Tuesday, July 10, 2012

General science for Jsc

(ক) বৈদ্যুতিক প্রবাহ কী? ১
(খ) সুইচ ব্যবহার করা প্রয়োজনীয় কেন? ২
(গ) অ্যামিটার বর্ণনা দাও। ৩
(ঘ) কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করলে বাড়িতে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব বলে তুমি মনে কর? ৪
উত্তর :
ক. কোন পরিবাহীর মধ্য দিয়ে ঋণাত্মক চার্জযুক্ত ইলেক্ট্রনের নির্দিষ্ট দিকে নিরবচ্ছিন্ন প্রবাহকে বিদ্যুৎ প্রবাহ বলে।

খ. বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালাতে বা নিভাতে সুইচ ব্যবহার করা হয়। এর প্রয়োজনীয়তা অসীম। নিম্নে তা দেয়া হলো:

(র) বাড়িতে বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালাতে, পাখা ঘুরাতে, টিভি চালাতে সুইচ অতি জরুরী।
(রর) সুইচ ব্যবহারে বিদ্যুৎ শক্তির অপচয় রোধ করা যায়।
(ররর) বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে সুইচ ব্যবহার অপরিহার্য।

গ. নিম্নে অ্যামিটার এর বর্ণনা দেওয়া হলো : বিদ্যুৎ প্রবাহ পরিমাপের জন্য যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয় তাকে অ্যামিটার বলে। এর পুরো নাম অ্যাম্পিয়ার মিটার। এ যন্ত্রের সাহায্যে বিদ্যুৎ প্রবাহ সরাসরি অ্যাম্পিয়ার এককে পাওয়া যায়। অ্যামিটার বিদ্যুৎ বর্তনীতে সিরিজ সংযোগ সংযুক্ত করতে হয়। বিদ্যুৎ কোষের মতো অ্যামিটারেও দুইটি সংযোগ প্রান্ত থাকে। একটি ধনাত্মক ও একটি ঋণাত্মক প্রান্ত। ধনাত্মক সংযোগ প্রান্ত লাল রংয়ের ঋণাত্মক সংযোগ প্রান্ত কালো রংয়ের। কোষের ধনাত্মক প্রান্ত অ্যামিটারের ধনাত্মক প্রান্তের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। তা না হলে অ্যামিটারের কাটা সামনের দিকে না গিয়ে বিপরীত দিকে যাবে। বর্তনীতে সিরিজে সংযুক্ত অ্যামিটারের রোধ বর্তনীর প্রবাহ যেন পরিবর্তন না করতে পারে এ জন্য এর ভিতরে যে তার কু-ুলী থাকে তার রোধ কমিয়ে দেয়ার জন্য একটি স্বল্প মানের রোধ বেশ কমে যায় এবং বর্তনীর প্রবাহের তেমন কোন পরিবর্তন হয় না।

ঘ. অসাবধানতা ও বৈদ্যুতিক সংযোগে কোন ত্রুটি থাকলে যে কোন সময় বাড়িতে বা যে কোন স্থানে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আর এই দুর্ঘটনা রোধ করার জন্য যে সব ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে তা হলো :

(র) বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি পানিমুক্ত রাখতে হবে।
(রর) অপ্রয়োজনে ফ্রিজ, টিভি, ফ্যানের সুইচ বন্ধ রাখতে হবে।
(ররর) কোন যন্ত্রে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেয়ার পূর্বে যন্ত্রটির সংযোজন নির্দেশিকা ভালোভাবে খেয়াল করতে হবে।
(রা) বৈদ্যুতিক সংযোগের ক্ষেত্রে উন্নতমানের তার ব্যবহার করতে হবে।
(া) ক্ষেত্র বিশেষে আর্থ- তার সংযোগ দিলেও চলবে।
(ার) সঠিক মানের ফিউজ ব্যবহার করতে হবে।
(ারর) প্রয়োজনানুসারে অ্যামিটার, ভোল্ট মিটারের সংযোগ দিতে হবে।
(াররর) সর্বোপরি কোন ধরনের বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা দেখা দিলে সাথে সাথে মেইন সুইচ অফ করে দিতে হবে।

 
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
উপকূলীয় অঞ্চলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র অলীক স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে আচমকা ঝড়ের কবলে পড়ে। ঝড় শেষে বাড়ি ফিরে তার তিন বছর আগে ঘটে যাওয়া সিডরের কথা মনে পড়ল, যা এর চেয়েও ভয়াবহ ছিল। মা তাকে জানালেন, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে তাঁদের এলাকায় সিডরের তুলনায় ব্যাপক ক্ষতি ও প্রাণহানি হয়।
ক. জলোচ্ছ্বাস কাকে বলে?
খ. বিপৎসংকেত দেখানো হয় কেন?
গ. অলীকের এলাকায় বারবার ঘূর্ণিঝড় সংঘটিত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করো?
ঘ. ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় অলীকের পরিবার কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে বলে তুমি মনে করো?
উত্তর: ক. ঘূর্ণিঝড়ের সময় সমুদ্রের পানি স্ফীত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে উপকূলের কাছাকাছি যে উঁচু ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়, তাকে জলোচ্ছ্বাস বলে।
উত্তর: খ. প্রাকৃতিক বিপর্যয় শুরুর আগে যে সতর্কতা প্রচার করা হয়, তাকে বিপৎসংকেত বলে। বিভিন্ন কারণে বিপৎসংকেত দেখানো হয়। যেমন: বিপৎসংকেতের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া, জেলেদের জীবন রক্ষা করা, সমুদ্রবন্দরগুলো ঝড়ের কবল থেকে রক্ষা করা, সমুদ্রগামী জাহাজকে ঝড়ের কবল থেকে রক্ষা করা এবং জনগণের দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে গমন ত্বরান্বিত করা যায়।
উত্তর: গ. প্রতিবছরই বিশেষ বিশেষ সময়ে কোনো না কোনো এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনে থাকে। অলীকের বাড়ি উপকূলবর্তী এলাকায়। বাংলাদেশের দক্ষিণে অবস্থিত বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয় এবং কোনো কোনো সময় উপকূলীয় অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে অঞ্চলের অভ্যন্তরে আঘাত হানে। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার সময় মাঝেমধ্যে জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি করে। ঘূর্ণিঝড় প্রবল বেগে সমুদ্র থেকে স্থলভাগের দিকে অগ্রসরের সময় বাতাসের প্রবাহে বিশাল জলরাশি উঁচু হয়ে স্থলভাগের দিকে অগ্রসর হয়। অলীকের বাড়ি উপকূলবর্তী এলাকায় হওয়ার কারণে বারবার সেখানে ঘূর্ণিঝড় সংঘটিত হয়।
উত্তর: ঘ. যেকোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় শুরুর আগে সম্ভাব্য সতর্ক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় অলীকের পরিবার দুর্যোগ পূর্বকালীন, দুর্যোগকালীন, দুর্যোগ পরবর্তীকালীন ও স্থায়ী ব্যবস্থার মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে। দুর্যোগ পূর্বকালীন ব্যবস্থার মাধ্যমে অবহনযোগ্য সম্পদ আবৃত করে চাপা দিতে হবে, গবাদিপশু উঁচু স্থানে নিয়ে যেতে হবে, টাকাপয়সা হাঁড়ির ভেতর পলিথিন আবৃত করে মাটি চাপা দিতে হবে, আশ্রয়কেন্দ্রে খাওয়ার জন্য শুকনা খাবার নিয়ে যেতে হবে, কাঁচা বাড়ি যাতে ভেঙে না যায় সে জন্য দড়ি দিয়ে মাটির সঙ্গে খুঁটিতে বেঁধে দিতে হবে; অনবরত বেতার সংবাদ শুনে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। দুর্যোগকালীন সময়ে সহমর্মিতার মনোভাব নিয়ে অভাবগ্রস্তদের সাহায্য করতে হবে। দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ে গণ্যমান্য ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির পরামর্শ ও তত্ত্বাবধানে পুনর্বাসন কাজ করতে হবে। স্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে অলীকের পরিবার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণ করতে পারে। অলীকের পরিবার দুর্যোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলেও মোকাবিলার উপায়গুলো জানা থাকলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বহুলাংশে কমিয়ে আনতে সক্ষম হবে।

No comments:

Post a Comment

Composition on Female Education in Bangladesh for Examination

  Female Education in Bangladesh Education is a light to which everybody has the equal right. Education is the backbone of a nation. The ...