Sunday, January 27, 2013

পদার্থ বিজ্ঞান

পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরের জন্য ৪০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। প্রশ্নের শুরুতে থাকে একটি উদ্দীপক এবং এর অধীনে বিভিন্ন দক্ষতাস্তর ভিত্তিক ৪টি প্রশ্ন থাকে, যথা
ক. জ্ঞানমূলক-১ নম্বর,
খ. অনুধাবনমূলক-২ নম্বর,
গ. প্রয়োগমূলক-৩ নম্বর
এবং ঘ. উচ্চতর চিন্তন দক্ষতামূলক-৪ নম্বর।
এভাবে প্রতিটি প্রশ্নের মোট মান থাকে (১+২+৩+৪) = ১০। মোট ৬টি প্রশ্ন থাকে। এর মধ্যে ৪টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় (৪ী১০ = ৪০ নম্বর)। এ অংশে ভালো করতে হলে একজন শিক্ষার্থীকে নিুোক্ত বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে মনে রাখতে হবে
প্রথমেই প্রদত্ত উদ্দীপকটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়বে এবং সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলো ভালো করে বুঝে নেবে। জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর যথাসম্ভব অল্পকথায় শেষ করবে। হতে পারে তা এক বা দুই লাইনে, এমনকি এক বা দুই কথায়। সঠিক উত্তরে পূর্ণ ১ নম্বরই পাবে, উত্তরের আকার যা-ই হোক না কেন। তবে এ প্রশ্নের উত্তর হুবহু বই থেকেই পাওয়া যাবে এবং বইতে যেভাবে আছে, সেভাবেই লেখার চেষ্টা করবে। অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তরে উদ্দীপক থেকে বিষয়টি সম্পর্কে যে ধারণা হয়, তা বুঝে নিয়ে নিজের মতো করে লিখবে। এক্ষেত্রে কোনো মুখস্থবিদ্যা স্মরণ করে হুবহু লেখার প্রয়োজন নেই। শুধু মূল বিষয়টি যেন ঠিক থাকে, সেদিকে দৃষ্টি রাখবে। প্রয়োগমূলক প্রশ্ন যদি বর্ণনামূলক তথা তত্ত্বনির্ভর হয়, তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই প্রয়োজনীয় চিত্র সংযোজন করতে হবে (যদি বইতে দেয়া থাকে)। কারণ এ প্রশ্নের উত্তরে ৩ নম্বর থাকে।
সাধারণত প্রয়োগমূলক প্রশ্ন অঙ্কনির্ভর হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে উদ্দীপক থেকে উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় সূত্র লিখে উপাত্তের মানগুলো সঠিক প্রতীকে বসিয়ে বিশ্লেষণ করে অঙ্ক শেষ করবে। যেহেতু এক্ষেত্রে ৩ নম্বর থাকে, তাই বেশি সংক্ষেপ করে অঙ্ক করবে না। অঙ্ক শেষে আলাদা করে উত্তর লিখবে। উচ্চতর চিন্তন দক্ষতামূলক প্রশ্নের উত্তরে অবশ্যই প্রয়োজনীয় চিত্র দিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রশ্নে যা করতে বলা হবে, অর্থাৎ বিশ্লেষণ, সংশ্লেষণ, মূল্যায়ন কিংবা যথার্থতা যাচাই, তা সঠিকভাবে সম্পন্ন করবে। প্রতিটি অংশের উত্তর প্রদানের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখা বাঞ্ছনীয়। অপ্রাসঙ্গিক অংশ, সেটা যত ভালো করেই লেখা হোক না কেন, তা পরীক্ষকের বিরক্তির উদ্রেক করে। তাই, যথাসম্ভব অপ্রাসঙ্গিকতা ছেড়ে সতর্কতার সঙ্গে উত্তর দেবে। প্রশ্নের চাহিদা অনুসারে উত্তরের আকার হবে, নম্বর অনুসারে নয়। মনে রাখতে হবে, উত্তরের আকার বড় হলেই বেশি নম্বর পাওয়া যাবে না, যদি না তা প্রশ্নের চাহিদা যথাযথভাবে পূরণে সক্ষম হয়। প্রশ্নানুসারে উত্তর সম্পন্ন করতে যতটুকু লেখার প্রয়োজন, ঠিক ততটুকুই লিখবে তাতে উত্তরের আকার যা-ই হোক না কেন। প্রতিটি সৃজনশীল প্রশ্নের ৪টি অংশের উত্তর ধারাবাহিকভাবে দেয়ার চেষ্টা করবে, অর্থাৎ প্রথমে ‘ক’, তারপর ‘খ’, তারপর... এভাবে। তা না হলে অনেক সময় নম্বর কম পাওয়া যায়, এমনকি নিজেও কোনো একটি অংশের উত্তর করতে ভুলে যেতে পার।

No comments:

Post a Comment

Composition on Female Education in Bangladesh for Examination

  Female Education in Bangladesh Education is a light to which everybody has the equal right. Education is the backbone of a nation. The ...