২০১২ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার বাংলা
বাংলা প্রথমপত্রে লিখিত সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার নিয়মাবলি
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ,আশা করি তোমরা সবাই জান যে, পি.এস.সি পরীক্ষায় বাংলা প্রথমপত্রে লিখিত সৃজনশীল প্রশ্নে চারটি স্তরের প্রশ্ন আসে। তাই সেগুলো যথার্থভাবে লেখার নিয়মগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো:
(ক) জ্ঞানমূলক : কোন ঘটনার তথ্য, তত্ত্ব, নীতিমালা, প্রকারভেদ, প্রভৃতি মুখস্ত করে লিখতে পারার ক্ষমতাকে বুঝায়। এ স্তরের প্রশ্নে কে, কী, কখন, কোথায়, সংজ্ঞা দাও, উল্লেখ কর প্রভৃতি দ্বারা হয়। উল্লেখ্য, এ স্তরের প্রশ্নটি সম্পূর্ণ পুস্তক নির্ভর এক বাক্যের বা এক শব্দের। অধ্যায়ের ভিতর থেকে এবং লেখক পরিচিতি থেকে এ স্তরের প্রশ্ন হবে। কোন ক্রমে উদ্দীপক থেকে এ প্রশ্ন করা হয় না। পাঠ্য- বইয়ের বাইরের কোন প্রশ্ন এ স্তরে হবে না। আর এ স্তরের মান বণ্টন হবে ১। পরীক্ষার্থী খাতার মধ্যে শুধু একটি শব্দ দিয়ে জ্ঞান স্তরের আক্ষরিক অর্থটি উত্তর করতে পারবে; তবে একটি বাক্যে লেখাই উত্তম।
(খ) অনুধাবনমূলক : কোন অনুচ্ছেদ, কবিতা, প্রবন্ধ ইত্যাদি পড়ে বুঝতে পারা এবং তার মধ্যকার একটি বক্তব্যকে নিজের ভাষায় অনুবাদ করে সংক্ষেপে বুঝিয়ে লেখার ক্ষমতাকে বুঝায়। এ ধরনের স্তরে কেন, লেখক কী বুঝাতে চেয়েছেন, অর্থ ব্যাখ্যা কর ইত্যাদি দ্বারা প্রশ্ন হতে পারে। এ স্তরের প্রশ্নও বই থেকে হয়। তবে যে পাঠ্য বইয়ের আলোকে উদ্দীপক তৈরি করা হয়েছে, সেই পাঠ্য থেকে প্রশ্ন হয়। প্রশ্নপত্রে এ স্তরের মান ২ লেখা থাকলেও পরীক্ষার্থীরা দুটি অংশে উত্তর লিখবে। অর্থাত্ প্রথম অংশে জ্ঞান স্তরের ১ নম্বরের জন্য একটি বাক্যে ভাবার্থে এবং দ্বিতীয় অংশে অনুধাবন স্তরের ১ নম্বরের জন্য বইয়ের নির্দিষ্ট অধ্যায়ের আঙ্গিকে দুটি থেকে চারটি বাক্যের মধ্যে উত্তর লিখবে। এক্ষেত্রে কেউ ইচ্ছা করলে অনুধাবন অংশটি আগেও লিখতে পারে এবং জ্ঞান স্তরের অংশটি পরে লিখতে পারবে।
(গ) প্রয়োগমূলক : এটি হলো পাঠ্য বই থেকে ও অনুধাবন নতুন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার দক্ষতা। এ ধরনের স্তরে সাধারণত প্রয়োগ দেখাও, মিল/সাদৃশ্য, অমিল/ বৈসাদৃশ্য কী, চিহ্নিত কর, ব্যাখ্যা কর, কীভাবে ইত্যাদি দ্বারা প্রশ্ন করা হয়। উল্লেখ্য, এ স্তরের প্রশ্নে পাঠ্য বই থেকে হুবহু করা হয় না। উদ্দীপক ও পাঠ্য বই একত্রে করে প্রশ্ন হয়। এ স্তরের মানবণ্টন ৩ (জ্ঞান স্তর=১, অনুধাবন স্তর=১ ও প্রয়োগ স্তর=১)। পরীক্ষার্থীরা উত্তরে জ্ঞান স্তরটি লিখবে ভাবানুবাদে, অনুধাবন স্তরটি লিখবে বইয়ের নির্দিষ্ট অধ্যায়ের আঙ্গিকে এবং প্রয়োগ স্তরটি লিখবে উদ্দীপক থেকে। এভাবে তিনটি স্তর তিনটি প্যারায় লেখা উত্তম। তবে কেউ এক প্যারার মধ্যে এ তিনটি স্তরের উত্তর লিখতে পারলে তাকেও নম্বর দিতে হবে।
(ঘ) উচ্চতর দক্ষতামূলক : কোন বিষয়বস্তুর বিশ্লেষণ, সংশ্লেষণ, মূল্যায়ন করার দক্ষতা হলো উচ্চতর দক্ষতা। এ স্তরের প্রশ্নটি উদ্দীপক ও বই মিলে হয়। এ স্তরের প্রশ্নে শিক্ষার্থীরা সংশ্লেষণ, বিশ্লেষণ, মূল্যায়ন বা যথার্থতা যাচাই করতে পারে। অর্থাত্ একটি অনুসিদ্ধান্ত থাকতে হবে। এ স্তরের মান বণ্টন হচ্ছে ৪ (জ্ঞান স্তর=১,অনুধাবন স্তর=১, প্রয়োগ স্তর=১ ও উচ্চতর দক্ষতা=১)। পরীক্ষার্থীরা উত্তরে জ্ঞান স্তরটি লিখবে সিদ্ধান্তের ভাব অনুযায়ী, অনুধাবন স্তরটি লিখবে বইয়ের নির্দিষ্ট অধ্যায়ের আঙ্গিকে, প্রয়োগ স্তরটি লিখবে উদ্দীপক থেকে ও উচ্চতর দক্ষতার স্তরটি লিখবে বইয়ের সংশ্লিষ্ট অংশ এবং উদ্দীপকের অংশের সমন্বয় সাধন করে জ্ঞান স্তরে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা পুনরাবৃত্তি করে। এখানে চারটি প্যারা করলে ভালো হয়। তবে কেউ যদি এক প্যারায় বা দু প্যারায় বা তিন প্যারায় সব স্তরের উত্তর সঠিক লিখতে পারে, সেও পূর্ণ নম্বর পাওয়ার দাবী রাখে।
আবার (ঘ) নং প্রশ্নে উচ্চতর দক্ষতা স্তরে যদি উদ্দীপকের কোন চরিত্রের সাথে অধ্যায়ের কোন চরিত্রের বিমূর্ত রূপ/ প্রতিচ্ছবি / প্রতিরূপ/অনুরূপ/একই রূপ- এ ধরনের কথা থাকে, তাহলে উদ্দীপকে বর্ণিত চরিত্রের এবং অধ্যায়ের ঐ চরিত্রের সব কিছু বৈশিষ্ট্য/দিক/ভাব এক হলে যথার্থ; আর এক না হলে যথার্থ নয় হবে। কিন্তু প্রশ্নে ‘প্রতিনিধিত্ব করে’- এ কথা থাকলে চরিত্রের সবকিছু বৈশিষ্ট্য না থাকলেও চলবে। অর্থাত্ কিছু বৈশিষ্ট্য (প্রায় ৫০%) মিলে গেলে যথার্থ লিখতে হবে। আবার উদ্দীপকের মূলভাব এবং অধ্যায়ের মূলভাব/ মূলকথা/মূল উপজীব্য/সারবস্তু একই ধারায় উত্সারিত- এ ধরনের কথা থাকলে সব দিক মিলানোর প্রয়োজন নেই, মূল কথা থাকলেই চলবে। এক্ষেত্রে যথার্থ লিখতে হবে। তবে প্রশ্নে যদি সামগ্রিকভাব/দিক প্রকাশ পায়- এ ধরনের ক্ষেত্রে অধ্যায়ের এবং উদ্দীপকের সব দিক/ভাব মিলাতে হবে। একটি দিক/ভাব/বৈশিষ্ট্য কম হলেই যথার্থ নয় লিখতে হবে।
২০১২ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার বাংলা
বাংলা প্রথমপত্রে লিখিত সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার নিয়মাবলি
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ,আশা করি তোমরা সবাই জান যে, পি.এস.সি পরীক্ষায় বাংলা প্রথমপত্রে লিখিত সৃজনশীল প্রশ্নে চারটি স্তরের প্রশ্ন আসে। তাই সেগুলো যথার্থভাবে লেখার নিয়মগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো:
(ক) জ্ঞানমূলক : কোন ঘটনার তথ্য, তত্ত্ব, নীতিমালা, প্রকারভেদ, প্রভৃতি মুখস্ত করে লিখতে পারার ক্ষমতাকে বুঝায়। এ স্তরের প্রশ্নে কে, কী, কখন, কোথায়, সংজ্ঞা দাও, উল্লেখ কর প্রভৃতি দ্বারা হয়। উল্লেখ্য, এ স্তরের প্রশ্নটি সম্পূর্ণ পুস্তক নির্ভর এক বাক্যের বা এক শব্দের। অধ্যায়ের ভিতর থেকে এবং লেখক পরিচিতি থেকে এ স্তরের প্রশ্ন হবে। কোন ক্রমে উদ্দীপক থেকে এ প্রশ্ন করা হয় না। পাঠ্য- বইয়ের বাইরের কোন প্রশ্ন এ স্তরে হবে না। আর এ স্তরের মান বণ্টন হবে ১। পরীক্ষার্থী খাতার মধ্যে শুধু একটি শব্দ দিয়ে জ্ঞান স্তরের আক্ষরিক অর্থটি উত্তর করতে পারবে; তবে একটি বাক্যে লেখাই উত্তম।
(খ) অনুধাবনমূলক : কোন অনুচ্ছেদ, কবিতা, প্রবন্ধ ইত্যাদি পড়ে বুঝতে পারা এবং তার মধ্যকার একটি বক্তব্যকে নিজের ভাষায় অনুবাদ করে সংক্ষেপে বুঝিয়ে লেখার ক্ষমতাকে বুঝায়। এ ধরনের স্তরে কেন, লেখক কী বুঝাতে চেয়েছেন, অর্থ ব্যাখ্যা কর ইত্যাদি দ্বারা প্রশ্ন হতে পারে। এ স্তরের প্রশ্নও বই থেকে হয়। তবে যে পাঠ্য বইয়ের আলোকে উদ্দীপক তৈরি করা হয়েছে, সেই পাঠ্য থেকে প্রশ্ন হয়। প্রশ্নপত্রে এ স্তরের মান ২ লেখা থাকলেও পরীক্ষার্থীরা দুটি অংশে উত্তর লিখবে। অর্থাত্ প্রথম অংশে জ্ঞান স্তরের ১ নম্বরের জন্য একটি বাক্যে ভাবার্থে এবং দ্বিতীয় অংশে অনুধাবন স্তরের ১ নম্বরের জন্য বইয়ের নির্দিষ্ট অধ্যায়ের আঙ্গিকে দুটি থেকে চারটি বাক্যের মধ্যে উত্তর লিখবে। এক্ষেত্রে কেউ ইচ্ছা করলে অনুধাবন অংশটি আগেও লিখতে পারে এবং জ্ঞান স্তরের অংশটি পরে লিখতে পারবে।
(গ) প্রয়োগমূলক : এটি হলো পাঠ্য বই থেকে ও অনুধাবন নতুন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার দক্ষতা। এ ধরনের স্তরে সাধারণত প্রয়োগ দেখাও, মিল/সাদৃশ্য, অমিল/ বৈসাদৃশ্য কী, চিহ্নিত কর, ব্যাখ্যা কর, কীভাবে ইত্যাদি দ্বারা প্রশ্ন করা হয়। উল্লেখ্য, এ স্তরের প্রশ্নে পাঠ্য বই থেকে হুবহু করা হয় না। উদ্দীপক ও পাঠ্য বই একত্রে করে প্রশ্ন হয়। এ স্তরের মানবণ্টন ৩ (জ্ঞান স্তর=১, অনুধাবন স্তর=১ ও প্রয়োগ স্তর=১)। পরীক্ষার্থীরা উত্তরে জ্ঞান স্তরটি লিখবে ভাবানুবাদে, অনুধাবন স্তরটি লিখবে বইয়ের নির্দিষ্ট অধ্যায়ের আঙ্গিকে এবং প্রয়োগ স্তরটি লিখবে উদ্দীপক থেকে। এভাবে তিনটি স্তর তিনটি প্যারায় লেখা উত্তম। তবে কেউ এক প্যারার মধ্যে এ তিনটি স্তরের উত্তর লিখতে পারলে তাকেও নম্বর দিতে হবে।
(ঘ) উচ্চতর দক্ষতামূলক : কোন বিষয়বস্তুর বিশ্লেষণ, সংশ্লেষণ, মূল্যায়ন করার দক্ষতা হলো উচ্চতর দক্ষতা। এ স্তরের প্রশ্নটি উদ্দীপক ও বই মিলে হয়। এ স্তরের প্রশ্নে শিক্ষার্থীরা সংশ্লেষণ, বিশ্লেষণ, মূল্যায়ন বা যথার্থতা যাচাই করতে পারে। অর্থাত্ একটি অনুসিদ্ধান্ত থাকতে হবে। এ স্তরের মান বণ্টন হচ্ছে ৪ (জ্ঞান স্তর=১,অনুধাবন স্তর=১, প্রয়োগ স্তর=১ ও উচ্চতর দক্ষতা=১)। পরীক্ষার্থীরা উত্তরে জ্ঞান স্তরটি লিখবে সিদ্ধান্তের ভাব অনুযায়ী, অনুধাবন স্তরটি লিখবে বইয়ের নির্দিষ্ট অধ্যায়ের আঙ্গিকে, প্রয়োগ স্তরটি লিখবে উদ্দীপক থেকে ও উচ্চতর দক্ষতার স্তরটি লিখবে বইয়ের সংশ্লিষ্ট অংশ এবং উদ্দীপকের অংশের সমন্বয় সাধন করে জ্ঞান স্তরে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা পুনরাবৃত্তি করে। এখানে চারটি প্যারা করলে ভালো হয়। তবে কেউ যদি এক প্যারায় বা দু প্যারায় বা তিন প্যারায় সব স্তরের উত্তর সঠিক লিখতে পারে, সেও পূর্ণ নম্বর পাওয়ার দাবী রাখে।
আবার (ঘ) নং প্রশ্নে উচ্চতর দক্ষতা স্তরে যদি উদ্দীপকের কোন চরিত্রের সাথে অধ্যায়ের কোন চরিত্রের বিমূর্ত রূপ/ প্রতিচ্ছবি / প্রতিরূপ/অনুরূপ/একই রূপ- এ ধরনের কথা থাকে, তাহলে উদ্দীপকে বর্ণিত চরিত্রের এবং অধ্যায়ের ঐ চরিত্রের সব কিছু বৈশিষ্ট্য/দিক/ভাব এক হলে যথার্থ; আর এক না হলে যথার্থ নয় হবে। কিন্তু প্রশ্নে ‘প্রতিনিধিত্ব করে’- এ কথা থাকলে চরিত্রের সবকিছু বৈশিষ্ট্য না থাকলেও চলবে। অর্থাত্ কিছু বৈশিষ্ট্য (প্রায় ৫০%) মিলে গেলে যথার্থ লিখতে হবে। আবার উদ্দীপকের মূলভাব এবং অধ্যায়ের মূলভাব/ মূলকথা/মূল উপজীব্য/সারবস্তু একই ধারায় উত্সারিত- এ ধরনের কথা থাকলে সব দিক মিলানোর প্রয়োজন নেই, মূল কথা থাকলেই চলবে। এক্ষেত্রে যথার্থ লিখতে হবে। তবে প্রশ্নে যদি সামগ্রিকভাব/দিক প্রকাশ পায়- এ ধরনের ক্ষেত্রে অধ্যায়ের এবং উদ্দীপকের সব দিক/ভাব মিলাতে হবে। একটি দিক/ভাব/বৈশিষ্ট্য কম হলেই যথার্থ নয় লিখতে হবে।
No comments:
Post a Comment