে গেল, তা হলে উঠে না পড়ে অল্প তৈরি হওয়া অন্য কোন প্রশ্ন ঝালিয়ে নাও। মোট কথা, সময়ের সদ্ব্যবহার কর। যাদের পড়ার বিষয়ের মধ্যে অাঁকার একটা গুরম্নত্বপূর্ণ সমর্্পক আছে, দুপুর বেলাটা তা সে জন্য রাখতে পার। খুব ভাল হয় যদি পড়ার পাশাপাশি সময় ধরে উত্তর লেখার অভ্যাস কর।
পরীৰার আগের রাতে করণীয়
পরীৰার আগের রাতটি প্রায় সকল পরীৰাথর্ীর জন্যই গুরম্নত্বপূর্ণ। বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রী পরীৰার আগের রাতে যতটা না পড়াশোনা নিয়ে ব্যসত্ম থাকে তার চেয়ে বেশি ব্যসত্ম থাকে পরীৰা সংক্রানত্ম টেনশন নিয়ে। এই সময়ে একদম টেনশন করা যাবে না। যেগুলো রিভিশন করতে পারনি, সেগুলো নতুন করে পড়ার চেষ্টা না করাই ভাল। না হলে জানা বিষয়গুলো ভুলে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় কমপৰে সাত ঘণ্টা ঘুমের দরকার। পরীৰার হলের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম রাতেই গুছিয়ে ফেলবে।
পরীৰার দিনের পরামর্শ
পরীৰা কেন্দ্রে যাওয়ার আগে প্রবেশপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, কলম, পেন্সিল, জ্যামিতি বঙ্, শার্পনার, ইরেজার ও ক্যালকুলেটর ইত্যাদি মনে করে নিয়ে নেবে।
পরীৰা কেন্দ্রে গমন : পরীৰা হবার এক ঘণ্টা আগে ঘর থেকে বের হতে হবে, অবশ্য বাড়ি থেকে কেন্দ্রের দূরত্ব, ট্রাফিক জ্যাম ও যানবাহনের পাওয়া না পাওয়ার ওপর সময়ের হেরফের হতে পারে।
পরীৰার খাতা পাওয়ার পর : পরীৰার খাতা পাওয়ার পর নিভর্ুলভাবে রোল, রেজিস্ট্রেশন নম্বরসহ অন্যান্য বিষয় পূরণ করবে। কোন ভুল হলে সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিৰককে জানাতে হবে। এ ছাড়া অতিরিক্ত খাতা নিলে তার নম্বর সঠিকভাবে লিখতে হবে।
পরীৰা শেষ হওয়ার আগ মুহূর্ত : পরীৰা শেষ হবার ১৫ মিনিট পূর্বেই একটি সতর্ক ঘণ্টা বাজে। এ সময়ের মধ্যেই লেখা শেষ করতে হবে এবং খাতাটি প্রথম থেকে পড়া শুরম্ন কর এবং প্রয়োজনীয় সংশোধন কর।
পরীৰা স্পেশাল ডায়েট
শুনতে অবাক লাগলেও পরীৰা প্রস্তুতির এটাও একটা গুরম্নত্বপূর্ণ অংশ। তবে পরীৰার স্পেশাল ডায়েট মানেই ঝাল, আলুসিদ্ধ, ভাত বা বাবা-মা'র কথা শুনে বিশুদ্ধ ফলাহার নয়, আবার বাড়ির নিষেধ মেনে বিকালে বন্ধুদের সঙ্গে চুপিচুপি গিয়ে চটপটি খাওয়াও নয়। সাধারণ সময়ে তুমি যে ডায়েটে অভ্যসত্ম, সেটা বজায় রাখলেই যথেষ্ট। পরীৰার সময় পরিশ্রম বেশি হয় বলে খিদেটা একটু বেশিই পায়। লাঞ্চ বা ডিনারের সময় পেট ভরে না খেয়ে বারেবারে খাওয়াই ভাল। রান্নায় তেল-মসলা একটু কম হলেই ভাল। পড়তে বসলে আলসেমি এলে বা ঘুম ঘুম পেলে চা-কফি-দুধ ইত্যাদি যে কোন গরম পানীয় খাবে। এ্যানার্জি বাড়াতে দিনে অনত্মত একটা মিষ্টি খাওয়ার চেষ্টা কর।
লাস্ট মিনিট সাজেশন
১. পরীৰার আগের দিন রাত জেগে পড়া একদম নয়।
২. পরীৰার আগে কোন নতুন পড়া করা যাবে না।
৩. পরীৰার হলে ঢোকার আগের মুহূর্ত পর্যনত্ম বইয়ে মুখ ডুবিয়ে বসে থাকার দরকার নেই। মনে করতে হবে, যা পড়ার তা আগেই পড়া হয়ে গেছে।
৪. পরীৰার দিন অন্যের কথায় কম কান দেবে।
৫. পরীৰা দিয়ে বেরিয়ে ভুলেও বন্ধুকে 'তুই কি লিখেছিস রে'- জিজ্ঞেস করতে যাবে না।
৬. একদিনের পরীৰা শেষ মানেই সেই বিষয়টি থেকে আপাতত তোমার ছুটি।
৭. বাড়িতে ফিরে স্রেফ অন্যদিনের পরীৰা নিয়ে চিনত্মা করবে।
বিশেষ সতর্কতা
পরীৰার সাল : প্রথমে এসএসসি পরীৰা লেখার পাশে বঙ্রে ভেতরে পরীৰার সাল ২০১১ লিখবে।
বোর্ড : এবার বোর্ড লেখা বঙ্রে মধ্যে যে বোর্ড থেকে তুমি পরীৰা দেবে, সে বৃত্তটি ভরাট করবে।
পরীৰা : পরীৰা বঙ্ েলেখা রয়েছে এসএসসি ও এইচএসসি পরীৰার নাম। তুমি এসএসসি পরীৰার ঘরে বৃত্ত ভরাট করবে।
রোল নম্বর : এরপর দেখবে রোল নম্বরের ঘরটি। প্রথমে ফাঁকা ঘরে তোমার রোল নম্বরটি লিখবে এবং পরে বল পয়েন্ট দিয়ে বৃত্ত ভরাট করবে।
বিষয় কোড : এবার বিষয় কোডের ঘরে বিষয় কোডটি লেখ।
অতিরিক্ত খাতার নম্বর : অতিরিক্ত উত্তরপত্র পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এর ক্রমিক নম্বর উত্তরপত্রের ওএমআর ফরমের নির্দিষ্ট স্থানে লিখবে এবং ক্রমিক নম্বরের পাশের ছোট বৃত্তাকার ঘরটি ভরাট করে দেবে।
বাংলা ১ম পত্র
সৃজনশীল পদ্ধতির প্রশ্নোত্তরের নিয়ম একটু ভিন্ন আঙ্গিকে দিতে হয়। আগের মতো বেশি বড় করে উত্তর লিখতে যাবে না। কারণ এ পদ্ধতিতে কে কত বেশি বড় করে উত্তর দিতে পেরেছে তা দেখা হয় না; দেখা হয় কে কতটা যথাযথ উত্তর দিতে পেরেছে। তাই যথাযথ প্রশ্নোত্তর দিলে অবশ্যই বেশি নম্বর পাবে।
সৃজনশীল পদ্ধতিতে তোমার পাঠ্যসূচীর কোন গল্প/কবিতা/উপন্যাস/নাটকের কোন একটি ভাবের আলোকে একটি উদ্দীপক এবং তৎসংশিস্নষ্ট চারটি প্রশ্ন দেয়া থাকবে। জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক অংশের উত্তর পাঠ্যপুসত্মক থেকে দিতে হবে। তবে অনুধাবন সত্মরের প্রশ্নোত্তর নিজের ভাষায় দিবে। প্রয়োগ ও উচ্চতর দৰতার প্রশ্নোত্তর পাঠ্যবই ও উদ্দীপক উভয়ের আলোকেই হবে।
প্রশ্নপত্রে গদ্য, কবিতা ও সহপাঠ থেকে তিনটি করে মোট নয়টি প্রশ্ন দেয়া থাকবে। তোমাদের উত্তর করতে হবে মোট ছয়টি প্রশ্নের। প্রতি বিভাগ থেকে কমপৰে একটি করে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। একটি পূর্ণাঙ্গ প্রশ্নোত্তর অর্থাৎ প্রতি ১০ নম্বরের প্রশ্নোত্তরে ২০ মিনিটের বেশি সময় নেয়া ঠিক হবে না। অর্থাৎ প্রতি ১ নম্বরের জন্য সময় তুমি পাবে ২ মিনিট। মনে রাখবে, এর বেশি সময় নিলে বাকি প্রশ্নগুলোর উত্তর ঠিকভাবে লিখে শেষ করতে পারবে না।
সৃজনশীল পদ্ধতিতে চারটি অংশ (জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দৰতা) মিলে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রশ্ন এবং প্রতিটি প্রশ্নের জন্য পরীৰককে আলাদা করে নম্বর দিতে হয়। কাজেই পরীৰকের নম্বর প্রদানের সুবিধার্থে প্রশ্নোত্তরগুলোর মধ্যে তোমরা যথেষ্ট ফাঁক রাখবে। আর প্রশ্ন নম্বরগুলো নীল কালিতে দিলে সুন্দর দেখাবে।
যে কোন একটি প্রশ্নের উত্তর লেখা শুরম্ন করলে তার চারটি অংশের উত্তরই ধারাবাহিকভাবে দিবে। একটি প্রশ্নের জ্ঞানের উত্তর আবার আরেকটি প্রশ্নের অনুধাবনের উত্তর_ এভাবে করা ঠিক হবে না। প্রশ্নোত্তরে ভাষা সহজ-সরল ও মার্জিত হওয়া প্রয়োজন।
জ্ঞানমূলক প্রশ্নের নম্বর থাকবে এক। একটি উত্তর একটি বাক্যে দিবে। মনে রাখবে, জ্ঞানমূলক প্রশ্নে যে তথ্যটা জানতে চাওয়া হয়, তার বানান যেন কিছুতেই ভুল না হয়। এৰেত্রে বানান ভুল হলে শূন্য নম্বর পাবে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্নের নম্বর থাকে দুই। এতে জ্ঞানের জন্য থাকে এক নম্বর এবং অনুধাবনের জন্য থাকে আর এক নম্বর। তোমরা জ্ঞানের অংশটি আগে লিখবে, তারপর অনুধাবনের অংশটি দিবে। অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর দুটি প্যারায় দিলে ভাল হয়। অনরূপভাবে প্রয়োগের জন্য তিনটি প্যারা আর উচ্চতর দৰতার জন্য চারটি পারা দিবে। প্যারার সংখ্যা কমবেশি করলেও অসুবিধা নেই। তোমরা পাঠ্যবইয়ের যা শিখেছ তা নতুন ৰেত্র অর্থাৎ উদ্দীপকে প্রয়োগ করাই হচ্ছে প্রয়োগ। কোন প্রশ্নোত্তরের শুরম্নতে কবি-সাহিত্যিককে নানা বিশেষণে বিশেষায়িত করে অযথা প্রশ্নোত্তর বড় করার দরকার নেই। এতে শুধু সময় ও পরিশ্রমই নষ্ট হবে। তাই কোনক্রমে কোন প্রশ্নোত্তর অপ্রাসঙ্গিক কথা বা অপ্রয়োজনীয় তথ্য দিতে যাবে না।
উদ্দীপকটি যে ভাবের আলোকে তৈরি করা হয়েছে তার সাদৃশ্য/বৈসাদৃশ্যই জ্ঞান। ওই দিকটি একটি বাক্যে লিখতে পারলে এক নম্বর পাওয়া যাবে। তারপর ওই দিকটি পাঠ্যবইয়ের আলোকে বর্ণনা করাই হলো অনুধাবন। দ্বিতীয় প্যারায় অনুধাবনের উত্তর দিবে এবং সবশেষে প্রদত্ত দিকটি উদ্দীপকে কীভাবে ফুটে উঠেছে তা বর্ণনা করতে পারলেই প্রয়োগের জন্য বাকি নম্বরটি পাওয়া যাবে।
উচ্চতর দৰতা হচ্ছে একটা সিদ্ধানত্মের ব্যাপার। এতে প্রশ্নেই সাধারণত একটা অনুসিদ্ধানত্ম দেয়া থাকে। যদি সিদ্ধানত্মটি সঠিক হয়, তাহলে সেটাকে ব্যাখ্যা-বিশেস্নষণ করে উদ্দীপকে প্রয়োগ করে প্রমাণ করবে যে সিদ্ধানত্মটি সঠিক। আর যদি সিদ্ধানত্মটি ভুল হয়, তাহলে তাও প্রমাণ করে দেখাবে যে, সিদ্ধানত্মটি কী কারণে ভুল। অনেক সময় সিদ্ধানত্মটি আংশিক সত্য হতে পারে। সে ৰেত্রে উদ্দীপকের সঙ্গে পাঠ্যবইয়ের যে অংশটুকুর মিল আছে তা বর্ণনা করবে আর যে যে ৰেত্র মিল নেই সেগুলোও দেখবে। মনে রাখবে, সিদ্ধানত্মটি বুঝতে ভুল হলে পুরো চার নম্বরে শূন্য নম্বর পাবে।
বাংলা ২য় পত্র
বাংলা দ্বিতীয়পত্রের ১০০ নম্বর দুটি পর্বে বিভক্ত। প্রথম পর্ব রচনামূলক অংশে-৫০ নম্বর এবং দ্বিতীয় পর্ব নৈব্যক্তিক অংশে ৫০ নম্বর থাকবে। রচনামূলক অংশে সাধারণত প্রতিবছরে গতানুগতিক ধারার প্রশ্ন হয়ে থাকে। এ অংশে অনুবাদ, সারাংশ/সারমর্ম, পত্র, ভাব-সম্প্রসারণ ও রচনা মিলে মোট পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়।
অনুবাদ : বাংলা দ্বিতীয়পত্রের প্রথম প্রশ্নটি থাকে বাংলা অনুবাদ। খাতায় ইংরেজী অনুচ্ছেদ তুলে তোমরা সময় নষ্ট করবে না। অনুবাদ করার সময় প্রশ্নপত্র থেকে ইংরেজী অংশটি ভাল করে পড়ে নেবে। উপযুক্ত শব্দে বাংলা অনুবাদ করলেই পূর্ণ নম্বর পাওয়া যায়। মাত্র তিন-চার লাইনের অনুবাদে কাটাকাটি বা ওভার রাইটিং মোটেই কাম্য নয়।
পত্র বা দরখাসত্ম : পত্র বা দরখাসত্মের তিনটি প্রশ্ন থাকে, তোমাদের পছন্দ মতো উত্তর লিখবে। তবে মনে রাখবে, আবেদনপত্র লিখলে বেশি নম্বর পাওয়া যায়। নিজ প্রতিষ্ঠানের কাছে লেখা দরখাসত্ম ছাড়া অন্য সব ব্যক্তিগতপত্র বা দরখাসত্মে খাম দেবে। পত্র লেখার সময় কিছুতেই নিজের নাম-ঠিকানা লিখবে না; সাঙ্কেতিক নাম-ঠিকানা লিখবে। পত্র লেখার নিয়ম-কানুনের ব্যাপারে সতর্ক থাকবে।
ভাব-সম্প্রসারণ : পরীৰায় ভাব-সম্প্রসারণ প্রায় সময়েই কমন পড়ে; কমন না পড়লেও তোমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তিনটি প্যারা মাথায় রেখে লিখবে। প্রথম প্যারায় উদ্ধৃতাংশটির মূলভাব তিন-চারটি লাইনে লিখবে, দ্বিতীয় প্যারায় বিশেস্নষণ এবং শেষে মনত্মব্য রাখবে। এতে শিরোনাম লেখার প্রয়োজন নেই। ভাব-সম্প্রসারণ লেখার সময় প্রদত্ত উদ্ধৃতির মূলভাবকে উদাহরণ-উপমা ও ব্যাখ্যা-বিশেস্নষণ দিয়ে সম্প্রসারণ করবে।
সারাংশ বা সারমর্ম : সারাংশ/সারমর্ম লেখার সময় নির্ধারিত অংশটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিয়ে মূলভাবটি যথোপযুক্ত শব্দে চার-পাঁচ লাইনে লিখলে ভাল নম্বর পাওয়া যায়। মনে রাখবে সারাংশ-সারমর্ম যত বড় হবে তত কম নম্বর পাবে। এতে যেহেতু অল্প লিখে বেশি নম্বর পাওয়া যায়, সে জন্য শব্দ ব্যবহারের ৰেত্রে উন্নত মানের শব্দ বেছে নেবে। সারাংশ/সারমর্মে কিছুতেই কাটাকাটি করবে না।
প্রবন্ধ রচনা : বাংলা দ্বিতীয়পত্রের সর্বশেষ প্রশ্নটি থাকে_প্রবন্ধ রচনা লিখন। বিগত কয়েক বছরের প্রশ্ন দেখে সাজেশন তৈরি করে ১০-১৫টি রচনা পড়লেই কমন পড়বে। প্রশ্নপত্রে পাঁচটি প্রবন্ধ রচনার উলেস্নখ থাকে। যে কোন একটি লিখতে হয়। এ ৰেত্রে তথ্যমূলক ও বিজ্ঞানভিত্তিক রচনা পছন্দ করে নিলে অধিকতর নম্বর পাওয়া যায়। প্রবন্ধ রচনা পয়েন্ট করে লিখবে। পরীৰকের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য উদ্ধৃতি বা তথ্য নীল কালির কলমে আ-ার লাইন করে দেবে। প্রবন্ধ রচনা যথাসম্ভব উদ্ধৃতিবহুল এবং আয়তনে দীর্ঘ হলে ভাল নম্বর পেতে সাহায্য করবে।
রচনামূলক অংশের উত্তর লেখার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর প্রতি বিশেষ গুরম্নত্ব দেবে। ১. উত্তরের ভূমিকা ও উপসংহার আকর্ষণীয় হবে। ২. উত্তর প্রাসঙ্গিক ও যথাযথ করবে। ৩. প্রয়োজনীয় উদ্ধৃতি ও তথ্য দিয়ে উত্তরটি সমৃদ্ধ করবে। ৪. বানানের প্রতি সতর্ক থাকবে। ৫. খাতাটি সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন করবে।
নৈব্যত্তিকে ভাল করতে হলে
বোর্ডের ব্যাকরণ বইয়ের প্রায় প্রতিটি পরিচ্ছেদ থেকেই এক বা একাধিক প্রশ্ন থাকতে পারে। বোর্ডের বইটি ভাল করে পড়লে ব্যাকরণের প্রায় সব প্রশ্নই কমন পড়ে। তাছাড়া অনুবাদ ও চিঠিপত্র থেকেও অবজেকটিভ প্রশ্ন থাকে। ভালভাবে অধ্যয়ন না করে কোন প্রশ্নের উত্তর অনুমান করে দেয়া ঠিক নয়। এ ৰেত্রে গুরম্নত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো বুঝে বুঝে পড়বে। ধ্বনির পরিবর্তন, সন্ধি, সমাস, ধাতু, প্রত্যয়, কারক-বিভক্তি প্রভৃতি বিষয় মনোযোগ দিয়ে কয়েকবার পড়ে নিয়ে প্রয়োজনীয় অংশগুলো মার্কার দিয়ে চিহ্নিত করে রাখবে। পরে অবসরে চিহ্নিত অংশগুলো বারবার পড়ে আয়ত্ত করে নেবে।
তোমাদের চেষ্টা ও সাধনা সফল হোক। এ শুভ কামনা সবার জন্য।
গণিত ॥ চিহ্নের ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে
# যে অঙ্কগুলো জটিল মনে হয় সেগুলো শেষের দিকে করতে হবে।
# কোন অঙ্ক করার সময় যদি মনে হয় অঙ্কটি ভুল হয়ে যাচ্ছে, সেৰেত্রে আরও একবার চেষ্টা করা যেতে পারে, তবে ভুলের কারণ বোঝা না গেলে অযথা এৰেত্রে সময় নষ্ট না করে দ্রম্নত অন্য অঙ্কগুলো করতে হবে এবং শেষের দিকে উক্ত অঙ্কটি আবার চেষ্টা করতে হবে।
# বীজগণিতের চিহ্নের (+, -, , স্ট) ভুল হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। তাই এই ভুলগুলো অতিগুরম্নত্বের সাথে খেয়াল করতে হবে।
# অঙ্কের প্রতিটি লাইন করার সময় পূর্ববর্তী লাইনের দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে, তা হলে ভুল হবে না।
# অঙ্ক করার সময় মাথা ঠা-া রেখে যথাসম্ভব যতদ্রম্নত উত্তর দিতে হবে যেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব কয়টি অঙ্ক করা যায়।
অধিক নম্বর পাওয়ার কৌশল
# একটি অধ্যায়ের অঙ্ক করার পূর্বেই ঐ অধ্যায়ের সকল সূত্রাবলী ও তত্ত্ব সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নিতে হবে।
# অধ্যায়ভিত্তিক সহজ অঙ্কগুলো এবং উদাহরণমালা প্রথমে করে পরবর্তীতে ধীরে ধীরে কঠিন অঙ্কগুলো করতে হবে।
# যেহেতু বোর্ড পরীৰায় খুব জটিল অঙ্ক অথবা বইয়ের বাইরের অঙ্ক আসে না। সে জন্য বিগত পাঁচ বছরের বোর্ডের অঙ্ক বার বার অনুশীলন করতে হবে তা হলে বোর্ড পরীৰার ভীতি কমে যাবে এবং প্রস্তুতি অনেক শক্তিশালী হবে।
# পরীৰার হলে অঙ্ক নির্বাচন করতে হবে অতি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে, অর্থাৎ যে অঙ্কগুলোর উত্তর শতভাগ নিভর্ুলভাবে প্রদান করা যাবে সেগুলোই প্রথমে নির্বাচন করতে হবে। তা না হলে কঠিন অঙ্ক নিয়ে বার বার চেষ্টা করলে সময় নষ্ট হবে এবং সঠিক উত্তর প্রদানে ব্যাহত হতে পারে।
# কোন অঙ্ক শুরম্ন করার পূর্বে ভালভাবে বুঝে নিতে হবে তা না হলে অঙ্ক ভুল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে।
# অনেক সময় প্রশ্নপত্রে অঙ্ক অথবা সংখ্যা পরিবর্তন করে দিতে পারে সেৰেত্রে ঘাবড়ে না যেয়ে প্রশ্নটি গভীরভাবে পর্থবেৰণ করতে হবে, তখন অঙ্কটি পরিচিত ও সহজ মনে হবে।
সাধারণ বিজ্ঞান পাঠ্যবই মনোযোগসহকারে পড়তে হবে
সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়টি আসলে একের মধ্যে অনেক। এখানে তিনটি
অংশে প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি অংশ থেকে কমপৰে একটি করে মোট ছয়টি প্রশ্নের
উত্তর দিতে হবে। প্রথম অংশে থাকবে পর্দাথবিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা,
দ্বিতীয় অংশে থাকবে রসায়ন ও জনসংখ্যা এবং তৃতীয় অংশে থাকবে উদ্ভিদবিজ্ঞান ও
প্রাণিবিজ্ঞান। প্রতিটি অংশ থেকে তিনটি করে মোট নয়টি প্রশ্ন থাকবে।
প্রতিটি প্রশ্নে চারটি স্তর থাকবে। এ চারটি স্তর হচ্ছে জ্ঞান, অনুধাবন প্রয়োগ ও উচ্চতর চিনত্মন-দৰতা। সত্মরগুলোকে কাঠিন্যের ক্রমানুসারে বিন্যস্ত করা হয়েছে।
জ্ঞান সত্মর : এ সত্মরে আগে জানা কোনো কিছু স্মরণ করতে পারবে তোমরা । এর মধ্যে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত সেগুলো হলো : সাধারণ শব্দ, বিশেষ তথ্য, তত্ত্ব, পদ্ধতি, প্রক্রিয়া, ধারণা, নীতিমালা ইত্যাদি।
উদাহরণ: দুর্যোগ কী?
সম্ভাব্য উত্তর : দুর্যোগ হচ্ছে এরূপ ঘটনা, যা সমাজের স্বাভাবিক কাজকর্মে প্রচ-ভাবে বিঘ্ন ঘটায় এবং জীবন, সম্পদ ও পরিবেশের ব্যাপক ৰতিসাধন করে।
অনুধাবন সত্মর : অনুধাবন হলো কোনো বিষয়ের অর্থ বোঝায় দৰতা। তা হতে পারে তথ্য, নীতিমালা, সূত্র ইত্যাদি বুঝতে পারা। এ সত্মরে তোমরা প্রশ্ন বুঝতে পারলেই উত্তর ব্যাখা করতে পারবে।
উদাহরণ : শব্দ উৎপন্ন হওয়ার কারণ বুঝিয়ে লিখ।
সম্ভাব্য উত্তর : যে কোন বস্তুর কম্পনের ফলে শব্দ উৎপন্ন হয়। একটি বস্তু যতৰণ কাঁপতে থাকে, ততৰণ শব্দ শোনা যায়, কম্পন থেমে গেলে শব্দও থেমে যায়।
এই উত্তরটিতে জ্ঞানের অংশটি ছিল বস্তুর কম্পনের ফলে শব্দ উৎপন্ন হয়। যা তোমরা মনে করতে পেরেছ।
প্রয়োগ সত্মর : প্রয়োগ বলতে বোঝায় আগের শেখা বিষয়কে নতুন কোনো পরিস্থিতিতে ব্যবহার করার দৰতা আইন, বিধি, তত্ত্ব, সূত্র, নিয়ম, পদ্ধতি, ধারণা, নীতি ইত্যাদির প্রয়োগ হতে পারে।
উদাহরন : একটি পুকুরের বাস্তুসংস্থানের চিত্রে জলজ উদ্ভিদকে 'অ' দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন হতে পারে_চিত্রে 'অ'-এর অনুপস্থিতিতে কী সমস্যা সৃষ্টি হবে?
উচ্চতর চিন্তুন দৰতা, সত্মর : উচ্চতর চিনত্মন দৰতা বলতে বোঝায় কোনো বিষয়ের সংশেস্নষণ, বিশেস্নষণ এবং মূল্যায়ন। কোনো সমগ্র বিষয়, ধারণা বা বিষয় বস্তুকে বিভিন্ন উপাদান বা অংশে বিভক্ত করা এবং তাদের মধ্যে সম্পর্ক চিহ্নিত করা।
উদাহরণস্বরূপ_ একটি পুকুরের বাস্তুসংস্থানের চিত্রে একটি বড় মাছকে 'ই' দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন হতে পারে চিত্র 'ই'-এর সংখ্যা বেড়ে গেলে বাস্তুসংস্থানটির অবস্থা কী হবে?
পাঠ্যবই খুব মনোযোগ সহকারে পড়ে তোমরা নিজেদের ভালভাবে প্রস্তুত করে নেবে।
হিসাব বিজ্ঞান
(১) ৪টি বিশদ প্রশ্ন থাকবে, তার মধ্যে দুটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ৫।
(২) সংৰিপ্ত প্রশ্ন থাকবে ৪টি, তার মধ্যে ২টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ২।
(৩) ৪টি ব্যবহারিক অঙ্ক থাকবে, দুটির উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ৮।
(৪) একটি বাধ্যতামূলক চূড়ানত্ম হিসাব থাকবে। এর মান ২০।
ব্যবসায় পরিচিতি ও ব্যবসায় উদ্যেগ
(১) যে কোন ৮টি অধ্যায় থেকে ৮টি বিশদ প্রশ্ন থাকবে, তার মধ্যে যে কোন ৪টি উত্তর দিতে হবে। প্রত্যেকটি প্রশ্নের মান ১০।
(২) যে কোন ৪টি অধ্যায় থেকে ৪টি সংৰিপ্ত উত্তর প্রশ্ন থাকবে। যে কোন দুটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
বাণিজ্যিক ভূগোল
(১) বাণিজ্যিক ভূগোল শাখার যে কোন ৪টি অধ্যায় থেকে ৪টি বিশদ উত্তর-প্রশ্ন থাকবে এবং যে কোন দুটির উত্তর দিতে হবে। প্রত্যেকটির মান ১০।
(২) বাণিজ্যিক ভূগোল থেকে ২টি, বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ভূগোল থেকে ২টি মোট ৪টি সংৰিপ্ত প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি শাখা থেকে ১টি উত্তর করতে হবে। যার মান ৫।
করণীয়
(১) প্রতিটি বিষয় বেশি বেশি অনুশীলন অর্থাৎ প্রতিটি প্রশ্ন শেখার পর না দেখে লেখার অভ্যাস করতে হবে। উত্তরপত্রে কাটাকাটি ও ওভাররাইটিং করবে না।
(২) মেধা ও বিষয় জ্ঞান যাচাইয়ের মাধ্যম হচ্ছে নৈর্ব্যক্তিক পরীৰা।
(৩) হাতের লেখা সুন্দর ও স্পষ্ট হতে হবে।
(৪) প্রশ্ন লেখা শুরম্ন করার সময় থেকেই সময়ের প্রতি যত্নশীল হতে হবে।
(৫) পরীৰা শেষ হবার নির্দিষ্ট সময় পূর্বে উত্তর লেখা শেষ হয়ে গেলে উত্তরপত্র জমা না দিয়ে শেষ পর্যনত্ম বারবার রিভিশন দিতে হবে।
প্রতিটি প্রশ্নে চারটি স্তর থাকবে। এ চারটি স্তর হচ্ছে জ্ঞান, অনুধাবন প্রয়োগ ও উচ্চতর চিনত্মন-দৰতা। সত্মরগুলোকে কাঠিন্যের ক্রমানুসারে বিন্যস্ত করা হয়েছে।
জ্ঞান সত্মর : এ সত্মরে আগে জানা কোনো কিছু স্মরণ করতে পারবে তোমরা । এর মধ্যে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত সেগুলো হলো : সাধারণ শব্দ, বিশেষ তথ্য, তত্ত্ব, পদ্ধতি, প্রক্রিয়া, ধারণা, নীতিমালা ইত্যাদি।
উদাহরণ: দুর্যোগ কী?
সম্ভাব্য উত্তর : দুর্যোগ হচ্ছে এরূপ ঘটনা, যা সমাজের স্বাভাবিক কাজকর্মে প্রচ-ভাবে বিঘ্ন ঘটায় এবং জীবন, সম্পদ ও পরিবেশের ব্যাপক ৰতিসাধন করে।
অনুধাবন সত্মর : অনুধাবন হলো কোনো বিষয়ের অর্থ বোঝায় দৰতা। তা হতে পারে তথ্য, নীতিমালা, সূত্র ইত্যাদি বুঝতে পারা। এ সত্মরে তোমরা প্রশ্ন বুঝতে পারলেই উত্তর ব্যাখা করতে পারবে।
উদাহরণ : শব্দ উৎপন্ন হওয়ার কারণ বুঝিয়ে লিখ।
সম্ভাব্য উত্তর : যে কোন বস্তুর কম্পনের ফলে শব্দ উৎপন্ন হয়। একটি বস্তু যতৰণ কাঁপতে থাকে, ততৰণ শব্দ শোনা যায়, কম্পন থেমে গেলে শব্দও থেমে যায়।
এই উত্তরটিতে জ্ঞানের অংশটি ছিল বস্তুর কম্পনের ফলে শব্দ উৎপন্ন হয়। যা তোমরা মনে করতে পেরেছ।
প্রয়োগ সত্মর : প্রয়োগ বলতে বোঝায় আগের শেখা বিষয়কে নতুন কোনো পরিস্থিতিতে ব্যবহার করার দৰতা আইন, বিধি, তত্ত্ব, সূত্র, নিয়ম, পদ্ধতি, ধারণা, নীতি ইত্যাদির প্রয়োগ হতে পারে।
উদাহরন : একটি পুকুরের বাস্তুসংস্থানের চিত্রে জলজ উদ্ভিদকে 'অ' দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন হতে পারে_চিত্রে 'অ'-এর অনুপস্থিতিতে কী সমস্যা সৃষ্টি হবে?
উচ্চতর চিন্তুন দৰতা, সত্মর : উচ্চতর চিনত্মন দৰতা বলতে বোঝায় কোনো বিষয়ের সংশেস্নষণ, বিশেস্নষণ এবং মূল্যায়ন। কোনো সমগ্র বিষয়, ধারণা বা বিষয় বস্তুকে বিভিন্ন উপাদান বা অংশে বিভক্ত করা এবং তাদের মধ্যে সম্পর্ক চিহ্নিত করা।
উদাহরণস্বরূপ_ একটি পুকুরের বাস্তুসংস্থানের চিত্রে একটি বড় মাছকে 'ই' দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন হতে পারে চিত্র 'ই'-এর সংখ্যা বেড়ে গেলে বাস্তুসংস্থানটির অবস্থা কী হবে?
পাঠ্যবই খুব মনোযোগ সহকারে পড়ে তোমরা নিজেদের ভালভাবে প্রস্তুত করে নেবে।
সময় ধরে উত্তর লেখ
শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাইয়ের একমাত্র মানদ- হচ্ছে
পরীক্ষা। ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিৰাথর্ীদের পঠিত নৈর্বাচনিক বিষয়সমূহ হচ্ছে
হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় পরিচিতি, ব্যবসায় উদ্যোগ, বাণিজ্যিক ভূগোল এবং
চতুর্থ বিষয় হিসেবে কম্পিউটার। চতুর্থ বিষয় ব্যতীত অন্য বিষয়গুলোর দুটি অংশ
থাকে। যথা : রচনামূলক ও নৈর্ব্যক্তিক। হিসাব বিজ্ঞান
(১) ৪টি বিশদ প্রশ্ন থাকবে, তার মধ্যে দুটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ৫।
(২) সংৰিপ্ত প্রশ্ন থাকবে ৪টি, তার মধ্যে ২টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ২।
(৩) ৪টি ব্যবহারিক অঙ্ক থাকবে, দুটির উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ৮।
(৪) একটি বাধ্যতামূলক চূড়ানত্ম হিসাব থাকবে। এর মান ২০।
ব্যবসায় পরিচিতি ও ব্যবসায় উদ্যেগ
(১) যে কোন ৮টি অধ্যায় থেকে ৮টি বিশদ প্রশ্ন থাকবে, তার মধ্যে যে কোন ৪টি উত্তর দিতে হবে। প্রত্যেকটি প্রশ্নের মান ১০।
(২) যে কোন ৪টি অধ্যায় থেকে ৪টি সংৰিপ্ত উত্তর প্রশ্ন থাকবে। যে কোন দুটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
বাণিজ্যিক ভূগোল
(১) বাণিজ্যিক ভূগোল শাখার যে কোন ৪টি অধ্যায় থেকে ৪টি বিশদ উত্তর-প্রশ্ন থাকবে এবং যে কোন দুটির উত্তর দিতে হবে। প্রত্যেকটির মান ১০।
(২) বাণিজ্যিক ভূগোল থেকে ২টি, বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ভূগোল থেকে ২টি মোট ৪টি সংৰিপ্ত প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি শাখা থেকে ১টি উত্তর করতে হবে। যার মান ৫।
করণীয়
(১) প্রতিটি বিষয় বেশি বেশি অনুশীলন অর্থাৎ প্রতিটি প্রশ্ন শেখার পর না দেখে লেখার অভ্যাস করতে হবে। উত্তরপত্রে কাটাকাটি ও ওভাররাইটিং করবে না।
(২) মেধা ও বিষয় জ্ঞান যাচাইয়ের মাধ্যম হচ্ছে নৈর্ব্যক্তিক পরীৰা।
(৩) হাতের লেখা সুন্দর ও স্পষ্ট হতে হবে।
(৪) প্রশ্ন লেখা শুরম্ন করার সময় থেকেই সময়ের প্রতি যত্নশীল হতে হবে।
(৫) পরীৰা শেষ হবার নির্দিষ্ট সময় পূর্বে উত্তর লেখা শেষ হয়ে গেলে উত্তরপত্র জমা না দিয়ে শেষ পর্যনত্ম বারবার রিভিশন দিতে হবে।
No comments:
Post a Comment